বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
♥হৃদয়ের মাঝখানে♥
.
পার্ট-০৮
.
অন্তর টেবিলে হাত দিয়ে জোরে একটা বাড়ি দিয়ে সেখান থেকে সোজা বাড়িতে চলে যায়।
.
রাতে,………
নিঝুম :উপা প্লিজ তুই কিছু কর,
আমি ওকে ছাড়া বাচবো না,,,
এই কয়দিনে ওকে বড্ড ভালোবেসে পেলছি,,,
.
উপমা :হুম, দেখাই বুঝা যায় তোকে,,,
আর ভালোবাসা হারানোটা যে কতোটা কষ্ট দায়ক সেটা আমিও বুঝি রে।
অন্তর ভাইয়া ও তোকে কিন্তু কম ভালোবাসে না, ওনিও তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে।
.
নিঝুম :ভালো যদি ভাসতো ভালো তাহলে এভাবে কথাগুলো বলতো না,,,
.
উপমা :কথাগুলো রাগের চোটে বলে পেলছে,, এমনটা শুনলে কেই না রাগ করতো বল।
তুই কান্না থামা আর আমি একটা ব্যবস্থা করছি,,,,
নিঝুম :যা করিস না কেন প্লিজ যেন আমি অন্তর কে পাই।
.
উপমা :বাবুটা আর কাদে না, আজকে সারাটা দিন কাদতেঁ কাদতেঁ চোখ গুলো পুলে কেমন লাল হয়ে আছে দেখ।
নিলা ফোন করছে আমি একটু কথা বলে আসি, Wait………
নিঝুম :ঠিক আছে যা,,,,
.
নিলা :কিরে ভাই তোর কোনো খোজ খবর নাই, আজকে একটা ফোন করে খবর ও নিলি না, ভুলে গেচছ গা না।(ফোনে)
উপমা :কে বলছে,,, ভুলে যদি যাইতাম তায়লে ফোনটা রিসিব করছি কেন (বারান্দায় গিরিল ধরে দাড়িয়ে)
নিলা :হুম, হইছে থাক,,,(মন খারাপ করে)
.
উপমা :ওই জানিস আজকে না,,,
অন্তর ভাইয়া নিঝুমকে এত্তো গুলা কথা শুনাইছে,,,
বাবারে যে ভাবে বলছে,,, আর আমাকেও ধমকদিছে আমার তো ভয়ে কলিজার পানি সব শুকাই গেছে,,,
নিলা :বেজাল টা হইছে কি নিয়া।
উপমা নিলাকে সব খুলে বলল,,,
প্রথম থেকে।
.
নিলা :ও আচ্ছা, তাহলে ওই সালা বেজালটা লাগাইতে আসছে,,, ওই বারে যে টাইট দিছিলাম শিক্ষা হয় নাই এই বার আমার দিলে ঠিকই হইবো।
উপমা :হুম, ওরে শুধু পাই তারপর দেখিস কি করি আমি, এমন পিটা দিমো সালারে,,,,
বিয়ের নাম এবারের মতো ভুলেই যাইবো।
.
তারপর আনিলার সাথে আরও কিছুক্ষণ কথা বলে ফোনটা রেখে দেয়।
.
নিঝুম :ওই এখন কি করবি বলনা!
উপমা :ভাবতে হবে রে ভাবতে হবে,,,
অন্তর ভাইয়া তোকে কেমন ভালোবাসে,
তাতো পরীক্ষা করবোই, আর একটু কষ্ট ও দিবো,,,, তোকে যেমনটা দিছে।
.
নিঝুম :কিভাবে,, ওতো বলছে বিয়ে টাই ভেঙে দিবে,,,
উপমা :আরে ভাঙবে না, তুই দেখিস, এটা কি মুখের কথা নাকি যে বললেই ভেঙে দিবে।
তুই চট করে আমার জন্য এককাপ কপি নিয়ে আয়তো, কপিটা খেলে আমার পট করে একটা আইডিয়া মাথায় চলে আসবে,,,,
হি.হি.হি
.
নিঝুম :আচ্ছা,
আর শুন তুই কি বাসায় চলে যাবি নাকি থাকবি!
উপমা :নারে চলে যাবো,,,
পাপা মিস করবে,, আমাকে তো আবার না দেখলে ঘুম আসে না।
নিঝুম kk আমি আম্মুকে বলে দিচ্ছি।
নিঝুম কপি আনতে চলে গেল।
.
আদি :তুই আজকে ভাবির সাথে এমনটা না করলেও পারতি,,,
অন্তর :না করলেও পারতাম মানে,,
লোকটা কি বললো শুনলি না তুই।
আদি :তুই কেমন রে ভাই,,,
নিজের ভালোবাসাকে বিশ্বাস করিস না, অজানা অচেনা কোথাকার কোন লোকের জন্য তুই নিজের বিয়েটা ভাঙতে যাইতেচিস।
অন্তর :তো কি করবো, বল,,
নিঝুম প্রেগন্যান্ট ছিল কথাটা শুনার পর তো আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো তুই জানিস, আমার নিজের নিজের কাছে কেমন লেগেছে সেটাশুধু আমিই জানি।
আদি :Chill Bro Chill,,,
নিজেকে শান্ত রাখ,,,
তুই তো ভাবিকে ভালোবাসিস কেমন আমি জানি, ওর সাথে একদিন কথা না বলে থাকতে পারিস না!
অন্তর :আমার ওকে ওইভাবে বিয়ে ভাঙ্গার কথাটা বলা উচিত হয়নি, ওনেক কষ্ট পেয়েছে মেয়েটা মনে হয়, আর উপমার সাথে ও কেমন ভাবে কথা বলেছি,,, ওদেরকে সরি বলা উচিত আমার।
আদি :হুম, তোকে বলতেই হবে,,,
অন্তর :আমার এখন মনে হচ্ছে কি জানিস,,,
লোকটার কথা না শুনে নিঝুমের কথাটা একবার শুনা উচিত ছিল!
.
আদি :হুম আমি তোকে কখন থেকে সেই একই কথা বলছি,,,
যাক বাবা তাহে তুই এখন বুঝেছিস।
.
আদি :ভাবিকে একটা ফোন লাগাতো,,,
অন্তর :পারবো না আমি,,,
ওর সাথে ওই ভাবে কথা বলার পর এখন আমার ফোন করাটা ঠিক হবে না।
আদি :আচ্ছা, তাহলে আমিই দিচ্ছি।
.
আরে Bro,ফোনটা তো বন্ধ বলছে,,,
অন্তর :বলিস কি, মেয়েটা উলটা পালটা কিছু করেনিতো,,, না না হয়তো ফোনের চাজ শেষ,,
.
থাক পরে ফোন করিস,,
.
নিঝুম :এই তুই সেই কখন থেকে দেখছি ফোন গোটাচিস,,, কোন কথা বলছিস না কেন?
উপমা :একটা জিনিস খোজতেছি বাবু,,
আচ্ছা, অন্তর ভাইয়ার সাথের ওই ছেলেটার আদির পুরো নাম কি যেনো।
নিঝুম :আদি চৌধুরী,,,
উপমা :হুম,,,,
নিঝুম :কি করবি তুই এখন,,,
উপমা :কি করবো সেটা তোকে পরে না হয় জানাবো,,,, এখন আমাকে একটু একা থাকতে দে,,, আর তুই ও গিয়ে রেস্ট নে বাবু,,,
নিঝুম :আচ্ছা,,,,
.
উপমা এক হাতে কপি ও এক হাতে মোবাইল নিয়ে টিপতে টিপতে আবার গেল বারান্দায়,,,
.
আদি :অন্তর তোকে আন্টি ডাকছে,,,
আর আমি বারান্দায় ঠিক আছে,,,
অন্তর kk,,,
.
