বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সাজানো গোছানো সংসার (পর্ব : ১১)

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Sayemus Suhan (০ পয়েন্ট)

X “এবার বলো, ভালোবাসো আমায়!” “বলবোনা।”(তুহি) “বলো বলছি।” “জোর করছো কেনো? আমার লজ্জা লাগে।”(তুহি) “একবার বলে দাও, তাহলে তো আর জোর করবোনা।” “আগে চোখ বন্ধ করো, তারপর বলছি”(তুহি) আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। তুহি একদম কানের কাছে এসে বললো, “ভালোবাসি” আমি তখন বললাম, “হয়নি, আরও সুন্দর করে বলো।” তুহি আবার বললো,“আমি তোমাকে ভালোবাসি” আর তখনই আমার মন শিতল বাতাসের আবহে ঠান্ডা হয়ে গেলো। চোখ খুলে তাকালাম তুহির দিকে, ওর চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। জিজ্ঞেস করলাম, “কাঁদছো কেনো? কোনো সমস্যা?” “এমনি খুশিতে চোখে কান্না চলে আসছে।”(তুহি) “এতো খুশি হওয়া ভালা না। নরমাল থাকাটাই বেটার।” “তাই!!”(তুহি) “জ্বী, এখন চলো কোথাও বসে লাঞ্চ করি। তারপর বাসায় যাইতে হবে। অনেক বেলা হয়ে গেছে।” “এখনই চলে যাবে?”(তুহি) “হ্যা, এখনই যাইতে হবে।” “আরোও কিছুক্ষণ থাকা যায় না?”(তুহি) “বিয়ের পর সারাজীবন তো একসাথেই থাকবো। এখন কিছুক্ষণ না থাকলে কোনো সমস্যা নেই।” তুহি কিছুটা মন খারাপ করলেও মাইশার জন্য হঠাৎ মনটা ছটফট করাতে সেখান থেকে আমি লাঞ্চ করেই চলে আসলাম। গাড়ীতে বসে আপনমনে গাড়ী চালাচ্ছি। বিকেলের হালকা আলো আর বাতাস আমার মন বিমোহিত করে রেখেছে। গাড়ী চালাতেও দারুণ লাগছে। এদিকে মাইশার সাথে ঘটে যাওয়া রাতের ঘটনাটি আমার স্পষ্ট মনে পড়ে যায়। ওর হাসি, ওর আবেদন সবকিছুতেই যেন ভালোবাসার ছাপ ছিল। প্রতিটি ক্ষণ আমার হৃদয়ে গেঁথে গেছে। আমি বুঝে গেছি, ওকে ঠিক আগের মতোই ভালোবাসি। তুহিকেও ভালোবেসে ফেলেছি। দুজনকেই আমার করে চাই। সেটা একটু অন্যরকম করে। কাউকে না জানিয়ে মাইশাকে বিয়ে করে নেব। যেভাবেই হোক মাইশাকে রাজি করাবো। আর তুহিকে পারিবারিক ভাবেই বিয়ে করবো৷ দুজনকে ভালোবাসি, দুজনকেই চাই। এমনিতেই, আস্তে আস্তে ভবিষ্যৎে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে। এসব চিন্তা করতে করতে কবে যে বাসার পাশে চলে আসলাম বুঝতেই পারিনি। স্টল থেকে শিমুর জন্য একটা আইসক্রিম আর মাইশার জন্য স্পেশাল কিছু চকলেট কিনলাম। হয়তো আমার অপেক্ষায় সে বসে আছে। হাসি মুখে প্রবেশ করলাম বাসায়। শিমু বসে বসে ড্রয়িং করছে৷ মাথা মোটা গোপাল ভাঁড়ের ছবি আঁকছে। এই মানুষটারে কি যে পছন্দ করে বলাই মুশকিল! সারাদিনে যতক্ষণ সময় পায়, মোবাইলে সব সময় গোপাল ভাঁড়ের আজব কার্টুনগুলো দেখে। আর এখন ছবি আঁকছে৷ এই মানুষটারে যদি সামনে পাইতাম তাহলে ডলফিনে সাথে বিয়ে