বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বইঃ~ ইনটু দ্য ফরেস্ট অফ ফায়ারফ্লাইস লাইট
লেখকঃ~ ইয়ুকি মিদোরিকাওয়া
অনুবাদঃ~ রিয়েন ও এশা
দ্রুত ব্যাগ গোছানো শেষ করে সেটা কাঁধে নিয়ে দৌড়ে দরজা পর্যন্ত গিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বললাম,“আমি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।”
“কথা দাও তুমি তোমার দাদাজানের সব কথা মেনে চলবে” মা আমার দিকে হেঁটে আসতে আসতে বলল।
“আচ্ছা” কাঁধের ব্যাগটি নিচে নামিয়ে অন্য ব্যাগটি আনার জন্য দৌড় গেলাম আমার রুমের দিকে।
“রুমাল,ট্রেনের টিকিট, তোমার প্রিয় জুতো জোড়া নিয়েছ?”প্রতিবারের মতোই মা এই কথা গুলো বলতে ভুলল না।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমার দ্বিতীয় ব্যাগটি প্রথম ব্যাগের পাশে এনে রাখলাম।
“থামো,আমাকে বলো না যে এগুলোই সব জিনিসপত্র!”
“মা, সব ঠিক আছে,আর আমি নিশ্চিত যে আমার প্রিয় জুতো জুড়া সাথে নিয়েছি,” স্যান্ডেল পরতে পরতে আমি বললাম।
“বুলেট ট্রেন থেকে নামার আগে ব্যাগ নিতে ভুলে যেও না, ঠিক আছে? আর ঘুমিয়ে পড়ে নিজের গন্তব্যস্থল ফেলে চলে যেও না,”মা কথাগুলো গম্ভীর ভাবে বলল। তাকে খুব চিন্তিত মনে হলো।
“আচ্ছা ঠিক আছে, আমি ওখানে প্রতি বছরই যাচ্ছি,তাই আমি ঠিক মতোই পৌঁছতে পারবো ।” আমি আমার দুটি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম।
“এই, তুমি তোমার টুপি নিয়ে যাও। না হলে হিট স্ট্রোক হতে পারে।” মা এগিয়ে এসে আমার মাথায় টুপি পরিয়ে দিয়ে বললো। মায়ের পাগলামি দেখে হাসলাম।
“সমস্যা নেই! আমি ঠিক আছি,” আমি দরজা খুলে মাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলাম।
“আমি গেলাম” বলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। সেখান থেকে হেঁটে রেল স্টেশন পর্যন্ত গেলাম।ট্রেন আসতে এখনো অনেক দেরি। ট্রেন না আশা পর্যন্ত আমাকে স্টেশনেই অপেক্ষা করতে হবে।
মাথার উপর দুপুরের প্রখর রোদ। ঝিঝিপোকার ডাকাডাকির জন্য পাগল প্রায় অবস্থা। আমি রেল স্টেশনের সিটে হেলান দিয়ে বসে নীল আকাশে সাদা মেঘের খেলা দেখতে দেখতে তার কথা ভাবতে শুরু করলাম। ঝিঝিপোকার ডাক কোথায় যেন মিলিয়ে গেল ।
তার সাথে যখন আমার প্রথম পরিচয় হয়েছিল তখন আমি মাত্র ৬ বছরের ছিলাম।
সেদিন ছিল গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দিন। দেবতাদের বনে হারিয়ে গিয়ে ছিলাম আমি। সবাই বলতো সেখানে অশরীরী আত্মারা বসবাস করে। দৌড়ে বন থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজতে গিয়ে , আমি এতোটাই ক্লান্ত হয়ে পরেছিলাম যে হাঁটতে পর্যন্ত পারছিলাম না।
আমি ভয় পেয়েছিলাম খুব। ছয় বছরের একটা মেয়ে বনে একা। রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে। ভয় পাওয়ারই কথা। এমন গভীর বনে পথ হারিয়ে ফেললে আমার থেকে দিগুণ বয়সের মানুষই ভয় পেয়ে যেত। আর আমি তো ছয় বছরের বাচ্চা।
উবু হয়ে ঘাসের মধ্যে মুখ লুকিয়ে কান্না করছিলাম আমি। মনে হচ্ছিল ঘাস থেকে মুখ তুললেই অশরীরী আত্মারা আমাকে খেয়ে ফেলবে। কান্না করতে করতে এসব যখন ভাবছিলাম তখনই সে আমার সামনে হাজির হয়।
“এই, পিচ্চি,” কেউ একজন আমাকে ডাকলো। আমি চারপাশে তাকালাম কে আমাকে ডাকছে দেখার জন্য।
সে একটা গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে ছিল। উচ্চতায় আমার থেকে অনেক লম্বা। চুল গুলো ছিল ধূসর বর্ণের। তার মুখে ছিল মুখোশ ।
“তুমি কাঁদছো কেন?” সে গাছের আড়ালে থেকেই আমাকে জিগ্যেস করলো।
“তুমি মানুষ!” আমি চিৎকার করে উঠলাম।“যাক বেঁচে গেলাম,” বলে তাকে জড়িয়ে ধরার জন্য দৌঁড় দিলাম। সে চট করে আমার সামনে থেকে সরে দাঁড়াল। যার ফলে মুখ থুবড়ে মাটিতে পরে গেলাম। জামা থেকে ময়লা ফেলতে ফেলতে উঠে দাঁড়িয়ে তার দিকে রাগি চোখে তাকালাম।
“দু-দুঃখিত,” সে তোতলিয়ে বললো,“তুমি মানব শিশু তাই না? যদি কোন মানুষ আমাকে স্পর্শ করে তবে আমি অদৃশ্য হয়ে যাবো।”
আমি কিছুই বুঝলাম না। তার দিকে কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে রইলাম।
“যদি কোন মানুষ মানে!..তুমি মানুষ না?” অস্ফুট স্বরে তাকে জিগ্যেস করলাম।
“আমি... এমন কিছু যা এই বনে বাস করে।” সে ব্যাখ্যা করলো।
“কি? তার মানে...তুমি ওই অশরীরী আত্মাদের একজন?” আমি মুগ্ধ হয়ে তার দিকে তাকালাম।
“কিন্তু... অদৃশ্য হয়ে যাবে বলতে কি বুঝাতে চেয়েছ? ”
সে কোন উত্তর দিল না। আমি আবার তাকে ধরার চেষ্টা করলাম। কিন্তু আগের বারের মতোই সে চট করে আমার সামনে থেকে সরে গেল।
আমি বার বার তাকে ধরার চেষ্টা করলাম। যতবারই তাকে ধরার চেষ্টা করলাম সে ততবারই সরে গেল। আমি এটাকে একটা খেলা হিসেবে নিয়েছিলাম কিন্তু সে নেয়নি ।
আমার অগোচরে সে একটা গাছের ডাল নিল এবং আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই সেটা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলো। আমি ব্যথায় গোঙিয়ে উঠলাম।
“তু-তুমি সত্যিই মানুষ না!” আমি বললাম,“কোন মানুষ আমার মতো ছোট বাচ্চাকে মারতে পারে না।” আমি কেঁদে ফেললাম।
“অদৃশ্য হয়ে যাওয়া মানে হলো চিরতরে মুছে যাওয়া।” সে আমার কান্নাকে পাত্তা না দিয়ে বলল। “পাহাড়ের দেবতারা জাদুমন্ত্রোচরণে আমাকে সমাহিত করে রেখেছে এখানে।” সে আকাশের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলল,“যদি কোন মানুষ আমাকে স্পর্শ করে,তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।”
তার কথা শুনে আমার কান্না থেমে গেল। কিছুটা অপরাধবোধও হতে শুরু করল।
“দু-দুঃখিত,” আমি নিচের দিকে তাকিয়ে বললাম।
“এই পিচ্চি,” সে গাছের ডালটি হাতে নিলো,যেটা দিয়ে আমাকে একটু আগে মেরেছিল। ডালটির অন্যপ্রান্তে ধরার জন্য আমাকে নির্দেশ করলো। আমি তার নির্দেশ মতো ডালটি ধরে হাঁটা শুরু করলাম।
“তুমি হারিয়ে গিয়েছ, তাই না? আমি তোমাকে এই বন থেকে বের হতে সাহায্য করবো।” সে হাঁটতে হাঁটতে বললো।
আমি খুশিতে লাফিয়ে উঠলাম। জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য তার দিকে দৌড়ে গেলাম। কিন্ত সে আবারও গাছের ডালটি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলো। আমি মাটিতে পরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম।
“তোমাকে কেবলই কি বললাম মনে নেই?” সে আমার থেকে দৌড়ে দূরে সরে হাফাতে হাফাতে বলল।
“দুখিঃত, আমি শুধু...” বলার মতো কিছু খুজে না পেয়ে হাত মুঠি করে ঘাসে আঘাত করলাম।
গাছের সেই ডালটি ধরে আমরা আবার হাঁটতে শুরু করলাম। সে ডালটির অন্য প্রান্তে ধরে ছিল। যেন আমার থেকে তার কিছুটা দূরত্ব হয় এবং ভুল করেও আমি তার হাত ধরে না ফেলি।
আমরা পাহাড়ের সিড়ি দিয়ে নিচে নামছিলাম। পাহাড়ে উঠার জন্য এ সিড়ি গুলো কারা, কখন, কেন বানিয়ে ছিল আমি জানি না।
এক সময় এগুলো খুব সুন্দর দেখতে ছিল হয়তো । এখন বয়সের ভারে অনেক জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল ও শ্যাওলা। এসব ভাবলেই কেমন মন খারাপ হয়ে যায়। মন খারাপ দূর করতে আমি মুচকি হেসে বললাম,“আমার মনে হচ্ছে আমরা ডেটে যাচ্ছি।”
সে আমার দিকে তাকিয়ে নির্লিপ্তত ভাবে বললো,“ আমাকে কি তোমার ভয় করছে না?”
“কেন ভয় করবে ?” তার দিকে তাকিয়ে আমি হাসলাম।
“কিছু মনে করো না।” সে বলল।
এরপর আমরা একটি কথাও না বলে চুপচাপ হাঁটতে লাগলাম বনের ভেতর দিয়ে। কিছুক্ষণ পর যখন আমরা বনের বাইরে গ্রামে যাওয়া পথে এসে দাঁড়ালাম তখন বিকেল হয়েছে গেছে। আকাশের কিছু কিছু অংশ লাল হয়ে আছে। মুগ্ধ হওয়ার মতোই কিন্তু আমি হতে পারলাম না। তার সাথে বনে ঘুরতে ভালো লাগছিল। যেতে ইচ্ছে করছিলো না কিন্তু যেতে তো হবেই। আমার পরিবার আছে। তাদের কাছে যেতে হবে। আচ্ছা, এই ছেলেটি ও কি কোন পরিবার আছে? মনে মনে নিজেকেই প্রশ্নটা করলাম।
“যদি তুমি এই রাস্তা ধরে সোজা যাও তবে গ্রামে যাওয়ার রাস্তা পেয়ে যাবে, বিদায়।” সে এক নিশ্বাসে কথা গুলো বলল।
“তুমি কি সবসময় এখানেই থাকো?” তাকে জিগ্যেস করলাম। আমার খুব ইচ্ছে করছিল এখানে আবার আসার। একবার না, এখানে আমি বার বার আসতে চাই। সে যদি সবসময় এখানে না থাকে তবে আমার এসে আর কি হবে ? তাকে ছাড়া এই বন শুধু মাত্র একটা বনই, যেখানে অশরীরী আত্মা ঘুরে বেড়ায়। তাই তার কাছে জানতে চাইলাম, “আমি যদি আবার এখানে আসি তবে তোমার সাথে দেখা হবে?”
“এখানে পাহাড়ের দেবতা এবং অদৃশ্য আত্মারা বসবাস করে। এখানে পা রাখলে তুমি তোমার পথ হারিয়ে ফেলবে এবং আজীবনের জন্য নিখোঁজ হয়ে যাবে। এখানে আসা উচিত হবে না। গ্রামবাসীরা এটাই বলে তাই না?”
তার কথা উপেক্ষা করে আমি হেসে বললাম, “আমি, তাকিগাওয়া হোতারু।”
সে কিছু বললো না। হঠাৎই শীতল বাতাস বইতে শুরু করলো। বাতাসে আমাদের চুল উড়তে লাগলো। গাছের পাতা গুলো সেতার বাজানো শুরু করল।
আমি ভাবলাম সে হয়তো তার নাম বলবে। সেটা শুনার জন্য কিছুক্ষণ তার চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু সে আগের মতোই চুপ করে ছিল। আমার কেমন যেন ভয় করতে লাগলো। তাই আমি উত্তরের অপেক্ষা না করে আশেপাশে একবার দেখে নিয়ে হাঁটতে শুরু করে দিয়ে বললাম,“আমি কাল আবার আসবো ধন্যবাদ স্বরুপ উপহার নিয়ে।”
আমি দৌড়াতে শুরু করলাম। তখন শুনলাম সে শান্তভাবে বললো,“আমি জিন।” এটা শুনো দৌড়ানো বন্ধ করে পেছনে ঘুরে তাকালাম। একটু আগের বাতাস এবং পাতার সেতার বাজানো বন্ধ হয়ে গেছে । জিন যে জায়গাটায় দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে কাউকে দেখা গেল না!
“হোতারু!” দেখলাম কেউ একজন দূর থেকে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
“অহ্, দাদাজান!” আমি অবাক হয়ে বললাম তারপর দৌড় শুরু করলাম তার দিকে।
“বোকা মেয়ে।” দাদাজান আমার মাথায় আঘাত করলো। আমি কান্না শুরু করে দিলাম।“একা একা বনে গিয়ে যদি হারিয়ে যেতে তখন কি করতে?” রাগী স্বরে তিনি বললেন।
আমি কাঁদতে কাঁদতে তাকে জড়িয়ে ধরলাম। দাদাজান আমার হাত ধরলো। আমরা বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলাম। পাহাড় থেকে গ্রামের ঘর গুলোকে অনেকটা খেলনার মতো দেখাচ্ছিল।
“দাদাজান,” আমি তার দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলাম,“এটা কি সত্যি যে এই বনে অশরীরী আত্মারা বসবাস করে?”
“ওহ্, দেবতাদের পাহাড়... কে জানে.. কিন্তু গ্রামের সবাই তাই বলে।”
আমি দাদাজানের দিকে তাকালাম। তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন,“আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন এই অশরীরী আত্মাদের সাথে দেখা করতে চাইতাম।তাই আমি এবং আমার বন্ধুরা প্রায়ই বনে যেতাম।” একটু হাসলেন।
“শেষ পর্যন্ত আমি কারো দেখা পাইনি তবে মাঝেমধ্যে অনুভব হতো কিছু একটা আছে কিন্তু আমি কিছুই দেখতে পাইনি।
গ্রীষ্মের রাতে, জঙ্গল থেকে বয়ে আসা নদীর শব্দ শোনা যেত। অথচ গ্রীষ্মে নদী শুকনো থাকতো!
আমি এখন সেই সম্পর্কে ভাবি। আমার বন্ধু আইওয়া বলেছিল সে এবং তার বন্ধুরা বনের মধ্যে গিয়ে গ্রীষ্মের উৎসবে অনেক মজা করেছিল। কিন্তু গ্রামবাসীদের পক্ষে বনে গিয়ে উৎসব করার কোন উপায় ছিল না।
তাহলে, কারা করেছিল উৎসব? হতে পারে তারা অশরীরী আত্মাদের সাথেই উৎসবটি পালন করে ছিল।” দাদাজান একটু হাসলেন।
“আহ্! আমার পুরনো দিনের কথা মনে পরে যাচ্ছে। ছেলেবেলায় কি বোকাই না ছিলাম আমরা।” তিনি হাসতে হাসতে বললেন।
বাড়ি ফিরে রাতের খাবার সেরে বিছানায় শুয়ে পরলাম ঘুমানোর জন্য। কিন্তু ঘুম আসছিলো না। এপাশ-ওপাশ করছিলাম শুধু।
জিনের কথা মনে পড়ছিল। মনে পড়ছিল আজ বিকেলে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনা। মাথার একটা অংশ এখনো ফুলে আছে। সেখানে চিনচিনে একটা ব্যথা অনুভব হচ্ছে।
আমি ঘরের ছাদের দিকে তাকালাম। কাঠের সেলিং দেখা যাচ্ছিল উপরে। সেখানে আলোছায়া পরে দুটো চোখের আকৃতি নিয়েছে। একটু ভয় পেলেও সেটার দিকে তাকিয়ে রইলাম। আস্তে আস্তে আমার চোখ লেগে যেতে লাগলো। একসময় ঘুমের কোলে ঢলে পরলাম।
শিঘ্রই সম্পূর্ণ বইটি প্রকাশ পেতে যাচ্ছে। পুরোটা পড়তে, বইটি কিনতে এবং বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে ভিজিট করুণঃ~ wwww.facebook.com/rean.asha
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
মোহাম্মদ মফিজুল হোসেন
Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেjunior brother
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেMd.Mofizul Hossain
Golpobuzz ৪ বছর পুর্বেরিয়েন সরকার
Author ৪ বছর পুর্বেFarhan Hossain
User ৪ বছর পুর্বেMd.Mofizul Hossain
Golpobuzz ৪ বছর পুর্বেMd.sAiM aRaFAt
User ৪ বছর পুর্বেSajib Babu
Golpobuzz ৪ বছর পুর্বে