বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
♥হৃদয়ের মাঝখানে♥
.
পার্ট-০৭
.
আদি :বেশী কিছু চাইবো না,,,
শুধু উপমার কাছেই একটা জিনিস চাইবো।
উপমা :কি চান সেটা বলবেন তো?
তাহলেই তো আমি দিবো।
আদি :প্রমিস যেহেতু করেছেন সেহেতু দিতেই হবে,,,
আমি উপমার কাছে একটা জিনিসই চাই যে,,,
।
।
সবাই মনে মনে ভাবতেছে উপমার কাছে আদি কি এমন চাইবে।
আর এভাবেই বা বলতেছে কেনো,,
আদি :আমি উপমার কণ্ঠে একটা গান শুনতে চাই, তার নিজের লেখা তাও,,,
সবাই আদির কথা শুনে তো খুশিতে শেষ অনেক দিন পর উপমার কণ্ঠে আবার গান, ভাবতেই কি যে আনন্দ লাগছে,,
.
উপমা কিছুটা দূরে গিয়ে …….
উপমা :না আমি পারবো না গাইতে,,
চাইলে অন্য কিছু চাইতে পারেন, কিন্তু আমি গান গাইবো না।
আদি :প্রমিস করেছো কিন্তু,
প্রমিস করলে যে রাখতেই হয় সেটা ভালো .
করেই নিশ্চয়ই জানো,,
.
উপমা :আরে ও কিভাবে জানে যে আমি গান করি এবং লিখি,,
নিধি বলেছে, না নিধি তো শুধু জানে আমি গান গাই লিখি সেটা তো জানে না, আমি যে গান লিখি সেটা তো আবির ,পাপা , মাম্মা, আর নিঝুমই জানে,, এদের মধ্যই কেউ বলছে,,
কে বলতে পারে নিঝুম না ও কাউকে বলবে না,
পাপা তো অফিসে ছিলো, তাহলে নিশ্চয়ই মাম্মা বলছে,, মাম্মাকে আমি পরে দেখে নিচ্ছি, এখন আমি এইদিকে দেখি। (এতক্ষণ মনে মনে বলছে)
.
আদি :মাম্মার ব্যবস্থা পরে করবেন এখন আমাদের সকলকে গান শুনান।
উপমার বাবা :হ্যাঁ মামুনি অনেক দিন হইছে আমরা তোর মুখে গান শুনি নাই,,
আজকে এই পাপার জন্য না হয় একটা গান গা।
নিলা :উপমা প্লিজ একটা গানই তো।
.
সবাই উপমাকে গান শুনাতে বলছে কিন্তু উপমা নাই করছে,,
উপমার মা :তোর এই মা তোকে বলছে একটা গানই শুধু গা প্লিজ।
.
উপমা কিছুক্ষণ ভাবার পর …….
হুট করেই উপরে চলে যায়।
উপমার বাবা :আর ঠিক হলো না মেয়েটা,
দুবছর হলো একটি বারের জন্য ও গান গাইলো না,
কে ঠিক করবে আমার Princess টাকে কে আবার তাকে নতুন জিবনে পিরিয়ে আনবে।
উপমার বাবা প্রায় কেঁদেই দিলো।
আদি :আঙ্কেল প্লিজ কাঁদবেন না একজন না একজন আসবেই, ওর জিবনটা সুন্দর করে সাজায়ে দিতে, আবার ঠিক আগের মতো করে দিতে।
.
উপমার বাবা :তোমার কথা যেন সত্যি হয়, এমন একজন ওর জিবনে আসুক যে সবকিছু ই ওর জিবনের পালটে দিবে।
আদি উপমার বাবাকে ধরে একটা আসসাস দিলো।
.
উপমা কিছুক্ষণ পর একটা গিটার নিয়ে নিচে নেমে এলো,,
আদি :ওইতো দেখুন আঙ্কেল আমি বললাম না
উপমা তো আমাদের প্রমিস রাখবেই, আর দেখুন চলেও আসছে,,
সবাই উপমাকে দেখে এক গাল হেসে দিলো,,
.
সবাই সোফায় গোল করে বসলো,, উপমা সবার সামনে যে সোফাটা ওটায় বসছে,,
আদি :Ladies And Gentleman,,
Our Now In Front Of Song Dispensing
Lis UPOMA Rahman
Everybody One Hand patch ……..
.
সবাই একটা হাত তালি দিলো,,
উপমা গিটার হাতে নিয়ে ধীর মগ্নে বাজাচ্ছে,,
আদি এক দৃষ্টিতে উপমার দিকে তাকিয়ে আছে,,
আর মনে মনে ভাবছে ……
আদি :যার গিটারের সুর এতো সুন্দর তার কণ্ঠ তো নিশ্চয়ই আরো সুন্দর হবে ………
.
উপমা গিটারের সুরে সুরে চোখ বন্ধ করে গান গাওয়া শুরু করলো …………….
স্তব্ধ সময়টাকে গুছিয়ে নিয়েছি,,
নিজের মতো করে আমি,,
হু….হু……..হু………
ভালো করেছিস তুই দুরে গিয়ে,,
গুছোতে পেরেছি নিজেকে আমি. ,……………2
.
শত আবেগের মাঝে ছিলাম আমি বেচেঁ,,
তোকেই শুধু ভালোবেসে।
অভিনয়টাও না বা করতি,,
চেয়ে চলে যেতি আগেই।
হো……..হো…………হো……………..
.
মনে পরে না এখন আর,
তোর সেই হাসিটি।
খুব ভালো আছি এখন আমি,
হ.হ.হ………..
ছায়াগুলো গিরে আজওও…………..
.
ভালো আছি আমিইইইইইইইই……………2
ভালো আছি আমিইইইইইইইই…………….2
ভালো, ভালো, ভালো আছি……………
.
আবার সু দেওয়া শুরু করলো,,
আদির চোখ তো উপমার থেকে সরছেই না,,
তাকিয়েই আছে ……….
উপমা একবার সবার দিকে তাকিয়ে আবার নিজের গানের তালে সুর দিতে ব্যস্ত।
.
ছায়া হয়ে আছে আজওওওওওওওওও
সেই আবেগটুকু…………
সৃতি হয়ে আছে আজওওওওওওওওও
সেই অভিনয়টাওওওওওওওও
.
স্তব্ধ সময়টাকে গুছিয়ে নিয়েছি,
নিজের মতো করে আমি।
ভালো করেছিস দূরে গিয়ে,
গুছাতে পেরেছি নিজেকে আমি।
.
ভালো আছি আমিইইইইইইই
ভালো আছি আমিইইইইইইইই………..2
.
অচেনা পথে খুজে আজও তোকে,
এই মন ওওওওওওওওওও
রাতের জোনাকিরাও বলে যায় আমায়,
পাশে আছি সারাক্ষণ …………..2
হু.হু.হু………………..
.
স্তব্ধ সময়টাকে গুছিয়ে নিয়েছি,
নিজের মতো করে আমি।
ভালো করেছিস দূরে গিয়ে,
গুছোতে পেরেছি নিজেকে আমিইইইইইইইইইইই,,,,,,
হোওওওও,হোওওওওওও,হোওওওওওও।
.
সবাই উপমাকে কিছু বলার আগেই উপমা এক দৌড়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা মেরে দেয়।
কেউ তাকে বাদাও দেয় না,,
সেদিনের মতো আদি চলে যায়, উপমার মা বাবা আবার আসতে বলে আদিকে এই বাসায়।
.
পরেরদিন,,,
আদি, অন্তর, নিঝুম ও তানিয়া দাড়িয়ে ফুসকা খাচ্ছে,,
অন্তর :আরে মামা একটা ফুসকা খেয়ে দেখ, কেমন লাগে সত্যি অনেক টেস্ট,,
আদি :তোকে বললাম না আমি রাস্তার জিনিস খাই না, দেখতেই তো পাচ্ছিস রাস্তার ধুলা বালি সব এখানে এসে পরছে,,
এগুলো খেলে পরে আমার. Poisoning হবে,,
আমাকে হসপিটালে থাকতে হবে।
আর আমি এইসব কোনো দিন খাই ও নি খাবো ও না।
অন্তর :As are Your Wish, আমাদের তাহলে আর কিছু করার নাই,,,
.
আদি :আমার এমন লাগছে কেনো, কাকে যেন খুব মিস করছি, কিন্তু কাকে করছি, আমি কারো সাথে তেমন কথা ও বলি না, বুকের বা পাশটায় কেমন ব্যথা করছে, আমি কি কাউকে খুব ভালোবেসে পেলছি,, না না আমি আবার কাকে ভালোবাসবো, কিন্তু মনে তো হচ্ছে আমার মনের মাঝে কেউ আছেই,,
আদি নিজে নিজে ভাবছে।
সামনে তাকাতেই দেখি,,
আদি :আমার মনটা খুব ভালো হয়ে গেছে, মুখে হাসি ফুটে উঠলো, হ্রিদস্পন্দন গুলো কেমন জানি করছে,,
তবে কি এর,,
জন্য ই এতোক্ষন আমার মন খারাপ করেছে, বুকে ব্যথা হয়েছে,, কিন্তু আমি তো ওকে ভালোবাসি না, ওর সাথে সারাক্ষণ, দেতে বাদ দেই ওর কাছে যাই,,
.
মেয়েটা কেমন বাচ্চাদের মতো,,
নিজেই একটা বাচ্চা আবার অন্য দের বাচ্চা বানিয়ে রেখেছে নিজের কাছে অদ্ভুত,,
আদি ওর কাছে একটু দূরে দাড়িয়ে তার বঈি গুলো দেখছে,, .
.
মেয়েটা সবার সাথেই ভালো ব্যবহার করে, মনে হয় আমার সাথেই শুধু এমন করে।
হুহ, আমিও কিন্তু কম না আমিও করতে পারি আপনার সাথে এমন ব্যবহার
.
.
উপমা সবার সাথে কথা বলছে ভার্সিটির, তাকে ছেলেমেয়ে গুলো অনেক দিন পর দেখেছে, তাই সবাই একটু ভালোমতো কথা বলছে,,,
উপমা সবার সাথে কথা বলে আসতেই দেখে আদি তার দিকে তাকিয়ে আছে,,
আদির কাছে এসে …..
.
উপমা :এই যে মিস্টার কি দেখছেন এভাবে?
আদি :ক..কই কিছু না তো?
উপমা :ও.আচ্ছা,
আদি :Thanks,
উপমা :কেনো?
আদি :কালকে গানটা গাওয়ার জন্য &তোমার গলাটা অনেক সুন্দর গানের।
উপমা :হুহ,
.
অন্তর :আদি এই আদি,
কই গেলো ছেলেটা,
নিঝুম :সামনে তাকিয়ে দেখো?
অন্তর :সত্যি দুজনকে বেশ লাগছে,
কিন্তু ওরা এতো সাভাবিক ভাবে কথা বলছে কিভাবে?
একজন আরেক জনকে তো সহ্য করতে পারে না।
নিঝুম :কালকে নিশ্চিত ই ভাব হয়েছে, দুজনের।
অন্তর :হলে তো ভালোই, চলো ওদের কাছে যাই।
তানিয়া :হুম চলেন জিজু ।
.
অন্তর :কি করছেন দুজন এখানে?
আদি :ওই তো উপমার সাথে …..
বলার আগেই উপমা চোখ দিয়ে ইশারা দিয়ে না করে দিয়েছে।
অন্তর :থেকে গেলেন যে বলেন?
আদি :আরে উপমা আমার রান্নার তারিফ করছে, কালকে আন্টির সাথে আমি ও একটু রান্না করছিলাম তো তাই।
অন্তর :ওওওও আচ্ছা,
.
উপমা নিঝুম ও তানিয়াকে অনেক দিন পর দেখা হওয়ার কারনে জরিয়ে ধরেছে।
উপমা :জানিস এতো দিন তোদের আমি এত্তো গুলা মিস করছি,,,
নিঝুম :আমরাও কিন্তু কম করিনি।
.
আদি শুধু ভার বার উপমার দিকে তাকাচ্ছে কেননা উপমা অন্য দিনের তুলনায় আজকে অনেক সুন্দর লাগছে,,,
আজকে একটা নেবি -ব্লু কালের গ্রাওন পরেছে,,
চুল গুলো ছারানো,, উরনাটা একপাশে। অসম্ভব সুন্দর লাগছে। .
আদিকেও কিন্তু কম লাশছে না স্মার্ট ও সুন্দর ছেলেদের তো যেকোন কিছু গায়ে দিলাই মানায় তেমনি আদিকেও ব্লাক সার্ট ও ব্লাক জিন্স এ অনেক সুন্দর লাগছে।
ভার্সিটির মেয়েগুলো শুধু আদির চারপাশে ঘুরাপেরা করছে।
.
উপমা :চল ক্লাসে যাই, কিছুক্ষণ পরই তো শুরু হবে।
অন্তর :তো আপনারা ক্লাসে যান, আমরা ক্লাস শেষ হলেই আসবো,
উপমা :হুম আইসেন আজকে আমার মাথায় একটা ভূত চেপে আসছে না বললে বৃথা যাবে।
আদি :কি ভূত চেপে আসছে,,,
শেওরা না তাল গাছের,,
উপমা :শেওরা গাছের আজকে আপনাদের গাড় মটকাবে।
আদি :ওরে বাপরে তায়লে আমি নাই,,,
আমি কিন্তু ভূতে অনেক ভয় আছে।
.
উপমা :আপনার একা না আমাদের ও আছে,,,
আদি :আমার জানা ছিল না যে ভূতের ও আবার ভূতের ভয় আছে,
হি …হি…হি
.
উপমা :তোকে তো?
অন্তর :আদি চুপ কর আর চল আমি কিছু শপিং করবো।
আদি kk, চল,
ভূত আপু বায় পের আবার দেখা হচ্ছে।
.
নিঝুম, তানিয়া, উপমা সবাই ক্লাসে চলে গেল।
.
উপমা ক্লাসে বসে নিজে নিজে ভাবছে,,,
কলম মুখে দিয়ে,,
উপমা :আমি কি আগের জিবনে থেকে পনিরের আসতে পারিনা, নতুন করে আবার জিবনটা সুন্দর করে সাজাতে পারিনা। হে পারিতো, বার বার আবিরের কথা না ভেবে সামনে অন্য কারো কথা ভাবলেও তো পারি, ও তো আর এই পৃথিবী তে নেই, চাইলেও তাকে আমি আর পাবো না।
আমাকে ওর কথা, পুরোনো সৃতি গুলো ভুলে যেতে হবে, সব ভুলে আমি আবার আমার জিবনকে খুব সুন্দর করে সাজাবো, নিজের মতো করে, আমি আবার গান গাওয়া শুরু করবো।
আচ্ছা, আমি এটাই বুঝিনা আদি আমার মনের কথা বুঝে কিভাবে আমি যে মনে মনে ভাবলাম নিশ্চয়ই মাম্মা আদিকে বলেছে আমি গান গাই, আর মাম্মার কে কিছু করবো আমি, ওতো ঠিকই ধরে পেলছে,,,
কিভাবে বুঝে আমার মনের কথা।
ওকি আমাকে ভালোবাসে,,, না না আমি কি সব আবোল তাবোল ভাবছি, ওতো আমাকে সহ্য করতে পারেনা।
সব সময় নিজেকে নিয়ে ভাবে, কয়জনের সাথে প্রেম করে আল্লাহ জানে, ও যদি কোনো দিন আমাকে প্রপোজ ও করে I Don’t. Accept, হুহ
.
.
নিঝুম :ওই কি এমন ভাবছিস রে? (উপমাকে ঠেলা দিয়ে)
উপমা :কক…কই কিছু না তো?
নিঝুম :তুই কিছু এতটা ভাবছিস দেখাই বুঝা যাচ্ছে!
উপমা :হুম আমি একটা জিনিস ভাবছি!
নিঝুম:কি বলনা?
উপমা :ক্লাস শেষে জানতে পারবি?
নিঝুম :আচ্ছা, ঠিক আছে( মন খারাপ করে)
.
ক্লাস শেষে …….
আদি :Bro, এই মেয়ে গুলো আমাদের দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেন?
অন্তর :তোকে পছন্দ হইছে তাই।
আদি :কছু পছন্দ হইছে, পছন্দ হলে উপমা এমন ভাবে বসে আছে কেন?
এই এই কি বলে পেললাম দেত।
অন্তর :কি কি বললি তুই?
আদি :কই কিছু না তো? (একটা হাসি দিয়ে)
.
অন্তর :আমি Sure তুই উপমাকে ভালোবেসে পেলচছ, একদম মিথ্যা কথা বলবি না এখন,
আদি :হেরে ভাই পেলছি!
(মাথা চুলকাতে চুলকাতে)
.
অন্তর :তো বলিস না কেন?
আদি :সময় হলেই বলবো।
অন্তর k, তোর ইচ্ছে।
ওই তো তোর ভাবি চলে আসছে,
উপমা :আমরা চলে আসছি,,,
অন্তর :খুব ভালো করেছেন, শালি সাহেবা।
উপমা :চলেন?
আদি :কইইইইই?
উপমা :কোথায় আবার রেস্টুরেন্টে?
আদি :ও আচ্ছা, চলেন।
.
আদি, উপমা, নিঝুম, অন্তর চার জনেই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশে রওনা দিলো।
নিঝুম :ওই উপমা নিঝুম আসে না কেন রে ভার্সিটিতে?
উপমা :ওর বাসায় একটু প্রবলেম হইছে তাই,
নিঝুম :ওওওওও.
.
সবাই গাড়ি থেকে নেমে একটা রেস্টুরেন্টে ডুকলো।
চারজনেই একসাথে একটা টেবিলে বুক করে বসলো।
আদি :আমি গিয়ে খাবার অডার করি।
অন্তর :হুম যা,
.
আদি কিছুক্ষণ পর খাওয়ার নিয়ে এসে বসলো, সবাই খাচ্ছে,, হঠাৎ একটা লোক এসে,,,
লোক:আরে আপনি,,,
এখানে?
নিঝুম :আ…আ আমি,,,
লোক :হে আপনি?
বাবারে ওনি নিজেও তো আছেন (উপমাকে উদেশ্যে করে)
উপমা :কি কি এখানে?
লোক :ভাই আপনার কি হয় ওনারা?
অন্তর :ও আমার বাগদওা (নিঝুমকে দেখিয়ে)
আর ও আমার শালি, (উপলাকে দেখিয়ে)
লোক :নিঝুম আপনার বাগদওা মানে?
আদি :বাগদওা মানে কি বুঝেন না,,,
লোক :হে বুঝি কিন্তু ও তো অন্য কারো বাগদওা!
.
উপমা :এই রে সালা দেখি এখানে বেজাল লাগাহইতে আইছে,,, (মনে মনে)
অন্তর :অন্য কারো,,,
ভাই আপনি একটু বুঝাই বলেন তো?
উপমা :বুঝাই বলার কি আছে,,,
অন্য কারো হবু বউ মানে আপনাকেই বলছে জিজু,,,
অন্তর :উপমা তুমি কথা ঘুরিও না,,,
আমি ওনার সাথে কথা বলছি ওনাকে বলতে দেও,,,
উপমা :জিজু আপনি আমার কথা শুনেন, অচেনা অজানা লোকের কথা শুনার তো কোনো দরকার নাই,,,
আদি :আমি তো কিছুই বুঝতেছি না, কি বলছে কি, মাথায় কিছু ডুকছে না,,
.
উপমা :ওই সালা দাড়া তুই এখানে কেন আইসছ, মার খাইতে, দাড়া কেবল তুই, নিঝুম বাইর হো তো,,,
লোক :আমাকে একদম ভয় দেখাবেন না,
আপনারা মেয়েরা একজনের সাথে বিয়ে করবেন আর গুরছেন, খাচ্ছেন অন্য ছেলের সাথে, আর এর প্রতিবাদ করতে আসলেই খারাফ।
উপমা :মুখ সামলিয়ে কথা বলেন না হলে আজকে মাথা পাটিয়ে দিবো।
অন্তর :ভাই আপনি ওর কথা শুনবেন না, আমাকে বলুন,,,
লোক :এই যে নিঝুম দু মাস আগে প্রেগন্যান্ট ছিলো,,, তার সাথে আমার বিয়ের কথা চলছিলো,,,
উপমা :চুপ একদম চুপ আজে বাজে কথা বলেন কই থেকে,,,
আজকে তোকে তো??
.
লোকটা ভয়ে এক দৌড়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলো।
কেননা সে উপমার আগের কথা গুলো মনে করে, কর যদি এখন আবার তার মান সম্মান নিয়ে উপমা কিছু করে সেই ভয়ে পালিয়ে গেল।
.
অন্তর :নিঝুম কি এইসব,,, (রাগিব চোখে নিঝুমের দিকে তাকিয়ে)
নিঝুম :আমি তোমাকে বলছি, চুপ করে বসো এখানে?
অন্তর :চুপ করে বসবো আমি হে চুপ করে,,, 100 ছেলের সাথে লাইন মারো, আর না জানি কতো ছেলের সাথে রাত কাটিয়ে ছো,,,
উপমা :জিজু আমার …..
অন্তর :চুপ একদম চুপ আমি তোমার কোনো কৈপিয়ত শুনতে চাচ্ছি না,,,
আমি ওর সাথে কথা বলছি,,,
আদি :অন্তর তুই এভাবে কথা বলছিস কেনো,?
অন্তর :আমি আজকে বাসায় গিয়ে এই বিয়ে ভেঙে দিবো, এই বিয়ে আর হবে না, মা বাবা না জেনে শুনে একটা খারাপ মেয়ের সাথে আমাকে বিয়ে দিতে গিয়েছিলো,,,
কথাটা বলায় নিঝুমের বুকে খুব আঘাত পায়, আর চোখ দিয়ে অনোবরত পানি পরতে থাকে,,
ঠিকই তো পরবে না কেনো ভালোবাসার মানুষ যদি এমন কথা বলে তো কার না চোখ দিয়ে পানি পরবে।
.
নিঝুম অন্ততরের কথা গুলো আর নিতে না পেরে এক মিনিট ও রেস্টুরেন্টে দেরি না করে কাদতে কাদতেঁ বেরিয়ে গেলো,,,
সাথে উপমা ও দৌড়ে গেল,,
ওদের এই অবস্থা দেখে রেস্টুরেন্টের অন্য রা তাকিয়ে আছে,,
অন্তর :কি দেখছেন এভাবে,,
এখানে কি কোনো নাটক হচ্ছে, চিনেমা হল এটা তাই এভাবে দেখছেন,,,
কথা টা বলাতে অন্য সবাই আবার নিজের সামনের দিকে তাকিয়ে পরে,,,
অন্তর টেবিলে হাত দিয়ে একটা বাড়ি দিয়ে সেখান থেকে সোজা বাড়িতে চলে যায়,,
.
রাতে………………
.
চলবে……………………?
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Mariya Tasnim Suha
User ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বেSakib Al Hasan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেNahida Afrin Jany
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেIshika Ishu
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেSakib Al Hasan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেসোহানুর রহ
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেImran khan
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বেsamia
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে