বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

স্মৃতির শৈশব।

"মজার গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোহাম্মদ জুবায়ের ইসলাম (guest) (০ পয়েন্ট)

X স্মৃতির শৈশব। গল্পের মূল নায়ক বন্ধু তানভীর। ★★★★★★★★★★★★★★★★★ প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু শৈশবের স্মৃতি রয়েছে। কেনই বা থাকবেনা? সবাই তো শৈশব কে পার করেই এসেছি।আর এ সময় এমন কিছু স্মৃতি যা কখনোই ভুলে যাবার নয়। আর যারা গ্রামের পরিবেশে বেড়ে ওঠে তাদের স্মৃতির পাতাটা অনেক বিস্তৃত হয়।   শৈশবের সবচাইতে মজার স্মৃতিটি ছিল স্কুল পালানো।স্কুল পালিয়ে ঘুরতে যাওয়া,খেলতে যাওয়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া,ক্লাস ফাকি দেয়া অন্যরকম মজা।স্কুল পালানো নিয়ে আমাদের বন্ধুদের অনেক স্মরনীয় ঘটনা রয়েছে।আজকে প্রাইমারীর একটি মজার ঘটনা তুলে ধরব। তখন আমরা চতুর্থ শ্রেণিতে। কিছুদিন পর তানভীর নামের এক বন্ধু ভর্তি হল।নতুন নতুন তার সাথে তেমন বন্ধুত্ব হয়ে উঠেনি। কিছুদিন যেতেই পরিচয় হল,কথা হলো,সবার সাথে বন্ধুত্বই হয়ে গেল। কিন্তু সে মাঝে মাঝে আসত না।আবার অনেক সময় আসলেও পালিয়ে যেত।স্যারেরা তাকে খুজত।সাথে আকবর স্যারের ঐতিহাসিক ৩হাত লম্বা বেতের বারি ত আছেই। একদিন তানভীরকে নিয়ে সাইকেলে করে তার বাবা তাকে দিতে আসল।সে সাইকেল থেকে এক লাফে নেমে গেল।সাথে সাথে আনিচ বাড়ীর দিকে পালিয়ে যায়। তাকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছিলনা।আমাদের সামনে থেকে এভাবে যে সে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাবে কেউ কেউ কল্পনাও করতে পারিনি। হঠাৎ বন্ধুদের মধ্যে কেউ একজন দৌড়ে এল।আর বল্ল এই সবাই শুন,আকবর স্যার তানভীরকে ধরতে পাঠিয়েছে ।আমরা আর ধেরি করিনি।সবাই দিলাম দৌড়।আনিচ বাড়ীর মসজিদের দক্ষিণ পাশে একটি ছোট্ট রাস্তা।সাথে কবরস্থানও।পশ্চিমে বিশাল বিল।সবাই বিলের দিকে ছুটতে লাগলাম।আইলের মধ্য দিয়ে দৌড়তে গিয়ে কেউ কেউ পড়েই গেছিল।যারা পড়ে গেল তাদের ত বেহাল দশা।কাপড় চোপড়ে কাদা লেগে একদম শেষ। কিছুদূর যেতেই তানভীরকে দেখা যাচ্ছিল।সবাই তাকে ডাক দিয়ে থামাতে চাইলে সে আমাদের আওয়াজ শুনে আরও দৌড়াইতে লাগল।আমরাও পিছু ছুটলাম।যেতে যেতে "ব্রিক ফিল্ড " পর্যন্ত চলে গেছি।যাওয়ার পর দেখলাম সে ঝোপঝাড় জংগল একটার দিকে ডুকে গেল।কয়েকজনের ভয় হলেও সাহস করে ডুকে পড়লাম। এইদিকে আকবর স্যার ততক্ষণে ক্লাসে চলে আসছে। সবাই চলে যাওয়াতে স্যারের মাথা খারাপ। এইদিকে মেয়েরাত আছেই।আমাদের নামেত আরও পিন মেরে দিল।যেন আগুনের উপর পেট্রোল ছুটে মারল।তারা ক্লাসমেট হলেও সবসময় প্রতিপক্ষের মত। এবার জংগলের দিকে যেয়ে দেখলাম তার ব্যাগ পড়ে রইল।ব্যাগ খুলে দেখলাম কয়েকটা বই,খাতা আর একটা ভিডিও গেমস। এইদিকে তাকে আর পাওয়া গেল না।কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। এবার তাকে না পেয়ে স্কুলের দিকে ফিরতে লাগলাম। সবার মনে ভয় আর আতংক।কারণ কয়েকজন ছাড়া ছেলেরা সবাই চলে আসলো। সবাই দৌড়ে খুব ক্লান্ত। অনেকের ত হাঁপানি শুরু হয়ে গেছে। সবাই ঘামে জর্জরিত। অনেকের কাপড়ে কাদাও। স্কুলের সামনে চলে এলাম।ক্লাসত অর্ধেক শেষ। ক্লাসের সামনে গেলাম। আকবর স্যার একজন একজন করে ডুকতে বল্ল।ডুকার পর অবস্থা ত খারাপ।স্যারের সেই ইলেকট্রিক্যাল পাইপের বারি ত একটাও মাটিতে পরেনি।সব বারি যেন পিঠে আর পিছনে। মেয়েরা ত অনেক খুশি।মুখভরা হাসি।চোখে মুখে আনন্দের জোয়ার।তাদের মুখের চাহনি দেখেই বুঝা যাচ্ছিল আমাদের মাইর খাওয়ার দৃশ্যটি দেখার জন্য তারা অধীর অপেক্ষমান। ভাগ্যিস ভাই শফি ছিল। না হয় কিন্তু মাইর ডাবল খেতে হত। ঐ মাইরের কথা সারাজীবন মনে থাকবে। আমারত এখনো ব্যথা অনুভব হচ্ছে।এই হচ্ছে ঘটনা। এইরকম কত স্বৃতি আমাদের স্কুল লাইফ জুড়ে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৯৩ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • SHUVO SUTRADHAR
    Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    নাইস।