বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
পর্ব ৬& শেষ
ড্রাকাকে বেঁধে নিয়ে আসলাম বাড়ির গ্যারেজ টাতে।
নীল-এই উঠ সালা।
ড্রাকা-কাজগুলো ঠিক না কিন্তু।
নীল-ভালোয় ভালোয় বলছি আমার কাছে চলে আয় নইলে ভালো হবে না।
ড্রাাকা-আমাকে মারলে তুইও মারা যাবি ভুলিস না।
অন্যদিকে-ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে-এন বাকি রাজাদের নিয়ে আলোচনায় আছে।শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো তারা পাহাড়ে গিয়ে নিজেরা চেক করবে।সবাই পাহাড়ে গেলো।ফলকটাকে ভালো করে পরীক্ষা করলো কোনো কিছু পেলো না।
জেমন্স-ভাই আমি ভিন্ন ধরনের ভ্যাম্পায়ারের গন্ধ পাচ্ছি।
এন-মনে?
জেমন্স-এরা কখনো এই রাজ্যের হতে পারে না।অন্য কোনো জগতের।
এন-কিন্তু ওরা আসবে কি করে?
জেমন্স-খুজে দেখো কোনো প্রবেশ পথ পাও কিনা।
ইওন-কি বলেন এসব ফালতু কথা।
জেমন্সের রাগি দৃষ্টি দেখে ইওন চুপ হয়ে গেলো।
জেমন্স-একটু আগের মাইরের কথা মনে আছে তো।আবার লাগবে নাকি।
ইওন-সরি প্রিন্স।
জেমন্স ইওনকে ঠাস করে চড় দেয়।ইওন ঘুরে পাশে পাথরের সাথে ধাক্কা খায়।অদ্ভুদ হালকা শব্দ হয়।
এন-এক মিনিট জেমন্স এমন আওয়াজ তো হবার কথা নয়।পাথরের পিছন অংশ কি ফাঁপা নাকি?
জেমন্স-দাড়াও ভাই আমি পরীক্ষা করে দেখি।
জেমন্স পাথরে গুসি মারতেই ধিরে ধিরে পাথর সব পড়ে যায়।একটা গুহার মতো সৃষ্টি হয়।যেটা উপরের দিকে গিয়েছে।
এন-মনে হয় এখান দিয়েই কেউ এসেছিলো।
সবাই পথটা ধরে এগুতে লাগলো।
অন্যদিকে -বদ্ধ রুমে রাখা হলো ড্রাকাকে।গার্ড হিসেবে রাখা হলো আকাশকে।
বাহিরে নীল অরিক কথা বলছে..
নীল-কি করি ড্রাকা তো মানছে না।
অরিক-জোর করেও তো কাজ হবে না। সে তো স্বাধীন ভাবে থাকতে চায়।
হঠাৎ জোড়ালো একটা শব্দ হলো।ভিতরে ঢুকে দেখি আকাশ মাটিতে পড়ে আছে আর পাশের দেওয়াল ভাঙ্গা।ড্রাকা পালিয়েছে।
নীল-শয়তানটার কি সমস্যা।
পিছু নিলাম ড্রাকার।আজ ড্রাকাকে মেরেই ফেলবো যা হবার হবে।আমার যা হবার হবে।
পিছু নিতে নিতে জঙ্গলের ভিতর পেলাম।গুহার ভিতর যাচ্ছে।পিছু নিতে নিতে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে চলে আসলাম।দেখলাম রাজ মহলের দিকে যাচ্ছে।আমিও পিছু নিতে নিতে গেলাম।
অন্যদিকে-এন আর বাকি রাজারা পথটা ধরে রাজ মহলের ভিতর চলে আসলো।
জেমন্স-এটা কি উপরি দুনিয়া?
এন-নাহ এটা মাঝের দুনিয়া বাবা বলেছিলো।এটার উপর আরেকটা দুনিয়া থাকার কথা।
জেমন্স-হুম।
ইউন-ওই ভ্যাম্পায়ারটা কে? দেখতে তো ভ্যাম্পায়ারের মতো মনে হচ্ছে না।
এন-কোনো ভ্যাম্পায়ারের একটা অংশ। যে স্বাধীনভাবে থাকতে চায়।
এইদিকে নীল ধরে ফেললো ড্রাকাকে।তখনেই এন দেখলো নীল পকেটে ডাইরিটা।ভ্যাম্পায়ার ডাইরি।
এন-এই তো চোর পাওয়া গেছে।ইওন ডাইরিটা নিয়ে আস।
ড্রাকাকে গুসি মারবো ঠিক এমন সময় কেউ আমার বুকে গুসি মারলো।
নীল-কার এতো বড় সাহস।
ইওন-প্রিন্স অফ ক্রিটিন।
নীল-এটা কি মানুষের নাম নাকি?
ইওন-এটা একটা ভ্যাম্পায়ার রাজ্যের নাম।
নীল-ওহ তাহলে আমিও আমার পরিচয় দিই।এটা হলো ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে।আমি এই রাজ্যের প্রিন্স,রাজা,মহারাজা যাই বলেন সব আমি।
এন-কথা না বলে ডাইরিটা নে ইওন।
ভাম্পায়ারটার নাম ইওন।হুদাই এসে কি মারতে লাগলো।আমিও কি ছাড়ি নাকি।ভ্যাম্পায়ার রুপ নিয়ে দিলাম মাইর.........
এন-মার খেয়ে আসলি ইওন। কেমন রাজা তুই।
নীল-হে ইউ লিসেন। আমি এই রাজ্যের রাজা।এসবের জন্য সব কটাকে মাইর খেতে হবে।
এন-দেখাতে হবে তোমাকে আসল রাজা কাকে বলে।
নীল-ওকে। দেখি।
এই ড্রাকা এক কর্ণারে দাড়িয়ে আছে।এন ভ্যাম্পায়ার রুপ নিলো।সেই রকম শক্তি ওর।দেখেই বুঝতে পারলাম।দুইজন দুইজনকে ছাড় দিচ্ছি না কোনো প্রকার।অনেক্ষণ ধরে যুদ্ধ হচ্ছে।আমার একটা গুসি লাগলো ঠিক ওর বুকে। উড়ে গিয়ে পড়লো।
জেমন্স-ভাই ঠিক আছো তো।
এন-সালা ভালোই তো লড়ে।
হঠাৎ এন আরো শক্তিশালী হয়ে উঠলো। কিছুতেই পেরে উঠছি না।
এন-শুনো আমি জানি সাইডে থাকা ভ্যাম্পায়ারটা তোমারেই অংশ।তুমি অসম্পূর্ণ পারবা না আমার সাথে।আমি সম্পূর্ণ বুঝলা।
এইদিকে-অনিশা সহ বাকিরা নীলের পিছু নিয়ে আসলো রাজ মহলে।
অনিশা-নীল তোমার কি অবস্থা।
নীল-কি করবো সালা ড্রাকাটা আমার কাছে ফিরে আসলে সব কটাকে মেরে বুঝাতাম।
এরপর অনিশা ড্রাকার কাছে গিয়ে হাত ধরলো।
অনিশা-নীল(ড্রাকা)আমি তো জানি তুমি নীলের অংশ ড্রাকা।তুমি কোনো ড্রাকুলা নও।ভ্যাম্পায়ার নীলের অংশ।ফিরে যাও নীলের কাছে।ও মারা গেলে তুমিও মারা যাবা।সব কিছু তোমার হাতে।
ড্রাকা-আমি ড্রাকুলা কোনো নীলের অংশ না।
অনিশা-তুমি আমার নীলের খারাপ দিকটা।কিন্তু এই খারাপ দিকটা(দ্যা রিটার্ন অফ ভ্যাম্পায়ার কিং)আমার বাচিয়েছিলো।এটা খারাপ নয়।শুধু একটু রেগে গেছে।ফিরে যাও প্লিজ।
এইদিকে-নীল-সালা মাইরের পর মাইর।শরীর বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমে গেছে।হঠাৎ কেউ এনকে ধাক্কা দেও।
ড্রাকা-চলো এদের দেখিয়ে দিই আমরা কি।
ড্রাকা অস্ত্রটা নিজের পেটে চালালো।ধিরে ধিরে আমারা সাথে মিশে গেলো।একটা অালোর ঝলকানির সৃষ্টি হলো।সব ক্ষত চলে গেলো।অসম্ভব শক্তি ফিল করছি পূর্বের চেয়ে।এনকে মারতে মারতে অবস্থা খারাপ করে দিলাম।
জেমন্স-প্লিজ নীল থামো।ভাইকে ছাড়ো। আমরা তো ডাইরিটা নিতে এসেছিলাম।
নীল-ওহ। আমি রেখেই আসতাম।এখন নিতে পারেন। আমি শুধু ড্রাকার ব্যাপার জানতে ডাইরিটা আনি।
এন-ভাই পাটা আছে বুকে।এনকে হারালে তুমি।মাস্টার এনকে।গ্রেট সেলুট বস।
ডাইরিটা দিয়ে দিলাম।
নীল-কোনো দরকার হলে আমাকে ডাকবেন।আর ধন্যবাদ ড্রাকাকে আমার মাঝে ফিরানোর জন্য।আর দুঃখিত আপনার এই অবস্থা করলাম।আগে বলবেন না ডাইরি চান।আমায় মারছিলেন তাই আমিও মারছিলাম।এরপর সবাই চলে গেলো।
অনিশা-আমার মনে হয় এখানেই শেষ।
নীল-হুম তাই মনে হয়।
অন্যদিকে-এন-জেমন্স নজর রাখো নীলের উপর আমার ওকে দরকার। কারণ সে ভ্যাম্পায়ার ডাইরিটা পড়তে পারে।
সমাপ্ত
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now