বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
-বাবু রুম ডেট করবো। প্লিজ না করোনা?
- কী বলছো এসব?
- হ্যাঁ, ঠিকি বলছি। সবাই তো করে আমরা কেন না?
- কেউ করুক গিয়ে আমি পারবো না।
- মানে কী? আমার বন্ধু ফয়সাল তো তার গার্লফ্রেন্ড শিলার সাথে ওসব করেছে। তো আমাদের করলে সমস্যা কী?
- রাফিদ, এসব ফের বললে আমার পক্ষে সম্ভব হবেনা প্রেম করা তোমার সাথে।
- আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্ত তিন্নিও তো তার বিএফের সাথে সব করে। আমরা কেনো না?
- পারবো না এসব। ছিঃ তুমি এতো জঘন্য কেনো? ফের যদি বলো এসব আমি বাধ্য হবো তোমার থেকে দূরে সরে যেতে।
- আচ্ছা আর বলবনা।
- হুম গুড।
রাফিদ প্রচন্ড ভালবাসে রিয়াকে। কিন্তু বন্ধু-বান্ধবদের কাজকর্ম দেখেই সে এসব কথা রিয়াকে বললো। কিন্তু রিয়াতো ডিরেক্ট না করে দিয়েছে। বিয়ে রাফিদ রিয়াকেই করবে। কিন্তু তার মানে কী বিয়ের আগে কিছুই করা যাবেনা। রাফিদ ভাবে "ধুর, সবার প্রেম মধুর আর আমারটা এক নাম্বারের হুদাই প্রেম, কোনো রসকষ নাই।"
এর ৪ মাস পর ফয়সালের ব্যাপারে একটা খবর শুনে রাফিদ বিস্মিত হলো। প্রেগন্যান্সির দায়ে অল্পবয়সেই ফয়সালকে বিয়ে করতে হচ্ছে। ফয়সাল পড়াশোনায় অনেক ভালো। তাহলে এবার বউ বাচ্চা নিয়ে ফয়সাল আবার কীভাবে তার পড়ালেখাতে মনযোগ দিবে। এটা ভাবতেই রাফিদের কেমন যেন লাগে।
খবর নিয়ে আরো জানতে পারে এলাকার লোকজন নাকি ফয়সাল আর ওর স্ত্রী শিলা দুজনকেই চরিত্রহীনা বলা সহ আরো কতো কী বলে বেড়াচ্ছে। এদের উভয় ফ্যামিলি লজ্জায় ঘর থেকে বের হতে পারছেনা।
শুক্রবার দিন রাফিদ কাপড় ধুতে দিয়েছে অনেক গুলান। মায়ের মাধ্যমে আর কতো? বড় তো আর কম হয়নি রাফিদ।
একটু পর মায়ের ডাক শোনা গেল, "রাফিদ এদিকে আয়। কে যেনো ফোন দিচ্ছে এতবার, দেখতো কে?
রাফিদ গিয়ে ফোন ধরলো, "হ্যালো তিন্নি বল।"
- দোস্ত আমি মারা যাবো।
- কী বলছিস মাথা খারাপের মত।
- আমি ঠিকই বলছি।
- কী হয়েছে বলবি তো। কান্না থামা কাহিনী কী বল?
- ইমন বেশ কয়েকদিন ধরে আমায় সন্দেহ করে। সে বলে।
- কী বলে। কান্না থামাতে বললাম না?
- বলে। "আমার সাথে যখন বিছানায় যেতে পারলি। আর কারো সাথেই যে কখনো যাস নাই তা কীভাবে হয়। তুই দুশ্চরিত্রা।" আরো বলে, " আমি অন্য কাউকে বিয়ে করবো। তাজা, সদ্য ফোটা ফুলের মতো কচি, পবিত্র মেয়েকে। তোকে না।"
রাফিদ কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না।
অনেক রকম ভাবে বুঝিয়ে আপাতত কান্না থামালো।
এরপরদিন তিন্নির বাসায় গিয়ে আরো বোঝালো। রাফিদ জানেনা তিন্নি কতক্ষণ এই বুঝ নিয়ে থাকতে পারবে।
তিন্নির বাসা থেকে রিকশা করে ফিরছে রাফিদ। বিকাল হয়ে এসেছে। সবুজ মাঠের ওপর বেশ কয়েকটা ঘুঘু নেমে এসেছে। দিগন্তের ডুবতে থাকা সূর্যটার দিকে তাকিয়ে থাকতে খুব ভাল লাগছে রাফিদের। প্রকৃতির এই পবিত্রতা আর সচ্ছলতায় মুগ্ধ হয়ে স্নিগ্ধ এই পড়ন্ত বিকেলে আরো একটি পবিত্র উদ্দেশ্য নিয়ে রিয়াকে মেসেজ লিখছে রাফিদ।
"রিয়া অনেক ভালোবাসি তোমায়। বৈধ ভাবেই যেন খোদা তোমাকে চিরিদিনের জন্য আমার করে দেয়।"
রিয়া মেসেজটা পড়ে হাসছে আর মনে মনে বলছে "পাগলটা যখন তখন শুধু শুধু ভালোবাসি ভালোবাসি বলে কেন? আমার বুঝি লজ্জা লাগে না?"
#পবিত্র_প্রেম
#লেখকঃ শাকিল কবির আকাশ
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
তাবাসসুম ধ্রুবা
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেMehjabin Ebnat(Era)
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেEihana akter mahi
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বে