বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ইতিকে ফোন করে বললাম, বাসায়
আমি একা আর কেউ নাই, তুমি জলদি করে আসো ।
.
কালকে আমার মামাতো বোন রুমির বিয়ে ।
তাই আজকে সকালেই মা বাবা ভাই বোন সবাই মিলে তাদের বাসায় গিয়েছে । আমিও যাব কালকে সকালে । আজকে আমি বাসায় একা ।
তাই আমি আমার গার্লফ্রেন্ডকে ফোন করে বললাম - আমি বাসায় একা , তুমি জলদি করে আসো ।
সে বললো - আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই আসতেছি ।
.
আধাঘন্টা পরেই ইতি বাসায় এসে হাজির ,
দুজনে বসে কিছুক্ষণ গল্প করলাম ।
তারপর তাকে বললাম তাহলে এখন কাজ করা শুরু করে দাও ।অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম এই দিনটার জন্য । আমার আর অপেক্ষা সহ্য হচ্ছে না , কবে যে খেতে পারবো
সেই আশায় আছি ।
সে বলে - রান্নাঘর কোন দিকে ।
.
আমি এরপর তাকে রান্নাঘর টা দেখিয়ে দিলাম ।
সে আর কোন কথা না বলে রান্না করে চলে গেল।
আপনারা নিশ্চয়ই নেগেটিভ কিছু ভাবছিলেন ।
আসলে ঘটনা হচ্ছে কি , কিছুদিন আগে সে নাকি প্রথমবার রান্না করে । তার হাতের রান্না খেয়ে সবাই অনেক তারিফ করে। অনেক ভালো হয়েছে নাকি তার রান্না । তাই সেদিন থেকেই আমি অপেক্ষা করছি কোন দিন তার হাতের রান্না খেতে পারব ।
তাই আজকে সুযোগ পেয়ে তাকে বাসায় আসতে বলি , এবং কি সে এখন রান্নাঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত। লোকেরা রোমান্টিক ডিনার করে,আর আমরা দুজন আজকে রোমান্টিক লাঞ্চ করব।
কিছুক্ষণ পর আমি রান্নাঘরে গেলাম , দেখি সে রান্নার কাজ শুরু করে দিয়েছে । আমি পিছন থেকে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলাম ।
সে আমাকে বলে - দেখো এখন ন্যাকামি করবানা এখন রান্না করতেছি ছাড়ো আমাকে ।
আমি তখন বললাম - না আমি ছাড়বো না , আমি আমার হবু বউকে জড়িয়ে ধরেছি ।
সে তখন বলে- তা ডিয়ার হবু স্বামী ন্যাকামি করা বাদ দিয়ে ,আমাকে কাজে একটু সাহায্য করতে পার না ।
আমি বললাম- কি করতে হবে বলো ?
সাথে সাথে কলিং বেলের শব্দ । আমি বললাম - এই রোমান্টিক সময় কে আবার ডিস্টার্ব করতে এসেছে , আচ্ছা তুমি দাঁড়াও আমি দেখে আসতেছি ।
.
এই বলেই আমি দরজার কাছে এসে দরজা খুলে হা করে তাকিয়ে আছি , দেখি দরজার সামনে মা দাঁড়িয়ে আছে । আমি শখ এর মধ্যে আছি ।
মনে হয় কেউ আমাকে ৪২০ ভোল্টের ঝাটকা দিয়েছে ।
মা তখন বলল সেই কখন থেকে কলিং বেল দিচ্ছি দরজা খুলতে এত সময় লাগে নাকি ।
আমি ভয় এবং শখ খেয়ে কোন শব্দই মুখ দিয়ে বের করতে পারলাম না ।
মা কোন কথা না বলেই সোজা চলে গেলেন উনার রুমে । আমি উনার পিছনে পিছনে গিয়ে বললাম আপনি না রুমির বিয়েতে গেছেন চলে আসলেন কেন ।
মা তখন বলল - রুমিকে আংটি দিব বলে একটা আংটি নিয়েছিলাম , সেটা ভুলে বাসায় রেখে গেছি , সেটা নিতে এসেছি ।
আমি বললাম আমাকে ফোন করে বললেই হতো, কাল সকালে যাওয়ার সময় আমি নিয়ে যেতাম ।
মা তখন বলে - আলমারির চাবি হচ্ছে আমার কাছে তোকে ফোন করে বলল তুই নীতি কিভাবে ।
এ কথা বলার সাথে সাথে হঠাৎ রান্না ঘর থেকে আওয়াজ আসে , মা বলে রান্না করে কে এই বলে রান্না করে ছুটে যায়।
মা রান্না ঘরে গিয়ে ইতিকে দেখে বলে ওঠে এই মেয়ে তুমি কে ?
ইতি ভয় পেয়ে যায় ,তার হাতে একটা মসলার ডিব্বা ছিল সেটা মাটিতে পড়ে যায় ।
ভূত দেখলেও সে এতটা ভয় পেত না যতটা ভয় মাকে দেখে পেয়েছে ।
মা আবার বলে - এই মেয়ে চুপ কেন জবাব দিচ্ছ না কেন, তুমি কে?
ইতি একবার আমার দিকে তাকাচ্ছে একবার মার দিকে তাকাচ্ছে , সে কি জবাব দিবে ভেবে পাচ্ছে না ।
মা রেগে গিয়ে আমাকে বলে,, এই মেয়েটা কে রান্না ঘরে কি করছে ?
.
আমিও কি জবাব দিব ভেবে পাচ্ছি না , হঠাৎ করে মনে পড়ল মা কিছুদিন আগে বলছিল, একটা কাজের মেয়ে দেখার জন্য , বাসায় অনেক কাজ মা একা একা সামলাতে পারছে না ।
আমি তখন বলে উঠলাম আরে মা ও কাজের মেয়ে ওর নাম সখিনা ।
আপনি কিছুদিন আগে বলছিলেন না একটা কাজের মেয়ে দেখতে, আজকে সকালে এই মেয়েটা এসে বলতেছে কাজের লোক লাগবে কিনা । তখনই আপনার কথা মনে পড়ছিল।
তা আমি বললাম আমাদের ঘরে একটা কাজের মেয়ে লাগবে ।
তাই মেয়েটা কাজ করার মতো লোক কিনা সেটা দেখার জন্য আমি বলছিলাম আজকে রান্নাটা করার জন্য , দেখতে তার রান্না আর কাজকর্ম কেমন ।
মা তখন বলে আচ্ছা তাই নাকি , ইতি তখন বলে হ খালাম্মা, আমার একটা কাজ খুব জরুরী ।
মা তখন বলে আচ্ছা তাই , তাহলে দেখি তুমি কি কি কাজ করতে পারো ।
তারপর মা তাকে দিয়ে রান্নার সব কাজ করালো । রান্না শেষ হলে থালা বাসন সবকিছু পরিস্কার করালো ।
তারপর মা পুরনো কাপড় চোপড় দুই বালটি বের করে দিল সেগুলো ধুয়ে দেয়ার জন্য ।
ইতি কোন কথা না বলে চুপচাপ সেগুলো ধুয়ে দিতে লাগলো ।
কাপড় দোয়া হলে , ঘর ঝাড়ু দিতে বলল ।
এরপর ইতি সারাটা ঘর ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করলো। আমি তার কষ্ট সইতে পারছি না অন্যদিকে মুখ খুলে কিছু বলতেও পারছি না ।
আমি শুধু মাকে বললাম মা আমি তো বাসায় আছি আমি দেখতেছি ,আপনি রুমির বিয়েতে যান আপনার লেট হয়ে যাচ্ছে।
মা তখন বলল - বিয়ে আজকে না বিয়ে হচ্ছে কালকে আমি সন্ধ্যা বেলায় গেলেও চলবে ।
.
এরপর মা একে একে ইতি কে দিয়ে ঘরের সব কাজ করিয়ে নিল ।
যে মেয়েটা কখনো ঘরের কাজ করেনি ।
সেই মেয়েটা আজকে পুরো ঘরের কাজ একা একা করেছে । সব কাজ শেষ করে মার কাছে এসে বলে খালাম্মা সব কাজ হয়ে গেছে ।
.
মা তখন বলে - তোমার কাজ আমার ভালো লেগেছে, তোমার ব্যবহার আমার ভালো লেগেছে, তোমাকে আমার ভালো লেগেছে ।
সবচেয়ে বেশি আমার ভালো লেগেছে তোমার ধৈর্য দেখে । আমি তোমাকে এত কাজ দিলাম তারপর তুমি কোন কথা না বলে চুপচাপ সে কাজগুলো করতে থাকলে ।
তোমার মত এমন একটা মেয়েই এই ঘরে দরকার , তোমাকে আমি সারা জীবনের জন্য আমার ঘরের রাখতে চাই । কিন্তু তার বিনিময়ে আমি তোমাকে বেতন দিতে পারব না , তবে তোমাকে ঘরের বউ করে রাখবো , তোমাকে মেয়ের মত ভালোবাসবো । আর এই পাঁচ ফুট 5 ইঞ্চি গাধার মত ছেলেটা কে তোমার নামে করে দিবো ।
মা এর কথা শুনেই আমরা দুজনেই অবাক ।
আমি মাকে বললাম -এসব কি বলছো মা ?
মা তখন বলে, আমার গর্ভ থেকে তোর জন্ম আর সেই তুই আমার সাথে চালাকি করস , তুই কি ভাবছিস তুই সহজে আমাকে বোকা বানিয়ে ছাড়বি । আমি তোর মা কথাটা ভুলে যাস না ,
তোর চোখে মুখে যে একটা ভয়ের ছাপ দেখছিলাম, আমি তখনই বুঝে নিয়েছিলাম
তুই আমার সাথে মিথ্যা বলছিস । এই মেয়ে কাজের মেয়ে হতে পারেনা না ।
তাই আমি তাকে পরীক্ষা করে দেখছিলাম।
আমি বুড়ো মানুষ আজ আছি তো কাল নেই ।
আমি যাওয়ার পরে তোকে আর এই সংসার টা কে গুছিয়ে রাখতে পারবে কিনা সেটাই আমি দেখছিলাম ।
.
একথা বলেই মা উনার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন টা খুলে ইতিকে পরিয়ে দেয় ।
মা তাকে জিজ্ঞেস করে ,তোমার নাম কি মা ?
ইতি জবাব দেয় , ইতি সুলতানা ।
মা তখন বলে - শুন মা ইতি, ওর মামাতো বোনের বিয়ে তাই আমাকে এখন যেতে হবে ।
তোর সাথে তেমন কথা বলতে পারলাম না অন্য কোন দিন না হয় অনেক গল্প করব ।
এই বলেই মা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন ।
তখনই আবার আমাকে বলে - শোন গাধা , দুজনে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে ইতিকে বাসায় পৌছে দিবি । আর কাল সকালে তুই বিয়েতে যাওয়ার সময় ইতিকে সাথে করে নিয়ে যাবি । সব আত্মীয়-স্বজনেরসাথে আমার হবু বউ মা'র পরিচয় করিয়ে দিব ।
লেখক:- অলিভার কুইন (শুভ)।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Md Azhar Tuhel
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেনীলাদ্রির-নীল
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেJubayer Ahmed
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul ❀ ❀ ❀ ❀
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMithun sarker
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেrosni
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেকাব্য-চৌধুরী (রসিক-প্রিয়)
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেOliver Queen(ShuvO)
Author ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেকাব্য-চৌধুরী (রসিক-প্রিয়)
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেমুন্না
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেRafi Orton
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেতাবাসসুম ধ্রুবা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেpalash
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেইশিকা ইশু
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেখেয়া ঘাটের তরী
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেOliver Queen(ShuvO)
Author ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেTAMIM
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে