বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
মানুষের জীবনটা খুব অদ্ভুত। কখনো কখনো বয়ে যায় নদীর মতো শত সমস্যায় জর্জরিত হয়ে, কখনোবা থেমে যায় হিমালয়ের চূড়ায় শক্ত হয়ে যাওয়া বরফের মত, কখনো রঙিন হয়ে ওঠে কৃষ্ণচূড়া, লিলি ফুলের বৈচিত্র্যপূর্ণ রঙে। সারিকার জীবনটা ঠিক কেমন, সে যেন ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। সবই তো ঠিক আছে। কলেজে যাওয়া, কলেজের পর পার্টটাইম চাকরিতে যাওয়া, রাস্তায় শত মানুষের পায়ের শব্দে নিজের পথ চলার অস্তিত্ব অনুভব করা....তবুও....কি যেন একটা নেই। কি নেই? হ্যাঁ.... ভালোবাসা নেই। খুব ছোটবেলায় তার বাবা মা মারা যাবার পর খালার সাথে সে চলে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। বছর খানেক আগে খালাও তাকে ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। সারাদিন পর বাসায় ফেরার পর বড্ড একা সারিকা....বড্ড একা....তখনই আনমনা হয়ে ভাবতে থাকে এসব কথা। ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে..বুঝে উঠতে পারে না।
কিছুদিন হলো সারিকা একটা স্বপ্ন দেখছে। সে দেখে, খুব দূরে কোথাও কোনো এক নির্জন পাহাড়ী রাস্তায় সে দাঁড়িয়ে। তার গায়ে আদিবাসীদের পোশাক, কানে বুনো ফুল। দূর থেকে কোনো এক মনোমুগ্ধকর বাঁশির সুর ভেসে আসছে। হঠাৎ সে শুনতে পায়, কেউ যেন তাকে ডাকছে--"সারিকা, তুমি ভালো আছো?"
চমকে উঠে আশেপাশে তাকায় সে--নাহ! কেউ তো নেই! প্রতি রাতে এই একই স্বপ্ন...ছেলেটাকে সে অনেক খোঁজে তার স্বপ্নে। কিন্তু কোথাও তাকে দেখতে পায় না।একদিন সে স্বপ্নে দেখতে পায়, দূর থেকে কে যেন তাকে ডাকছে। পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় সে। শুনতে পায় সেই সুমধুর সুর, যা সে প্রতিদিনই শোনে! সারিকা তাকে প্রশ্ন করে,
"কে আপনি?"
"তুমি এখানে কি করে এলে সারিকা?"
"আপনি আমার নাম ও জানেন!"
"একাকিত্বে ভোগা মেয়েটির যার সাথে প্রতিদিনই দেখা হয়, সে তাকে চিনবে না?"
"তবুও....কিন্তু কে আপনি?"
"আমি তোমার ছায়া....তোমার বন্ধু....তোমার একাকিত্বে পাশে থাকা ছোট্ট কবিতার বই...অনেক কিছুই বলতে পারো।"
হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় তার। এভাবে প্রতিদিনই সে স্বপ্নে তাকে দেখতো, কথা বলতো তার সাথে। তার জীবনের অপ্রাপ্তিগুলো যেন অনেক কমে গেল। এভাবেই কেটে যায় 2 বছর। হঠাৎ করেই সারিকার মামারা তার জন্য বিয়ে ঠিক করে ফেলেন। যদিও সারিকা চাইছিল পড়াশোনাটা আগে শেষ করতে। কিন্তু তার মামারা তাকে একা একা বিদেশে থাকতে দিতে চাইলেন না। বিয়ে হয়ে যায় সারিকার। কিন্তু এরপর থেকেই সে আর ছেলেটিকে স্বপ্নে দেখতে পায়না। সারিকা তার স্বপ্নে হন্যে হয়ে খুঁজে যায় তাকে...কিন্তু পায়না। হারিয়ে ফেলে তার বন্ধুটিকে।
এর আরো ছয় বছর পর...সারিকার একটা ফুটফুটে মেয়ে আছে। সেদিন মেয়েকে স্কুলে নামিয়ে বাসায় ফিরে একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যায় সে...হঠাৎ ছয় বছর পর আবার নিজেকে আবিষ্কার করে সেই স্বপ্নে। অতি পরিচিত একটি কণ্ঠস্বর বলে ওঠে
"ভালো থেকো সারিকা"
চমকে ঘুম থেকে জেগে উঠে সে, অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে জানালার পানে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Eritra Shifa
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে¤-বকুল রায়-¤
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেতাবাসসুম ধ্রুবা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেSajib Babu
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেনীলাদ্রির-নীল
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেFarhan Labib
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেতাবাসসুম ধ্রুবা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে