বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অভিমানী♥মন-৮

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান ♥Imran khan♥ (০ পয়েন্ট)

X #অভিমানী♥মন . লেখাঃইমরান খান . পার্ট- ৮ . বিয়ের দিনঃ রাতে পেরিয়ে সকাল হয়েছে। সবাই বিয়ের আমেজে লেগে রয়েছে। সবাই কাজে ব্যস্ত। আমিও রাফিকে কিছুকাজে সাহায্য করলাম। দুপুর থেকে মেয়েরা লেগে পড়েছে সাজঁতে। আমি কি পড়বো তাই ভাবছি। দাড়িয়ে ভাবছি তখন মনিশা এল। দেখলাম ও এখনও সাজঁ শুরু করে নি। . . - এখনও সাজঁতে শুরু করনি। . - সূর্য আজ কোন দিক দিয়ে উঠলো। (মনিশা) . - কেন?? . - আজ আপনি নিজে থেকে কথা বললেন। এমনিতে আপনার মুখ থেকে একটা শব্দ বের করতে কত কথা বলতে হয়,, তাই। . - সবাই সাজঁতে ব্যস্ত তাই জানতে চাইলাম। . - আপনার পছন্দের রং কী?? . - সরি। . - আপনি কোন রং পছন্দ করেন?? . - কালো,, . - সবার নীল, হলুদ, লাল আরো অন্য সকল রং পছন্দ,, আর আপনার কলো। . - আমি ছোট থেকে উল্টো। আমি সবার সময় ভিন্ন জিনিস পছন্দ। . - আচ্ছা আমি যাই। . . আমি ভাবছি কি পরবো। লাগেজ থেকে একটা কালো সুট বের করলাম। হাতে নিয়ে দেখছি। তখন পিছনে থেকে কেউ বলল..... . - এটা বাঙ্গলির বিয়ে। এখানে ওটা বেমানান। . তাকিয়ে দেখি মনিশা রুমে এল। এসে আমার হাতে দুটো প্যকেট দিল। . - এখানে দুটো পাঞ্জবি আছে যেটা ইচ্ছা সেটা পড়েন। (মনিশা) . - পাঞ্জবি!! . - কোন মনে হয় আগে শুনেননি। এই দুইটার মধ্যে একটা না পড়েন না তাহলে.... . - তাহলে.... . - সেটা না করলে দেখতে পারবেন। . . কি মেয়েরে বাবা। হুমকি দিয়ে চলে গেল। প্যকেট খুলে দেখলাম একটা কালো,, অন্যটা নীল। সব সময় কালো কাপড় পড়ি তাই ভাবলাম আজ নীলটা পড়ি। পাঞ্জবি পড়ে বাইরে এলাম। রাফি আমার কাছে এসে বলল..... . . - তোর পাঞ্জবিটা তো অনেক সুন্দর। (রাফি) . - দেখতে হবে না কে পছন্দ করেছে। (মনিশা) . . হঠাৎ করে মনিশার আগমন। দেখলাম নীল শাড়ি পরেছে,, হাতে নীল চুরি,, হালকা মেকাপ। অনেক সুন্দর লাগছিল। আমি চোখ নামিয়ে নিলাম। কারন যে অনুভূতি গুলো কে অনেক আগে মেরে দিয়ে ছিলাম সেগুলো আবার জাগতে চাচ্ছে। তাই আর চাই সেগুলো জাগুক। . - মনিশা তুমি দিয়েছো। (রাফি) . - হ্যা,, তোমার বন্ধু তো সুট পড়তো। তুমি বলো বাঙ্গলি বিয়েতে ওটা মানায়। তাই আমি পাঞ্জবি দিয়েছি। (মনিশা) . - কিনলে কবে। (রাফি) . - কাল যখন আপু সাথে শপিং করতে গিয়ে ছিলাম তখন। (মনিশা) . ততক্ষনে বরযাত্রীরা এসে পড়েছে। - রাফি বর এসে পড়েছে তাই যাওয়া ধরকার। . - আমি যাচ্ছি। (রাফি) . . রাফি গেল। মনিশা এসে আমার হাত ধরে টানতে নিয়ে যাওয়া শুরু করলো। . - এভাবে টানছো কেন?? . - বরের ওখানে চলুন। (মনিশা) . - সেটা বলইতো হতো। হাত ধরে নিয়ে যাওয়ার কি প্রয়োজন। তোমার বাবা-মা বা অন্য কেউ দেখলে কি ভাববে?? . - ভাববে মেয়ে বড় হয়ে গেছে বিয়ে দেওয়া দরকার। (আস্তে আস্তে) . - কী,, . - আরে চলুন তো। . . বর কেবলি গেট দিয়ে ডুকছে। তখন কিছু মুখ দেখে আমার পা আটকে গেল। কারন বর যাত্রীতে আমার বাবা-মা,, চাচা-চাচী। কিন্তু ওরা এখানে কি করছে। ওকে আরেক জনকে দেখতে পেলাম সেখানে বাবার বন্ধু আজিজ আঙ্কেলও ছিল। আমি মনিশাকে জিঙ্গাসা করলাম। . . - আচ্ছা বরের নাম কি?? . - আকরাম (মনিশা) . - আর বরের বার নাম?? . - আজিজ রহমান। . . এখন বুজতে পারলাম কে সবাই এখানে। মানে বাবার বন্ধু আজিজ আঙ্কেলের ছেলে আকরামের বিয়ে। আমি ওইখান থেকে সরে যেতে চাইলাম। কিন্তু মনিশা আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছে। আমি বুজছি না মেয়েটা কিসের অধিকার খাটাছে আমার উপর। আমারা এক কোনায় দাড়িয়ে ছিলাম। তখন কয়েকটা মেয়ে আমাদের কাছে এল। এইটুকু বুজতে পরেছি ওরা মনিশার পরিচিত। . . - কিরে মনিশা এনিকে (আমাকে দেখিয়ে)?? (একটা মেয়ে) . - আমাদের দুলাভাই নাকি?? (অন্যজন) . - আরে দেখে বুজতে পারছিস না,, মেচিং করে ড্রেস পড়েছে। আর হাত ধরে আছে। (অন্যজন) . - ও তাই তো,, (প্রথম জন) . . আমি হাত ছাড়িয়ে চলে এলাম। মেয়ে গুলো কি না কি বলছে। আমি আমার বোনকে খুজছি। কারন যেহেতু বাবা- মা আছে সেহেতু আমার বোন থাকবেই। কিন্তু এত বছর পর কেমন দেখতে হয়েছে। আমি জানি না। আমি আমার মাকে দেখছি। এই ৭ বছরে অনেকটা হয়ে গিয়েছে। আর বাবাও। আমি সরে গেলাম। মা সাথে কথা বলার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমি সামনে যদি কিছু সমস্যা হয়। আর আমাকে দেখতে পারলে হয়তো আরো সমস্যা হবে। তাই ওইখান থেকে চলে এলাম। . . এই কুলাহল থেকে সরে এলাম। বাড়ির বাইরে একটা পুকুর আছে। আর ওটাতে বাধানো সিরি আছে। আমি ওইখানে বসে আছি। . . - অতীত থেকে চাইলেও পালানো যায়। . কথা শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখি মনিশা আর সাথে আরেকটা মেয়ে। . - অতীত ছায়ার মতো যা কখন পিছন ছাড়েনা। সব সময় সাথে থাকে। (মানিশা) . আমি দাড়িয়ে গেলাম। - কিসের অতীত?? আমার এমন কোন অতীত নেই যে তা থেকর পালাবো। . - তাহলে কেউ আপজনদের থেকে পালাচ্ছে কেন?? . - মানে আপজন কোথায় পেলেন?? . - বরযাত্রীতে আপনার পরিবারের লোকজন আছে না?? . - কি বলো তারা এখানে কেন থাকবে?? . - আমি আপনার অতীত জানি। আপু আমাকে সব বলেছে। আপনি মানা করেছিলেন। তার পরেও আমি ঠিকই বের করেছি। . - মনিশা তুই বললি কেউ আমার সাথে দেখা করতে চায়। তাই আমি তোর সাথে এলাম। আর তুই কি বলা শুরু করেছি। (মেয়েটা) . . - তুই বলেছিলস না তোর একটা ভাই আছে। কিন্তু কোথায় আছে জানস না। (মনিশা) . - হ্যা,, বাবা ভাইয়া ৮ বছর আগে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিল। (মেয়েটা) . - তোর ইচ্ছা হয় না,, তোর ভাইয়া সাথে দেখা করার। . - হবে না কেন,, সব থেকে ভাইয়া আমাকে বেশি ভালোবাসতে। আমার প্রতিটা আবদার পুরন করতো। ভাইয়া কে অনেক খুজেছি কিন্তু পাইনি। . - আমি যদি খুজে দেই। . - সত্যি,, তুই দিবি। . - হ্যা,, এই মানুষটাকে (আমাকে দেখিয়ে) চিনতে পারিস কিনা। . - কে ইনি?? . - তুই যাকে খুজছিস সে হয়তো। . . আমি এখন বুজতে পারলাম এটা রিয়া। আমার ছোট বোনটা। কত বড় হয়ে গিয়েছে। রিয়া আমার দিকে এগিয়ে এল। আমার কাছে এল। এসে আমার কপালে দেখলো কাটা দাগটা আছে কিনা। আসলে ছোট সাথে আমি রিয়া যখন খেলা করছিলাম তখন আমার কপালে আঘাত লাগে কেটে যায়। যা আজ মুছে নি। আমার চোখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো। আমাকে ভালোভাবে দেখলো। তারপর আমাকে জাড়িয়ে ধরে কেদে দিল। অনেক সময় পর আমিও কান্না করছি। আমি ভেবেছিলাম আমি হয়তো কাদঁতে ভুলে গেছি। অনেকক্ষন পর আমাকে ছেড়ে দিল। . . - ভাইয়া এতদিন তুই কোথায় ছিলি। জানিস আমি তোকে কত খুজেছি। জানিস না তোর এই দুষ্ট বোনটা তোকে ছাড়া থাকতে পারে না। (রিয়া) . - তার জন্য ফিরে এসেছি। জানিতো আমার বোনটা আমাকে কত ভালোবাসে। . - জানিস তুই চলে যাওয়ার পর বাবা তো নাম বাড়িতে নিতে দেয় না। ওই মিতু এখনও তোর নামে সবাইকে রাগিয়ে রাখে। যাতে তুই কোন দিন ফিরে আসতে না পারিস। . - জানি সব জানি। . - বাবা, চাচা-চাচি আজ তোকে অপরাধী মনে করে কিন্তু জানিস মা তোর জন্য অনেক কষ্ট পায়। আমি মা কথা দিয়েছি তোকে খুজে আনবো। এখন চল মার কাছে। . - ওখানে বাবা আছে,, যদি আমাকে দেখে আরে সমস্যা হবে। . - আমি কি জয়েন করতে পারি। (মনিশা) . - তাতে পারিস(রিয়া) . . আমি, রিয়া, মনিশা অনেক সময় পর গল্প করলাম। তারপর আমার খেয়ে নিলাম। কিন্তু খাওয়ার সময় মনিশা বারবার আমার পায়ে শুরশুরি দিচ্ছি। এইখানে আরো অনেকে ছিল তাই কিছু বলতে পারলাম না। রিয়ে পড়ানো শেষ হল। বরযাত্রীরা চলে যাবে। রিয়া যাওয়া আগে ওয়াদা নিয়ে গেল যে কাল মার সাথে দেখা করবো। কাল আবার বরের বাড়িত যেতে হবে। বর যাত্রী যাওয়া শুরু করেছে। আমি দুরো দাড়িয়ে আছি। তখন মনিশা আমার কাছে এল। . . - ধন্যবাদ . - কিসের জন্য?? (মনিশা) . - আমার বোনের সাথে দেখা করিয়ে দেওয়ার জন্য। . - ধন্যবাদ দিলে হবে না অন্য কিছু দিতে হবে। . - কী?? . - আগে প্রমিস করুন দিবেন। . - হ্যা,, করলাম এখন বলেন কি চাও?? . - সময় মতো চেয়ে নিবো। . একটা হাসি দিয়ে চলে গেল। আমি এর অর্থটা বুজলাম না। রবযাত্রী চলে গেল। অনেক রাত হয়েছে সবাই ক্লান্ত তাই ঘুমিয়ে গেল। . পরের দিনঃ.......... ..♦To Be Continue♦…


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৭৪৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • কাওছার
    User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে
    নেক্সট পার্টের লিংক আছে কারো কাছে?

  • Murshid
    User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    next part ta kobi asbe vi

  • Murshid
    User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    next part ta kobi asbe vi

  • Murshid
    User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    next part ta kobi asbe vi

  • Murshid
    User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    next part ta kobi asbe vi

  • Murshid
    User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    next part ta kobi asbe vi

  • Murshid
    User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    next part ta kobi asbe vi

  • Murshid
    User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বে
    next part ta kobi asbe vi

  • তাবাসসুম ধ্রুবা
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    nxt prt kbe dbn?

  • Ishak ahmed
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    bro plz next part ta tara tari den

  • ইছকান্দার
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    সুন্দর

  • Abdullah
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    Next part ta taratari dien

  • Himal
    User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    Nice