বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

#তারছিঁড়ে_বড়আপু !!!

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান আদিব (০ পয়েন্ট)

X গল্প : #তারছিঁড়ে_বড়আপু !!! Part : 01 !!! Writer : Adib - ওহহহহ... মেলা কষ্টে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাটা তো হইলো। এবার আসল কাহিনীটা হইতেছে, কালকে থেকে আমার বিজনেসটা স্টার্ট করে দেওয়া লাগবো। কারণ.. ঠিক টাইমে বাড়িওয়ালাকে ভাড়া না দিলে লাথি দিয়ে বের করে দিবে। । আজকে সারাদিন হালার পুতের সাথে থাইকা যা বুচ্ছি... মালটা মোটে ও সুবিধে জনক না। এক বেলা না খাইয়া থাকমু তাও হেতের টাকা আগে জোগার করতে হইবো। । ফ্যানটা চালু করে শার্টের বোতাম গুলো খুলে ধপ করে বিছানাই শুয়ে পড়লাম। আহা কী শান্তি.... নিজস্ব থাকার কোন জায়গা না থাকলে যে কী পরিমাণ অস্বস্তি লাগে, সেটা এই কয়দিনে ভালো মতো বুচ্ছি। । কিন্তুু এতো ঝামেলার পর যে একটুু আরামে শুইয়া থাকমু তার ও কোন শান্তি নাই...এখন আবার হিসি চাপছে। এখন যদি হেতেরে আবার ডেলিভারি না দিয়া আসি,তাইলে কপালে আরো অশান্তি লেখা আছে। । তবে একটা কথা আছে না, বিপদ, অশান্তি সব এক সাথে আশে। । হিসি করতে যেই না টয়লেটের দিকে গেছি.. ওমনি কারেন্টটা আবার ফকাত করে চলে গেলো। । ও মা গো.. কী অন্ধকার... একটু আলো ও আসতেছে না কোথাও থেইকা। হঠাৎ এমন টাইমে ভুতের ভয় কই থেকে উঁড়ে ফুঁড়ে মাথার মধ্যে চলে আসলো। । দিনের বেলাই খুব পন্ডিত গিরি দেখাই, কিন্তুু এখন তো ভয়ে একদম ল্যাদামার্কা হয়ে গেছি... নিশ্বাস নিতে ও ভয় লাগতেছে। । এখন বুঝতেছি রাতের বেলা একটা লাইট হাতের কাছে রাখা কত জরুরী। । ওহহহ এই দিকে তো আবার হিসির বেগ আরো বাঁড়তেই আছে... যেই না ভয়ে আছি টয়লেটের মধ্যে আমি এমন অন্ধকারে জিন্দেগিতে ও যাইতে পারমু না। তার থেকে ভালো বুদ্ধি হইতেছে... আস্তে আস্তে দরোজাটা খুঁজে বের করি আর ছাঁদের উপরে দৌঁড় মারি। । যেই ভাবা সেই কাজ... কোন রকমে ছাঁদের উপরে গেলাম... চাঁদের আলোতে চারিদিকটা বেশ আলোকিত হয়ে আছে... আর হালকা হালাকা বাতাস ও বইতেছে। । এই আবহাওয়াই হিসি দিতে যা লাগবে না.. কিন্তুু হিসি দিমু কই.... পুরো ছাঁদটাই তো অনেক পরিষ্কার, হুট করে যদি একটা জায়গায় হিসি করি আর ঐ খাঁটাস বাড়িওয়ালা যদি বুঝতে পারে তাহলে তো কেলেংকারি হয়ে যাবে। । ওহহহহহহ...আমার দ্বারা আর আটকাই রাখা সম্ভব না... এবার তো ডেলিভারি দিতেই হইবো। যা আছে কপালে...দিলাম এই কোণে ছাঁইড়া... আহা কী শান্তি, ভিতর থেকে ডেলিভারি হইতেছি আর উপর থেকে হালকা হালকা বাতাস লাগতেছে... মজাই মজা। । জীবনে যদি বড়লোক হই... তাইলে বাড়ি করার পরে ফার্স্ট যেই কাজটা করমু সেইটা হইলো...প্রথমে টয়লেটের মধ্যে একটা এসি লাগামু। কারণ....গরমের সময় টয়লেটের মধ্যে যা অশান্তিতেই না ভুগতে হয় ওহহহহ কী আর কমু। । হিসি করে নিচের দিকে তাঁকাই দেখি.... হায় হায় আমি যে আমার আমার ভিতরের হট ওয়াটার গুলা ডেলিভারি দিলাম সেই গুলা কই... বাষ্পীয় হয়ে আবার উঁড়ে গেলো নাকি। । দূর যেখানে যায় যাক আমার কী? কাজ তো করেই ফেলছি, এখন আর ভাইবা লাভ নাই.... তবে হ্যা বহুত মজা পাইছি... আর টয়লেটের মধ্যে তো এসি লাগামুই লাগামু.... হি হি হি। । মুতা শেষ আর হালার পুত কারেন্ট চইলা আসছে.... কত্ত বড় খারাপ। তবে হ্যা যাইয়া ও এক দিক দিয়া ভালোই করছিলো....এমন একটা আবহাওয়া গায়ে লাগাই মুততে পারছি। আর ছোট বেলাই টয়লেটের মধ্যে এসি লাগানোর যেই চিন্তা করতাম সেই আইডিয়াটা ও মাথাই চলে আসলো। সব মিল্লা ভালোই হইছে। । এখন আর কোন কথা নাই.. পেঁট ভইরা খামু আর পা দুইটা ছড়াই ঘুমাই যামু। কারণ.....চৌদ্দ দিন থেইকা ঠিকঠাক মতো ঘুমাইতে পারি নাই, খালি এদিন ওদিক ঘুরছি আর ঘুরছি.... আমার চৌদ্দ গুষ্টির মধ্যে কেউ এমন এক নাগারে চৌদ্দ দিন ঘুরে নাই। । যাই হোক..... খাওয়া শেষ এখন ঘুমাই পড়ি...... বাঁইচা থাকলে কালে কী হবে সব দেখা যাবে.......। হে আল্লাহ্..... জীবনে বহুত পাপ করছি, আমার দিকে একটু মায়ার দৃষ্টিতে তাঁকাই আমারে মাফ কইরা দিও..... আমিন। । পরে দিন সকালে..... । এমন ভাবে কেউ দরোজাই ধাক্কা দিতেছে.... মনে হয় আর এক মিনিটের মধ্যে যদি দরোজাটা খুলে না দিই... তাহলে দরোজাটা ভাইঙ্গা ভিতরে চলে আসবে। এই ধাক্কা ধাক্কির শব্দে বিছানাটাকে আর আপন করে ধরে থাকতে পারলাম না । । - আরে ভাই কে... এতো ধাক্কা ধাক্কির কী আছে.... খুলতেছি তো নাকি। । যেই না দরোজাটা খুলে দিছি... ওমনি কেউ একজন গেঞ্জিটা ধরে টেনে টেনে বাহিরে নিয়ে যেতে লাগলো। । - আরে আরে.... ঐ...... এমন করে টানতেছেন ক্যান... নতুন গেঞ্জি.... দুই দিন আগেই সত্তর টাকা দিয়ে কিনছি। আচ্ছা আমি করছিটা কী সেটা তো বলবেন নাকি.... এমনে চোরের মতো টাইনা নিচে নামানোর কী আছে। । ও ভাইজান আমার দোষটা কী সেটা তো একটু কইবেন নাকি। - চুপপপপপপপপপ..... নিচে গেলেই সব বুঝতে পারবি তোর দোষটা কী? - হায় হায়...এটা তো ভাইজান না, এটা তো একটা আপু। । - ও আপু সরি হ্যা.... আপনার এমন গেটাপ দেখে না.. আমি আপনারে ছেলে মনে করছিলাম তাইতো ভাইজান বলে ফেলছি। - ঐ তোরে এত কথা বলতে কে বলছে হ্যা.... নিচে নিয়ে গিয়ে এমন বাটাম দিমু সব পটর পটর কইমা যাইবো। - আরে আমি করছিটা কী? । টেনে টেনে নিচে নিয়ে এলো... দেখি বাড়িওয়ালা ও নিছে দাঁড়িয়ে আছে। - আংকেল এই ছেলেকেই কী উপরের রুমটা ভাড়া দিয়েছেন। - আরে বাবা হ্যা... কিন্তুু হয়েছেটা কী সেটা তো বলবি নাকি। - কী হয়েছে মানে...... এই ছেলে কী করেছে জানেন। - কী করেছে। - ছাঁদের উপরে যেই কাঁটা পাইপটা আছে। - হ্যা। । এইটুকু শুনতেই তো রাতের কথা মনে হয়ে গেলো। কী আরামেই না মুতছিলাম কালকে। মনে মনে ভাবতেছি আজকে কপালে মেলা দুঃখ আছে। কারণ... একে তো বাড়িওয়ালাটা যেই খাঁটাসের খাঁটাস। আর দুইয়ে তো এই মেয়ে কে দেখে যা মনে হইতেছে পুরাই একটা তারছিঁড়ে। বাড়ি ছাঁড়া না করলে ও মেলা ঝামেলা করবে। । - আংকেল আস্ সালামু ওয়ালাইকুম.... আমি এখনো ব্রাশ করি নাই, ব্রাশ করে আসি... বলেই যেই একটু যাইতে লাগছি। - ঐ তুই কই যাবি হ্যা... বিচার না হওয়া অবদি আর এক পা সামনে গেলে.... মাইরা ঠ্যাং ভেঙ্গে ফেলমু বলে দিলাম হুমমমমম। - আরে কিন্তুু আমি করছিটা কী? - কী করছোস তাই না..... ছাঁদের উপরের ঐ পাইপটাই কে হিসি করছে হ্যা। - কই আমি তো করি নাই। - তুই যখন করোস নাই, তাইলে কে করছে হ্যা... আংকেল করছে, নাকি আমি গিয়া করে আসছি। - হি হি। - ঐ একদম দাঁত কেলাবি না বলে দিলাম। - আরে একটু হিসিই তো করছি নাকি, তাতে কী হইছে... পাইপ দিয়া তো সব নিচেই চলে গেছে। - নিচে গেছে তাই না..... তোরে যে আমি কী করমু.... ঐ পাইপটার নিচের আংশ আমার জানালার উপরে আছে। - তো এখন যদি নিচের অংশ আপনার জানালার উপরে থাকে তাইলে কী ঐটা আমার দোষ। - তোর দোষ না তো কার দোষ হ্যা..... তুই না দেইখাই হুট করে এক জায়গাতে হিসি করবি ক্যান। ঐ পাইপটার জায়গায় নতুন একটা পাইপ লাগাবে সে জন্য ওটার নিচের অংশটা আমার জানালার উপরে ঝুলানো আছে... আর তুই উপর গিয়ে সেখানে হিসি করছোস। আর রাত্রে পানি মনে করে আমি ঐ গুলো আমার উঁড়না দিয়ে মুচছি... ছি ছি ছি... ইচ্ছে হচ্ছে তোরে গলা টিপে মেরে ফেলি। - হি হি হি ....। - দেখো আংকেল ও কিন্তুু আবারো দাঁত কেলাইতেছে.... তুমি যদি ওরে কিছু না বলো আমি কিন্তুু ওর দাঁত ভেঙ্গে ফেলবো বলে দিলাম। । - সাহরিয়া..... এটা কী রকমের ব্যবহার হ্যা...তুমি উপরে গিয়ে হিসি করছো কেনো। - আসলে মানে আংকেল... সরি। - কীসের সরি হ্যা....উপরে গিয়ে হিসি করবে কেনো। - ওহহহহহ আংকেল... আমি আপনারে কেমনে বুঝামু। ঠিকআছে আমারি যখন ভুল... এই ধরেন লাঠিটা নেন আর আচ্ছা মতো মারেন.... হিসিই তো একটু দিছি নাকি। আর এটাই তো আমার ভুল.... কিন্তুু কালকের অবস্থাটা তো আর আপনাদের বুঝাতে পারমু না। এই যে আপু লাঠিটা ধরেন আর মারেন... ভুলতো আমারি নাকি..... হিসিই তো দিছি..... মারেন মাইরা ফ্যালান ধরেন লাঠি। । এই সব শুনে.... দুই জনেই দুই দিকে চলে গেলো। । ওহহহহ...যাক বাবা বাঁচলাম। । রুমে এসে আবার ঘুমিয়ে গেলাম... কারণ চৌদ্দ দিনের ঘুম পুসাতে হবে তো। Next Part : Coming Soon......


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৪৯৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • আদিব
    User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    dhonnobad shobaike.next part coming

  • Faizan Samir(the better)
    User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    laughlaughlaugh

  • মোহাম্মদ মফিজুল হোসেন।।
    Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    হুম।।। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষায় গল্প ভালো হইছেgj

  • ⏩المامون ⏩
    User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    gj gj

  • তুষার কবির
    User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    এটা আবার কি ধরনের গল্প, গল্প পড়লাম নাকি কবিতা পড়লাম বুঝতে পারলাম না ..gj

  • ⏩المامون ⏩
    User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    তাড়াতাড়ি দাও