বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
যে কারণে নাস্তিকতা ছেড়ে মুসলিম হন চন্দ্রা লীলা
ডা. আয়েশা আনওমুসলিমের কথাবদুল্লাহ। তিনি বেঙ্গালুরুর হিন্দু পরিবারের সন্তান। নাম ছিল চন্দ্রা লীলা। কিন্তু তাঁর পরিবার কখনোই ধর্মানুরাগী ছিলেন না। তিনি ও তাঁর বাবা কোনোদিন মন্দিরে যাননি। তবে চন্দ্রার মা নিয়মিত মন্দিরে যেতেন। বেঙ্গালুরুর বেশির ভাগ মানুষ হিন্দু। চন্দ্রা লীলা ধর্মানুরাগী না হলেও তিনি ধর্মীয় সাহিত্য পাঠ করতেন। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমি রামায়ণ ও মহাভারতের গল্প পড়েছি। এসব গল্প খুবই মজাদার ছিল এবং এগুলোর নৈতিক মূল্যও ছিল অসাধারণ। কিন্তু এসব গল্প বিশ্বাস করতে আমার খটকা লাগত। যেমন রাভালার দশ হাত ছিল, কৃষ্ণের ১৬ হাজার স্ত্রী ছিল। এমন আরো অনেক কিছু। আমার সন্দেহ হতো যে এগুলো বানানো গল্প অথবা অসত্য গল্প। অথচ কেউ এসব গল্প সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারত না। একসময় বুঝতে পারি বড়রা এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর খোঁজার চেষ্টাও করে না। এরপর শত শত দেবতা—তাদের মধ্যে কেউ নাকি ভালো আবার কেউ খারাপ। এসব বিষয় আমার ভেতর সন্দেহ তৈরি করে। চন্দ্রা লীলা আরো বলেন, ‘আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ডারউইনের বিবর্তনবাদ সম্পর্কে পড়াশোনা করি। ডারউইনের মতবাদ আমার চিন্তাধারা প্রভাবিত করে। তাই পরবর্তী কয়েক বছর আমি ধর্মবিশ্বাস হারিয়ে নাস্তিক হয়ে যাই। তখন একজন মুসলমান পুরুষের সঙ্গে আমার পরিচয় ও বিয়ে হয়। কিন্তু তার ধর্মের প্রতি আমার কোনো আকর্ষণ ছিল না। বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এবং বিবর্তন সূত্রের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল অগাধ।’
সহপাঠী জিয়াউল হক চন্দ্রাকে প্রশ্ন করেন একজন মুসলিমকে বিয়ে করার পরও তিনি তাঁর নাম পরিবর্তন করছে না? তিনি বললেন, যতক্ষণ না তাঁর সব রকম সংশয় দূর হচ্ছে ততক্ষণ তিনি ইসলাম কবুল করবেন না। তিনি আরো বললেন, ‘আমি শুধু ইসলাম সম্পর্কেই সন্দিহান নই। যেকোনো ধর্ম গ্রহণ করতেই আমি সত্যিকার অর্থে ভীত।’
পরবর্তী এক মাসে ডাক্তার জিয়াউল হক চন্দ্রা লীলাকে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দেন এবং তার অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দেন। এমনকি কোরআন পাঠের জন্য আরবিও শেখান। এর পরও চন্দ্রা সময় নিলেন এবং ১৯৭৩ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। মুসলিম হওয়ার পর তিনি ইসলাম সম্পর্কে আরো জানার চেষ্টা করলেন এবং ধীরে ধীরে ইসলামের প্রতি আস্থা ও দৃঢ়তা বৃদ্ধি পেল।
চন্দ্রা লীলা বলেন, ‘আমার জ্ঞানের দ্বারা আমি সহজেই বুঝতে পারি কোরআন আল্লাহর বাণী। শত শত দেবতার অধীনে জীবনযাপন করা স্বাভাবিক নয়। আবার কোনো কিছুর অধীনে না থাকাও নৈতিকতার উন্নয়নের পথে অন্তরায়। ইসলাম আমাকে এক আল্লাহতে বিশ্বাসের অনুভূতি দান করেছে। আমি সরাসরি আল্লাহর কাছে চাইতে পারি। আমাকে মাধ্যম হিসেবে কারো সাহায্য নিতে হয় না। ইসলামে কুসংস্কারপূর্ণ বিশ্বাস বলতে কিছুই নেই।’
ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ‘আয়েশা আবদুল্লাহ’ নাম গ্রহণ করেন। তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামে বিধবাদের একটি স্থান আছে। অথচ হিন্দু সমাজে বিধবাদের অবস্থানকে একটি অপরাধবোধে নামিয়ে আনা হয়েছে। হিন্দুদের মধ্যে একজন বিধবার দ্বিতীয়বার বিয়েও নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কারো স্বামী মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীকে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মাহুতি দিতে হয়। যে এটা করে না তাকে অবিশ্বাসী বলে ধরে নেওয়া হয়। শুধু ব্রাহ্মণরাই বেদ পড়তে পারে এবং তারাই হয় পুরোহিত। এসব বিষয় আমার কাছে অমানবিক মনে হয়েছে
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
★ রোদেলা রিদা ★
User ২ বছর, ৬ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন।।
Golpobuzz ৪ বছর পুর্বেshahinur
User ৪ বছর পুর্বেshahinur
User ৪ বছর পুর্বেshahinur
User ৪ বছর পুর্বেshahinur
User ৪ বছর পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৪ বছর পুর্বে