বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

এরদোয়ান, সুলেমান ও এক সাংস্কৃতিক যুদ্ধ।

"যুদ্ধের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান জাহিন আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (০ পয়েন্ট)

X সুলতান সুলেমান’ নামের একটি ড্রামা সিরিয়াল বাংলায় ডাবিং করে চলছে বাংলাদেশের কোনো একটি টিভি চ্যানেলে। সিরিয়ালটিতে কী দেখানো হয়, তা দেখার কখনো সুযোগ হয়নি আমার। তবে এ সিরিয়ালটির সম্প্রচার নিয়ে একবার বেশ জলঘোলা হয়েছিলো, সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে জানতে পারি। অন্যান্য কিছু টিভি চ্যানেল প্রতিবাদ করে বসে যে, বিদেশি এ সিরিয়ালটি বাংলাদেশে চলতে দেয়া যায় না। অতি দ্রুত এ সিরিয়ালটির সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে… ইত্যকার দাবি-দাওয়া চলতে থাকে বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রী এমনকি সুশীল সমাজ থেকেও। পরে জানা যায়, সিরিয়ালটি বাংলাদেশে এতোটাই জনপ্রিয়, যে সময় সিরিয়ালটি সম্প্রচার হয় সে সময় অন্যান্য চ্যানেলের রেটিং হু হু করে কমে যেতে থাকে। সুতরাং অন্য চ্যানেলওয়ালাদের আঁতে তো ঘা লাগাটা স্বাভাবিকি। যদিও শেষ পর্যন্ত সিরিয়ালটির সম্প্রচার বন্ধ করা যায়নি। সিরিয়ালটি বেশ জনপ্রিয়তা নিয়েই বর্তমানে বাংলাদেশে সম্প্রচারিত হচ্ছে। আমার আলোচনার বিষয় ‘সুলতান সুলেমান’ নামক টিভি সিরিয়াল নয়, আমি বলতে চাচ্ছি সাংস্কৃতিক যুদ্ধ নিয়ে। এদেশে ইন্ডিয়ান চ্যানেল রাজত্ব করছে বেশ ঘটা করেই। পাখি, কিরণমালা, রাখী বা এ ধরনের নানা নামে ইন্ডিয়ান অসংখ্য বাংলা ও হিন্দি সিরিয়াল চলছে বাংলাদেশের কেবল টিভিতে। বাংলাদেশের নারীসমাজ তো বটেই, পুরুষসমাজেরও বড় একটা অংশ এসব সিরিয়ালের পাঁড় ভক্ত। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে খুব সহজেই ইন্ডিয়ার সংস্কৃতি আমদানি হচ্ছে। মানুষ এসব সিরিয়ালের মাধ্যমে পরিচিত হচ্ছে ইন্ডিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি, লৌকিক আচরণ, ভৌগলিক পরিচিতি, তাদের ধর্ম, দেব-দেবী এবং ইন্ডিয়াগত সকল কিছুর সঙ্গেই। চলছে দারুণ এক মাইন্ড গেম। ধীরে ধীরে ইন্ডিয়ার সংস্কৃতি ছাপিয়ে যাবে আমাদের। ঈদকে বানানো হবে ফেস্টিভ্যাল, রমজানকে এক্সাইটিং এক্সপেরিমেন্ট, শবে কদর বা শবে বরাত হয়ে যাবে প্রাসাদ খাওয়া আর আতশবাজি উড়ানোর ধুম। এ নিয়ে বিস্তর আক্ষেপ আরেকদিন বলা যাবে। আজকে সুলতান সুলেমান নিয়ে বলি। ‘সুলতান সুলেমান’ ড্রামা সিরিয়ালটি তুরস্কে তৈরি। তুরস্কের কলা-কুশলীদের দ্বারাই এর নির্মাণ ও চলচ্চিত্রায়ন হয়েছে। এখন কথা হলো, এ ড্রামা সিরিয়ালটি বাংলাদেশে ঢুকলো কীভাবে? যেখানে বাংলাদেশে দেদার চলছে ইন্ডিয়ান চ্যানেল সেখানে সুদূর তুরস্কের একটি ড্রামা সিরিয়াল কীভাবে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলকে আগ্রহী করতে পারে? এর উত্তর জানতে হলে আমাদের আরেকটু সামনে আগাতে হবে। দুই এবার নিরেট কিছু রাজনৈতিক বিষয়ে বাতচিত করা যেতে পারে। সবাই জানেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই তুরস্ক বিশ্ব রাজনীতি এবং আমাদের দেশীয় রাজনীতিতে হরহামেশাই আলোচিত হচ্ছে। এটা হওয়া প্রয়োজন। কেন প্রয়োজন? এর উত্তর দিতে হলে কিছু সময়ের জন্য আমাদের ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে উসমানি খেলাফত ধ্বংসের পর নানা দেশে নানাভাবে খেলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন হয়েছে। ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনের মোড়কে এদেশেও দুর্বার হয়ে উঠেছিলো খেলাফত আন্দোলন। মুসলিমদের অন্যতম রক্ষাকবচ মক্কা-মদিনার শাসকগোষ্ঠী আরবের আল-সউদ পরিবার নিজেদের বংশীয় একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিভোর ছিলো। খেলাফতব্যবস্থা ধ্বংস হওয়াটা তাদের জন্য বরং শাপে বর হয়েই দেখা দিলো। তারা খেলাফত রক্ষায় আগুয়ান হওয়ার পরিবর্তে পরোক্ষভাবে খেলাফত আন্দোলনের নানা জায়গায় পেরেক ঠুকতে লাগলেন। শেষ পর্যন্ত খেলাফত আন্দোলন কোথাও আর স্থায়ী হলো না। খেলাফত যে মুসলিমদের একত্ববোধ, ভ্রাতৃত্ব এবং একতার এক অবশ্যম্ভাবী প্রয়োজনীয় শাসনব্যবস্থা- এই বোধই মুসলিম মানস থেকে দূর হয়ে গেলো। সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব রিদওয়ান (যদিও আমরা তাকে রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলে ডাকি, কিন্তু তার বাস্তবিক নাম রিদওয়ান) নিজের নানা সাহসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিমের একপ্রকার হিরো হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। ফিলিস্তিনের প্রতি তাঁর সাহসী পদক্ষেপ, মায়ানমার নিয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, সিরিয়া এবং ইরাক বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান এবং সম্প্রতি আরব উত্তেজনায় কাতারের পক্ষ নিয়ে তিনি আবারও নিজের নায়কোচিত ইমেজকে মুসলিমদের কাছে উজ্জ্বল করে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। আল-কুরআনের হাফেজ প্রেসিডেন্ট তৈয়ব রিদওয়ান কতোটা গুড মুসলিম কিংবা সত্যিকার অর্থে কতোখানি মুসলিম ঐক্য কামনা করেন, সেসব তর্কের বিষয়। তবে তিনি যে বর্তমান মুসলিম মানসে একটি আশার আলো হয়ে আবির্ভুত হয়েছেন, এ কথা তর্কাতীত। সবচে বড় বিষয় হলো, তিনি সমগ্র বিশ্বের মুসলিম কমিউনিটিতে একজন আলোচিত ব্যক্তি হতে পেরেছেন এবং তুরস্ককে নতুন করে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। এখানেই প্রেসিডেন্ট তৈয়ব রিদওয়ানের সফলতা। এবং এর মধ্যেই নিহিত আছে ইতিহাসের অনেক প্রশ্নের জবাব। প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব রিদওয়ান কি আরেকবার খেলাফতের পথে হাঁটবেন? তিনি কি বিশ্বব্যাপী বৃহত্তর মুসলিম ঐক্যের প্রত্যাশী? তিনি কি আবার উসমানি সাম্রাজ্যের ছাইভস্ম থেকে তুলে আনতে চান খেলাফতের চাঁদ-তারা খচিত হেলালি নিশান? এসব প্রশ্নের জবাব পেতেই আমাদের কাছে ‘সুলতান সুলেমান’ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। যেমন ইস্যু সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কে সম্প্রচারিত আরেকটি ড্রামা সিরিয়াল ‘দিরিলিস এরতুগরুল’। তুরস্কে প্রবল জনপ্রিয় এ সিরিয়ালটিতে উসমানি (অটোমান) সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা এরতুগরুলের সংগ্রামী জীবন এবং উসমানি সালতানাত প্রতিষ্ঠার আদ্যোপান্ত দেখানো হচ্ছে। বিশ্বের ৬০টি দেশে ডাবিং করে সম্প্রচার হচ্ছে এ সিরিয়ালটি। বাংলাদেশেও ‘সীমান্তের সুলতান’ নামে একুশে টিভির সৌজন্যে সম্প্রচারিত হয়েছে এ সিরিয়ালটি। এটিও বাংলাদেশে সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে চলেছে। তিন বলছিলাম সাংস্কৃতিক যুদ্ধ নিয়ে। এখন আর ঢাল-তলোয়ার বা বন্দুক-কামান নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ জয়ের রীতি নেই। এখন যুদ্ধ হয় তথ্য দিয়ে, সংস্কৃতি দিয়ে- দ্য ইনফরমেশন ওয়ার! উসমানি খেলাফতের অন্যতম সুলতান ‘সুলায়মান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’কে আমাদের দেশের কয়জন মানুষ চিনতো? হাতেগোনা ইতিহাসের দু-চারজন বোদ্ধা পাঠক মাত্র। কিন্তু ‘সুলতান সুলেমান’ নামের এ ড্রামা সিরিয়ালটি কোটি কোটি মানুষের ঘরে গিয়ে জানিয়ে আসছে- এমন ছিলেন সুলতান সুলায়মান, এমন ছিলো তার সাম্রাজ্য, এভাবে তিনি যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনতেন জয়…। কিংবা কেই-বা জানতো উসমানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উরতুগরুলের নাম? লাখে দু-একজন। কিন্তু ‘সীমান্তের সুলতান’ এসে প্রতিদিন বলে যাচ্ছে- এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো উসমানি সাম্রাজ্য, এভাবে সংগ্রামের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিলো আজকের তুরস্ক, এই হলো অপরাজেয় কন্সটান্টিনোপলের বিজয়ী ইতিহাস! মানুষের ব্রেইন ওয়াশ হচ্ছে। পাখি আর কিরণমালার জায়গা দখল করে নিচ্ছে হুররম সুন্দরী কিংবা হালিমা খাতুন। দিস ইজ দ্য গেম! ইনফরমেশন ভার্সেস ইনফরমেশন, কালচারাল ব্যাটল ভার্সেস কালাচারাল ওয়ার। যুদ্ধটা আপনাকে শুরু করতে হবে। এবং সেটা করতে হবে বিশ্বব্যাপী। যেমনটা করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব রিদওয়ান। জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল এরতুগরুল–এর প্রতি তৈয়ব রিদওয়ানের ভালোবাসা গোপন থাকেনি। তিনি সরাসরি এর সেট পরিদর্শনে যান এবং হাত মেলান অভিনেতাদের সঙ্গে। মূলত রাষ্ট্রীয়ভাবে যে তুরস্ক একটি সাংস্কৃতিক যুদ্ধ শুরু করেছে, সেটা তিনি বেশ ঘটা করেই বলে যাচ্ছেন। এই যুদ্ধকে তিনি কোথায় নিয়ে যাবেন, সেটাই হলো দেখার বিষয়। চার উসমানি (অটোমান) সুলতানদের নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু বাংলা বই বেরিয়েছে। কিছু ফিকশন কিছু ননফিকশন বই। এসব বইয়ের লেখকগণ সোল্লাসে তাদের বইয়ে অটোমান সুলতানদের হেরেমের নানা সেক্সুয়াল কল্পকাহিনি বয়ান করেছেন। তারা সেসব বইয়ে ড়গড়গে বর্ণনা দিয়ে আলোকপাত করেছেন অটোমান সুলতানদের শোবার ঘরের, তাদের স্ত্রী এবং দাসীদের ওপর। এবং তারা সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন- অটোমান সুলতান মানেই হেরেমের ভোগী বাদশাহ মাত্র। অথচ তারা একবারও উচ্চারণ করেনি হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ভেনিস, পোল্যান্ডে কতোবার উচ্চকিত হয়েছিলো অটোমান নৌবাহিনীর পতাকা। এই প্রবণতার মূল কারণ হলো, ইংরেজি সোর্স। যারা এসব গ্রন্থ লিখছেন তারা সোর্স হিসেবে ব্যবহার করেছেন ইউরোপিয়ান লেখকদের ঐতিহাসিক গ্রন্থাদি। যাদেরকে আমরা প্রাচ্যবিদ বলে আখ্যায়িত করে থাকি। এসব ইউরোপিয়ানদের পূর্বপুরুষরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরাজিত হয়েছে উসমানি খেলাফতের অজেয় নৌবাহিনীর কাছে। পুরো পূর্ব ইউরোপ যুগ যুগ ধরে কব্জা করে রেখেছিলো উসমানি অ্যাডমিরালদের নৌবহর। এসব পরাজিত ইউরোপিয়ানরা কীভাবে লিখবে সেসব পরাজয়ের ইতিহাস? এ কারণেই তারা নানাভাবে উসমানি সুলতানদের হেরেমের কল্পকাহিনি দিয়ে তাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে চেয়েছে। সুলতানদের চারিত্রিক সামান্য অধঃপতনকে কেন্দ্র করে তারা বিরাট বিরাট গ্রন্থ রচনা করেছে। পৃথিবীর সামনে অটোমান সুলতানদের পরিচিত করতে চেয়েছে স্রেফ ভোগবাদী লীলাকামী কিং হিসেবে। তারা ভুলেও কখনো বলেনি হাঙ্গেরি পতনের ইতিহাস, ভেনিসীয় নৌবাহিনীর পরাজয়ের ইতিহাস, পোল্যান্ড আক্রমণের দুর্ধর্ষ বিজয় কাহিনি। নিজেদের পরাজিত ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে মুসলিম কমিউনিটিসহ সমগ্র পৃথিবীর সামনে তারা তুলে ধরেছে অটোমান সাম্রাজ্যের নানা অকিঞ্চিৎকর কল্পকাহিনি। আর সেসবই আমরা গোগ্রাসে গিলে লিখে ফেলছি হেরেম সমগ্র কিংবা সুলতানের হেরেমের মতো চটিকাহিনি। সেদিন ফেসবুকে এক উচ্চশিক্ষিত নারী উসমানি খেলাফত ও খলিফাদের নিয়ে সুলেখক তামীম রায়হান রচিত ‘সুলতান কাহিনি’ নামের অত্যন্ত ইনফরমেটিভ একটি বই পাঠ করে মন্তব্য করেছিলেন- ‘উসমানি’দেরকেই যে ‘অটোমান’ বলা হয় তাই এতোদিন জানতাম না…।’ সুতরাং প্রাচ্যবিদদের ইতিহাস পড়ে বেড়ে উঠা আমাদের বাঙালি লেখকগণ অতীত তুর্কি এবং বর্তমান তুরস্ককে কীভাবে মূল্যায়ন করেন, তার একটা পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায় বৈকি। সেখানে তারা ‘সুলতান সুলেমান’ আর ‘দিলিরিস উরতুগরুল’-এর বিশ্বব্যাপিতার সাংস্কৃতিক যুদ্ধের খবরে আঁৎকে উঠবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। এ সাংস্কৃতিক প্রক্সি লড়াই এর গতিপ্রকৃতি ভবিষ্যতই ঠিক করবে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৮৯৪ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Dead-end Street
    User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    Bissoy এ সেভাবে প্রশ্ন করাটা মূলত একটা কৌশল ছিল আমার । আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম যে , আমি সফল হয়েছি । বিভিন্ন প্লাটফর্মে সুযোগ পেলেই ছড়িয়ে দিন...

  • M.H.H.Roni
    Golpobuzz ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ জাহি ভাই।ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব।এইসব ইসলামি গৌরবময় ইতিহাস আমাদের জানার পাশাপাশি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব মুসলীম হিসাবে।তাছাড়া আমিও এরকম কিছু উদ্যেগ নিয়েছি।যেমন এখানেই আমি দুটো ঘটনা দিয়েছি যা প্রকাশিত হয়েছিল।নাম হলো দিগ্নীজয়ী মুসলীম বীরসেনানীগন।যার একটি ঐ আরতগ্রুল গাজীর জীবনী আরেকটা স্পেন বিজয়ের তারিক বিন জিহাদ এর জীবনী।আশা করি গল্প দুটি পড়লে তুমার ভালো লাগবে।অনূরুধ রইল।

  • আহনাফ জাহি
    Golpobuzz ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    @ansarul islam, আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ gj gj. আপনি যেদিন bissoy এ ইলিয়াস হোসাইনেত কথা বলেছিলেন, সেদিনই উনার প্রায় সব ভিডিও দেখে এসেছি। আসলেই উনি একজন গ্রেট ছিলেন। আপনি আমিও চলুন অংশ নিই ন্যায়ের সাথে অন্যায়,সত্যের সাথে অসত্য আর সংস্কৃতির সঙ্গে অপসংস্কৃতির যুদ্ধে।

  • আহনাফ জাহি
    Golpobuzz ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    @রনি ভাই, পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনিও সময় পেলে কিছু বিষয় নিয়ে আপনার মতামত ব্যাক্ত করতে /আপনার প্রিয় কারো প্রবন্ধও শেয়ার করবেন। জার্মান সম্রাটের ব্যাপারে জানতে পেরে ভালো লাগলো। এভাবেই আমরা চাইলে ছড়িয়ে দিতে পারি আমাদের গৌরবময় ইতিহাস। gj gj

  • আহনাফ জাহি
    Golpobuzz ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    @নাহিদা ও রেহনুমা, আপনাদেরকে ধন্যবাদ gj

  • আহনাফ জাহি
    Golpobuzz ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    @আফিয়া, ইংরেজি ভাষার অনেক শব্দই এরকম। আরবি ভাষার বর্ণগুলোকে প্রতীকায়িত করার মত পর্যাপ্ত বর্ণ ইংরেজি ভাষার মাঝে নেই। তাই তারা নিজেদের মত বিকৃত উচ্চারণ বানিয়ে নিয়েছে।

  • আহনাফ জাহি
    Golpobuzz ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি সালাহউদ্দিন ভাইকে(আপনারা চিনবেন না।) উনি আমাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন

  • M.H.H.Roni
    Golpobuzz ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    আমিও কিন্তুু অনেক খবর বা সংবাদসম্মেলন দেখেছি এবং এবারের জাতিসংঘে তার ভাষন সবখানেই এরদোগান নামটাই দেখেছি।যাই হোক এরদোয়ান আর এরদোগানই হোক ব্যক্তিটা তো একই।আমার তাকে ধারুন ভালো লাগে

  • Nahida Afrin Jany
    User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    খুব ভালো লাগল.... gj

  • Ansarul Islam
    User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    এই লেখাটি অনেক সুন্দর ছিল... কিন্তু আমি "এরদোয়ান" এর চেয়ে "এরদোগান" নামেই বেশী পড়েছি । এর মধ্যে কোনটা সঠিক??

  • Ansarul Islam
    User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    বাহ অনেক সুন্দর হয়েছে...অপসংস্কৃতির সাথে সংস্কৃতির যুদ্ধে আমাদের শামিল হওয়া অবশ্য কর্তব্য । এই ডাকটি জোরালোভাবে হয়তো একুশে টিভির সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের একটা ভিডিওতে । ভারতীয় অপসংস্কৃতি আমাদের সংস্কৃতিকে দ্রুত গ্রাস করছে । আশা করি , এরকম আরো লিখবেন ভাই । "ইসকন' সম্পর্কে লেখার অনুরোধ রইল...সংস্কৃতি নিয়ে আরো লিখবেন । জিজেতে আসার জন্য আপনাকে আজ হৃদয়ের গভীর থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি । প্রায় দেড় বছর থেকে জিজের সদস্য আমি , এই প্রথম এরকমভাবে আপনায় স্বাগতম জানাতে চাই । সেই সাথে সাইমুম সিরিজের লেখকদেরও অনেক ধন্যবাদ ।

  • Rehnuma Ahmed
    Golpobuzz ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    অনেক কিছু জানতে পারলাম। ভালো লাগলো। gj

  • M.H.H.Roni
    Golpobuzz ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    আরেকটা বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন ভাইয়া অটোমেন প্রতিষ্টা হয় ১২৯৯ সালে আর পতন হয় ১৯২৪ সালে অর্থাৎ দীর্ঘ একটা সময়।এ দীর্ঘ সময়ে সবাই যে ন্যায়পরায়ন বাদশা হবে এমন তো কোন কথা নেই।কয়েকজন ক্ষমতা পেয়ে এর অপব্যবহার করতে চেয়েছিল কিন্তুু শেষ পর্যন্ত তারা টিকে নি।অথচ সেই কিছু দিনের পাপ গুলোই আমাদের স্নরণ করানো হয়,দীর্ঘ দিনের ইতিহাসটা স্নরণ করানো হয় না।যেমন ধরেন জার্মানির অটোভন বিসর্মাক।তিনি বলেছিলেন রাজনীতির শতকরা ৯৫ ভাগ বিধাতা হামিদকে দিয়েছে ২ ভাগ আমাকে আর বাকি তিন ভাগ অন্য সবাইকে। অথচ আমরা সেই বিসর্মাকের জীবনী পড়তে পড়তে ক্লান্ত।কই আব্দুল হামিদের জীবনী ত একবারও পড়ানো হল না। বি.দ্র: আব্দুল হামিদ ছিলেন অটোমেনের শেষ ন্যয়পরায়ন সুলতান।ষড়জ্নএের কারণে তিনি ক্ষমতাচ্যুৎ হন এবং সুলতান দ্বীতীয় মুুরাদ সিংহাসনে বসেন আর তার ছেলের সময়েই অটোমেনের পরিসমাপ্তি ঘটে।আব্দুল হামিদ তখনও জীবিত ছিলেন।

  • M.H.H.Roni
    Golpobuzz ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    অসাধারন তথ্যবহুল একটি লেখা পড়লাম ভাই।আর সুলতান সুলাইমান ড্রামা সিরিয়ালটি দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হয়েছিল।তার সময়েই অটোমেন বিশ্বব্যপি প্রসারিত হয়েছিল।আর বললেন না দিরিলিস আরতগ্রুল ঐটার ২জন মিউজিকার খ্রিষ্টান থেকে মুসলীম হয়েগিয়েছে।সম্প্রৃতি আরও কয়েকজনও হয়েছে বলে জানা যায়।এ সিরিয়ালটি বাংলাদেশের মাচরাঙা টেলিভিশনে সিজন -২ পর্যন্ত বাংলা ডাবিং চালানো হয়েছিল।এখান থেকে আরতুগ্রুলের কিছু দূঃসাহসিক অভিযান সম্পর্কে জানা যায় মাএ।কিন্তুু অটোমেনের সূচনা সম্পর্কে জানা যায় না।অনেকবার মাচরাঙা টেলিভিষনকে অনূরুধ করা হলেও তারা বাকি তিনটি সিজন চালায় নি।কিন্তুু ভিবিন্ন দিরিলিস প্রেমিদের কারণে আমরা দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিয়ালটি শেষ করতে পারছি।এখন উসমানের জীবনী চলছে তুরস্কের Atb তে সেটাও দেখতাছি।আর কন্সটানটিপল মুসলিমরা বিজয় করে ১৪৫৩ সালে।সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ এটা বিজয় করেন