দিয়ে ফালাইতাম। দারুণ জুটি হইতো! একদম,খাপে খাপ-আমেনার বাপ। যাকগে, এসব ফালতু চিন্তা করে লাভ নাই৷ আমার স্মার্ট বোনটারে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এর ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করতেছি। যদি তাই হয়, তাহলে হয়তো আরেকটা মটু পাওয়া যাইতে পারে। আস্তে আস্তে শিমুর কাছে গেলাম। “কি রে ডলফিন? কি করস?” “দেখছোস না কি করতেছি? গোপাল ভাঁড়ের ছবি আঁকতেছি। সেইরকম সুন্দর হচ্ছে, দেখ।”(শিমু) “হইছে, আমার দেখা লাগবেনা! তুই দেখ তোর জামাইকে।” “আম্মুউউউ, দেখো এসে, তোমার ছেলে আবার আমাকে জালাইতেছে৷”(শিমু) “মাকে ডেকে লাভ নাই, এই নে তোর আইসক্রিম আর বল মাইশা কোথায়?” “ওহ ভাইয়া, তোমাকে তো বলাই হয়নি, আমরা বের হওয়ার পরই নাকি মাইশা আপু চলে গেছেন! মা বলছেন আমায়।”(শিমু) শিমুর কথাটি শুনে কাল রাতের কথা মনে পড়ে যায়। আমিই তো গতকাল তাকে যেতে বলেছিলাম! সত্যিই সত্যিই চলে গেল। নিজের অধিকার বুঝে নিতে পারলো না! উফফফ! “কি রে ভাইয়া? স্তব্ধ হয়ে গেলি যে? কোনো সমস্যা?(শিমু) “না রে, সমস্যা নেই। ধর, এই চকলেট গুলো নিয়ে খেয়ে ফেল। বাজারের সবচেয়ে ভালো চকলেট!” “মাইশা আপ্পির জন্য আনছিলি! তাইনা?”(শিমু) “হ্যা” “ভালোবাসতি তাকে?”(শিমু) “অনেক বেশি ফাজিল হয়ে গেছোস, যা করতেছিলি তাই কর। ফালতু প্রশ্ন করে সময় অপচয় করিস না।” “ঠিক আছে, রুমে যা আর ফ্রেস হও, আমাকে উপদেশ দিতে আসিস না। তোর বোন এখন সব বুঝে।”(শিমু) “গোপাল ভাঁড়ের বউ তো এইজন্য।” “আম্মুউউউ.....”(শিমু) চলে আসলাম শিমুর কাছ থেকে। বিছানায় বসে আছি। নিজে বোবা নাকি ভালো ঠিক বুঝতেছি না। চোখ থেকে দুফোঁটা পানি গড়িয়ে পরছে। এই সময়ে প্রিয়টিকে খুবই দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। হঠাৎ মনে হলো, একটা ফোন দিলে হয়তো তাকে আবার খুজে পাবো৷ পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফোন দিলাম মাইশাকে। বারবার ফোনের পর ফোন দিয়েই গেলাম। সিম বন্ধ! হতাশ হয়ে শুয়ে পড়লাম। কালকে শুয়ে থাকা প্রিয়টির বালিশকে জড়িয়ে ধরে আনমনে কেঁদে কেঁদে মনের কষ্ট কিছুটা দুর করলাম৷ অবশেষে অধিক ক্লান্তিতে আমার ঘুম চলে আসলে আমি ঘুমিয়ে যাই। এক ঘুমে সন্ধ্যা সাতটা হয়ে যায়। বাবার ডাকে ঘুম ভাঙ্গে! উঠে বসলাম, “রাজ, আগামী পরশু তো বিয়ের তারিখ ফাইনাল করে ফেলছি! এতে তোর কোনো আপত্তি আছে?”(বাবা) “আপনার যা ভালো মনে হয় সেটাই করুন। আমাকে জিজ্ঞেস করার কি আছে? আপনি যা করবেন, সেটাই হবে আমার জন্য মঙ্গলজনক।” “খুব খুশি হলাম। তাহলে এবার আর কোনো সমস্যা নেই। আমি সব আয়োজন শুরু করে দিয়েছি। দেখ গিয়ে, কোনো কিছুতে ক্রটি হচ্ছে কিনা?”(বাবা) “বাবা, ওসব তুমি হ্যান্ডেল করো। আমি পারবোনা। আমার দ্বারা এসব সম্ভবও না।” “আচ্ছা ঠিক আছে। এবার চল, তোর মা নাস্তা রেডি করে বসে আছেন। ফ্রেস হয়ে আয়।”(বাবা) “তুমি যাও, আমি আসছি।” বাবাকে বিদায় দিয়ে আমি বাথরুমে চলে গেলাম। ফ্রেস হয়ে চলে আসলাম ডাইনিং টেবিলে। মা, বাবা, শিমু বসে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। টেবিলে বসতেই শিমু এসে কোলে বসে যায়। তাকেও খাইয়ে দিতে হবে। এদিকে মা বাবার কথোপকথন চলছেই। “দেখছো রাজের বাবা, তোমার ছেলে বিয়ের আগেই কেমন পরিবর্তন হয়ে গেছে?”(মা) “ছেলেটা যে আমার তা বুঝতে হবে।”(বাবা) “ছেলে যদি তোমার হইতো তাহলে তোমার মতো অটোমেটিক মেশিন হইতো আমার মতো স্মার্ট হইতো না।”(মা) “এহহহ একটা কথা বললে তুমি! এখনও লাইনে দাঁড়ালে হাজার মেয়ে আমার দিকে তাকাই থাকে, তুমি চিনলে না আমায়! আপসোস।”(বাবা) “হাজার মেয়ে তাকিয়ে থাকে? হাহাহা...এতোজন কে কি সামলাতে পারবে?”(মা) “এটা কোনো ব্যাপার?”(বাবা) “মনে আছে, দাঁড় করাই রাখছিলাম?”(মা) “ঐইটা দুর্ঘটনা ছিল।”(বাবা) “ বাবাকে দাঁড় করাই রাখছো! কবে মা?”(শিমু) “ প্রথম যেদিন প্রেম করতে আসছিল সেদিন! ৩ ঘন্টা দাঁড় করাই রাখছিলাম।”(মা) “না রে মা, এইটা মিথ্যা কথা ছিল।”(বাবা) মা!....বাবা! কি শুরু করলে তোমরা? থামো এবার। খাইতে দাও।” “খা ভাইয়া খা, বেশি করে খা। বিয়ের এতো খাইতে দিমু না। তখন তোরা হবি দুজন। একজনের খাবার ভাগ করে দিমু, সেটাই খাইতে হবে।”(শিমু) “ঠিক আছে.... (চলবে)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৫৮৪ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • RS Shakil Azad
    User ৪ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    পুরো গল্পটা পড়লাম..., গল্পটা সুন্দর করে লিখছেন ,ভাল্লাগছেgj বাকি অংশটুকু দিবেন শিঘ্রই......গল্পের আসল লেখক কী আপনিই সুহান ভাইয়া???

  • ¤-ইশিকা-¤
    User ৪ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    এলার্জি angry

  • বকুল রায়
    Golpobuzz ৪ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    নাইস এন্ড নেক্সট

  • Jobayer
    User ৪ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    পরের পার্বের জন্য অপেক্ষা করবো।

  • Eshrat Jahan
    Golpobuzz ৪ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    পড়ে দেখ।আমার তো ভালো লাগলো।তোর যে কি হয় আমি তো সেটা জানি না।

  • ¤-ইশিকা-¤
    User ৪ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    পড়িনিgj 1 পাঠ ও

  • Eshrat Jahan
    Golpobuzz ৪ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    কবে শেষ হবে এই গল্পটা?