বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ভালবাসা!এতো প্রশ্ন কেন এই চার অক্ষরে।কি আছে এতে? কেউ জানে না এর মানে। মনের অজান্তে অনেকেই দূরবল,ভালবাসা ভরা হৃদয়টি খুলে দেয় কারো জ। সাহস এর কারনে অনেক ভালবাসা, হৃদয়ের একটি বদ কিট হয়ে হৃদয়ের একপাশে থেকে যায়।হাজার চিকিৎসা নিলেও এই বদকিট দূর করা যায় না, থেকে যায় জীবন ভর।
গল্পটি ছিলো এই.......
ছোবানুরের সাথে পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় পারবতির।বাসর রাতে পারবতির প্রথম প্রশ্ন ছিলো কয়টা প্রেম করেছেন?আমি ওর মুখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। আবার প্রশ্ন করলে, আমি বলেছিলাম একটাও না।উত্তরটা শুনে অনেক খুশি হয়েছিল,বলেছিল এখন থেকে শুধু আমাকেই ভালবাসবেন। অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকালে মেরে ফেলবো।ও আমাকে কতটা ভালবাসে বুঝেছিলাম সেই দিন।যে দিন আমি ওর চাচাতো বোন লাবনীর সাথে হেসে হেসে কিছুক্ষণ কথা বলছিলাম,ও আমাকে জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না। আমাকে বলেছিল, তোমাকে না বলেছি, আর কারো সাথে কথা বলবে না।আমি মরে গেলে ইচ্ছা মতো কথা বলো। তোমার যা ইচ্ছা তাই করো,তখন আর নিষেধ করবো না। ওর কান্না দেখে আমিও কেঁদেছিলাম। ও আমাকে বলেছিল আমি নাকি বাবা হব! কথাটা শুনে যে কি খুশি হয়েছিলাম বলে বুঝাতে পারিবো না।ওকে কোলে করে সারা বাড়ি ঘুড়িয়ে ছিলাম।ও আমাকে বলতো রান্না করার সময় ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে না থাকলে নাকি ওর রান্না করতে ইচ্ছা করে না। আমি ওর সব আবদার হাসি মুখে পূরন করতাম বড্ড ভালবাসতাম ওকে।এখনো বাসি। ও আমাকে বলেছিল, আমাকে জড়িয়ে ধরে না ঘুমালে নাকি ওর ঘুমই আসে না।সারারাত আমাকে জড়িয়ে ধরে থাকতো।তাই কোথাও রাতে থাকতাম না।যত রাতই হোক বাসায় ফিরে আসতাম। পারবতি যখন ৬মাসের অন্তঃস, তখন আমাকে বলেছিল,আমাকে ছাড়া তোমার কেমন লাগবে গো? আমি ওর কথার উত্তর দিতে পারিনি।শুধু কেঁদে ছিলাম।ও বলে, আমার যদি কিছু হয়ে যায়, তুমি কি আমার চাচাতো বোন লাবনীকে বিয়ে করো না যেন। মরে গিয়েও তোমাকে, অন্য কারোও হতে দিবো না।আমাকে ভূলে যেও না। ওর কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে কাঁদতাম।দমক দিয়ে বলতাম কি বলো তুমি।ঘুমানোর সময় আামাকে বলতো,আমাকে ছাড়া ঘুমানোর চেষ্টা করো। বলা তো যায় না....... আমি ওকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরতাম। একদিন ওর ব্যথা উঠলো,সাথে সাথে ওকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। ও আমাকে বলেছিল,আমার যদি কিছু হয়ে যায়,প্লিজ আমাকে ভূলে যেও না। বড্ড ভালবাসি তোমাকে।কথাটা শুনে কান্না ধরে রাখতে পারি না। ওকে বলে ছিলাম,কিছু হবে না তোমার,আমি তো আছি,কিছু হতে দিবো না। ও আমাকে বলেছিল শেষবারের মতো একবার আমাকে বুকে নিবে? কথাটা বলে হাউ-মাউ করে কেঁদে দিয়ে ছিল। আমিও কান্না ধরে রাখতে পারি না। ও আমাকে ছেড়ে দিতে চাইছিল না। জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। আমিও কাঁদছিলাম। সবাই হা করে তাকিয়ে ছিল।নিয়ে ছিলাম ওকে বুকে,কিন্তু এটাই যে, শেষবার বুঝতে পারি নাই। ও আমাকে বলেছিল আমার সাথে চলো,আমার খুব ভয় করছে।ডাক্তারকে কতবার বলেছিলাম, আমি ওর পাশে থাকবো,কিন্তু আমাকে যেতে দিলো না। অপারেশন থিয়েটারের সামনে আমরা সবাই মিলে অপেক্ষা করছি।অপারেশন থিয়েটার থেকে একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনলাম।বাচ্চাকে পেলাম, কিন্তু ওকে আর পেলাম না। পাগলের মতো ওর কাছে গেলাম, দেখলাম সাদা কাপড় দিয়ে ওকে ঢেকে রেখেছে।কাপড়টা সরাতেই অজ্ঞান হয়ে গিয়ে ছিলাম।জ্ঞান ফিরার পর দেখলাম, ওকে খাটিয়াতে শুইয়ে রেখেছে।ওর কাছে গেলাম,ওকে বলেছিলাম কই যাও আমাকে ছেড়ে,তুমি না বেশি লোক পছন্দ করো না,দেখ দেখ তোমাকে দেখতে আজ কতো লোক আসছে। তুমি না আমাকে ছাড়া ঘুমাতে পারো না,এখন কীভাবে ঘুমাচ্ছো? তাহলে তুমি কি এতো দিন আমাকে মিথ্যা বলেছো? কই যাচ্ছ, কেন চলে যাচ্ছো? আজ না গেলে হয় না।এই উঠো,উঠো না,অনেক তো ঘুমালে,আর কত ঘুমাবে,আমার অনেক খিদে পেয়েছে,তুমি আমার ভাত বেড়ে দিবে না,আমার কথা মনে পরে নি।তুমি না আমাকে চোখের আড়াল করতে চাইতে না।এই তুমি না বলে ছিলে আমার চোখের জল, তুমি সহ্য করতে পারো না। এই দেখ,আমি কাঁদছি, এই উঠো,আরে উঠো না। মাকে গিয়ে বললাম, মা" তুমি পারবতিকে উঠতে বলো প্লিজ। ওকে যখন নিয়ে যাচ্ছিল আমি পাগলের মতো আচরন করছিলাম,তবুও উঠলো না,চলে গেল আমাদের ছেড়ে। ও আমাকে বলেছিল,যে দিন হারিয়ে যাব, সেই দিন বুঝবে,কতটা ভালবাসি তোমাকে।১০ বছর ধরে তার স্মৃতি বুকে নিয়ে বেঁচে আছি।এখন মায়া মেয়েটি বুঝতে শিখেছে,আমাকে বলে,আব্বু",তুমি আম্মু জন্য আর কেঁদো না। এখন মায়ায় আমার সব,আমার বেঁচে থাকার সম্বল।।।।।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
রামিশা নূর রাওহা
User ৪ বছর পুর্বেMd.Mofizul Hossain
Golpobuzz ৪ বছর পুর্বেরামিশা নূর রাওহা
User ৪ বছর পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেমিষ্টি মেয়ে
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে