বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

"অবাঞ্ছিত"

"জীবনের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Oliver Queen(ShuvO) (০ পয়েন্ট)

X মেয়েরাও চুলে আটো বেনী করে।অথচ তার চুল খোলা। অগোছালো চুল পিঠ ছাড়িয়ে কোমরের কাছে এসে থমকে গেছে। ঈষৎ বাঁকা কোমরের নিচে গুরু নিতম্ব। দেখে মনে হয়, এলোমেলো চুলের বোঝায় সে তার চমৎকার দেহের গঠন আড়ালে রাখতে ভালোবাসে। কোথায় যেন পড়েছিলাম, মেয়েদের চোখের পিছনে একজোড়া চোখ থাকে।পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি সহজেই বুঝতে পারে। . যে আধখানা ঘরে আমার বসবাস সেখান থেকে মেয়েটার শোবার ঘরের একাংশ নজরে আসে। পাঁচ তলার উপর ঘুপচির মত চিলিকোঠা। টিনের ছাদ, বাড়িওয়ালা দয়াপরবেশ ছোট্ট একটা জানালা গড়ে দিয়েছিলেন। একসময় জানালার ফঁকে আকাশ দেখতাম এখন মেয়েটাকে দেখি।ধারেকাছে এত উঁচু বিল্ডিং নেই। আমার চিলিকোঠার ঘরে জমাট অন্ধকারে কিছুটা দূর কোনটা মানুষ, কোনটা আসবাব ঠাওর করা যায় না। অতএব মেয়েটি ভোরের আলো ফুটতে জানালা খুলে পর্দা সরিয়ে দেয়। বিছানায় গা এলিয়ে দুটো বালিশে হেলান দিয়ে মেয়েটির গতিবিধি লক্ষ্য করি। . চুলে এলোখোপা করে মেয়েটি ঘর পরিপাটি করে ।সাহেবের শার্ট-প্যান্ট ইস্ত্রী করে ঠিক জায়গায় রাখে।ভেজা ন্যাকড়ায় মেঝে মুছে ফেলে। কাজগুলি করে পা টিপে টিপে,বিছানায় শোওয়া মানুষটার ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে। এরপর মেয়েটির দেখা পাওয়া যায় না।সম্ভবত রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়। . মেয়েটির স্বামীর ঘুম ভাঙে আটটা নাগাদ। বেলকুনিতে এসে মস্তবড় হাই তুলে। হাত-পা নড়াচড়া করে ব্যায়ামের ভঙ্গি করে। লম্বা চওড়া লোমশ বুকের পুরুষ। মোটা ফ্রেমের চশমায় চোখদুটি আড়ালে রাখে।  আটটা থেকে নয়টা মেয়েটির দম ফেলার সময় পায় না।"মিতু, আমার মানিব্যাগ কই, যত্তসব! এটা কোনো শার্ট ইস্ত্রী হইছে! কি বালছাল রাঁধো মুখে দেয়া যায় না। ইত্যাদি চিৎকার ওঘর থেকে ভেসে আসে। মিতু নিশ্চুপ বা এত নিচু স্বরে কথা বলে ওর কণ্ঠস্বর শুনতে পাই না। স্বামী দেবতা চলে যাবার পর মিতু গোসল সেরে বেলকুনি আসে।ভেজা চুল মিঠে রোদে চিকচিক করতে থাকে। আমি ব্রাশ করার ছলে ছাদে হাঁটাহাঁটি করি আর মিতুকে দেখি। ফুলগাছে পানি দেয়, শুকনো পাতা তুলে ফেলে সবশেষে গাছের পাতা আলতো করে ছুঁয়ে আদর করে।  এরপর সারাদিনে মিতুকে দেখার সৌভাগ্য হয় না। চারটে চারটে টিউশন ছেড়ে বাসায় ফিরতে আমার সন্ধ্যা হয়। এক কাপ রঙচা হাতে ছাদে আসি। দখিনা বাতাস বইছে। সে বাতাসে রেলিং এর ওপাড়ে বাস করা মিতুর মাথায় চুল উড়ছে। পরনে চিকন পাড়ের তাঁতের শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে একগাছি চুড়ি ছাড়া আর কোনো সাজসজ্জার বালাই নেই। বিবাহিত মেয়ে অথচ নাক,কান, গলা খালি। এই ভালো, এই মিতুকে নিয়ে কল্পনা করতে আমার বেশ সুবিধা হয়। কলিংবেল বাজে। একছুটে যাবার আগে ড্রেসিং টেবিলের সামনে মেয়েটি থমকে দাঁড়ায়। ঘাড়ে,গলায় পাউডার পাফ করে মিতু দরজা খুলে দেয়। ক্লান্ত স্বামী মিতুর দিকে তাকানোে সময় পান না। বিছানায় সটান শুয়ে পরে। মিতু শার্টের সব বোতাম খুলে ভেজা গামছায় গা,হাত পা মুছে দেয়। স্বচ্ছ কাঁচের গ্লাসে লেবুজল এনে টেবিলে রাখে। . অনেক রাত পর্যন্ত মিতুর বর ব্যালকুনিতে বসে ল্যাপটপে ব্যস্ত থাকে। ডাক দেয়,  -মিতু!মিতু! সিরিয়ালের কুটনামি পরে শিখো। এদিকে আসো।  মিতুর আসতে খানিক দেরি হয়। - এতক্ষণ লাগে? পিঠটা চুলকে দাও।  মিতু পিঠ ঘষতে থাকে। -আহ! এইদিকে না।আরেকটু নিচে.... .. আরেকটু সাইডে চাপো... বাল... যাও তুমি সিরিয়াল গিলো..ছাগল জানি কোথাকার! মিতু ছোট ছোট পায়ে চলে যায়। যে রাতগুলিতে স্বামীর শরীরী চাহিদা জাগে দরজা জানালা বন্ধ করে পর্দা টানা থাকে। স্বামীর বললাম কেননা মিতুর মত মেয়েদের কোনো প্রকার চাহিদা থাকতে নেই। স্বামীর ইচ্ছাকেই আদেশ বলে মান্য করে।  এক গভীর রাতে সিগারেট টানছিলাম দেখলাম বদ্ধ দরজা খুলে মিতু বারান্দায় এলো। পা ফেলছে এলোমেলো, কাপড় অগোছালো। ধপাস করে চেয়ারে বসে মাথা এলিয়ে দিল। একটু পর শুনতে পেলাম মেয়েটি বেসুরো গলায় গান গাইছে। কি বোকা মেয়ে! পুরুষের দৈহিক উত্তেজনাকে মিতু ভালোবাসা ভেবে ভুল করে। . টিউশন শেষ করে ফিরছিলাম।মিতুর পতিদেবতার সাথে দেখা।মানিব্যাগে খুচরো নেই, রিকশা ভাড়া দিতে পারছিলেন না।আমিই যেচে পরে এগিয়ে গেলাম। পাঁচটা একশ টাকার নোট বদলে পাঁচশ টাকার নোট করলাম। ভদ্রলোকের অমায়িক ব্যবহার।চা অফার করল। চায়ের দোকানে বেঞ্চিতে বসে আমার খোঁজখবর জানতে চাইল। বেকার মানুষের সাথে আলাপচারিতা জমে না। দুজনের আলাপচারিতা চা না ফুরোতেই শেষ হল। সিগারেট অফার করে বুঝলাম সিগারেটে নেশা নেই। বাচ্চা একটা মেয়ে বকুল ফুলের মালা বিক্রি করছে।দশটাকা পিস।  -দুটো মালা কিনে নিয়ে যান। -ফুল দিয়ে কি হবে?  -কিচ্ছু না। . লোকটা চলে যাবার পর দুটো মালা কিনে বুকপকেটে রাখলাম।মালার মালিকিনের কাছে এই মালার সৌরভ পৌঁছাবে না। কখনও না! লেখক:- অলিভার কুইন (শুভ)।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৫৮৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • সাইমন জাফরি
    Admin ৪ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    হুম্ম ...

  • বকুল রায়
    Golpobuzz ৪ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    Valo,

  • মুহাম্মদ মাজেদ
    Golpobuzz ৪ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    গল্পটার সৃজনশীলতা আছে তবে পরকিয়ার দিকে না ঝুকালেই পারতেন।

  • Oliver Queen(ShuvO)
    Author ৪ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ

  • Rehnuma Ahmed
    Golpobuzz ৪ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    gj অসাধারণ লিখেছেন। ভালো লাগলো।