বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
কিরে রাকিব? তুই এখনও যাসনি? ওদিকে তর খালা ফোন করে পাগল করে ফেলল, রাত করে গেলে ওদিকে আবার বাস পাবিনা যে…। মার হাঁকডাকে ধরমর করে উঠে বসলাম, চোখটা একটু মুদে এসেছিল, তাড়াতাড়ি মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পরলাম, যেতে হবে দৌলত খাঁ, খালা বেশ কিছুদিন ধরে যেতে বলছে, যাব যাব বলে আর যাওয়াই হয়না, এবার অনেক দিন পরে খালার বাসাই যাচ্ছি…খালাতো ভাই টাকলুর সাথে মজা মারা যাবে, ওর ভাল নাম শরিফ…১২ মাসের ১৩ মাসই টাক থাকে তাই অ ওকে আমি টাকলু বলেই ডাকি, বাসা থেকে বের হতে মোটামুটি সারে ৯টা বেজে গেছিল, বাস স্ট্যান্ডে পৌছাতে প্রায় রাত ১০টা বেজে গেল, তখনও লাস্ট বাসটা দারিয়ে রয়েছে, ভেতরে অল্প কিছু যাত্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে রয়েছে, বাসে উটে পেছনের দিকের একটা সিট দখল করে বসে পরলাম, বাস ছুটে চলল গন্তব্য স্থলে। সময়টা ছিল মাঘ মাস তাই রাস্তাই তেমন একটা লোকজন চোখে পরলনা, ঘণ্টা খানেক পরে দৌলত খাঁ ট্যাম্পু স্ট্যান্ডে নেমে পরলাম, ঘড়ির কাটা তখন ১১টার ঘর ছুঁই ছুঁই করছে, রাস্তাই কোন লোকজন নেই স্ট্যান্ডে দু তিনটা ট্যাম্পু নিষ্প্রাণ ভাবে পরে রয়েছে, হেটে যে যাব তাও পারছিনা, এখান থেকে খালার বাসা ২ মাইলের কম হবে না, পাসের ঝোপ থেকে ভেসে আসছে বন বিড়ালের কলজে হিম করা ডাক, তাই ওখানে বেশিক্ষণ থাকাটা সমীচিন মনে করলাম না, ঠিক এমন সময় দেখি কবরস্থানের সামনে একটা রিক্সা দারিয়ে রয়েছে, অনেকটা দৌরেই গেলাম রিক্সাটার কাছে, হঠা ব্যাপারটা আমার দৃষ্টি গোচর হল, দেখি রিক্সার নিচে অনেক গুলা হাড্ডি পরে রয়েছে পুটটা তোলা ভেতরে কে জানি কি খাচ্ছে!!, আমি আর অতটা পাত্তা না দিয়ে রিক্সার উদ্দেশ্যে হাঁক ছাড়লাম” চালক সাহেব আছেন কোন সারা শব্দ পেলাম না বিধাই আবার বললাম, এবার কাজ হল বটে, ভেতর থেকে একজন সুঠাম দেহের অধিকারী লোক বেরিয়ে এলো, উনার চোখে চোখ পরতেই জানটা তড়াক করে উঠল, শীতল চাহনি তার মাঝে অশুভ কিছু একটা খেলা করছে,। তাকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম” ঠাকুর বাড়ি যাবে? মাথা দুলিয়ে রিক্সায় চরার তাগাদা দিল আমাকে, আমি তাতে চরে বস্লাম,। রিক্সা চলছেত চলছেই পথ যেন আর শেষ হয়না। ইতিমধ্যে রিকশাওয়ালার নামও জেন ফেলেছি তার ইয়াকুব আলি, আকাশ পানে চেয়ে দেখি চাঁদ নেই, মনে পরল আজ আমাবস্যার রাত, অন্ধকারটা যেন আরও জেঁকে ধরল আমাকে, আজেবাজে চিন্তা গুলো মাথাই ভিড় জমাতে লাগল, যাইহোক করে সেগুলকে ঝেটিয়ে বিদায় করে সামনের দিকে তাকালাম অমনি একটা শক খেলাম মনে হল ইয়াকুব আলি সিটে নেই, ভয়ের একটা ঠাণ্ডা স্রোত নেমে গেল মেরুদণ্ড বেয়ে, সাহস করে মোবাইলের লাইটটা সামনে মারলাম, সাথে সাথে ভয়টা দূর হয়ে গেল, দেখি এক মনে রিক্সা চালাচ্ছে বেটা , বুঝতে পারলাম মনের ভুল, ব্যাগ থেকে শক্তিশালী টর্চটা বের করে জ্বালালাম, আলো জেলে রাখলে হইত ভয়টা একটু কম লাগবে, কাজও হল বটে। রাস্তার ধারের বড় বড় নারকেল গাছ গুলো দানবের মত লাগছে, এমন সময় সুরু হল ঝরো হাওয়া, ধুপ ধাপ করে আশেপাশে কথাও নারকেল পরার শব্দ হল, পরিবেশটা আর গুমট হয়ে উঠল, কি মনে করে জানি হঠা ইয়াকুব আলির গায়ে লাইটের আলটা ফেললাম, তারপর যা দেখলাম তাতে আমার শরীরের সব পশম দাড়িয়ে গেল, দেখি তার কোমরের নিচে আর কিছুই নেই হাওয়াই ভর করে রয়েছে, রিক্সার প্যাডেল একা একাই ঘুরছে, আর না এখানে, ব্যাগটা বগল দাবা করে চলন্ত রিক্সা থেকে দিলাম লাফ, কথাই পরব তা আর ভাবার সময় পেলাম না, মাথাই জরে একটা বারি খেলাম সক্ত কিছুর সাথে পরক্ষনেই জ্ঞ্যান হারালাম, তারপর কে বা কারা জানি আমাকে খালার বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত ভুলেও রাতে দূরে কথাও যাওয়ার সাহস করিনি।।
????????
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Fahim
User ৫ বছর পুর্বেঘুম বিলাসী লিখন
Golpobuzz ৫ বছর পুর্বে