অন্তর চলে গেল তার মার কাছে,,,,
আদি :অনেক দিন হইছে ফেসবুকে ডুকিইয়েছেনাই একটু ডুকি তো,,
লেফটপটা হাতে নিয়ে,,, বারান্দায় রকিং চেয়ারটায় গিয়ে বসলো,,,
আদি :আরে কোনো মেয়ে একজনের SMS, দেখি তো,,,
Sms টা পরতেই দেখি উপরে উপমা রাহমান নাম লেখা,,
আদি :ওহ আমার মায়াবতি টা মনে হয় দিয়েছে sms, ,,
আরে এতো উপমাই (প্রোফাইলে ডুকে)
ওহ কিযে কিউট লাগে ওকে শাড়ি পরলে,,, বলে বুঝানী অসম্ভব,,,
থাক পরে দেখবো,,, ওর প্রোফাইল এখন দেখি কি মনে করে এস এম এস দিয়েছে।
ফেসবুকে …….
.
উপমা :আপনার ফোন নাম্বার টা আমার কাছে নেই তাই ফেসবুকে এস এম এসটা করতে হলো,,,
আদি :কি জন্য করেছেন sms মিস রাহমান,,,
উপমা :আপনার সাথে কিছু কথা আছে,,
আদি :কি বলুন,,,
উপমা ms. বলা যাবে না, ফোনে বললে ভালো হয়।
আদি :আরে হাতে নাতে প্রমাণ মেয়েরা ছেলেদের ফোন নাম্বার কিভাবে নেয়,,,
আমি এখনিই status দিয়ে দিচ্ছি,,,
উপমা :ওই মিয়া আমি কি আপনার সাথে ফাইজলামি করতেছি,,,
আদি :ফাইজলামি কেন করবা,,, একটু প্রেম করলেই তো হয়,,,
উপমা :আমার বয়ে গেছে এমন হেঙলা ছেলের সাথে প্রেম করার,,
আদি :কি আমি হেঙলা ছেলে?
হেঙলা হই আর যাই হবোই তোমার মতো আর ওতো শাক চুন্নি না, শেওরা গাছের পেত্নী না,
উপমা :মুখ সামলিয়ে কথা বলুন বলতেছি,,,
এই সব কিছু আপনি আমি না,,,
আদি :ছেলেরা এই সব হয়,
হায়রে দুনিয়া, এই মেয়েগুলা ছেলেদের এখন মেয়ে বানিয়ে রেখেছে
.
উপমা :ঝগড়া অফ, কাজের কথায় আসি,,,
আদি :ওকে,
তারপর দুজনে ফোনে কিছু বলে,,,,
আদি :তাহলে ওই কথাই রইলো,,,
শেওরাগাছের পেত্নী,,,,
হিহিহিহি
উপমার রাগ এভার চরম সিমানায়,,,
উপমা :ওই ওই গরু, ছাগল, বানর, জিরাফ, হাতির বাচ্চা,,, তোকে আমি শুধু একটা বার হাতের কাছে পাই তখন দেখিস তোর গলা কেটে আমি কিভাবে পার্টি দেই।
আদি :আমাকে Invite করতে ভুলবে না কিন্তু, সুইটহাট,,,
উমমমমা……
উপমা কিছু বলার আগেই ফোনটা কেটে দিলো,,,
.
উপমা :সালা লুচু তুই বড্ড বার বেড়েছিস,,
দাড়া হাতের কাছে একবার পাই,,,
তখন মজা বুঝাবো।
হুহ
.
উপমা নিঝুমের কাছে বলে বাসায় চলে যায়, সকলের সাথে মানে নিঝুমের, নীলার বাসার সবার সাথে কথা বলে তারা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্লেন করছে,,, উপমার কথা শুনে সকলে রাজি,,,
উপমা :তো আঙ্কেল,, বুঝেছেন তো,, আমরা কেন ঘুরতে যাচ্ছি।
নিঝুমের বাবা :হে মা বুঝেছি,,,
আপনাদের Next week এ তো পরীক্ষা আর দেখা হয় কি না হয় সেই জন্য কিছু দিনের জন্য সবাই একসাথে থাকতে চাচ্ছেন,,,
উপমা :এই তো Good boy,,,
কি সুন্দর সব কথা বলে পেলেছে,,,
নিঝুমের বাবা :হুহ,,,
.
তারপর ফোন কেটে দিলো।
পরেরদিন …….
নিঝুম :কিরে বলা নেই কওয়া নেই হুট করে সিলাটে যাওয়ার জন্য বলে দিলি,,,
উপমা :কথা না বলে গাড়িতে উঠ দেড়ি হচ্ছে,,,
.
তারপর উপমা গাড়ি চালাচ্ছে,,,, নিঝুম উপমার পাশেই মানে সামনে বসেছে, আর নিলা পেছনে বসেছে।
গাড়ি চলতে চলতে ঢাকার বাইরে চলে আসছে ……..
.
নিলা :কিরে সেই কখন থেকে চুপ করে আছি, কোনো কথা বার্তা নাই মরা মুগদার এর মতো রইছি।
উপমা :তোরে কেউ বলছে নাকি মরার মুগদার এর মতো থাকতে,,,
কথা বল,,, নিজে যা পারছ আবল-তাবল বক সমস্যা কি,,
নিলা :হ্যাঁ আমি নিজে নিজে বকি আর রাস্তার মানুষ আমারে দেখি বলবে ওই দেখ পাগল নিজে নিজে বকে,,
.
উপমা :পাগলরে পাগল বলবে না তো লোকে কি ছাগল বলবে নাকি হুহ
নিলা :তুই সব সময় আমার সাথে এমন করছ,, আল্লাহ তুমি ওর বিচার কইরো,,,
তার কপালে একটা বুইরা জামাই জুটাই দিও,,
আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলার এটাই তোর অভিশাপ দিলাম আমি যা,,,
উপমা :শুনে রাখ শখুনের দোয়ায় গরু মরে না। এটা মাথায় রাখিস, আর তোর তো কপালে জামাই জুটবো না। শাকচুন্নী কোথাকার।
নিলা :হিহিহি ……
কেউ শুনো নিজে নিজেকে গরু বলে,,
উপমা লজ্জা পেয়ে,,
উপমা :চুপ থাক, শেওরাগাছের পেত্নী, আমারে জ্ঞান দিতে আসছে,,,
কিরে নিঝুম তুই কথা কছ না কেন,,,
.
নিলা :হ্যাঁ ঠিকই তো, আমরা সেই কখন থেকে বকবক করছি ও তো কিছুই বলছে না,,,
উপমা :দেত আমার এখানে আশাটাই ভুল হইছে,,
যার জন্য আসা সেই মন খারাপ করে বসে আছে,,,
নিলা :নিঝুম কথা বল মন খারাপ করছ কেন উপা তো একটা না একটা উপায় বের করবেই।
উপমা :হ্যাঁ আমি তো উপায় বের করে রাখছি, কিন্তু ওনিতো কথাই বলছে না,,,
নিঝুম :ওরে আমার সোনার ময়না পাখিরা রে আমি মন খারাপ করে বসে আছি বলে ওনারাও মন খারাপ করে বসে আছে,,
উপমা :তো কি করবো, আমার বেবি টা মন খারাপ আর আমরা বুঝি হাসাহাসি করবো।
নিঝুম :ওকে বাবা, আর মন খারাপ করবো না, হইছে,,,
উপমা :হুহ,,
আরে আরে সামনে দেখ,,,
নিলা :ওয়াও জাস্ট ওয়াও,,,
এতো সুন্দর যায়গা আমি আর দেখি নাই,,,
গাড়ি থামা গাড়ি থামা।
উপমা গাড়ি থামিয়ে,, তিনজনে দৌড়ে সেই যায়গাটায় গেলো,,,
অসম্ভব সুন্দর লাগছে যায়গাটা,,, চারদিকে ফুল, গাছে গাছে সবুজ পাতা, আর এখন বসন্ত কাল ও তাই গাছের পাতা ঝরে নতুন ফুল ও পাতা বের হয়েছে,,,
উপমা :সত্যি যায়গাটা অনেক সুন্দর না,,
নিঝুম :হুহ আমার খুবই ভালো লাগতেছে রে,,,
নিলা :এই উপমা একটা গান ধর তো,,,
নিঝুম :হ্যাঁ উপমা ধর প্লিজ,,,
উপমা :হুম, আমার সাথে তোরাও গাইতে হবে,,,
নিঝুম ও নিলা :ওকে,,
.
উপমা একটা গাছের কাছে গিয়ে গাছটাকে একহাত দিয়ে ধরে আরেক হাত অনেক দিকে বাড়িয়ে ঘুরছে,,,,
সবাই একসাথে মিলে একটা গান ধরলো,,,
.
আমি বৃষ্টির ফোঁটায় তোমায় দেখছি,,,
জানিনা তুমি আমায় দেখছো কি।
উধুশি বিকেল আর ক্লান্ত দুপুরে ভাবছি,,,
জানিনা, তুমি আমায় ভাবছো কি।
কথা হয়, দেখা হয় না,,,
জানিনা, জানিনা কেনো।
শোনা হয় বুঝা হয়না,,,
বুঝিনা, বুঝিনা কেনো।
জানিনা আর কতো দিন চলবে চলছে যেভাবে,,,
চলোনা মেতে উঠি কাছে আসার এই উৎসবে,,,……..2
কাছে আসার এই উৎসবে।
[তারপর আপনারা শুনে নিয়েন, এটা মিনারের গান মেঘ এনেছি ভেজা নাটকের,,, অনেক সুন্দর গানটা, আমি দেই নাই পুরাটা কারন গল্পে ব্যাঘাত ঘটবে ] .
আদি :অন্তর এই অন্তর,,,
অন্তর :কি হয়েছে কি বল,,,
আদি :আমার বাসায় বসে থাকতে একদম ভালো লাগছে না, ১৫ দিন হলো তোদের দেশে আসছি কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাসনা কেন,,
কেমন বন্ধুরে তুই,,
অন্তর :তোর ঘুরার প্লেন আমি মরছি আমার জালায়!
আদি :তুই মরলে আমার কি, আমি বলছি আমাকে কোথাও ঘুরতে নিতে নিবি ব্যাস।
কথা ফাইনাল আর কিছু শুনতে চাচ্ছি না,,,
অন্তর :ভাই এখন ঘুরতে যাবো কিভাবে,,, নিঝুমের ফোন সেই রাত থেকে বন্ধ,,, কি হয়েছে মেয়েটার,,, এতো ফোন করলাম, এতো মেসেজ নো রিপলাই,,,
আমার তো মন চাইতেছে নিজে নিজেকে শেষকরে দেই ,,,,
আমি যেতে পারবো না,
আদি :আন্টি, আন্টি,, শুনো এই দিকে আসো,,, (দরজা দিয়ে উকি মেরে ডাক দিয়ে)
অন্তর এতো পায়চারী করছিলো, দৌড়ে আদির কাছে এসে,,,
অন্তর :ওই মাকে ডাকছিস কেন,,,
আদি :কেন ডাকতেছি,, তোরে বলবো কেন,,,
অন্তর :প্লিজ কালকের ব্যাপার নিয়ে কিছু বলিস না,,,
আদি :বলবো একশো বার,, তুই তো নিঝুম ভাবিকে ভালোবাসিস না, তো বলবো না কেন আমি বিয়েই ভেঙে দিবো।
অন্তর :না ভাই প্লিজ, এমন করে না,,, ওরে আমি অনেক ভালোবাসি,,, নিজের জিবনের থেকে ও বেশি,,, (আদির দুই হাত নিজের মুঠোই করে)
.
অন্তরের মা :কি হইছে আদি ডাকছো কেনো?
আদি :আন্টি তোমার ছেলে,,,
অন্তর নিষ্পাপের মতো আদির দিকে তাকিয়ে আছে আদি তা লক্ষ করেছে,,
অন্তরের মা :আমার ছেলে কি করেছে,,,
বকেছে তোমায়, মেরেছে,,, বলো,,,
আদি :আন্টি, আমি ওরে বলছি আমায় কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে ও নিয়ে যাচ্ছে না,,, (একটু মায়া লাগিয়ে আন্টিকে বলছে)
.
অন্তরের মা :অন্তর যা ওকে বাইরে কোথাও নিয়ে যা,,, ছেলেটা এই প্রথম বাংলাদেশে আসছে,,, ওকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আয় যা,,,,
আদি ও তোমায় নিয়ে যাবে,,,
আমি বলে দিছি,,,
আদি :ওকে আন্টি Thanks,,,
ইউ ইজ দা বেস্ট আন্টি,,,
অন্তরের মায়ের গালে হাত দিয়ে
.
অন্তরের মা চলে গেল।
অন্তর :তোকে তো,,,
আদি :এই এই কিচ্ছু করতে আসলে আবার আন্টিকে ডাক দিবো,,,
অন্তর :হ্য খোদা আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যাও, আমি আর এই অশান্তি ময় পৃথিবীতে থাকতে চাই না,,,
আদি :না খোদা নিয়ো না, ওকে নিলে আমাকে কে ঘুরতে নিয়ে যাবে,,,
প্লিজ নিও না ওকে,,,
অন্তর তোকে উপর ওয়ালা এখন নিবে না আমি বলে দিছি, ওকে
এখন চল,,, আমি বইয়ে অনেক পরছি সিলেট নাকি চা বাগানের অভাব নেই,,, আর আমার চা বাগান দেখার অবিজ্ঞটা ৪ বছর ধরে,,
প্লিজ নিয়ে চল,,,
অন্তর :তোকে নিয়ে গেলে নিঝুম,,,
আদি :ওটা পরে আমি মেনেজ করে দিবো,,,
চল আমরা বেরিয়ে পরি অনেক লেট হয়ে গেছে,, চল চল
.
এই দিকে উপমা, নিঝুম, নিলা, সিলেট পৌঁছে, একটা ভাংলো উপমা আগেই বুক করে রেখেছে,, সেখানে গিয়ে উঠেছে,,,
সবাই ফ্রেশহয়ে ঘুরতে বের হয়েছে,,
উপমা :এই শুন,, এখানে ঝরনার কাছেই একটা সমুদ্রের কিনারা আছে আমরা ওখানেই যাচ্ছি,,,
নিঝুম :সত্যি,,, ওহ আমি ওনেক দিন দেখি নাই,,, ঝরনায় ও যাবো,,,
নিলা :হ্যাঁ আমিও,,
উপমা :হুম, আমরা সবাই যাবো চল।
.
তারা সেই সমুদ্রের কাছে পৌঁছে একটা বিচের উপর বসে বসে ডাবের পানি খাচ্ছে,,,
এই দিকে অন্তর ও আদিও পৌঁছে গেছে,, তারাওসসমুদ্রের কাছে গেল,,,
আদি :অস্তির bro,, যায়গাটা কিন্তু ওনেক সুন্দর আমি আগামী ৭ দিন এখানে কাটাচ্ছি,,,
অন্তর :তুই কাটা আমি কান্না করি,,, .
.
আদি :আচ্ছা, ব্রো,,,
আরে সামনে তাকা কারা ওরা,,, (চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলে)
অন্তর তো অবাক.
.
.
চলবে …………….....
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Imran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSabbir Hossain
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে