বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

" আমরা সঠিক পথেই রয়েছি, অতঃপর শিরক " - এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআ'লা নবীজি (সাঃ)-কে কি বলতে বলেছিল?

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ আনিছুর রহমান লিখন (০ পয়েন্ট)

X সুমধুর একটি ধ্বনি কানে ভেসে এল। সুন্দর একটি আহ্বাবান, কল্যাণের আহ্বাবান। যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। " আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। " ঘরে বসে আর থাকা যায় না। বের হলাম। মসজিদে গিয়ে দেখি দাঁড়াবার জায়গাটুকুও নেই। কেউ একজন আমাকে সালাতের জন্য জায়গা করে দিল। আজ মসজিদটি এলাকার মুসুল্লি দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। আমি বেশ অবাকই হলাম। কারণ গতকালও এ রকমটি ছিল না। পরে জানতে পারলাম মসজিদে দাওয়াতে-তাবলীগের কাজ চলছে। কিছু বিদেশীরাও এসেছেন। আমি বারাবরই মসজিদের পাঁচ কাজের সাথে জড়িত ছিলাম। এই সুবাদে বিদেশীদের খেদমতে আমাকে রাখা হলো। আমি তাদের অসুবিধাটুকু যথাসাধ্য দূর কারার চেষ্টা করতাম। তারা ছিল আমাদের মেহমান। আর আল্লাহ বলেন- " তারা লূতের কাছে মেহমানদের দাবী করেছিল। আমি তাদের চক্ষু লোপ করে দিলাম। অতএব আচ্ছাদন করো আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী। " (৫৪ঃ৩৭)। দাওয়াতে-তাবলীগের দ্বিতীয় দিন। আছরের সালাত আদায় করে দাওয়াতে-তাবলীগের দ্বীনের কাজে বের হই আমরা। দেখি গুটি কয়েকজন লোক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মাজারে যাচ্ছে। এটা শুনতে পাই, তারা এই মানত করেছেন যে, বাবার দয়ায় তাদের ছেলে এসএসসি তে ভাল রেজাল্ট করেছে। তাই তারা মাজারে যাচ্ছে ছিন্নী দিতে। আমরা তাদের বাধা দিলাম। আর বললাম, - মাজার পূজা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর সাথে চরম অবাধ্যকতা। তখন তারা বলল, - আমরা সঠিক পথেই রয়েছি। যদি বাবার মহত্ব সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে অংশগ্রহণ করুন। মারাফতের তাৎপর্য সম্পর্কেও জেনে যাবেন। - তোমরা কি জানো না? মহান আল্লাহ তাআ'লা এসব লোকদের জন্য নবীজি(সাঃ)-কে কি বলতে বলেছিল? - কি বলতে বলেছিল? শুনি ইকটু (ব্যঙ্গ করে)। সুরাতুল বাকারার ১৩৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ সুবাহানা তাআ'লা বলেন- " তারা বলে, ইহুদী অথবা খ্রিষ্টান হয়ে যাও। তবেই সুপথ পাবে। আপনি বলুন, কখনোই নয়, আমরা ইব্রাহিমের ধর্মে আছি এতে কোন বক্রতা নেই। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।" মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক (রহঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) এর একটি সূত্র হতে বলেন- এক চক্ষু বিশিষ্ট আব্দুল্লাহ ইবনে সুরিয়া নামক এক ইহুদী রসূল (সাঃ) কে বলেছিল, " আমরা সুপথেই রয়েছি। তোমরা আমাদের অনুসারী হও, তাহলেই সুপথ প্রাপ্ত হবে। " খ্রিষ্টানরা অনুরূপ তাই করেছিল। অতঃপর মহান আল্লাহ তাআ'লা জানিয়ে দিচ্ছেন যে, মুহাম্মদ (সাঃ) ইব্রাহিম (আঃ) এর একনিষ্ঠ ধর্মের অনুসারী। এখানে " একনিষ্ঠ " বা " হানীফ " শব্দটির বিভিন্ন মনীষীগণ বিভিন্ন অর্থ দিয়েছেন। আর কাতাদাহ বলেন, " হানীফ শব্দের অর্থ হলো আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। " (তাফসিরে ইবনে কাসির)। এসময়ে তারা বলে উঠল, - তাহলে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ধর্ম পালন করা কি দরকার? ইব্রাহিমের ধর্ম পালন করলেই তো হয়। - বেহুদা তর্কে জড়িও না। নিশ্চয় এটা জানো যে, ইসলামই একমাত্র পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। পূর্ববর্তী সকল ধর্মই ছিল অপরিপূর্ণ অর্থাৎ তা নির্দিষ্ট গোত্রের জন্যই প্রযোজ্য ছিল। আর ইসলাম হলো সারা বিশ্বের রহমত স্বরূপ। কিন্তু তোমরা তো আল্লাহকে ছাড়া অন্য কিছুর উপাস্য করছো। তোমরা তো শিরক করছো। তোমরা কি সম্পর্কে নিশ্চিত নও যে, শিরক ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ? - তাহলে আমাদের এটা বলে দিন যে, আমরা কিভাবে শিরক থেকে বেঁচে থাকব? আমরা কিভাবে বোঝব আমরা শিরক করছি। - তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কোন কিছুর উপাস্য করো না। মহান আল্লাহ তাআ'লা সুরাতুল লোকমানের ১৩ নং আয়াতে বলেন, " যখন লোকমান উপদেশ স্বরূপ তার ছেলেকে বলল- হে ছেলে, আল্লাহর সাথে কোন কিছুর শরীক করো না। কেননা, আল্লাহর সাথে শরীক করা মহা অন্যায়। " আর ইমরানের ৬৪ নং আয়াতে বলেন, " বলুনঃ হে আহলে কিতাবগণ, একটি বিষয়ের দিকে আসো যা তোমাদের মধ্যে ও আমাদের মধ্যে সমান যে, আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করব না, তার সাথে কোন কিছুর শরিক সাবস্ত্য করব না, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাব না। তারপর যদি স্বীকার না করে তাহলে বলে দাও যে, সাক্ষী থাকো আমরা তো অনুগত।" মহান আল্লাহ তাআ'লা সুরাতুল আন'আমের ১৫১ নং আয়াতে বলেন, " আপনি বলুন, আমি তোমাদেরকে ঐসব বিষয় পাঠ করে শুনাই, যেগুলো তোমার প্রতিপালক তোমাদের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। তা এই যে, আল্লাহর সাথে কারো শরিক করো না, পিতা মাতার সাথে সদয় ব্যবহার করো, দারিদ্র্যের কারণে স্বীয় সন্তানদের হত্যা করো না। আমি তোমাদেরকে আহার দেই, নিলজ্জতার কাছে যেও না। প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য হোক কাউকে হত্যা করো না কিন্তু ন্যায় ভাবে। তোমাদেরকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। যেন তোমরা বোঝ।" - এতেও কি তোমাদের বুঝে আসে না? - আমরা বুঝে গেছি। আর মাজার পূজা নয়, ঐ সব গুমরাহীদের মতো নয়, যারা সঠিক পথে নাই। আজ থেকে ভাল হয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। দাওয়াতে- তাবলীগের তৃতীয় দিন। ঐ সব লোকদের দেখে আমরা খুশী হলাম যারা মাজার পূজা মতো শিরক থেকে ফিরে এসেছে। ইশার সালাতের পর মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দাওয়াতের কাজ। বিদায় স্বজাতি বিদেশীরা। *****************সমাপ্ত****************


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪২৭ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • মোঃ আনিছুর রহমান লিখন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ মফিজুল।

  • মোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে
    wow অসাধারণ gj

  • মোঃ আনিছুর রহমান লিখন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে
    হৃদয়, তুমি কোথায়?

  • MH2 (Mysterious Some one)
    GJ Writer ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে
    দারুনgjgjgj

  • MH2 (Mysterious Some one)
    GJ Writer ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে
    দারুনgjgjgj

  • MH2 (Mysterious Some one)
    GJ Writer ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে
    দারুনgjgjgj

  • সুমাইয়া আক্তার
    User ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে
    ভালো লিখেছেন।

  • মোঃ আনিছুর রহমান লিখন
    Golpobuzz ৩ বছর, ১২ মাস পুর্বে
    মুসলমানদের গোঁড়ামীর একমাত্র জবাব। হে নবী, আপুনি বলুনঃ -এর ১ম অধ্যায়।