লাশঘর

X আমি গরীব ঘরের ছেলে। টাকার অভাবে তেমন একটা লেখা পড়া করতে পারিনি। একটা চাকরির অনেক দরকার ছিল। কিন্তু কথাও চাকরি পাচ্ছিলাম না। একদিন পত্রিকায় একটা নিউজ দেখলাম। তাতে লেখা ছিল, হাসপাতালের মর্গের লাশ পাহারা দেওয়ার জন্য একটা ওয়াচ মেন লাগবে। তখন আমি ঐ জায়গায় গেলাম আর বললাম আমি মর্গে কাজ করব। তার পর একজন বলল,,,, তুমি কি সত্যি কাজ করবে। আমি বললাম হে কাজ করব। তিনি বললেন লাশ রাখার ঘরের ভিতর থেকে অনেক আওয়াজ আসবে। এ কথা শুনে আমার মনে ভয় ডুকে গেল। ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করব।।।। পরে পরিবারের কথা মনে করে রাজী হয়ে গেলাম। সেদিনই রাতের বেলা ডিউটিতে জয়েন করলাম। আমার ডিউটির সময় ছিল রাত ৮ থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত। আল্লহর নাম নিয়ে ডিউটি শুরু করে দিলাম। প্রতিদিন একবার করে লাশ ঘর জারু দিতে হবে। রাত ১০টা হাতে জারু নিয়ে ভয়ে,ভয়ে লাশ ঘরে ডুকলাম,আর জারু দিতে লাগলাম। জারু দিতে দিতে আমার সামনে একটা কাটা হাত পড়লো এটা দেখে আমার সারা শরীর কাপতে লাগল। এ হাত কোথা থেকে আসল। এদিক, ওদিক তাকাতে লাগলাম।। হঠাৎ দেখি কেবিনের উপর থেকে রক্ত পরছে। ভয়ে,ভয়ে কেবিনের কাছে গেলাম। আর দেখলাম সাদা চাদরে একটা লাশ ডাকা,,,, আমি সেই চাদরটা উপরে তুললাম। আর দেখলাম একটা মানুষ এমন ভাবে মারা গেছে খুবই ভয়ংকর ভাবে। হাত, পা, মাথা সব কাটা,,,খন্ড খন্ড হয়ে পরে আছে।।। তখন আমি ভাবলাম। ঐ কাটা হাতটা জারু দেয়ার সময় নাড়া লেগে পরে গেছে। ভয়টা একটু কাটল। আমি আমার মতো কাজ করতে লাগলাম। সময় রাত ১ টা। লাশ রাখার ঘরের দরজার সামনে দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার কানে একটা শব্দ এলো। শব্দটা কোথা থেকে আসছে আমি বুজে উঠতে পারছিলাম না। মনোযোগ দিয়ে শব্দটা খেয়াল করলাম।।। তখন মনে হচ্ছে যেন শব্দটা লাশ রাখার ঘর থেকে আসছে। আমি আস্তে আস্তে ঘরের দরজা টা খুললাম। দেখলাম কিছুই নেই,আর শব্দটা ও বন্দ হযে গেল। সময় রাত ৩ টার মতো। একঘন্টা রেস্ট নিতে চলে গেলাম।।। রেস্ট এর সময় শেষ হলো। তখন রাত ৪ টার উপরে বাজে। হঠাৎ কি যেন আমার চখের সামনে দিয়ে চলে গেল। শরীরে একটা গরম হাওয়া অনুভব করলাম। আবার সেই একই শব্দ,,, আমি ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ডুকলাম ডুকতেই ঘরের লাইট নিবে গেল।।। তখন আমার মনে হচ্ছিল,আজই আমার শেষ দিন। একটু পরেই লাইট জলে উঠলো। আর দেখলাম সেই কাটা লাশটা আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। এ দেখে আমি এক দৌড়ে হাসপাতালের বাইরে এসে পরি আর গেন হারিয়ে ফেলি।। যখন গেন ফিরল,, আমি তখন নিজ বাড়িতে।। কিছু লোক আমাকে বাড়িতে এনে দিয়ে যায়।।।