বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
সৃষ্টিকর্তা যদি সর্বশক্তিমানই হোন তাহলে মানুষের পাপের শাস্তি কেন তিনি সাথে সাথেই দেন না??তাহলে তো আর কেউ পাপ করতে পারে না।
X
কুয়াচ্ছন্ন সকালে বের হয়ে গেলাম কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্য।সূর্যি মামা উকিযুকি দিয়ে আবার হারিয়ে যায় হালকা মেঘের আড়ালে।আজকে সেও লোকোচুরি খেলছে আমার সাথে।দক্ষিনের এক পশলা হালকা বাতাস এসে গায়ে ছোয়া দিতেই কেমন যেন একটা অনুভব হলো।।হয়ত শীত অগ্রিম বিদায় জানাচ্ছে আমাকে।এভাবে অনেক লোকোচুরি পর্ব শেষ করে চলে এলাম কলেজে।আজকে অনেক দেরি হয়েগিয়েছে।তাই আর কোন প্রকার কালবিলম্ব না করে সরাসরি ক্লাসে যাব দেখি স্যার ক্লাসে দাড়িয়ে এক দৃষ্টিতে সামনের দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে আর হাসছে।মাঝে মাঝেই স্যারের এই রোগে ধরে।আর তখন স্যারের উপর ট্রেইন তুলে দিলেও স্যার অন্যকোনদিক তাকাবে না ঐ দেয়াল ছারা।তাই স্যারকে এখন ডাকা অর্থহীন।তাই আমিও চোপচাপ সুবোদ ছেলের মতো দাড়িয়ে রইলাম।মাঝে মাঝে মন চায় ঐ দেয়ালটা ভেঙে ফেলি।হাজার হলেও রাষ্টিয় সম্পদ। স্যারের এই সুযোগ নিয়ে ততক্ষন ক্লাসের ছাএ-ছাএীরাও যে যার মতো কথা বলায় ব্যস্ত।এমন সময় স্যারের এক দমক।মানে এখন জ্ঞান ফিরল।স্যার বলল এই বই দাও।আমি বাহির থেকে বললাম:: স্যার আসব??
স্যার আবারও ধমকের সুরে::: নাহ।
আমিত অবাক।স্যার তো এরকম করার কথা নয়।এদিকে ক্লাসের সকলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে এমনভাবে আমিই যেন পৃথিবীর অষ্টম আশ্চার্য।খুবই বিব্রতবোদ করলাম।আর মনে মনে নিজেকেই নিজে থাবড়াতে ইচ্ছে হচ্ছিল।যাক স্যারের অবাদ্য হওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।তবে একটা ক্ষমতা অবশ্যই আমার আছে তা হলো বই দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে রাখা।তাতে অন্তত কিছুটা লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পাব।স্যার ঐদিকে পড়াচ্ছেন আমিও বাইরে দাড়িয়েই ক্লাস করছি।এমনসময় প্রিন্সিপালের আগমন।এবার অবস্হা কাহিল।আমাকে দেখেই, এই ছেলে তুমি এখানে দাড়িয়ে আছ কেন?? ক্লাস হচ্ছে ক্লাসে যাও না কেন?? স্যার আপনি দেখেন না?? তখন স্যার বলল কই কে দাড়িয়ে আছে?? ওহ তুমি!ভিতরে আস।আর বইলেন না স্যার আজকালকার ছেলেপুলেদের শুধু ক্লাস ফাকি দেওয়ার চিন্তা। তৃতীয় দফায় ধমক খেয়ে বসে পড়লাম।স্যার এখন পড়াচ্ছে কিসের তৈমুর লং নাকি কে ছিল যাকে কেউ পরাজিত করতে পারে নি।তিনি ছিলেন মহাপরাক্রমশালি এই কথা বলে স্যার থেমে গেলেন।বললেন আচ্ছা তোমরা না সৃষ্টিকর্তাকে সর্বশক্তিমান বলে দাবি কর? প্রশ্নটি যে আমাকে উদ্দেশ্য করে করা তা আর কারোর বুঝার বাকি ছিল না।তাই আমি হ্যা সূচক ভঙ্গিতে মাথা নাড়ালাম।স্যার এবার বলল আচ্ছা তিনি যদি এতই ক্ষমতার অধিকারিই হন তাহলে মানুষ যে দুনিয়াতে এত এত পাপ করে তাহলে তিনি কেন সাথে সাথেই শাস্তি দিয়ে দেন না?? তাহলে তো আর ঐ লোকটা পাপ করত না।তার মানে তুমাদের সৃষ্টিকর্তাও চায় তুমরা পাপ কর।তাই নয় কি?? আজকে এমনিতেই মাথা কাজ করছে না।কারন আমি যখন কোনকিছুতে বিব্রতবোদ করি তখন কিছুই বলতে পারি না।তাও কিছু একটা বলতে চাচ্ছিলাম ঠিক তখনই ঘন্টার টিং টং আওয়াজ আসল।মানে ক্লাস শেষ।তখন স্যার বলল আচ্ছা আজ এ পর্যন্তই।আর কাল তোমার উওরটা দিবে।স্যার এবার আমার দিকে ফিরে বলল take it easy।সাথে আবার বিশাল হাসিও ফ্রী।স্যারের কথা শুনে ক্লাসের সবাই ফিক করে হেসে দিল।এবার আমি সরাসরি ক্লাস থেকে বেরিয়ে পরলাম।পরদিন যথারিতি ক্লাস শুরু হলো।আমি আজ সবার আগে ক্লাসে হাজির।কারন আজ আর রিস্ক নেওয় যাবে না।প্রতিদিনের মতো স্যারকে আজ লাগল না।মুখে খুশির ছাপ।একজন দাড়িয়ে বলল স্যার আপনাকে আজ খুব খুশি খুশি লাগছে।।
স্যার বলল হুম। আজ আমি খুব খুশি।যাও আজকে তোমাদের আধঘন্টা সময় দিলাম কথা বলার জন্য। যাই করও না কেন আমি তোমাদের কোন শাস্তি দিব না।এই সুযোগ আর হাতছাড়া করে কে।সবাই জমিয়ে দিল আলাপ। আমি আমার উওর খুজছি।এমন সময় গটল এক কান্ড পিছনের কোন ছেলে যেন স্যারের নাম নিয়ে একটু উপহাস করল।ব্যাস স্যার রেগে আগুন।সাইক্লোনের মতো স্যার দ্রুতবেগে পিছনে চলে গেল।আর বলল শুন আজ আমি তোমাদের কিছুক্ষনের জন্য সুযোগ দিয়েছি বলে যা ইচ্ছে তাই করবে?? যদি না বলতাম যে তুমাদের আজ কোন শাস্তি দিব না। তাহলে??স্যার দাতদুটো কিড়মিড় করে আবার যথাস্হানে ফিরে গেল।কিছুক্ষন পরে আবার গটল এক কান্ড। কোন ছেলে যেন এক মেয়েকে কী বলছে মেয়েটি দিল স্যারকে ডাইরেক্ট বিচার। স্যারও এবার আর সহ্য না করে ঐ দুটেকে দিল কয়েক গা। আর বলল তুমাদের কিছু সময় দিয়েছিলাম আর তোমরা? স্যার এবার চুপচাপ দাড়িয়ে আছে।তাই আমিও দাড়িয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম স্যার কালকের প্রশ্নর উওরটা? স্যারও বলল ওহ হ্যা আমি তো ভু্লেই গিয়েছিলাম এখন বলো তো সৃষ্টিকর্তা যদি সর্বশক্তিমানই হোন তাহলে কেন তিনি পাপের শাস্তি মানুষকে সাথে সাথেই দিয়ে দেন না??
আমি বললাম::
স্যার এই যে আপনি বললেন আজ আপনি খুব খুশি তারপর আমাদের কিছুসময় দিলেন আলাপ করার জন্য আর বললেন আপনি আজ আমাদের কোন শাস্তি দিবেন না। যার কারণে আপনি প্রথম ছেলের অপরাদটা ক্ষমা করে দিলেন। তারপর দ্বিতীয় ছেলেটাকে কেন মারলেন??
স্যার বলল::
আরে সহ্যের তো একটা সীমা আছে নাকি?
আমি::
হুম তাই।ঠিক তেমনি প্রথম ছেলেটা হলাম আমরা দুনিয়ার সকল মানুষগুলোই। ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করে দিয়ে আমাদের মধ্যে স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং বিবেক দিয়েদিয়েছেন যাতে আমরা সৎ এবং অসৎ পথ চিনতে পারি। আর তিনি শুধু সর্বশক্তিমানই নন আরও অনেক গুনের অধিকারি।তিনি মহাধৈর্যশীল ও। আর তাই তিনি পাপ করার সাথে সাথে মানুষকে কোন শাস্তি দেন না।।কারন তিনি দুনিয়াতে মানুষকে ব্যক্তি স্বাধীনতা দিয়েদিয়েছেন যেমনিভাবে আপনি আমাদের কিছুসময় দিয়েছিলেন। এজন্যই আমরা হাজারো অন্যায় করা সত্বেও তিনি সাথে সাথে তার শাস্তি দিয়ে দেন না।
স্যার কিছুটা চিন্তিত হলো। পরক্ষনেই স্যারের চোখ মুখ চকচক করে উঠল। স্যার বলল::
আচ্ছা পরে যে আমি অন্যছেলেটাকে মারলাম তাহলে যখন মানুষের পাপের সীমা ছাড়িয়ে যায় তখনও কেন শাস্তি দেন না তিনি??
আমি::
স্যার সৃষ্টিকর্তা হলো মহাধৈয্যশীল। আপনি তো আমাদের কিছুটা সময় দিয়েছিলেন আর সৃষ্টিকর্তা মানুষকে দুনিয়ার সকল সময় দিয়ে দিয়েছেন। তবে হ্যা তিনিও মানুষকে তার কাজের প্রাপ্প দিবেন বিচার দিবসে। সেদিন তিনি রহিম রুপ প্রকাশ করবেন। সেদিন তিনি সকল মানুষের হিসাব নিবেন শাস্তি দিবেন।যেমনি আপনি দ্বিতীয় ছেলেটিকে দিলেন।তাই নির্দিষ্ট সময়ের আগে শক্তি থাকা সত্বেও তিনি কাউকেই শাস্তি দেন না।
স্যারের মুখে আর কোন কথা নেই।
এবার আমি একটা হাসি দিয়ে বললাম সবকিছুরই একটা সময় আছে।এজন্যই আমি কাল কিছুই বলি নি।।স্যার এবার সরাসরি ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল।
বি.দ্র::
এই গল্পে মনে হয় বাজে কথা একটু বেশিই হয়ে গেছে।তাই সবকিছুই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।।
........✋✋✋✋.........সমাপ্ত.........।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
কাব্য চৌধুরী•_•নীড়-হারা-পথিক
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেকাব্য চৌধুরী•_•নীড়-হারা-পথিক
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেকাব্য চৌধুরী•_•নীড়-হারা-পথিক
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেMH2
GJ Writer ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেকাব্য চৌধুরী•_•নীড়-হারা-পথিক
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেকাব্য চৌধুরী•_•নীড়-হারা-পথিক
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেকাব্য চৌধুরী•_•নীড়-হারা-পথিক
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেshahinur
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেshahinur
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেকাব্য চৌধুরী•_•নীড়-হারা-পথিক
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেকাব্য চৌধুরী•_•নীড়-হারা-পথিক
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেMr.Mofi(Mofizul)
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেMr.Mofi(Mofizul)
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেMr.Mofi(Mofizul)
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেMr.Mofi(Mofizul)
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেM.H.H.RONI
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেMr.Mofi(Mofizul)
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেAnisha...
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেMr.Mofi(Mofizul)
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে