বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
★প্রথম-সকাল★ সম্পূর্ণ
"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান =_= (০ পয়েন্ট)
X
"প্রথম সকাল"
লেখাঃ- রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন।
উৎসর্গঃ- প্রিয় মা।
আমি কাঁদছি ... ওয়াও! ওয়াও!
তখন ভোরের সূর্য হয়তো উঠতে যাচ্ছে। মা বুঝে গেছে ছোট্ট সোনাটির খিদে পেয়েছে । নামাজ শেষে কুরআন তিলাওয়াত করছে তখন। দ্রুত কুরআন শরীফ টা রেখে দিলো আর জায়নামাজ টাও তুলে ফেলল।
ওরে বাবা আমার খিদে পেয়েছে ? (মা)
ওয়াও!ওয়াও! করে হাসিতে ভেঙে পড়লাম (তখন মায়ের স্পর্শ পেয়ে গেছি তাই)
মা আমাকে তার চিরশান্তির আঁচলে লুকিয়ে ফেলল (যেখানে স্নেহ - মমতা , ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে আজীবন)
তারপর আমাকে আমার খুদা নিবারন করা হলো.. আমি পরিতৃপ্ত হলাম এবং শান্ত হলাম।
মা আমাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য , ঘুম পাড়ানী গান আর পিঠে হাত বুলাতে থাকলো। আমি জেনো কোনো এক দোলনাতে দুলছি। আমার ঘুম চলে আসছিলো। মনে হচ্ছিলো আমি চিরশান্তিতে বেহেস্তের কোনো এক স্থানে নিদ্রায়ন হলাম (সেটা মায়ের কোল) ।
তারপর মা আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিলো। দুইপাশে দুইটা কোল-বালিশ রাখলো আলতো করে, জেনো আমার ঘুম না ভাঙে। কোল-বালিশ রাখার অর্থ দুইটা। এক- আমি জেনো না পড়ে যায় । দুই- আমি জেনো মনে করি মা আমার পাশেই আছেন।
মা চির-মমতাময়ী।
ঘুমের মধ্যে আমি জেনো কবিতা বলছি --
মমতাময়ী
------------
রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন
----------------------------------
মমতাময়ী তুমি আমার মা,
প্রথম সকাল আমার চোখে,
চিরকালের সুখ যে পাই মাগো,
শুধু তোমারই বুকে।
তুমি কত কষ্ট করে..
আমায় করো লালন,
স্নেহ ভালোবাসা আমার তরে
তুমিই ধরণীর শ্রেষ্ঠ আপনজন।
তুমি নির্ঘুম, তুমি ধৈর্যের বীর
বিরক্তি তোমায় ছোঁয় না কভু,
আমি কাঁদিয়া করি জ্বালাতন,
সহনশীল করেছে তোমায়,ঐ প্রভূ।
আমি শান্তিতে ঘুমচ্ছিলাম!
মা তার সংসারের কাজে ব্যস্ত। ব্যস্ত থাকলেও তার মনোযোগ কিন্তু সর্বক্ষণ আমার দিকেই। আমি কখন ওয়া ওয়া করে উঠি সেদিকে তার কান খাড়া।
হ্যা আমি ঘন্টা দুই পরেই ওয়া ওয়া করে উঠলাম। ঘুম ভেঙে গেছে। মা দৌড়ে এলো। আমি বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছি। অর্থাৎ প্রশ্রাব করে ফেলেছি। মা আমাকে কাঁধে রেখে প্যান্ট খুলে , নতুন শুকনো প্যান্ট পড়িয়ে দিলো। নয়তো ভেজা প্যান্টে আমার অনেক রকম অসুখ হতো। বিশেষ করে ঠান্ডাতো অন্তত কনফার্ম হয়ে যেতো। তারপর তো আর ঘুমাচ্ছিনা। মা নিরূপায় বিছানায় তো কিছুতেই একা থাকবোনা আমি। তাই কাঁধে নিয়েই বাকি কাজ সারতে লাগলো। ইশ! মায়ের কত কষ্ট । মা না হলে তো , অন্য কেউ আমাকে রেগে ছুড়ে ফেলে দিতো। ভাগ্যিস আমি আমার মায়ের কোলে। মা কোনোদিনই তার সন্তানকে ফেলতে পারেনা। যত কষ্টই হোক সে সহ্য করে নেয়। মা এখন রান্না করতে যাবে। বাবা এসে পড়লে খেতে দিতে হবে। সারাদিন পরিশ্রম করে যদি বাসায় এসে ঠিক সময় খাবার না পাই, তবে যেকোনো পুরুষই রেগে যাবে । এটাই স্বাভাবিক । তাই মা আমাকে পুনঃরায় শয্যাশায়ী করলো। ঠিক আগের মতো করেই। দুই পাশে কোল বালিশ দিয়ে। মায়ের রান্না সম্পূর্ণ শেষ না হতেই ওয়া ওয়া করে জোরালো ভাবে চিৎকার শুরু করলাম।
এবার প্রশ্রাব নয়, পায়খানা করে ফেলেছি । আর অনেক ক্ষুধাও পেয়েছে ।
ইশ! মায়ের হয়েছে যত জ্বালা। এখন কোনটা আগে করবে। চুলায় অর্ধ-রান্নার বাকিটুকু নাকি আমার মলমূত্র সাফাই?
মা চুলাতে বেশি করে কাঠ দিয়ে আগুনের তেজ বাড়িয়ে আমার কাছে আসলো। আমি তো ভয় পাচ্ছি , এবার বুঝি আমাকে মারতে শুরু করবে!
কিন্তু না আমাকে বকলোও না। বরং পানি দিয়ে হাগু ধুয়ে দিলো এবং শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে দিলো।
আমি তবুও কাঁদছি ... ওয়া ওয়া..ওয়া। মা সহজেই বুঝতে পারলো কি হয়েছে ?
তারপর আমাকে আমার ক্ষুদা নিবারণ করলো। আমি ক্ষান্ত হলাম। এদিকে বাবা এসে হাজির। বাবা অনেক ক্লান্ত। মা হাত মুখ ধুয়ে আসতে বলল বাবাকে। বাবা ধুয়ে এলো। মা তখন আমাকে বাবার কোলে দিয়ে রান্না নামাতে গেলো।
উফফ বাবার হাত কি শক্ত। আমি ব্যাথা অনুভব করছি । তাই ওয়া ওয়া করে কান্না শুরু করলাম। বাবা কয়েকবার " না বাবা, কাদেনা কাদেনা" বলল। আমি তো শুনলাম না ওয়া ওয়া। বাবা রেগে যাচ্ছে, এমনিতেই পরিশ্রম করে এসেছে.. আমাকে ধমক দিলো চুপ। আমি আরো জোরে ওয়া ওয়া শুরু করলাম। মা তাড়াতাড়ি এসে কোলে নিলো আর বাবাকে বলল, ছেলেকেও সামলাতে পারোনা?
হিহিহিহি .. পুরুষ মানুষের ধৈর্য কম, মায়ের মতো না। আমি জেনো স্বর্গে ফিরে এলাম। মা বলল, কই এখন কাদছে না তো!
বাবা বলল, মা পাগল ছেলে, তোর কাছেই থাক। আমাকে ভাত দেঁ।
মা আমাকে কোলে নিয়েই বাবার জন্য খাবার রেডি করলো।
বাবার খাওয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত মাকে বাবার পাশেই থাকতে হলো।
খাওয়া শেষ, মা আমাকে আবার খাইয়ে বিছানায় শুয়ে দিলো। সবার শেষে মা খেতে বসলো। তার পরও নিস্তার নেই.. কি হলো?
কি আর হবে আমি আবার প্রস্রাব করে দিলাম। মা হাত ধুয়ে ফেলল অর্ধেক খাওয়া শেষ না হতেই ।
এতকিছুর পরও মা বিরক্ত হননা। মাকে আল্লাহ তাআলা কি দিয়ে বানাইছে ???
তারপর মা আমাকে নতুন কাপড় পড়িয়ে, কোলে নিয়েই বাকি খাবার খেল।
এখন শুয়ে পড়লো আমাকে নিয়ে।
আমি এত কষ্ট দিই মাকে?
তারপরও কত যত্ন করে আমাকে।
ধীরে ধীরে বছর পেরিয়ে গেল ৩-৪ বছর।
আমি তখন চঞ্চল। খেলাধুলায় মেতে উঠি। এক বাচ্চা হয়ে, আরেক বাচ্চাকে ধাক্কা মেরে ভোঁ দৌড় হিহিহিহি ।
দৌড় দিয়েই সোজা মায়ের কোলে।
তারপর আরেকটি বড় হলাম...
আমি ঘুমে..
মা ডাকছে।
চোখ খুলেই দেখি মায়ের মুখ।
বলছে যা স্কুলে যা।
তারপর মুখ, দাঁত সব ফ্রেশ করে খাওয়া শেষ করে, মায়ের হাত ধরেই স্কুলে যেতে হতো।
প্রতি মুহুর্তেই মা থাকে পাশে।
স্কুল ম্যাডামরা কিসব বলে বুঝিনা, বাসায় মা হাতে ধরিয়ে যা শেখায় তা-ই সহজেই শিখে যাই। মা-ই আমার শ্রেষ্ঠ আপনজন ।
মা-ই আমার প্রথম সকাল।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Mofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেরিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন কাব্য
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেRehnuma Ahmed
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেতাবাসসুম ধ্রুবা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেইস্কান্দার আলী খান
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেরিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন কাব্য
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেতাবাসসুম ধ্রুবা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেতাবাসসুম ধ্রুবা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেফারহান
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেরিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন কাব্য
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেরিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন কাব্য
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেফারহান
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেতাবাসসুম ধ্রুবা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেফারহান
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেতরী(ঘুমন্ত_পাখি)
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেরিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন কাব্য
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেতাবাসসুম ধ্রুবা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেইয়াছিন ফরহ
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেরিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন কাব্য
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেAyon Ahammed Alal
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেপুশপিতা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMH2
GJ Writer ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMH2
GJ Writer ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMH2
GJ Writer ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMH2
GJ Writer ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMd Mozahidul Islam
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেফারহান
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেপুশপিতা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেবকুল রায়
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেপুশপিতা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেফারহান
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেপুশপিতা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMofizul
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেEshrat Jahan
Golpobuzz ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMd Mozahidul Islam
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে