বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
#তুই♥শুধু♥আমার
#পর্ব০৫-শেষ)
#লেখক-ইমরান খান
আমি যে রাত্রিকে দিন দিন ভালোবেসে ফেলেছি সেই কথাটা রাত্রিকে কি জানানোর দরকার? নাহ থাক বলে বা কি হবে? রাত্রি তো এখন সাজুকে ভালোবাসে তাই আর ওকে বলে দুশ্চিন্তাই ফেলানোর দরকার নেই। আমি নিচে এসেছে সাথে রাত্রি নিচে এসেছে।
বাবা:- আলিফ আর রাত্রি তোরা একটু ওনাদের এগিয়ে দিয়ে আয় তো।
রাত্রি:- হ্যা বাবা যাচ্ছি। রাত্রি আর আমি দুজনে বাহিরে এসে ওনাদের বিদায় জানালাম। নিলু যাবার সময় হাত দিয়ে ইশারা করে বলছে ফোন করতে। রাত্রি চেয়ে আছে আমার দিকে আমি কিছু না বলে চলে এসেছি।
মা:- যাক এবার চিন্তার অবসান হলো। রাত্রি ওর পছন্দ বিয়ে করছে আর আলিফ তার পছন্দে বিয়ে করছে।
বাবা:- আলিফ এখন তো তুই বলতে পারবিনা রাত্রির বর খারাপ রাত্রির বর কিন্তু তোর থেকে সুন্দর।
আলিফ:- এই জন্য কি বাড়ীতে আলাদা করে পার্টি দিতে হবে নাকী? আর যার কাছে যাকে ভালো লাগে সেটা তার জন্য ভালো। মা আমি বেরুলাম আমার বন্ধুদের সাথে দেখা করবো।
রাত্রি:- আলিফ শুনো?
আলিফ:- হ্যা বল কি?
রাত্রি:- আমাকে সাথে নিয়ে যাবে?
আলিফ:- আমি তো বাহিরে যাচ্ছি কোনো মার্কেটে নয় আর তাছাড়া তুই এখন কোথায় যাবি?
রাত্রি:- আমিও তোমার সাথে শেষ বারের মত একটু ঘুরে আসি আজকের পর থেকে তো সাজু আমাকে নিয়ে ঘুরতে বেরুবে।
আলিফ:- থাক কোনো দরকার নেই আমি পারবোনা কারো কেয়ারটেকার হতে। আমি বেরিয়ে এসেছি এসে কিছুটা আড্ডা মেরে রাতে বাড়ীতে গেলাম। বাড়ীতে গিয়ে দেখি রাত্রি খাবার টেবিলে বসে আছে। আমি রুমে চলে যাচ্ছি তখনি রাত্রি বলে।
রাত্রি:- আলিফ খাবে না?
আলিফ:- আমি খেয়ে এসেছি আর আমার খিদে নেই।
রাত্রি:- আমি তো তোমার জন্য বসে ছিলাম। আর তুমি তো জানো তুমি না খেলে আমিও খায় না।
আলিফ:- এসব নেকামো ছাড়ু যদি এমনি হত তাহলে অন্য কাওকে বিয়ে করতে রাজি হলে কেনো? আর ছয় মাস যাবৎ অন্য একটা ছেলের সাথে প্রেম করছিস কি করে? আমি জানি তুই এসব বাবা মাকে দেখাস যে তুই আমাকে কতটা কেয়ার করিস কতটা ভালোবাসিস সত্যি বলতে তুই আমাকে একটুও ভালোবাসিসনি সব কিছু তোর অভিনয় মাত্র।
রাত্রি:- আলিফ কি বলছো তুমি?
আলিফ:- যা বলছি তাই বলেই রুমে এসে দরজাটা লাগিয়ে নিতেছি তখনি রাত্রি এসে দরজা জোরে ধাক্কা দিয়ে খুলে ভিতরে এসেছে।
রাত্রি:- তুমি বলো কি বলেছো? আমি এসব কিছু অভিনয় করি তোমাকে ভালোবাসি না।
আলিফ:- রাত্রি তুমি যাও বাবা মা তোমাকে এত রাত্রে আমার রুমে দেখলে অনেক কিছু ভাববে।
রাত্রি:- বাবা মা কি ভাববে সেটা আমি জানি এখন বলো তুমি কি আমাকে কখনো ভালোবেসেছো? তুমি তো সবসময় রিপা এই রিপা ঐ সব সময় রিপা রিপা। আমি যে তোমার সাথে বাইকে যাই তোমাকে জড়িয়ে ধরে বসেছি কখনো তো তোমার কোনো ফিলিংস দেখিনি।
আলিফ:- আমার ঘুম পাচ্ছে তুই যা বলে রাত্রিকে বের করে দিতে ওর দিকে যাচ্ছি হঠাত উষ্ঠা খেয়ে সোজি রাত্রির বুকের উপরে। রাত্রিকে এর আগে অনেক বার জড়িয়ে ধরেছি হাসি ঠাট্টার মাঝে কখনো এমন ফিলিংস হয়নি কিন্তু এখন মনে হচ্ছে রাত্রিকে জড়িয়ে ধরে রাখি।
রাত্রি:- আজকাল কি খালি যায়গা উষ্ঠা খাও ব্যপার কি?
আলিফ:- সব দোষ তোর তুই রুমে এসেছিস কেনো? রাত্রিকে ছাড়িয়ে ওকে বের করে দিয়েছি। শুয়ে রইলাম দূর ভালো লাগছে না। ছটফট করে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে নামায পড়ে নিলাম। আজকে রাত্রিকে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। আমি এখন নিজেকে ব্যস্ত রাখতে আরম্ভ করেছি দেখতে দেখতে আজ রাত্রি গায়ের হুলুদ। নিলু এসেছে রাত্রিকে হুলুদ দেবার জন্য। বাড়ীতে অনেক মানুষ এসেছে।
মা:- আলিফ তুই এখানে কেনো আয় নিচে আয় রাত্রি তোকে খোঁজতেছে।
আলিফ:- মা তুমি যাও আমার ভালো লাগছে না। তখনি মা এসে আমাকে সামনে এসেছে তখন চেয়ে দেখে আমি কান্না করছি।
মা:- আলিফ কি হইছে তোর কান্না করছিস কেনো? তখনি মাকে জড়িয়ে ধরেছি।
আলিফ:- মা আমি রাত্রিকে বড্ড বেশী ভালোবেসে ফেলেছি রাত্রিকে ছাড়া আমি বাচতে পারবোনা। আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে বলে কান্না করছি।
মা:- কিন্তু এখন কি করে সম্ভব! তোকে তো কতবার বলছি রাত্রিকে বিয়ে করতে কিন্তু তখন তো তুই রাজি হসনি আর এখন বিয়ে ভাঙা আমাদের পক্ষে সম্ভবনা।
আলিফ:- হ্যা মা জানি আচ্ছা মা তুমি রাত্রিকে এই ব্যপারে কিছু বলোনা তুমি যাও আমি ওর সামনে যেতে পারবোনা। মা চলে গেছে আমি ছাদের উপর বসে বসে আঁকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম। আজকের দিনটা তো চলে গেছে সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে এসেছি তখন চেয়ে দেখি রাত্রিকে নিয়ে পার্লারে যাচ্ছে আমি বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেছি। আজ খুব খারাপ লাগছে রাস্তার ব্যাঞ্চে বসে আছি সকাল গড়িয়ে বিকাল চলে এসেছে। মোবাইলটা বন্ধ করে রাখছি। মনটা খারাপ করে বাড়ীর দিকে যাচ্ছি কারণ রাত্রির বিয়ে তো কমিনিউটি সেন্টারে হবে বাড়ীতে মনে হয় কেউ নেই। চোখ গুলি ফুলে গেছে কান্নায় বাড়ীতে গেলাম সন্ধা ৭টার দিকে বাড়ীতে ঢুকে দেখি মা বাবা বসে আছে। বাবা তোমরা এত তাড়াতাড়ি বাড়ীতে এসেছো রাত্রিকে নিয়ে গেছে?
বাবা:- তুই কেমন ছেলেরে তোর মোবাইলটা বন্ধ কেনো?
মা:- রাত্রি তোকে দেখার জন্য কতবার বলছে আর তুই কিনা বাড়ী থেকে চলে গেছিস?
আলিফ:- মা তুমি তো জানো তাও কেনো বলছো?
মা:- হ্যা জানি কিন্তু তাই বলে এমন ভাবে তুই বাড়ী ছেড়ে চলে যাবি?
বাবা:- তোর মা কি জানে?
আলিফ:- যা হবার হয়ে গেছে এখন রাত্রি সুখে থাকলেই আমি সুখি আর আপনারা তো চেয়েছেন রাত্রির বিয়েটা হয়ে যাক।
বাবা:- রাত্রি বিয়ে হয়ে গেলে তো আমরা খুশি কিন্তু তুই খুশি হয়েছিস? তখন আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি কি বলবো কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা। তখনি চোখে পানি টলমল করছে।
আলিফ:- হ্যা আমিও খুশি তখন মা বলে।
মা:- রাত্রি আয় তোকে নিয়ে যাই সাজুর সাথে তোর বিয়েটা দিয়ে দিবো। তখনি চেয়ে দেখি রাত্রি কনে সাজে বেড়িয়ে এসেছে।
আলিফ:- রাত্রির বিয়ে হয়নি?
বাবা:- বোকা ছেলে রাত্রি তো তোকে ভালোবাসে আর সেদিন ছাদের উপর তোর মাকে যখন জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলছিস রাত্রিকে ছাড়া বাচবিনা তখন রাত্রি তোর সব কথা শুনে ফেলে এরপর রাত্রি সাজুকে ফোন করে বারন করে দেয় যদিও আমি বলেছি রাত্রির সাথে তোর বিয়ে হইছে অনেক আগেই। তোর জন্য সারাদিন ধরে অপেক্ষা করছি এবার বিয়েটা কর না হলে সত্যি সত্যি রাত্রিকে বিয়ে দিয়ে দিবো।
মা:- ঘরের মেয়ে অন্য ঘরে দিতে যাবো তা কি করে হয়। আমরা সবাই প্লান করে করেছি তখনি একটা ঘর থেকে কাজি এসেছেন সাথে হুজুর এসে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে। রাত্রি আমার পাশে বসে আছে।
রাত্রি:- এই চলো আমার সাথে?
আলিফ:- কোথায় যাবো? তখন রাত্রি আমার হাত ধরে বলে ছবি দেখাতে। বলেই রাত্রি আমাকে নিয়ে সোজা রুমে এসেছে।
রাত্রি:- আচ্ছা তুই আমাকে ছাড়া থাকতে পারতি?
আলিফ:- নিলুকে বিয়ে করে নিতাম তখন তোকে দেখিয়ে নিলুকে অনেক ভালোবাসতাম।
রাত্রি:- তবেরে তোকে গলা টিপে মেরে ফেলতাম। তখনি রাত্রিকে জড়িয়ে ধরেছি ওর ঠোঁটের কাছে আমার ঠোঁট নিয়ে এসেছি। আলিফ কি করছিস?
আলিফ:- কিছুনা তোকে আদর করছি আর তাছাড়া এখন তো তুই আমার বউ তাইনা? রাত্রির ঠোঁটে আমার ঠোঁট গুজে দিলাম। আমাদের দুজনের ভালোবাসাটা দিন দিন বাড়ছে তবে সমস্যা হচ্ছে একটা। সমস্যা হলো আমি রাত্রিকে তুই করে বলি তাই রাত্রি ভিষন মন খারাপ।
রাত্রি:- মা তুমি আলিফকে কিছু বলোনা কেনো?
মা:- কেনো কি করেছে?
রাত্রি:- আলিফ আমাকে সবার সামনে তুই করে বলে। সবাই আমাকে বলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে তুই করে বলাবলি নাকী আমাদের মধ্যে ভালোবাসা নেই।
মা:- আলিফ তুই রাত্রিকে তুই করে বলিস কেনো?
আলিফ:- কি করবো মুখে চলে আসে ঠিক আছে আর তুই করে বলবোনা। এখন দেখতে দেখতে রাত্রি মা হতে চলছে রাত্রির প্রতি কেয়ার আর ভালোবাসা দেখে বাবা মা অনেক খুশি। আজ হাসপাতালে যাবার সময় রিপার সাথে দেখা হয়ছে রিপা আমাদের দেখে নিজেকে লুকিয়ে নিয়েছে। রিপাও মা হতে যাচ্ছে কিন্তু রিপা একা এসেছে আর আমি রাত্রিকে একা কোথাও যেতে দেয়না। এভাবে চলছে আমাদের দিন গুলি এখন আমাদের ঘরে একটা কিউট পরী এসেছে বাবা মা সারা দিন ওকে নিয়ে ব্যস্ত আর আমি অফিস রাত্রি নিয়ে ব্যস্ত।
!!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
samia
User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বে