বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভৌতিক সাইবারপাস

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Bishal Dev (০ পয়েন্ট)

X আজকে আমি বাঙালী সৈন্যদলের একটি সত্য ঘটনা শেয়ার করছি।সময়টা ছিল ১৯৬৬ সাল।ইস্ট পাকিস্তানি রেজিমেন্ট থেকে পাহাড়া দেওয়ার জন্য দুই প্লাটুন সৈন্য পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সীমারেখার মধ্যে একটি পাহাড়ী অঞ্চলে যার নাম সাইবারপাস।সেখানে তেমন কোনো লোকের বসবাস ছিল না।দুই প্লাটুন সৈন্যের মধ্যে একটি ছিল বাঙালীদের আরেকটা ছিল পাকিস্তানিদের।সেখানে তারা দিন-রাত পাহাড়া দিত।সপ্তাহের ৫দিনই বাঙালী সৈন্যরা রাতে পাহাড়া দিত।আর মাত্র দুইদিন পাকিস্তানিরা পাহাড়া দিত।সেখানে দুটি দোতলা বিশিষ্ট বিল্ডিঙের মত ছিল যার একটি ছিল প্রায় জীর্ণ অবস্থা যেটাতে বাঙালীদের থাকতে দেওয়া হয়েছিল।আর যেটা ছিল অপেক্ষাকৃত ভালো সেটাতে থাকত পাকিস্তানিরা।একদিন রাতে বাঙালীরা ঘুমোচ্ছিল।সেদিন পাকিস্তানিরা পাহাড়া দিচ্ছিল।রাতে হঠাৎ খচ খচ শব্দে একজন বাঙালীর ঘুম ভেঙে যায়।তিনি শুনতে পেলেন করিডোর থেকে খচ খচ শব্দ আসছে।সেখানে কিন্তু ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না।চাদের আবছা আলোতে সে দেখল করিডোর দিয়ে মানুষের মত কিছু একটা ক্রলিং করে যাচ্ছে।সে প্রথমে এটা চোখের ভুল মনে করলেও পরে দেখল এটা সত্যি।সে বিষয়টা ভালোভাবে দেখার জন্য তার বালিশের পাশে থাকা টর্চ লাইটটা জ্বালিয়ে করিডোরে দেখল কি এটা।কিন্তু সে তখন কিছুই দেখতে পেল না।সে একটু ভয় পেলেও বিষয়টা এত গুরুত্ব দেয়নি।তবে বাঙালীরা একটি বিষয় লক্ষ করেছিল।তারা দেখছিল পাকিস্তানিদের একটু চিন্তিত এবং নিজেদের মধ্যে কিছু একটা গোপন রাখছে।আরেকদিন রাতে আরেকজন বাঙালী ঘুম ভেঙে দেখল অসংখ্য কালো ছায়ামূর্তি দেয়ালে ক্রলিং করে ওঠে যাচ্ছে আবার কেও দরজা বেয়ে বেয়ে ওপরে ওঠে যাচ্ছে।এই দৃশ্য দেখে সে চিৎকার করে সেন্সলেস হয়ে পরে।তার কলিগরা ঘুম থেকে ওঠে লাইট জ্বালিয়ে দেখে সে সেন্সলেস হয়ে পরে আছে।তার জ্ঞান ফিরলে সে সবাইকে বলে ঘটনাটা।তখন যেই লোকটা প্রথম কিছু দেখেছিল করিডোরে সেও তার ঘটনা বলে।এমনসময় পাশের বিল্ডিং থেকে পাকিস্তানিরা চিৎকার শুনে আসে বাঙালীদের কাছে।তারা বলে তারাও নাকি এরকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।এরপর তারা পাহাড়া আরো জোরদার করে।একদিন একজন বাঙালী সৈন্য যখন পাহাড়া দিচ্ছিল তখন দেখতে পেল সেখানে নেকড়ের মত কিছ একটা এসেছে এবং এর চোখটা জ্বলজ্বল করছে।সে মনে করল এটি পাহাড়ি নেকড়ে।এই ভেবে সে ফাইয়ার করল।কিন্তু সে দেখল ফাইয়ার করার সাথে সাথে নেকড়ের সং্খ্যা আরো বারছে এবং এগুলো আস্তে আস্তে কাছে আসছে।সে পর পর কয়েকবার ফাইয়ার করে সেন্সলেস হয়ে পরে।বারবার ফাইয়ারের আওয়াজ শুনতে পেয়ে অন্যরা আসলো।এসে দেখে সে সেন্সলেস হয়ে পরে আছে।এরকম ঘটনা ঘটার ফলে তারা সেখান থেকে একপর্যায়ে চলে আসে।চলে আসার আগে তারা স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানতে পারেন তারা যেখানে এতদিন ছিলেন সেখানে একসম্য অনেক মানুষ বাস করত।কিন্তু হঠাৎ সেখানে একটি রোগ দেখা দেয় এবং এই রোগে সেখানকার প্রায় অনেকেই মারা যায়।একসময় অন্য লোকজনরাও প্রাণ ভয়ে সেখান থেকে চলে যায়।তো এটাই ছিল আজকের ঘটনা ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। Goodbye....


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৭৮১ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Abu Salman
    User ৩ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    0000 গল্পেরঝুড়ির এ্যাপ ডাউনলোড করুন - get google app গল্পেরঝুড়ি ফানবক্স ! এখন গল্পের সাথেও মজাও হবে! কুইজ খেলুন , অংক কষুন , বাড়িয়ে নিন আপনার দক্ষতা জিতে নিন রেওয়ার্ড ! জিজে রাইটারদের জন্য সুঃখবর ! এবারের বই মেলায় আমরা জিজের গল্পের বই বের করতেছি ! আর সেই বইয়ে থাকবে আপনাদের লেখা দেওয়ার সুযোগ! থাকবে লেখক লিস্টে নামও ! খুব তারাতারি আমাদের লেখা নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হবে সুপ্রিয় পাঠকগন আপনাদের অনেকে বিভিন্ন কিছু জানতে চেয়ে ম্যাসেজ দিয়েছেন কিন্তু আমরা আপনাদের ম্যাসেজের রিপ্লাই দিতে পারিনাই তার কারন আপনারা নিবন্ধন না করে ম্যাসেজ দিয়েছেন ... তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ কিছু বলার থাকলে প্রথমে নিবন্ধন করুন তারপর লগইন করে ম্যাসেজ দিন যাতে রিপ্লাই দেওয়া সম্ভব হয় ... সুপ্রিয় পাঠকগন আপনাদের অনেকে বিভিন্ন কিছু জানতে চেয়ে ম্যাসেজ দিয়েছেন কিন্তু আমরা আপনাদের ম্যাসেজের রিপ্লাই দিতে পারিনাই তার কারন আপনারা নিবন্ধন না করে ম্যাসেজ দিয়েছেন ... তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ কিছু বলার থাকলে প্রথমে নিবন্ধন করুন তারপর লগইন করে ম্যাসেজ দিন যাতে রিপ্লাই দেওয়া সম্ভব হয় ... ভৌতিক সাইবারপাস "ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Bishal Dev (০ পয়েন্ট) আজকে আমি বাঙালী সৈন্যদলের একটি সত্য ঘটনা শেয়ার করছি।সময়টা ছিল ১৯৬৬ সাল।ইস্ট পাকিস্তানি রেজিমেন্ট থেকে পাহাড়া দেওয়ার জন্য দুই প্লাটুন সৈন্য পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সীমারেখার মধ্যে একটি পাহাড়ী অঞ্চলে যার নাম সাইবারপাস।সেখানে তেমন কোনো লোকের বসবাস ছিল না।দুই প্লাটুন সৈন্যের মধ্যে একটি ছিল বাঙালীদের আরেকটা ছিল পাকিস্তানিদের।সেখানে তারা দিন-রাত পাহাড়া দিত।সপ্তাহের ৫দিনই বাঙালী সৈন্যরা রাতে পাহাড়া দিত।আর মাত্র দুইদিন পাকিস্তানিরা পাহাড়া দিত।সেখানে দুটি দোতলা বিশিষ্ট বিল্ডিঙের মত ছিল যার একটি ছিল প্রায় জীর্ণ অবস্থা যেটাতে বাঙালীদের থাকতে দেওয়া হয়েছিল।আর যেটা ছিল অপেক্ষাকৃত ভালো সেটাতে থাকত পাকিস্তানিরা।একদিন রাতে বাঙালীরা ঘুমোচ্ছিল।সেদিন পাকিস্তানিরা পাহাড়া দিচ্ছিল।রাতে হঠাৎ খচ খচ শব্দে একজন বাঙালীর ঘুম ভেঙে যায়।তিনি শুনতে পেলেন করিডোর থেকে খচ খচ শব্দ আসছে।সেখানে কিন্তু ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না।চাদের আবছা আলোতে সে দেখল করিডোর দিয়ে মানুষের মত কিছু একটা ক্রলিং করে যাচ্ছে।সে প্রথমে এটা চোখের ভুল মনে করলেও পরে দেখল এটা সত্যি।সে বিষয়টা ভালোভাবে দেখার জন্য তার বালিশের পাশে থাকা টর্চ লাইটটা জ্বালিয়ে করিডোরে দেখল কি এটা।কিন্তু সে তখন কিছুই দেখতে পেল না।সে একটু ভয় পেলেও বিষয়টা এত গুরুত্ব দেয়নি।তবে বাঙালীরা একটি বিষয় লক্ষ করেছিল।তারা দেখছিল পাকিস্তানিদের একটু চিন্তিত এবং নিজেদের মধ্যে কিছু একটা গোপন রাখছে।আরেকদিন রাতে আরেকজন বাঙালী ঘুম ভেঙে দেখল অসংখ্য কালো ছায়ামূর্তি দেয়ালে ক্রলিং করে ওঠে যাচ্ছে আবার কেও দরজা বেয়ে বেয়ে ওপরে ওঠে যাচ্ছে।এই দৃশ্য দেখে সে চিৎকার করে সেন্সলেস হয়ে পরে।তার কলিগরা ঘুম থেকে ওঠে লাইট জ্বালিয়ে দেখে সে সেন্সলেস হয়ে পরে আছে।তার জ্ঞান ফিরলে সে সবাইকে বলে ঘটনাটা।তখন যেই লোকটা প্রথম কিছু দেখেছিল করিডোরে সেও তার ঘটনা বলে।এমনসময় পাশের বিল্ডিং থেকে পাকিস্তানিরা চিৎকার শুনে আসে বাঙালীদের কাছে।তারা বলে তারাও নাকি এরকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।এরপর তারা পাহাড়া আরো জোরদার করে।একদিন একজন বাঙালী সৈন্য যখন পাহাড়া দিচ্ছিল তখন দেখতে পেল সেখানে নেকড়ের মত কিছ একটা এসেছে এবং এর চোখটা জ্বলজ্বল করছে।সে মনে করল এটি পাহাড়ি নেকড়ে।এই ভেবে সে ফাইয়ার করল।কিন্তু সে দেখল ফাইয়ার করার সাথে সাথে নেকড়ের সং্খ্যা আরো বারছে এবং এগুলো আস্তে আস্তে কাছে আসছে।সে পর পর কয়েকবার ফাইয়ার করে সেন্সলেস হয়ে পরে।বারবার ফাইয়ারের আওয়াজ শুনতে পেয়ে অন্যরা আসলো।এসে দেখে সে সেন্সলেস হয়ে পরে আছে।এরকম ঘটনা ঘটার ফলে তারা সেখান থেকে একপর্যায়ে চলে আসে।চলে আসার আগে তারা স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানতে পারেন তারা যেখানে এতদিন ছিলেন সেখানে একসম্য অনেক মানুষ বাস করত।কিন্তু হঠাৎ সেখানে একটি রোগ দেখা দেয় এবং এই রোগে সেখানকার প্রায় অনেকেই মারা যায়।একসময় অন্য লোকজনরাও প্রাণ ভয়ে সেখান থেকে চলে যায়।তো এটাই ছিল আজকের ঘটনা ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। Goodbye....

  • তুহিন
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    gj

  • রামিশা নূর রাওহা
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    ইউজার গল্পে ইত্তা করিস ক্যান!! huh যা ভাগ!

  • SIAM
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    c :c:

  • রামিশা নূর রাওহা
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    চিক্কা মাস্টার ইমুজি প্র্যাকটিস করে! huh sly pirate

  • SIAM
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    :c gj:

  • SIAM
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    :c gj: