বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভালোবাসার ★ফাজিল পোলা★

"ফ্যান্টাসি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন (০ পয়েন্ট)

X ময়মনসিংহের সারিন্দা তে বসে আছি আর মাঝে চিন্তা করতেছি...চৈতী হঠাৎ আমারে ডাকলো কেন? . আর মাঝে মাঝে আশেপাশের দুই একটা মেয়ে দেখে দাঁত কেলাইতেছি...শালার মেয়ে গুলা সবই জোস তবে চৈতীর মতো গুলুগুলু নাহ। . . কখন যে চৈতী চলে আসছে আমি তা খেয়ালই করিনাই.. --কী মিঃ কী ভাবা হচ্ছে?(চৈতী) . --হিহিহিহি ককই কিছু না তো।(এই একটা মাইয়ারে আমি কঠিন ভয় পাই তবে অনেক ভালোও বাসি) . --কিছু তো একটা ভাবতেছোই..আর তোমার মতো ফাজিল যে কী ভাবতে পারে তা আমি ভালো করেই জানি।(চৈতী) . --হিহিহিহিহি তাও ঠিক। . --ঐ একদম দাঁত কেলাইবা না।তোমার এই দাঁত কেলানো দেখলে আমার প্রচন্ড রাগ উঠে।(চৈতী) . --ওকে জান্টুস এখন আর নো দাঁত কেলানো।বলো কী বলবা। . --কাল তুমি নেহা রে কী বলছো?(চৈতী) . . এই রে নেহা হলো বান্ধুবি আর কাল নেহারে দেইখা ওরে ডাক দিয়ে বলছিলাম . --ঐ নেহা . --জ্বী বলেন(নহা) . --তোমার ঠোট গুলা কেমন যেন। . --আপনি ফাজিল জানতাম তবে এতোটা ফাজিল সেটা জানতাম নাহ।(নেহা কথাটা বলেই চলে গেলো আর ভাবতেছি কী মেয়ে মাইরি আমি হেতীর রিয়েকশন জানতে চাইছি আর হেতি উল্টা আমারে রিয়েকশনের ভিতরে ফালাই চইলা গেলো) . . এই হলো কালকের কাহিনী তবে চৈতী কেমনে জানলো? নির্ঘাত ঐ মাইয়া বলছে।শালার মেয়ে গুলা কত্ত হারামি।ওরে খালি পাইয়া লই পরে বুজামু। .. --হি হি হি কই কি ছু বলি নাই তোহ। . --আমার নিজেরি ভুল হয়ছে তোমার মতো ফাজিলের সাথে রিলেশন করে।(প্রচন্ড রাগে কথা গুলো বললো ) . --আমার কিন্তু অনেক সৌভাগ্য যে তোমার মতো একটা গুলুগুলু পাগলি পাইছি।গাল গুলা দেখলেই কামর দিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে।(কথাটা বলেই মুখ চেপে ধরলাম আমি একি বলে ফেললাম আমি) . . চৈতী কিছু না বলে কপট রাগ দেখিয়ে উঠে চলে গেলো..আর আমি বসে বসে নিজেরে নিজেই গালি দিতাছি..হালা বান্দর ..তোর মুখে কিছুই আটকায় নাহ..হালা বেশরম..এমন আরো কতো টাইপের গালি নিজেরে দিছি তার ঠিক নাই। . . কিছুক্ষনপর সারিন্দা থেকে বের হতেই দেখি বন্ধু আবিররে গার্লফ্রেন্ড সিতি থুক্কু স্মৃতি... . . --স্মৃতি আপু ধরো এখন তোমাকে প্রপোজ করলাম তখন তোমার রিয়েকশন কী হবে(আপু ডাকলাম কারন হেতি আমাগো সিনিয়র মানে আবির হালারও সিনিয়র তবে বিশাল কিউট) . --আমি জানি যে তুমি এক নাম্বার ফাজিল।সো উল্টাপাল্টা কথা বললে ডিরেক্ট মাইর খাইবা।(স্মৃতি আপু) . --হিহিহি তুমি ডিরেক্ট মাইর দেওয়ার আগেই আমি ডিরেক্ট দৌড় মারমু।(বলেই ডিরেক্ট দৌড় মারলাম). . . নদীর পারে এসে লিমা রে কল দিলাম..কারন এই একটা মাইয়াই আমারে বুজে..আর এইডাই আমার বেস্টু বইন,ফ্রেন্ড যাই ভাবেন।তবে হেতীর আরেকটা পরিচয় আছে।ঐডা হলো হেতী আমাগো জানে জিগার পর্দাশীল দোস্ত জীবনের একমাত্র জিএফ। . --বইন তারাতারি নদীর পারে আয়। . --আগে ক জীবইন্না কই?(লিমা) . --তুই না আমার ইয়ে তাইলে জীবইন্নারে খুজোঁস কেন? . --শালা লুইচ্চামি বাদ দিয়া বল জীবইন্না কই?(লিমা) . --গার্লস কলেজের সামনে গিয়া দেখ গা বিড়ি টানতাছে।(আমি কিন্তু কিছু বলি নাই সো জীবন দোস্ত মাফ কইরা দিস) . . চুপচাপ নদীর পারে বসে আছি আর কাপল গুলাকে দেখতেছি...সারাদিন যতোই বাদরামি করি না কেন?এই নদীর পারে মনডা কেমন যেন শান্ত চকলেটের মতো হয়ে যায়। . . হঠাৎই আমার কাধেঁ কারো হাতের স্পর্শ পেলাম।আমি জানি এটা কে তাই পিছনে ফেরার ব্যর্থ চেষ্টাটা করলাম নাহ। . --ধ্রুব তোর এইখানে আসলে কী হয় বলতো এতো নিরব আর ঠান্ডা হয়ে যাস।(সিয়াত) . --দোস্ত জায়গাটা অনেক ভালোলাগেরে..আচ্ছা চল আজ জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা তে ঢুকবো।(আমি) . --শালা আমি ঢুকমু নাহ..বা** এসির ঠান্ডা আমি সজ্জ করতে পারিনা।(সিয়াত) . --ওকে তাইলে চল কৃষি ইউনিভার্সিটি তে যাই।(আমি) . --হুম চল তাহলে।(সিয়াত) . . এই হালা আরেক লুইচ্চা..লুইচ্চা কইলেও ভুল হইবো হালা লুইচ্চার সরদার। . . কৃষি ইউনিভার্সিটি তে আসতেই দেখি আমার ফ্রেন্ড সামিয়া বসে আছে.. . আমাকে দেখেই হাত ইশারা করে ডাক দিলো। . --দোস্ত তুই এইখানে? . --হো..এইখানেই কেবি কলেজে ভর্তি হইছি।(সামিয়া) . --কস কী আমিও তো AUC তে। ও সামিয়া ও হলো সিয়াত আমার ফ্রেন্ড এবং ও নিজেও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজেই পড়ে।(সিয়াতকে দেখিয়ে)আর সিয়াত ও হলো আমার ফ্রেন্ড সামিয়া। . --আচ্ছা দোস্ত তোর ময়না মানে চৈতী কই?(সামি) . এই রে চৈতীর কথা একদম ভুলে গেছিলাম।তাই দিলাম কল। . --ময়না কই তুমি? . --কে ময়না আমি তোর কেউ নাহ আর কোনোদিন কল দিবিনা।(চৈতী কেদেঁ কেদেঁ কথা গুলো বললো আসলেই মেয়েটা খুব ভালোবাসে আমাকে) . --ওকে যদি পাচঁ মিনিটের মধ্যে আমাদের ক্যাম্পাসে না আসো তাহলে আর কোনোদিন খুজেঁ পাবানা(কথাটা বলেই ফোনটা কেঁটে দিলাম) . এতোক্ষনে দেখি সিয়াত হালাও সামিয়ার সাথে ফ্রি হয়ে গেছে। আমার যতোটুকু মনে হয় সিয়াত ক্রাশ খাইছে সামিয়ার উপরে। . . কিছুক্ষন পরেই দেখি চৈতী দৌড়ে এসে এক ঝাপটাতে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।।।আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা কারন যে মেয়ে আমার হাতটা পর্যন্ত ধরতে দিতোনা আজে সে নিজে আমাকে জড়িয়ে ধরছে। . . . আবার সবার সামনে পাবলিক প্লেসে..তাই আমি জিজ্ঞাসা করলাম। . --এই পাগলি কী হইছে? . --তুমি আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বললা কেনো?জানোনা তোমাকে ছেড়ে আমি একদম থাকতে পারবোনা।কেনো তুমি এমন করো।তুমি জানোনা তুমি এমন করলে আমার কতোটা কষ্ট হয়।(একদমে চৈতী কাদঁতে কাদঁতে কথাগুলো বললো) . আমিও পরম মমতার সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আর বললাম। --দেবোনা কষ্ট আর কখনো দেবোনা..এখন থেকে অনেক অনেক অনেক ভালোবাসবো। . .


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০০২ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন