বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন।সেই কঠিন জীবনের জন্য প্রয়োজন একটা ভরসা।সেই ভরসা হতে পারে কোনো মানুষের প্রতি মানুষের আবার হতে পারে কোনো লাঠিতে। চাকরি থেকে অনেক দিনই হলো বরখাস্ত করা হয়েছে গগণকে।তারও অবশ্য একটা কারন আছে সে ভুল করে মানি লন্ডারিং এর মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়। এতক্ষণ বলছিলাম গগণের কথা ।আসলে গগণকে কেউ দেখতে পারে না শুধু একজন ছাড়া।সে গগণকে খুব ভালোবাসে গগণের যত্নের কোনো কমতি রাখেনা সে।তার নাম নিলা। সম্পর্কে নিলা গগণের মামাতো বোন হয়। তাদের কোল আসমানী আলো করে খুব একটা মেয়ে হয়েছে তারা তার মেয়ের নাম রেখেছেন রঙ্গিলা ।বয়স ছয় বছর হবে ।খুব একটা ভালো করে কথা বলতে পারে না রঙ্গিলা। হেঁটে খেলে সমস্ত ঘর মাথার নিচে মানে কাঁধে করে রাখে। চাকরি করার ঐ সময়ে একদিন গগণের অফিস যাবার সময় রঙ্গিলা বলল,
রঙ্গিলাগগণের টাই এগিয়ে দিচ্ছে, গগণের অফিস কার্ড এগিয়ে দিচ্ছে আর খুশি হয়ে বলছে )আব্বু আব্বু আমার জন্য একটা ঘুড়ি কিনে নিয়ে এসো অপিস(অফিস) থেকে আসার সময়।
গগণ: (দুষ্টু হাসি দিয়ে সব নিয়ে রঙ্গিলার হাত থেকে) আচ্ছা আনবোনা।
রঙ্গিলা: (রেগে গিয়ে)কি বললে ?
গগণগালে একটা চুমু দিয়ে)হমম আনবো আনবো , (মাথায় হাত বুলিয়ে)কিন্তু মা মনি ঘুড়ি দিয়ে তুমি কি করবা?
রঙ্গিলা গগণকে কিছু বলতে যাবে ওমনি নিলা আসে আর বলে,
নিলাএক গাল হাসি মুখে নিয়ে গগণ আর রঙ্গিলার দিকে তাকিয়ে)আমাকে বাদ দিয়ে কি কথা হচ্ছে দুই বাবা মেয়ের মধ্যে হমমম?
(রঙ্গিলা গগণকে হাতের ইশারায় না বলতে বারণ করলো)
নিলা: (দুষ্ট হেসে রঙ্গিলাকে ঝাপটে ধরে নিয়ে বলল) আব্বুকে কি বললে যা আম্মুকে বলা যায় না হমমম???
গগণনিলার দিয়ে তাকিয়ে হেসে) ঘুড়ি কিনে দিও তোমার মেয়েকে?
নিলা: (শুনে যাবে)
রঙ্গিলারাগি স্বরে গগণের দিকে তাকিয়ে) আমার আম্মুকে বলছো কেন আমার আম্মু কি অপিসে(অফিসে)যায় নাকি???
গগণরেডি হয়ে ব্যাগ নিয়ে ) আচ্ছা বাবা ঠিক আছে আনবো।(নিলার দিকে তাকিয়ে) বাজার কি কি আনবো?
নিলা: (বাজারের ব্যাগ দেখে দেখে বলল) কয়েক কেজি আলু বেগুন আর সয়াবিন তেল আর মেয়েটার জন্য হরলিক্স নিয়ে এসো টেলিভিশনে দেখে দেখে আজ কয়টা দিন বায়না ধরেছে হরলিক্সের।
(আচ্ছা ঠিক আছে বলেই গগণ চলে গেলে )
(রঙ্গিলা এক দৌড়ে জানালার ধারে এসে দাঁড়ালো নিচে গগণকে দেখে টাটা আব্বু দিলো নিচ থেকে গগণও টাটা রঙ্গিলা বলে চলে গেলো)
(সারাটা দিন অফিস করে গগণের মাথা ঠিক নেই অফিসের বসের সাথে গন্ডগল হয়েছে তাই বাজার করা তো দূরে থাক রঙ্গিলার ঘুড়ি কিংবা হরলিক্স কিছুই আনে নাই)
দরজা অনেকক্ষণ ধরে খুলার জন্য ধাক্কা দিচ্ছে কিন্তু নিলা রঙ্গিলা কেউ শুনতে পারছে না কারণ ভিতরে টিভিতে গান চলছে একটা সময় গগণ নিলার ফোনে ফোন দেয় তখন নিলা গিয়ে দরজা খুলল
গগণচোখ বড় বড় করে, রাগান্বিত স্বরে বলল)এত বার বার করে দরজা ধাক্কা দিচ্ছি আর তোমাদের কানে যায় না??
নিলা: (গগণের হাত থেকে ব্যাগটা নিতে নিতে নিচু স্বরে)ঐ রঙ্গিলা বেশি সাউন্ড দিয়ে টিভিতে গান দেখছিল তাই শুনতে পারি নাই।
গগণ: (রাগান্বিত স্বরেই)এক গ্লাস পানি দাও আমি ও ঘরে যাচ্ছি।
ও ঘরে গিয়ে টিভিটা বন্ধ করে বিছানায় বসে রঙ্গিলা বলল
রঙ্গিলা: (হেসে) আমার ঘুড়ি এনেছো আব্বু?
গগণরাগে কিছু বলছে না শুধু শুনছে)
রঙ্গিলা: (হেঁসে গগণের কাছে গিয়ে গলায় দু হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ) আব্বু আম্মু না আমার জন্য তোমাকে হরলিক্স নিয়ে আনতে বলে ছিল তুমি কি এনেছো??
(গগণ বসের রাগ মেয়ের উপর দেখানোর জন্য নিজের গায়ে যত জোর আছে সমস্ত শক্তি দিয়ে এমন করে রঙ্গিলাকে ধাক্কা দিল যে রঙ্গিলা দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেল সাথের সাথ রঙ্গিলার আর কথা নেই সারাজীবনের মতো চুপ হয়ে গেছে মাথার পিছনে আঘাত লেগে খুব রক্ত বের হচ্ছে)
নিলা পানি আনতেই দেখে এই অবস্থা ছুটে গিয়ে রঙ্গিলাকে ঝাপটে ধরে কাঁদতে থাকে আর বলে
নিলাকান্না করতে করতে)আমার একটাই মেয়ে কত শত আবদার করে কত শত কথা বলে কত সুন্দর করে আম্মু আম্মু করে ডেকেছে আর কেউ শত আবদারের ঝুড়ি আনবে না আমার কাছে আর কেউ আম্মু আম্মু করে ডাকবে না আমাকে ও রঙ্গিলা রে না ফেরার দেশে চলে গেলা রে রঙ্গিলা।
এই ভাবে কান্নার আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন এসে গগণকে পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালতে গগণ শিকার করেন তার কথা শেষে গগণের ফাঁসি হয় আর ও দিকে নিলা মেয়ের শোকে পাগল হয়ে যায় বর্তমানে নিলা পাগলা গারদে আছে।
(গল্পটা কাল্পনিক)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now