বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
#তোমার_ডায়রির_ভাঁজের_ধুলা
#পর্ব_৩(Last part)
#Writer:#SaYeD CHy
পরের পৃষ্ঠা পানি ভেজা পুরো।ভেজা পানির দাগ জানান দিচ্ছে পৃষ্ঠাটা ভিজেছে তবুও পড়ার মত অবস্থা আছে।
"তুই পরের দিন এসে যখন বললি তোর ফারিয়াকে পছন্দ তখন আমার এমন খারাপ লেগেছিল।সে রাতে অনেক কেঁদেছি।"
দূর্জয়ের মনে পড়লো ফারিয়া হল সে মেয়েটা যেদিন সে ভার্সিটির প্রথমদিনই ক্রাস খেয়েছিল।ফারিয়াকে ভালো লাগার কথা যখন তার বেস্টু দিপ্তিকে বলল তখন তার মুখ গোমরা করার কারণ তার বুঝা ছিলো না।এমনকি তাকে প্রপোজ করার পরামর্শ দিপ্তিই করে দিয়েছিল।
"শুধু তোর জন্য বুকে পাথর দিয়ে আমি কাজ গুলো করেছিলাম"
এমনকি ফারিয়া মুসলিম আর দূর্জয়ের হিন্দু হওয়া সত্বেও দিপ্তি সবাইকে বুঝিয়ে বিয়ে দিয়েছিল।
দূর্জয় চোখের জল ফেলতে ফেলতে পরের পৃষ্ঠা খুলল কিন্তু পরের পৃষ্ঠাটা ছিঁড়া। ছিড়া পৃষ্ঠার পর কিছু লেখা নেই।
হঠাৎ করে আমার ছেলে রাহুল আমার কাধে ওঠে বসলো।রাহুলের বয়স এখন ৯বছর।
-বাবা কি করছো?
-কিছু না!
-তো তুমি কাধছো কেন?
-কই কাধছি না তো!
-আচ্ছা আমাকে কোলে নাও!
দূর্জয় রাহুলকে কাধে করে নিচে চলে গেল।বাড়ি পুরো খালি।আমি আমার সাথে ডায়রিটা হাতে নিয়ে গাড়িতে বসলাম।কতবছর পর আমার বেস্টুকে দেখতে এলাম কিন্তু পেলাম না।
দিপ্তির মা-বাবার এড্রেশ খুজে পেয়ে তাদের কাছে গেলাম।দিপ্তির বাবার পা প্রেরালাইস তাই তিনি হাটতে পারেন না।দিপ্তির মা ও বেশ বুড়ো হয়ে গেছেন।
দূর্জয় তাদের দুইজনের পা ধরে নমস্কার করলো।
-তুমি কে বাবা?
-আন্টি আমি দিপ্তির সে ভার্সিটির বন্ধু অনেক বছর পর লন্ডন থেকে আসছি তার সাথে দেখা করার জন্য!
-কিন্তু বাবা দিপ্তি তো আর এখন এদেশেই থাকে না!
-তো কোথায় থাকে?
-আমেরিকায়!!
দূর্জয় ভাবছে এখন সে শেষ পৃষ্ঠাটা কোথায় পাবে?
-আন্টি যাওয়ার আগে কিছু রেখে গেছিলো আমার জন্য?
-দাড়া একটা বিয়ের উপহার দূর্জয় নামে রেখে গেছে!
-আমার নামই দূর্জয়!
-এ নাও এ উপহারটা বলে গেছিলো তুমি যখন আসবে তখন তুমার হাতেই দিতে।
দূর্জয় প্যাকেটটা খুলল। একটা লেডিস আরেকটা জেন্স ঘড়ি।সাথে একটা ছিড়া কাগজ যেটা ওই ডায়রির পেইজই!!
কাগজটা খুলল দূর্জয়!
"তোরে অনেক ভালোবাসি তাই তোর ভালোবাসাটাও বুঝেছি বিয়ের সময় যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু মায়াটা যে যেতে দেয়নি কিন্তু যেকোন জায়গায় থাক তোরা দুইজন ভালো থাকিস।আর বলিস না যে তোর এ কাট্টাসটা কিছু করতে জানে না জবের অফার পেয়েছি আমেরিকায়।যখন ডায়েরিটা পাবি তখন হয়তো আমাকে পাবি না কিন্তু আমাকে অনেক মিস করবি।"
সত্যি যে দূর্জয় এখনও দিপ্তি মিস করছে।
-আচ্ছা আন্টি দিপ্তির কি ফোন নাম্বারটা আছে?
-হুমম আমাদের টাকা পাঠায় আর একটা নাম্বার থেকে ফোন!
-আচ্ছা নাম্বার টা দিন!
দূর্জয় নাম্বার টা ডায়াল করলো।রিং বাজছে.....
কিছুক্ষণ পর দিপ্তি তার চিরচেনা গলসয় হ্যালো বলল।
দূর্জয় হ্যালো বলার পর দিপ্তি বুঝলো দূর্জয় ডায়রি আর গিপ্ট দুইটাই পেয়েছে।
-কেমন আছস?
-ভালো!তুই?
-ভালো নেই!
-কেন?
-তোর জন্য কুত্তী,গাদি,হারামজাদি আমাকে বলতে পারতি যে তুই আমাকে ভালোবাসিস!
-কিভাবে বলবো যে তোকো ভালোবাসি যেখানে ফারিয়া ভালোবাসিস!আর তুই না বুঝলে আমার কি করার ছিল!
-তো দুই গালে থাপ্পড় দিয়ে বুঝাতি!
-তোকে বুঝাতে পারলাম না!!!
দিপ্তি ফোনটা কেটে দিল।আর চোখ জ্বরাতে লাগলো।দূর্জয় কল করতে লাগলো আর দিপ্তি কল কাটতে লাগলো।
কিছু ভালোবাসা রয়ে যায় অসমাপ্ত আর কষ্ট কর।যেটা শতকষ্টেও জোড়া যায় না।আমাদের এসবকে ঘিরেই বাস্তব যেটাকে মেনে নিতে হয়।
বাস্তবতার অধীরে আমাদের বেচে থাকতে হয়।
___________________সমাপ্ত_____________________
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now