বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
★★★#MY_Deadly_Cases_Series_1 প্রতিবিম(Reflection)
লেখক:#শাহরিয়ার_হাছান
#পর্ব২
পিছনে তাকিয়ে দেখি সেই দুপুরের লোকটা। আমার দিকে হিংস্র ভাবে তাকিয়ে আছে,একটানে নিজের মাথা ছিড়ে নিল গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। তা দেখেতো আমি পুরাই শেষ। এরপর এক পা এক পা করে এগিয়ে আসছে আমার দিকে আর আমি পিছনে যাচ্ছি।দেওয়ালের সাথে লেগে আছি আর সেই গলা কাটা শয়তানটা আমার সমনে।গলা দিয়ে ছিটকে রক্ত আমার মুখে এসে লাগল। হতবা কিছুক্ষণ পরে আমার নিথর দেহ পড়ে থাকবে। নিজের মৃত্যুর কারণটাও অজানা থেকে যাবে।নিজের চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে আছি।।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাকে মেরে ফেলবে।
অনেকক্ষণ ধরেই দাড়িঁয়ে আছি কিন্তু কিছুই হলো।ধিরে ধিরে চোখ খুলে তাকালাম দেখি সামনে কেউ নেই।খাটে গিয়ে বসলাম আর দুপুরের ঘটনার সাথে মিলিয়ে নিলাম।দুইজনেই একই রমক দেখতে হয়তবা একজনেই হবে কিন্তু প্রথমবার আমায় প্রতিবিম্ব পুর যেতে নিষেধ করল কিন্তু এবার ভয় দেখাল কেন।কিছুক্ষণ ভাবলাম কেন রকমটা আমার সাথে হচ্ছে।ভাবনায় ছেদ করে দিলে ফোনের আওয়াজে তাকিয়ে দেখি আবির কল দিয়েছে। এত রাততে কেন কল দিল।ফোন ধরার সাথে সাথেই একটা চিৎকার শুনলাম। হ্যালো আবির...,কল কেটে গেল।আবিরের কিছু হল নাতো।আবিরের মায়ের কাছে কল দিলাম।
হ্যালো আন্টি আবিরর কোথায়? (আমি)
কেন বাবা ওত ওর রুমে (আন্টি)
আন্টি একটু আবিরের কাছে দিবেন একটু কথা ছিল(আমি)
দিচ্ছি (আন্টি)
আবারো চিৎকারের আওয়া পেলাম।হ্যালো আন্টি হ্যালো হ্যালো(আমি)
আবি..র আবির(কাপা গলায়)
আবিরের কি হয়েছে(আমি)
আবির রক্তাক্ত আ....(আন্টি)
আর কিছু শুনার আগেই ফোন কেটে গেল()
আবার রাব্বির ফোন এলো।ধরলাম(আমি)
দোস্ত আমারে বাচাঁ (রাব্বি)
তুই কোথায়.।আবারোও চিৎকার আর ফোন কেটে গেল।আবার রাব্বির বাসয় ফোন দিলাম রা্ব্বির বাবা ধরল।
হ্যালো আঙ্কেল রাব্বি..(আমি)
রাব্বি রক্তাক্ত আবস্থায় পড়ে আছে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি(কাদো গলায় রাব্বির বাবা)
আমি আসছি(আমি)
বাসা কিছু না বলে ছুটে গেলাম হাসপাতালের দিকে। আধা ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে গেলাম। গিয়ে দেখি আমার প্রিয় দুই বন্ধ হাসপাতালের বেডে শুয়ে আসে।আবির আর রাব্বির বাবা মা কাদছে। ।এরে মধ্র্য বাসায় আবির আর রাব্বির কথা বলেছি।
-------১ঘন্টা পর----
আপনাদের মধ্যে ফারাবি কে (ডক্টর)
আমি কেন(আমি)
রাব্বির জ্ঞান ফিরেছে আর ফারাবি নামের কাউকে খুজছে(ডক্টর)
রাব্বির কাছে গেলাম।
দোস্ত শু..ন(রাব্বি)
আসতে শান্ত হ। কি হয়েছে পরে বলিস।এখন রেস্ট নে।(আমি)
আরে আগে শুননা আমার এই অবস্থা কি ভাবে হলো(রাব্বি)
আচ্ছা বল(আমি)
রাতে আমি রুমে শুয়ে ফেসবুক চালাছিলাম। হঠাৎ হাতে তরল কিছু লাগল। উপর থেকে কি পড়ল! হাতে তাকিয়ে দেখি রক্ত। রক্ত এলেো কোথা থেকে।আবারো হাতে রক্ত পড়ল উপর থেকে।উপরে তাকিয়ে দেখি গলা কাটা একটা লাশ ঝুলে আছে, লাশের হাতে তার মাথা, গলা দিয়ে তাজা রক্ত পড়ছে। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে যায়।হঠাৎ করে লাশটা আমার উপরে পড়ল আমার আর কিছুই মনে নেই।(রাব্বি)
একমিনিট তুই আমায় ফোন দিলি কখন?তাতো বলনি না(আমি)
কি আবলতাবল বলছ আমি তোরে কখন ফোন দিলাম(রাব্বি)
তাহলে কে ফোন দিল(মনে মনে আমি)
---কিছুক্ষণ পর ---
আবিরের জ্ঞান ফিরল কিছুক্ষণ পরে।এক একে সবাই দেখা করল শেষে আমি গেলাম।
আবির কিভাবে তোর এ অবস্থা হলো কিভাবে(আমি)
আবিরও একই কথা বলল কিন্তু আসল কথা হলো আবিরও আমাকে ফোন দেয় নি।তাহলে কে আমাকে ফোন করল আর কেনই বা করল।
আরোও কিছুক্ষণ থেকে চলে আসলাম বাসায়।
----বাসায় এসে হাজারও প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো আমাকে।
রুমে এসে ভাবছিলাম কি হচ্ছে এসব কেউ আমাদের কেন ক্ষতি করছে আবার কেউ কেনইবা সাহায্য করছে।হঠাৎ করে পিছন থেকে কেউ বলে উঠল
কি ভাবছ? কেন হচ্ছে এসব তাই না(আজনা কন্ঠ)
কে?পিছনে তাকাতেই দেখি.........
চলবে........
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now