বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বিকট কাঁপুনি। প্রচন্ড উত্তাপ। হুঁশ হারিয়ে যায়। তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় পাগলের মতো প্রলাপ করি। সবাই আমার পাশে বিষন্ন মনের কাঠগড়ায়। অশ্রুসিক্ত নয়ন। আহাজারি বাতাস ভারী হয়। অতঃপর ডাক্তার হাজির হয়। কত পরীক্ষা! তবু আশার বাণী আসে না। দ্বিধাদ্বন্দ মুখ। কষ্ট করে কথা বলতে হয়।
- এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।
- কিছু করেন ডাক্তার? আমার ভাইয়ার কি হয়েছে?
- ঠান্ডাটা বসে গেছে। আর আগের মানসিক রোগটা মানে ভ্রুমটা স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে।
- এর থেকে বেঁচে থাকার একটা মাত্র উপায় আছে।
- কি সে উপায়?
- তার ভ্রুমটাকে সত্যিতে রূপান্তর করা।
- এটা কিভাবে সম্ভব ডাক্তার?
- আনিছ যে ভ্রুমের পিছনে ছুটছে তা তার কাছে বাস্তবে রূপ দেয়া। তুমি তো আনিছের ছোট বোন। তুমি ভাল জানবে! আনিছের চাওয়াটা কি?
- হ্যা, ডাক্তার, আল্লাহ চাইলে একমাত্র অপরাজিতাই পারে আনিছকে ভাল করে তুলতে।
- দয়াকরে এই অভিনয়টুকু করো না অপরাজিতা আপু। আমার ভাইকে বাঁচাও।
যাদের কারণে অপরাজিতা নতুন জীবন পেল। তাদের এই দুর্দিনে সে হাত ঘুটিয়ে বসে থাকবে। আর যে মানুষ টা আজ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তার জন্য সে কি কিছুই করবে না? সেও তো ঐ পাগল লোকটাকেই ভালবাসতে চায়। তার জন্য তার কি কোন দানই তোলা নেই? অপরাজিতা কি এতটায় নিষ্ঠুর হতে পারবে?
- মা, অপরা, তুমিই পারো..... আমার ছেলেকে........।
- মা, আমি রাজিই। আমি যদি রাজি না হই তাহলে চরম অন্যায় করা হবে।
শুরু হলো এক কৃত্রিম গোধূলি বেলা, চিরচেনা সেই সুর। সেই হাতের কাঁকন। আর সেই আঁচলে ঢাকা একটি চপলা মেয়ে। রথ নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি ছুটে যাই। তাকে আটকাতেই হবে। আর সবকিছু ভুলে বলে ফেলতে হবে। আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না। তুমি ধরা দাও। দ্রুত এগিয়ে গেলাম। চপলা মেয়েটির হাত ধরে ফেললাম। আলতো ছোঁয়ায় আঁচল নামিয়ে নিলাম। অবাক হয়ে যাই।
- অপরাজিতা!!!!!!!!
- হ্যা, আমি আপনার চপলা সেই মেয়ে। যাকে আপনি পাগলের মতো খোঁজছেন।
- তুমি কেন এত দিন আমাকে ফেলে লুকিয়ে ছিলে বলো? উত্তর দাও।
- আমি আপনার সংসারে বোঝা হতে চাই নি। বিশ্বাস করুন আমি তোমাকে খুব ভালবাসি।কিন্তু তুমি কি পারবা আমাকে গ্রহণ করতে।
- কেন পারব না? আমি পারব। আমি পারবই।
নিশ্বাস ভারী হয়। লুটিয়ে পড়ি মাটিতে। সপ্তাহ খানেক হাসপাতালে থাকতে হলো।
আমি আজ অনেক খুশী। যাকে আমি খোঁজে বেড়াচ্ছিলাম। সে এসে আমাকে ধরা দিয়েছিল আমি এক অদৃশ্য ভালবাসাকে খোঁজে পেয়েছিলাম। আমি ও অপরাজিতা। পাঁচটি বছর চলে গেল। আজ আমাদের ষষ্ঠতম বিবাহবার্ষিকী। এক অদৃশ্য ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ দুজনে। এক নিকষ কালো অন্ধকার নয়! বরং অদৃশ্য ভালবাসায় আলোকিত জীবন।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
ইশিকা ইশু
User ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বেমোঃ আনিছুর রহমান লিখন
Golpobuzz ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বেহঠাৎ বজ্রপাত [মফিজুল]
Golpobuzz ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বেমোঃ আনিছুর রহমান লিখন
Golpobuzz ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে