বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ঝড় বৈশাখ

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান সৌরভ সাহা(guest) (০ পয়েন্ট)

X চৈত্র মাসের আকাশে মেঘের তেমন থাকার কথা না একটু আগে ও রোদের আলো ছিলো তবুও খানিকের মাঝে মেঘ জমেছে আকাশে ঘন মেঘ প্রকৃতির রুপ ও মাঝে মাঝে মানুষের মনের মত হঠাৎ করেই বদলে যায় এটা তার একটা প্রমান জলজ্যান্ত প্রমান ও বলা যেতে পারে।কলেজ মাঠের এক কোনায় কৃষ্ণচূরা গাছের নিছে বসে আছে মনিষা। মনিষার কাধে ব্যাগ চুলগুলো বাধা তার পাশের বসে আছে আকাশীরং এর একটা শার্ট পড়া একটা ছেলে নাম কাব্য। তারা প্রায় এই গাছের নিছে বসে ২ থেকে ২:৩০ ঘন্টা কাটিয়ে দেয়।তাদের মধ্যে বহু আলোচনা ঝগরার মধ্যে সময় চলে যায়। তাদের ঝগরার কারণ খুব নগন্য আর খানিকের। তবে আজ মনিষা আর বসে থাকতে চাইছে না আকাশের মেঘ তার একদম ভালোলাগছে না তার মনে ভয় এই বুঝি হঠাৎ বৃষ্টি নামে বৃষ্টিতে ভিজলে আবার তার জ্বর আসে তবে বৃষ্টি তার খুব ভালো লাগে কিন্তু বাসা থেকে কড়া নিষেধ ভিজা যাবে না। তাই সে আস্তে গলায় বলছে কাব্য মনে হয় বৃষ্টি নামবে চলো উঠি। কাব্য কিছু বলছে না চুপ। আবার মনিষা কাব্যের গা ঝাকিয়ে এই কাব্য চলো আজ বাসায় চলে যাই। কাব্য মাথা নাড়িয়ে না সূচক উত্তর দিল। আবারো মনিষা প্লিজ আজ উঠি যদি ভিজে যাই বাসায় খুব বকবে। এই কথা গায়ে না মেখে কাব্য বলল তোমার সাথে একটা প্লেন করার ছিলো। মনিষা এবার উঠে কাব্যের হাত টেনে তাকে উঠানোর ট্রাই করছে আর বলছে যা কথা পড়ে শুনবো এখন আমার বাসায় যেতে হবে। কাব্য আচ্ছা তুমি চলে যাও। না আমি প্লেনের কথা না বলা অব্ধি কোথাও যাবো না। মনিষা রাগ করে বলে ঝাজালো গলায় কি বলবা বলো ? কাব্য বলল, তুমি রাগ করে বল্লেও মিষ্টি শোনায় নাকি শূধু আমার কাছেই এমন মনে হয় ? মনিষা ব্রু কুছকে তিক্ত গলায় তুমি কি এখন বলবা কি প্লেন টেনের কথা বলছো আমার কিন্তু এখন রাগ বেড়ে যাচ্ছে। এমন রাগাতে কাব্যের বেশ ভালই লাগে। মনিষা রাগে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে কাব্য বলল এই দিকে তাকাও না হলে বলবো না, আচ্ছা তাকাছি হইছে এবার বলো। বৈশাখি প্লেন করবো, এই বৈশাখ টা তোমার সাথে কাটাতে চাই। তুমি একটা নীল শাড়ী পড়বা আর আমি একটা নীল পাঞ্জাবী। মনিষার অবহেলায় উত্তর আচ্ছা এইটা নিয়ে পড়ে কথা বলবো এখন যাই বোঝতেছো না বৃষ্টি আসবে ভিজলে তো তোমার মাথা ব্যথা করে। আমার ও জ্বর আসবে। কাব্য অভিমান করে মুখ ভার করে বলে আচ্ছা তুমি যাও। তুমি যাবা না?? মনিষা। কাব্য অভিমানী কন্ঠে আমার কথার কোনো দাম যার কাছে নাই তার সাথে কেন যাব?? তুমি প্রতিদিন আমার সাথে ঝগরা করো। প্লিজ চলো উঠি, এর মধ্যেই জিরি জিরি বৃষ্টি। কাব্য হাসছে মিনিষা মুখ ভার করে কাল থেকে আর আসবো না বলে পরলো। কাব্য চলো ছাউনির নিছে দারাই। মনিষা বলল আমি এখন ভিজবো আমার জ্বর আসলে কার কি? দুই জনের অভিমানে আধ ভেজা অবস্থায় এক ছাউনির নিছে দাঁড়িয়ে এই বাদল ধারা পার করল খুব আনন্দে, তারা বৃষ্টি উপভোগ করলো হাত ভিজিয়ে। কাব্যের ফোনে চার বার কল করার পরেও কল রিসিভ করলো, মনিষার হ্যলো কন্ঠ কেমন যেন ভারি শোনাচ্ছে। কাব্য বুঝতে বাকি রইলো না তার জ্বর, ঠান্ডা ও লাগছে। মনিষা, কি করছো ঘুমাচ্ছিলা?? কাব্য হুম, বাট আই এম সরি, মনিষা, কেন? আমার জন্য তোমার জ্বর এলো,কাব্য। মনিষা,এটার জন্যই বলছিলাম চলো বাসায় চলে যাই, আমার কথা শোনলে তোমার ও মাথা ব্যথা করতো না। কাব্য, আমার মাথা ব্যথা করছে আমি বলছি? মনিষা,তোমার মাথা ব্যথা না করলে তোমি এখন ঘুমাইতা না, তোমারে আমি ভালো করেই চিনি। আচ্ছা সরি বললাম তো। আর কোনো দিন বৃষ্টিতে ভিজতে জোর করবো না। কিন্তু আফসোস ভালো করে ভিজলেই পারতাম। মনিষা, হুম মিস করলাম, আরেক দিন ভিজবো। কাব্য,না। মনিষা,না কেন? ভিজবো তুমি আমি এক সাথে। কাব্য আচ্ছা। আবার পরদিন সেই কৃষ্ণচূড়া মনিষা আল্লাদের সুরে অই কাল জানি কি বলতেছিলা বৈশাখ নিয়া। কাব্য বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে কাল শোনো নাই আর বলবো না। আচ্ছা মনে থাকবে তো?মনিষা। কাব্য মনে না ও থাকতে পারে সিউর নাই। মনিষা মুখটা ভোতা করে আমি আর শোনবো না তোমার মনে না থাকলে ও লাভ নাই। কাব্য, আচ্ছা। এরি মধ্যে একটা ছেলে সিগারেট ফুকতে ফুকতে যাচ্ছে। মনিষা, এই তুমি সিগারেট খাও না সত্যি তো? না পুরাই মিছা কথা, কাব্য। মনিষা, আমি তো জানতাম। আচ্ছা তুমি ৫ টা খাবা দিনে। প্রেমিকা সিগারেট খাওয়া শিখাইতাছে এইটা কিন্তু অবিস্বাস্য,কাব্য। তুমি যে বলছ খাও না আমি বিশ্বাস করি নাই,মনিষা। তাইছে আর কই করব?খাইলে খাইয়া বিশ্বাস করানো সম্ভব না খাইলে সম্ভব না, কাব্য। বুজছি আর ভাব ধরা লাগত না, মনিষা। অই শোনো আচ্ছা তুমি যে বলছো নীল শাড়ীর কথা আমার নীল থেকে লাল বেশি ভালো লাগে। আচ্ছা লাল এই পইরো। রাতে আবার যথারিথি ফোনে কথা শুরু, আচ্ছা কাব্য যদি ১লা বৈশাখের দিন ঝর উঠে?? তোমার মাথায় ঝড় উঠব,কাব্য। মনিষা,উঠেল মজা হবে সব প্লেন মাটি হবে। হে আকাশ ঝর তুলে দিও। হ দিব তোমারে কইছে? কাব্য। ঝড় ঠিকি উঠল তবে আকাশে নয় সম্পর্কে ভুলের একটি ঝড় যেন সব উড়িয়ে দিলো। এই ঝড়ে তেমন কিছুই হলো না যেমন কৃষ্ণচূড়া গাছটা ঠিকি ছিলো শুধু নিছে বসে ঝগরা করার মানুষ গুলো আর আসে না। গাছটা এখন শুধু তাদের স্রিতি বহন করে। মনিষা বলেছিলো ভালো থেকো আর সব কিছুর ইতি। কাব্য এখন একটা সরকারি চাকরি করে।আরো নয়টা বৈশাখ পেরিয়ে গেলো। মনিষার বাবা নাকি তার জন্য সরকারি চাকরিজীবী চাইতো।যে সিগারেটের গন্ধ কাব্যের সহ্য হত না, এই সিগারেট যেন না থাকলে আর বাচা সম্ভব না। আজ কাব্য রিকশা দিয়ে গেলে তার বউ হাতটা ধরে থাকে। কিন্তু কাব্য আর রিকশায় মনিষার হাতের আঙ্গল গুলো পট পট করে ফোটায় না। সবি যেন ঠিক আছে। কিন্তু আবার হঠাৎ যেন থেমে যায়, এলোমেলো হয়ে যায়। আজ আবার খুব মনে পড়ছে কাব্যের মনিষার ভাঙা স্রিতি। কাব্যের বউ তার বাচ্চাকে খাওয়াচ্ছে, কাব্য বেল্কনিতে সিগারেট ফুকছে, আর ভাবছে মনিষাও হয়তো তার বাচ্চাকে খাওয়াচ্ছে। আজ মনিষার ভালো থাকোর উত্তর দিতে ইচ্ছা করছে। মনিষাকে বলা হয়নি তোমার স্রিতি গুলো আমায় ভালো থাকতে দিচ্ছে না। তোমার স্রিতি গুলো ফিরিয়ে নাও আমায় ভালো থাকতে দাও। জিবনের শূন্যস্থান খালি থাকে না শুধু নিয়তির হিসাবানুসারে উত্তরটা শুধু বদলে যায়!


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৪৩ জন


এ জাতীয় গল্প

→ গল্প : #দুষ্টুমি'ই_ভরা_ বৈশাখ !!!
→ পহেলা বৈশাখের স্মৃতি
→ ম্রিয়মাণ বৈশাখে
→ পহেলা বৈশাখ
→ পহেলা বৈশাখ
→ নিম্ন মধ্যবিত্তের পহেলা বৈশাখ
→ আর কতদিন এই হৃদয়ের বৈশাখ
→ বৈশাখের প্রথম দিন
→ « ফোনালাপঃ বৈশাখী ইলিশ ( না পড়লে মজার কাহিনী মিস) হাহাহা
→ বৈশাখী মেলায় কাজলাদিদির দাওয়াত ছিল

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • শিমুল
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    আসলামুআলাইকুম সায়েম আরাফাত

  • শিমুল
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    এইজে আনিছুর রুবাইয়া তোমরা কি খালি আজেবাজে কমেন্ট কর কেন।

  • Md.sAiM aRaFAt
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    Hey,Mr.Tuhin...Assalamolaikom...I am back after ifther.... You invited me to talk with you in English....So,Now I am here.... Come here...I am ready.....