বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অদ্বিতীয়(শেষ পর্ব)

"গোয়েন্দা কাহিনি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান অন্তরা (০ পয়েন্ট)

X ‘যাক‌, আপনি শুয়ে পড়বার পর সে আবার বাড়িতে ফিরে আসে এবং ঘুমোয়। একটা আলোয়ান সে সম্ভবত ওভারকেটের নীচে কোমরে জড়িয়ে নিয়ে বেরুতো‌, ফেরবার সময় সেটা গায়ে জড়িয়ে নিত। তাই প্রথম যে-রাত্রে আপনি খড়খড়ি তুলে তাকে ফিরতে দেখলেন‌, আপনি ভাবলেন সে শান্তার গুপ্ত প্রণয়ী। ‘এইভাবে চলছিল। তারপর প্রমীলার হঠাৎ ভীষণ বিপদ উপস্থিত হল। বিধুভুষণ আইচ পুলিসের কর্মচারী‌, প্রমীলাকে আগে দেখেছিল‌, ছুটিতে কলকাতায় এসে সে প্রমীলাকে দেখতে পেল এবং পুরুষের ছদ্মবেশ সত্ত্বেও চিনতে পারল। সে প্রমীলার পিছু নিল। হয়তো কোনো হোটেলে দু’জনের দেখা হয়েছিল। প্রমীলা নিশ্চয় তাকে ঝেড়ে ফেলবার চেষ্টা করেছিল‌, কিন্তু যখন পারল না‌, তখন–’ বাক্য অসমাপ্ত রাখিয়া ব্যোমকেশ থামিল‌, সিগারেট বাহির করিয়া ধরাইল। আমি বলিলাম‌, ‘একটা কথা। বিধুভুষণকে খুন করে প্রমীলা বাড়ি ছেড়ে পালাল না কেন? ব্যোমকেশ বলিল‌, ‘পালাবার সময় পেল না। সে তো জানত না যে চিন্তামণিবাবু খড়খড়ি তুলে হত্যাকাণ্ডটা দেখে নিয়েছেন। তাই তার বিশেষ তাড়া ছিল না; ভেবেছিল দামী জিনিসপত্র গয়নাগটি নিয়ে ধীরে সুস্থে পালাবে। কারণ ও বাড়িতে থাকা আর তার পক্ষে নিরাপদ নয়; বাড়ির সামনে লাশ পড়ে আছে‌, পুলিস নিশ্চয় তাকে জেরা করতে আসবে। প্রমীলা পাল জেল-ভাঙা খুনী আসামী‌, যদি পুলিসের মধ্যে কেউ তাকে চিনতে পারে? সুতরাং নিশ্চয় সে পালাতো। কিন্তু হঠাৎ পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুলিস এসে বাড়ি ঘেরাও করে ফেলল। তখন আর পালাবার রাস্তা নেই, প্রমাঈলা তাড়াতাড়ি পরচুলোটা পরে নিয়ে মেয়ে সাজল। কিন্তু তাড়াতাড়িতে গালের তিলটা আঁকতে ভুলে গেল।’ ‘গালে তিল আঁকতো কেন?’ ‘দুটো চেহারায় রকমফের আনবার জন্যে। পুরুষবেশে নাকের নীচে গোঁফ লাগাতো‌, আর স্ত্রীবেশে পারচুলো ছাড়াও গালে তিল আঁকত। বুঝেছি?—আজ তাহলে উঠি‌, চিন্তামণিবাবু।’ চিন্তামণিবাবু গদগদ ধন্যবাদ সহ একটি দুইশত টাকার চেক লিখিয়া দিলেন। আমরা ফিরিয়া চলিলাম। বেলা দুটা বাজিতে বিলম্ব নাই। পুলিস আসামীকে লইয়া অন্তৰ্হিত হইয়াছে। এখানে তাহাদের আর প্রয়োজন নাই। শ্ৰীযুক্ত বিজয় ভাদুড়ী মহাশয় খুনী আসামীকে গ্রেপ্তার করিয়া নিশ্চয় প্রচুর প্রশংসা অর্জন করিবেন। বাসায় পৌঁছিয়া দেখি সত্যবতী দরজার কাছে উৎকণ্ঠিতভাবে দাঁড়াইয়া আছে‌, আমাদের দেখিয়া ভ্রূ তুলিয়া সপ্রশ্ন নেত্ৰে চাহিল। অর্থাৎ-এত দেরি যে! ব্যোমকেশ হঠাৎ হো হো শব্দে হাসিয়া উঠিল। তারপর হাত বাড়াইয়া সত্যবতীর চিবুক একটু নাড়িয়া দিয়া বলিল‌, ‘তোমরাও কম যাও না।’ ------সমাপ্তি------


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৫৮১ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Probal
    User ৪ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ।

  • Ishika ishu
    User ৪ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    ভালোgj

  • Rehnuma Ahmed
    Golpobuzz ৪ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    পুরো গল্পটাই দারুন ছিল। gj