বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভয়ানক সেই রাত

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Fahim (০ পয়েন্ট)

X . -প্লীজ তৃষা,বাবু আমার জোড় করিস না,আজ তুই একা যা। -না পারব না।তুইও জাবি আমার সাথে।আমি একা যেতে পারব না।আমি কী একা গেছি কখনো??তাও আবার এমন সন্ধ্যাই?? -আমার শরীরটা ভালো লাগছে না রে।তাই আজ তোকে একা যেতে বলছি।আচ্ছা তুই শুধু সাজেশন্সটা নিয়ে চলে আয় স্যারের কাছ থেকে। -তোকে ছাড়া যেতে কেমন জানি লাগছে।নদীটা পাড় হওয়ার জন্যই সমস্যা।একা বিরক্ত লাগে।ধেতত আমিও যাবো না। -তুই একটা কাজ কর আজ পড়তে হবে না শুধু ওইটা নিয়েই চলে আয়।জানিস তো কাল এক্সামিনেশন,সাজেশন্সটা তো লাগবেই। -যা যা তোর যেতে হবে না।আমি একাই পারব। -আচ্ছা বাবু ঠিক আছে,তোর একা যেতে হবে না।আমিও যাচ্ছি,চল। -না রে মীম তুই তো অসুস্থ।এটা তো আমার বাইনা বুঝিস না??তুই থাক আমি জাবো আর স্যারের কাছ থেকে সাজেশন্সটা নিয়েই চলে আসব। -আমি জানতাম তুই এটাই বলবি।কিন্তু আমাকেও দিয়ে যাস বুঝেছিস বোনু?? -পারব না দিয়ে যেতে।পারলে নিয়ে আসবি আমার বাসা থেকে। -আচ্ছা বাবা আচ্ছা।তাই নিয়ে আসব। -বাই,বাই গেলাম।থাক তুই। মীমকে এই কথা বলেই‌ বের হয়ে গেলাম ওর বাসা থেকে।মীমের পরিচয়টা আশা করি দিতে হবে না।সবাই জানেন মীম আমার সবথেকে কাছের ফ্রেন্ড।প্রতিদিন মীম আর আমি স্যারের বাসাই পড়তে যাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে।আর আটটার দিকে চলে আসি।কিন্তু আজ মীমের শরীরটা অনেক খারাপ।যার জন্য ও যেতে চাইছে না।আর গেলেও আমি চাই না ও যাক।কারণ আমার কষ্টে মীমের যেমন কষ্ট হয় তেমনই ওর কষ্টে আমারও তেমনটাই কষ্ট হয়।প্রথমে ভেবেছিলাম আজ পড়তে যাবো না।তবে কালই আমাদের এক্সামিনেশন।যার জন্য যেতেই হবে।তাছাড়া স্যার নিজেই বলেছে স্যারের বাসা থেকে সাজেশন্সটা নিয়ে আসতে।কারণ স্যার ভুলে ওইটা বাসাই ফেলে রেখে এসেছিলো।তাই পড়তে গিয়ে নিয়ে আসতে বলল।যাই হোক,মীমদের বাসা থেকে বাসাই এসে কলেজ ব্যাগটা নিয়ে স্যারের বাসার দিকে রওনা হলাম।বাসাই বললাম না যে মীম আজ যাবে না।কারণ এই কথা বললেই বাসা থেকে সাথে কেউ‌ যেতে চাইবে।কিন্তু এটা আমার একদমই পছন্দ না যে আমার সাথে বাসার কেউ যাক।বাসা থেকে বের হলাম সময়টা হয়ত ৬.২৫ হবে।আজ একটু লেট হয়ে গেলো বাসা থেকে বের হতে।আগেই বলেছি স্যারের যে যেতে হলে আমাদের বাসা থেকে কিছুদুর গেলে একটা নদী পাড় হতে হয়।তারপর অনেক বড় একটা কাশ ফুলের বাগান পড়ে।রাস্তার দুই পাশ দিয়ে শুধু কাশ ফুলের বাগান আর মাঝখান দিয়ে ছোট শুরু রাস্তা।এই কাশ ফুলের বাগানটা পার হতে পারলে একটা বড় রাস্তা পড়ে।তবে স্যারদের বাসা একটু গ্রামের ভেতরে হওয়াই রাস্তাটা কাঁচা।আশেপাশে কোনো বাড়িঘর নেই।রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুটা সামনে গেলেই স্যারের বাসা।যেহেতু আমি ছয়টা পঁচিশের দিকে বের হয়েছি সেহেতু চারিদিকে হালকা হালকা অন্ধকার হয়ে গেছে।নদীটা পাড় হতে না হতেই মাগরিবের আযান দিলো।আমি খুব দ্রুত পা চালিয়ে কাশবনটা পাড় করলাম।এখানে আশাপাশে কোনো বাড়িঘর নেই।একেবারেই ফাঁকা রাস্তা।যাই হোক কোনো রকমে তারাতারি হেঁটে কিছুক্ষণ পরে স্যারের বাসার সামনে পৌঁছে গেলাম।স্যারের বাসার আশেপাশেও কোনো বাসা নেই।আজ কেন জানিনা মনের মধ্যে ভয় ভয় করছে।হয়তো একা এসেছি তাই।আমি এদিক ওদিক একবার চোখ বুলিয়ে কলিংবেল চাপতে লাগলাম।কিন্তু প্রায় দশ মিনিট কলিংবেল চাপার পরেও কেউ দরজা খুলল না। এ কী কেউ দরজা খুলছে না কেন??তাহলে ভেতরে কী কেউ নেই??আমি চুপচাপ কিছুক্ষণ ওভাবেই দাড়িয়ে রইলাম।মনের ভেতরে অনেক প্রশ্ন বয়ে যাচ্ছে।এমন তো হওয়ার কথা নয়।স্যার তো আমাকে আসতে বলল।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বাসাই কেউ নেই।বাসার সবাই কই গেলো??না এখানে আর দাড়িয়ে না থেকে বাসার দিকে পা বাড়াই।না হলে অনেক রাত হয়ে যাবে।আমি এটা ভেবে যখনই পেছনে ফিরব তখন ভেতর থেকে কেউ যেন কথা বলে উঠে। -বাহিরে কে?? আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম এটা তৃপ্তি আপু।তৃপ্তি আপু হলো স্যারের মেয়ে।আপু আমার থেকে দুই-তিন বছরের বড় হবে।স্যারের দুইটা ছেলেমেয়ে।তৃপ্তি আপু এবার অনার্সে পড়ে।আর তাহমিদ(স্যারের ছেলে) সে অনেক ছোট।সবেমাত্র দুই বছরে পা দিয়েছে।যাই হোক আমি আপুর কথাই সাড়া দিলাম। -আপি দরজা খুলুন। আমার কথাই আপু দরজা খুলে দিলো। -আরে তৃষা তুমি??আমি তো ভেবেছিলাম তুমি আজ পড়তে আসবে না। -আরে আপু বলেন না স্যার তো সাজেশন্সটা নিয়ে যাইনি কলেজে।তাই বাধ্য হয়ে আসতে হলো। -আসো ভেতরে আসো। বলেই আপু হনহন করে ভেতরে ঢুকে গেলো।সদর দরজাটাও লাগালো না।তাই দরজাটা আমিই লাগিয়ে দিলাম।আপু নিচে না বসে সরাসরি দুই তালাই উঠে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে বাসাই আপু ছাড়া আর কেউ নেই। -আপু বাসাই কাউকে যে দেখছি না??আপনি ছাড়া কী আর কেউ নেই ?? আপু আমার কথাই কোনো উত্তর না দিয়ে দ্রুত তার রুমে গিয়ে পড়ার টেবিলে গিয়ে বসল।তারপর খুব দ্রুত মনে হচ্ছে রাগে রাগে একটা বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে লাগল।যেন এখুনি বইটা ছিড়ে ফেলবে।আপুর চোখদুটোও প্রচন্ড লাল দেখাচ্ছে আজ।মনে হচ্ছে চোখে রক্ত জমে আছে।আমার কেন জানিনা আজ অন্যরকম ভয় করছে।আমি আবারও সাহস নিয়ে আপুকে জিজ্ঞেস করলাম,,,,, -আপু স্যার কোথাই??অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে।আমার তো বাসাই ফিরতে হবে। আমার কথা শুনে আপু আমার দিকে তাকিয়ে রাগী চোখে তাকিয়ে পড়ল।মনে হলো আপুর চোখে যেন আগুন জ্বলে উঠেছে। -তৃষা আর বলো না।আসলে আব্বু বাসাই নেই। -বাসাই নেই মানে??কোথাই গেছে?? -আজ সন্ধ্যবেলা চাচ্চু এ্যাক্সিডেন্ট করেছে তাই‌ বাসার সবাই মিলে সেখানেই গেছে।বাসাই শুধু আমি আর তাহমিদ(স্যারের ছেলে) আছি। -তাহমিদ?? কী বলেন আপু??সে কোথাই??তাকে তো দেখছি না?? -ও আম্মুর রুমে ঘুমিয়ে আছে। আপুর মুখে এসব শুনে মূহুর্তের মধ্যেই আমার মনের সব ভয় দুর হয়ে গেলো।এই জন্যই আপু এমন করছে।চাচ্চুর এ্যাক্সিডেন্ট হওয়াতে কাঁদার জন্য মনে হয় আপুর চোখ লাল হয়ে আছে।তবে অবাক করার বিষয় না??বাসাই কেউ নেই আর আপু ছোট ভাইটাকে ফেলে এখানে এসে কী করে বসে থাকতে পারে?? -আপু তাহমিদকে একা রেখে এখানে বসে আছেন কেন?? চলুন ওর রুমে যাই।ও ভয় পাবে তো। -তোমাকে এত মাথা ঘামাতে বলেছি নাকি??চুপ করে বসে আছো বসেই থাকো।বেশি কথা বললে কিন্তু......(আপু ধমকের সুরে কথাটা বলল) আপুর ধমকে আমি মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে রইলাম।ভাবতেই অবাক লাগছে আপু আমার সাথে এভাবে কথা বলছে।আপু আমার বড় হলেও আমরা বান্ধবীর মতো।আজ পর্যন্ত কোনোদিন আপুর এমন ব্যবহার দেখিনি।আসলে অনেক নম্র ভদ্র মেয়ে আপু।কিন্তু আজ এমন করছে কেন??এই পুরো বাড়ীর ভেতরে কোনো মানুষের সাড়াশব্দ নেই।শুধুমাত্র শোনা যাচ্ছে আপুর বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টানোর শব্দ। . হঠাৎ আমি খেয়াল করি আপু যে বইটার পৃষ্ঠা উল্টাচ্ছে সেটাই কোনো কালো বর্ণ নেই।যত পৃষ্ঠা উল্টাচ্ছে সব যেন রক্তে মাখামাখি।আমি থ মেরে ওদিকে তাকিয়ে আছি।এবার দেখি আপু তার এক আঙ্গুল দিয়ে ওই রক্ত কিছুটা নিয়ে মুখে দিলো।না এসব কী দেখছি আমি?? মাথাটার মধ্যে কেমন জানি ঝিমঝিম করছে।না সব ভুল দেখছি আমি।মনে হয় শরীরটা ভালো লাগছে না।এখনই বাসাই যেতে হবে।আমি আপুর দিকে না তাকিয়েই বললাম,,,,, -আপু আমি চলে যাচ্ছি।স্যার তো এখনো আসল না। -না যে কাজ করতে এসেছিলে সেটা করেই যাবে। -কিন্তু আপু আমি একা বাসাই ফিরব কী করে?? -আচ্ছা তুমি বসো আমি দেখি সাজেশন্সটা কোথাও পাই কি না?? বলেই আপু রুম থেকে বের হয়ে গেলো।আমি চুপচাপ বসে রইলাম।আর মাঝে মাঝে টেবিলের সেই বইটার দিকে তাকাচ্ছিলাম।এখন বইটা ঠিকই আছে। -না তৃষা, কোথাও পেলাম না সাজেশন্সটা।আর আব্বুর ড্রয়ারটাও লগ করা। -ওকে আপু।তাহলে আমি চলে যাই। এই কথা বলার সাথে সাথে হঠাৎ পেছন থেকে কেউ কথা বলে ওঠে।আমি তাকিয়ে দেখি স্যার দাড়িয়ে আছে। -এই তো তৃষা আমি চলে এসেছি। -ওহ স্যার আপনি এসেছেন?? -হুমম আমি তো জানতাম তুমি আসবে।তাছাড়া আজ পূর্ণিমা রাত আসতে তো হতোই। -মানে স্যার??আপনার কথা বুঝতে পারলাম না। -না কিছু না।আমি সাজেশন্সটা নিয়ে আসছি। . আমি পাশ ফিরতেই দেখি আপু নেই।হুমম মনে হয় চলে গেছে।একটু পরেই স্যার ফিরে এসে সাজেশন্সটা আমাকে দিলো।আমি ওটা ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম।তারপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে নয়টা। -স্যার আমি এখন আসি। -আসি মানে??পাগল হলে নাকি??এত রাতে একা যাবে কীভাবে??তার থেকে আজ এখানেই থেকে যাও। -না স্যার বাসাই টেনশন করবে।তাছাড়া বাসাই গিয়ে পড়তেও হবে। -ঠিক আছে।চলো আমি তোমাকে পৌঁছে দিয়ে আসি। আমিও স্যারের কথাই না করলাম না।কারণ একা যেতে আমারও ভয় করবে।সন্ধ্যাই দেখলাম রাস্তাই কেউ নেই।তাহলে এত রাতে মানুষ থাকার প্রশ্নই ওঠে না।স্যার আর আমি দুই তলা থেকে মেনে যখনই সদর দরজার সামনে এসে দাড়ালাম তখনই পেছনে জোড়ে একটা চিৎকার হলো।আমি আর স্যার দুজনেই পেছনে তাকিয়ে পড়ি।দেখি তাহমিদ সিড়ি থেকে পড়ে গেছে।স্যার দৌড়ে তাহমিদের কাছে গেলো।মনে হচ্ছে ওর একটা পায়ে মোচড় লেগেছে।আমিও তাহমিদ কোথাই আঘাত পেয়েছে সেটা দেখতে ব্যস্ত।হঠাৎ আমার চোখ গেলো তাহমিদের চোখের দিকে।ওর চোখ দুটোও আপুর মতো লাল।প্রচন্ড লাল।এবার আমার কেমন জানি খটকা লাগল।আমি ইচ্ছা করেই স্যারের চোখের দিকে তাকালাম।হুমম আমার সন্দেহটাই ঠিক।স্যারের চোখও‌ একই রকম।চাচ্চু এ্যাক্সিডেন্ট করার জন্য না হয় আপু আর স্যারের চোখ লাল হতে পারে।তবে তাহমিদ??ও তো অনেক ছোট।এসবের কিছুই তো বোঝে না।আমি তাহমিদকে ছেড়ে উঠে দাড়ালাম।আর উপরের দিকে তাকিয়েই দেখি আপু সিড়ির এক কোণে দাড়িয়ে আমার দিকে ফিরে খিলখিলিয়ে হাসছে।আমি আর ওখানে না দাড়িয়ে সোজা সদর দরজা খুলে রাস্তা দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম।পেছনে আর তাকালাম না। . বাহিরে আজ চাঁদের ফকফকে আলো।হুমম স্যার ঠিকই বলেছিলো আজ পূর্ণিমার রাত।চারিপাশের সবকিছু দেখা যাচ্ছে।এখানে চারিপাশে মাঠ।মাঠের ভেতরের সবই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।স্যারের বাসা থেকে অনেক দুরে চলে এসেছি।আর কিছুটা সামনে গেলে মনে হয় কাশবন পড়বে।কিন্তু আপু আজ এমন কেন করল??সব কিছু কেমন জানি অস্বাভাবিক ছিল।বারবার মনে পড়ছে আপুর সেই রহস্যজনক হাসি আর সেই বইয়ের পাতা উল্টোনোর কথা।তাই এবার আমি‌ এসব ভুলে থাকার জন্য নিজেই শিষ দিতে লাগলাম।বাহ আমি তো ভালো শিষ দিতে পারি।আগে তো জানতাম না।আর জানবোই বা কী করে?? আগে কখনো চেষ্টা করেও তো দেখিনি।আসলেই শিষ দেওয়াটা আমার কাছে জঘন্য লাগে।এটা আমি মোটেও পছন্দ করি না।আমার মনে হয় এটা বংশের বাজে ধারা বহন করে।এদিকে ঘড়ির কাটা রাত দশটা ছাড়িয়ে গেছে।হঠাৎ আমার মনে হলো কেউ যেন জোড়ে জোড়ে কাঁদছে।কিন্তু এখানে তো কেউ নেই কাঁদবেটা কে??আমি এদিক ওদিক তাকিয়েই দেখি আমার থেকে কিছুটা দুরে একটা ছোট ঘর।ঘরটার ভেতরে যেন অন্ধকার লাগছে।তবে কান্নার আওয়াজটা যে ওখান থেকে আসছে সেটা বরাবরই বুঝতে পারছি।তবে এখানে কোনো ঘর আছে কই আগে তো দেখিনি??হুমম হয়ত বা খেয়াল করিনি কখনো।যাই হোক বিপদ না হলে কেউ তো আর কাঁদে না।হয়ত কোনো বিপদে পড়েছে সে।যাই হোক দেখে আসি।যদি কোনো সাহায্য করতে পারি!আমি আস্তে আস্তে ঘরটার দিকে এগিয়ে গেলাম।মনে হচ্ছে ভেতরে অন্ধকার।কিন্তু কই এখন তো আর কোনো কান্নার আওয়াজ আসছে না??ধেতত আমি ওইসব ফালতু কথা ভাবছি তাই হয়ত এমন হচ্ছে।আমি ফিরে আসব বলে প্রস্তুতি নিচ্ছি তখনই সেই আগের মতোই ঘরের মধ্য থেকে কান্নার আওয়াজ আসতে লাগল।আমি আস্তে করে দরজার সামনে গিয়ে দাড়ালাম।দরজাটা খোলাই আছে।তবে ভেতরে কাউকেই দেখছি না।কেমন জানি ভয় ভয় লাগছে।যাই হোক ভয়কে কখনো পাত্তা দিইনি আমি।ভয়কে জয় করেছি সব সময়।এবারও ভয়কে ফেলে রেখে সরাসরি ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়লাম।দেখি ঘরের এক কোণে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা লাশ।আর লাশটার পাশে বসে একটা মহিলা কাঁদছে।মহিলাটার মাথাইও ঘোমটা দেওয়া।এখানে একটা মোমবাতি জ্বলছে।এইজন্য মনে হচ্ছিলো ঘরটা অন্ধকার।আমি আস্তে আস্তে মহিলাটার পাশে গিয়ে বসলাম। -আপনি কাঁদছেন কেন??কী হয়েছে?? -আমার স্বামী মারা গেছে।কিন্তু এই রাতে কে আমাকে সাহায্য করবে??এই গ্রামের কেউ আমাকে সাহায্য করতে চাই না। -কেন আমি তো আছি।আমি করব।বলুন আপনার কী সাহায্য দরকার?? -আমার সাথে সারারাত থাকতে হবে।আমার একা থাকতে ভয় লাগছে। -কিন্তু আমি সারারাত থাকতে পারব না।আপনি চাইলে আপনি এখনই আপনার স্বামীকে কবর দিতে পারেন।আমি আপনাকে সাহায্য করব। -হুমম তবে দুইটা কবর খুড়তে হবে। -দুইটা মানে??দুইটা কবর খুঁড়বো কেন?? -কেন একটা আমার আর একটা আমার স্বামীর। উঁনার কথা শুনে আমি কেঁপে উঠলাম।ঘরের মধ্যে বাতাস শুরু হয়ে গেলো।আর সেই বাতাসে উনাদের মুখের কাপড় সরে গেলো।সাথে সাথে আমি লাফ দিয়ে দুরে সরে গেলাম।আমি দেখি মহিলার চোখ দুটো ধবধবে সাদা।মনে হচ্ছে মৃত মানুষের চোখ।মাথাটা সামনে থেকে ফেঁটে যাওয়া।আর সেখান থেকে ঘিলু বের হয়ে পড়ছে।এবার আমি মেঝেতে শুয়ে থাকা লাশটার দিকে তাকালাম।দেখি উনার চোখ দুইটা খোলা,আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আর জিভটা প্রায় এক হাত বের হয়ে আছে।লাশটি শুয়ে থাকা থেকে উঠে বসল।আর মহিলাটি হো হো করে হাসতে লাগল।রুমের বাতাসে মহিলার চুলগুলো উড়ে ওই বেড়িয়ে পড়া ঘিলুতে গিয়ে বারি খেতে লাগল।আমিও আর না দাড়িয়ে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম।আর সাথে সাথে ঠাস করে দরজাটা লেগে গেলো।আর একটু দেরি হলে এতক্ষণে আমি ওই ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে যেতাম।আমি রাস্তাই এসে কাঁপতে লাগলাম।তারপর পেছনে তাকালাম।কিন্তু না ওখানে আর সেই ঘরটা নেই।আমি ওখানে মাটিতেই বসে পড়লাম।যেন আর চলার ক্ষমতা নেই আমার।বেশ কিছুক্ষণ বসে উঠে দাড়ালাম।আর মনে হলো আমি উপরে কোনো কিছুতে আঘাত পেলাম।আমি উপরের দিলে তাকিয়ে দেখি,গাছের উপরে পা বাধিয়ে মাথাটা নিচের দিকে দিয়ে কেউ ঝুঁলে আছে।আর আমি উঠতেই ওই মাথার সাথে ঘা খেয়েছি।লাশটার জিহবা বের হয়ে আছে।আমি খেয়াল করে দেখি একটা না ওখানে দুইটা লাশ।একটার মাথা নিচের দিকে আর একটা উপরের দিকে।আমার বুঝতে বাকি রইল না এটা সেই ঘরের ভেতরের মানুষ দুটো।আমি দৌড়াতে শুরু করলাম ওখান থেকে।আমার সাথে সাথে লাশ দুটোও ঝুলতে ঝুলতে আসতে লাগল।আমি প্রাণপণে ছুটে চলেছি।না স্যারের কথা মতো স্যারদের বাসাই‌ থাকলে আর এই পরিস্তিতির মুখে পড়তে হত না।নিজের উপরে নিজেরই রাগ হতে লাগল।না আর পারছি না।বেশ কিছুক্ষণ পর আমি দাড়িয়ে পড়লাম।আমি দেখি আমি কাশবনের প্রায় অর্ধেক দুরে চলে এসেছি।আমার পেছনে আর কেউ নেই।আমি ওখানে দাড়িয়ে হাপাতে লাগলাম।যাক তাহলে বাচলাম।আর একটু গেলেই নদী পড়বে।নদীটা পার হতে পারলে আর কোনো ভয় নেই।হঠাৎ মনে হলো আমার পাশে কাশ বনের ভেতরে কিছু একটা খুশখুশ করছে।আমি ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে দেখি কাশবনের ভেতর থেকে সেই মহিলা হামাগুড়ি দিতে দিতে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।একি ওদের তো পেছনে দেখে আসলাম এখানে আসল কখ করে?? মহিলাটা গোঙাতে গোঙাতে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।আমি আবার দৌড়াতে শুরু করলাম। . বেশ কিছুক্ষণ পরে আমি নদীর পাশে এসে দাড়ালাম।হুমম এবার যেন একটু হাফ ছাড়লাম।তবে এখনো পেছনে তাকাচ্ছি না।কারণ পেছনেই সেই কাশবন।কিন্তু এখন নদী পার হবো কী করে??এত রাতে তো কোনো মাঝিও পাওয়া যাবে না।এখন কী করব আমি??পেছনেও তো যাওয়া সম্ভব নয়।যাই হোক,,দেখি কোনো মাঝি পাওয়া যাই কি না??আচ্ছা বাসা থেকে কী আমার জন্য একটুও ভাবছে না??যে আমি কেন এত রাত করছি??আব্বু আসলেও‌ তো পারে।আমি নিরুপাই হয়ে ওখানেই দাড়িয়ে রইলাম।বেশ কিছুক্ষণ পরে দেখি দুর থেকে নদীর পানিতে ঢেউ আসছে।আর মনে হচ্ছে কেউ গান গাইছে।তাহলে কী কোনো মাঝি আসছে??হুমম একটু পরেই আমার ধারণা ঠিক হলো।আমি দেখি একটা মাঝি গান গাইতে গাইতে এদিকে এগিয়ে আসছে।যে ভাবেই হোক এই মাঝিটাকে রাজি করাতে হবে।নাহলে সারা রাতেও আর মাঝি পাবো না।এখানেই থাকতে হবে।কিন্তু মাঝিটা কী যাবে??যদি না যাই??তবে একটু পরেই আমাকে ভুল প্রমাণিত করে মাঝিটা নিজেই আমার সামনে এসে নৌকা ভিড় করালো। -কী হলো মা এত রাতে এখানে একা দাড়িয়ে আছো কেন??তুমি কী জানো পূর্ণিমা রাতে এখানে কত ধরণের ভয়ানক কাজ ঘটে।যার সর্বশেষ হয় মৃত্যু?? হুমম উনার কথাগুলো মিথ্যা না।কেননা আমার সাথেও তো তেমনটাই ঘটল। -আঙ্কেল আজ অনেক বড় বিপদে পড়ে গেছি।নদীটা পাড় হতে হবে।যদি একটু পাড় করে দিতেন তাহলে বড্ড উপকার হয়। -জি মা অবশ্যই।উপরে উঠে বসো। . আমি উনার কথা মতো নৌকাই উঠে বসলাম।আমি এপাশে আর উনি ওপাশে।একটা সময় নৌকা চলা শুরু করল।মাঝিও চলা গান গাইতে নৌকা বাইতে লাগল।চারিপাশ থেকে শো শো করে বাতাস এসে মনটা ভরিয়ে তুলেছে।অনেক ভালো লাগছে এখন।চাঁদের আলো নদীর পানি চকচক করছে।আর আমিও নীরবে একমনে নদীর সেই সুন্দর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করছি।তারমধ্যে মাঝির সুরেলা কণ্ঠে গান বুকটা জুড়িয়ে দিচ্ছে।কিন্তু হঠাৎ আমার কেন জানিনা মনে হলো নৌকাটা নিজের ইচ্ছাই ক্রম ছাড়াই চলছে।মাঝির গানও বন্ধ হয়ে গেলো??নৌকাটা এদিক ওদিক দোল খেতে লাগল।আমি তাকিয়ে দেখি মাঝি চুপচাপ তার দুই হাটুর মাঝে মুখ দিয়ে বসে আছে। -কী হলো আপনি এভাবে বসে আছেন কেন?? নৌকা তো নিজের ইচ্ছাতেই চলছে। উনি আমার কথাই কোনো উত্তর দিলো না।বিষয়টাকে আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হলো।তাই আমি বসা থেকে উঠে দাড়ালাম।আমি উঠে দাড়াতেই মাঝি আমার দিকে ফিরে তাকালো।এ কী,,এ তো সেই লোক।উনার জিভটা এখনো বের হয়ে আছে।আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই উনি নদীতে লাফ দিয়ে পড়ল।আর নদীর পানির ঢেউয়ে নৌকাটা এদিক ওদিক দোল খেতে লাগল।আমি আবার আগের মতো কাঁপতে লাগলাম।এখন আমি কী করব??নৌকা নিজের মতো করেই সরে যেতে লাগল।এখানে তো কোনো দাড়ও নেই যেটা দিয়ে আমি ডাঙাই যাবো।নদীতে তো লাফও দিতে পারব না।কারণ ওই আত্মাটা তো নদীতেই লাফ দিলো।ডাঙাই সবার সাথে লড়া গেলেও পানিতে একটা মানুষ হয়ে আত্মার সাথে লড়া অসম্ভব।পানির সাথে কখনো লড়া যাই না।এবার নৌকাটা কেমন জেনো দোল খেতে লাগল।যেন এখনি পানিতে ঢুবে যাবে।আমি একটু খেয়াল করতেই দেখি পানির নিচ থেকে দুইটা হাত নৌকার উপরে দিয়ে কেউ‌ উঠার চেষ্টা করছে।তারপর দেখি ওই আত্মাটাই হামাগুড়ি দিয়ে নৌকাই‌ উঠার চেষ্টা করছে।আমিও‌ আস্তে আস্তে পেছনে সরে যাচ্ছি।আমি কখন জানিনা নৌকার একেবারে কিণারাই চলে এসেছি।যখন বুঝতে পারলাম তখন অনেক দেরি হয়ে গেলো।তার আগেই পানির নিচ থেকে কেউ আমার পা ধরে টেনে নদীতে নিয়ে ফেলল।আর নৌকাটাও কোথাই যেনো গায়েব হয়ে গেলো।আমি এখন মাঝ নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছি।আমি কিনারাই যাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না।কেউ যেন নিচ থেকে আমার পা টেনে নিয়ে যাচ্ছে।আমি হাত পা ছুড়ছি কিন্তু কিসে যেন বেধে যাচ্ছে।আমি তাকিয়ে দেখি আমার পাশে অসংখ্য মাথা পানি থেকে ভেসে উঠছে।চারিপাশে নদীতে শুধু মাথা আর মাথা।সব মাথাগুলো চোখ খুলে আছে।আস্তে আস্তে মাথাগুলোর পুরো বডি ভেসে উঠতে লাগল।হ্যাঁ,এখানে সব মরা লাশ।সবগুলো ভাসতে ভাসতে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।তারপর কী হলো আমি আর কিছুই জানি না।জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।তবে জ্ঞান হারানোর আগে এইটুকুই বলতে পারি কেউ আমার পা ধরে পানির নিচে তলিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।আমি শুধু পানির নিচে আমার সামনে ওই‌ মহিলা আত্মা আর তার স্বামীর বিভংস চেহারা দেখেছিলাম। . . যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখি আমি আমার রুমে বিছানাই শুয়ে আছি।আর আমার এক পাশে একটা চেয়ারে স্যার বসে আছে।আর আব্বু মাথার কাছে আর আম্মু পায়ের কাছে বসে আছে।আমি চোখ মেলতেই আগে তাকালাম ঘড়ির দিকে।কারণ আজ আমার পরীক্ষা।কিন্তু দেখি এখন সকাল এগারোটা বাজে।কাল রাতের কথা আবার মনে পড়ে গেলো আমার।আমি আবার কাঁপতে লাগকিছু -তৃষা সরি।আমাকে ক্ষমা করে দিও।কাল তোমার সাথে এটা করা উচিত হয়নি আমার। -না স্যার।আপনার তো কোনো দোষ ছিল না।এখন বলেন তাহমিদ কেমন আছে?? -তাহমিদ মানে??ওর তো কিছু হয়নি। -আরে কাল রাতে ও তো সিড়ি থেকে পড়ে গিয়েছিলো।আর ওর পায়ে মোচড় লেগেছিলো। -তৃষা আমি তোমার কথা কিছুই বুঝতে পারছি না।তাহমিদ কখন কাল মোচড় পেলো??আমরা তো সবাই হাসপাতালে ছিলাম।বাসাই তো কেউ ছিল না। -কী বলছেন আপনি?? কাল রাতে তো আপু আর তাহমিদ বাসাই ছিল।আর আপনি তো পরে আসছিলেন। -না কাল কেউ বাসাই ছিল না।আমি ভেবেছিলাম তোমার সাজেশন্সটা বাসাই দিয়ে যাই।তাহলে তোমার আর কষ্ট করা লাগবে ।কিন্তু ওটা নিয়েই নদী পাড় হতেই আমার কাছে ফোন আসে আমার মেজে ভাই এ্যাক্সেডেন্ট করেছে।তাই আমি ওখানে চলে যাই।আর বাসার সবাইকে যেতে বলি।আর বাসাই তারাতারি হাসপাতালে চলে যাই।আর আমি তো আজ ভোরে বাসাই ফিরলাম। -তাহলে আমাকে সাজেশন্স দিয়েছিলো কে?? -কই সাজেশন্স তো আমার কাছে।এই দেখো,,,, বলেই স্যার সাজেশন্সটা বের করে দিলো। -তাহলে আমার কাছে ওইটা কী?? আমি ব্যাগটা খুলে সাজেশন্সটা বের করি।তবে এ কী এটা তো সাজেশন্স নয় সাদা একটা কাগজ।তবে আমি কাল স্পষ্ট দেখেছি এটা সাজেশন্স ছিলো।আমি বোকা হয়ে গেলাম। -তোমার কাল কী হয়েছিলো সেটা বলো তো?? আমি সবাইকে কাল রাতের ঘটনা খুলে বললাম।আম্মুকেও বকা দিলাম তারা কেন আমাই নিয়ে আসতে গেলো না??কিন্তু আম্মু জানাই কাল নাকি একটা নাম্বারে আমি কথা বলি,,যে আমি নাকি স্যারের বাসাই থাকব।তাই তারা আমার খোঁজ করতে যাই নি।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেই নাম্বারটা এখন আর নেই।আমার কাছে এই ঘটণা শুনে স্যার একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।আব্বু আমার সাথে এমন হওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্যার জানাই,,,, এখান থেকে প্রায় বিশ বছর আগে স্যারদের গ্রামে একটা পরিবার থাকত।তাদের সাথে কেউ মিশত না।কারণ তারা অনেক খারাপ ছিলো।পরিবার বলতে তারা স্বামী স্ত্রী দুজন থাকত।লোকটা মাঝি ছিল।তারা মানুষের অনেক ক্ষতি করত।প্রতি রাতে এভাবে কাঁদত।কোনো মানুষ গেলে তাদের ক্ষতি করত।কারো ছেলে কারো মেয়েকে প্রতি পূর্ণিমা রাতে মেরে শয়তানের উপাসনা করত।তাই তাদের কোনো সমস্যাইও কেউ যেত না।তেমনই একদিন রাতে ওই মহিলাটি কাদতে থাকে প্রতিদিনের মতো।সেদিন কাঁদার সুরটা অন্যরকম ছিল।আর ওই মহিলা বারবার বলছিলো আজ কোনো প্রাণ না দিতে পারাই আমার স্বামীকে মেরে ফেলল।সেদিনও কেউ‌ যাইনি।সকালে উঠে সবাই দেখে ওদের সে ঘর আর নেই।এমনকি তাদেরও কোনো খোঁজ ছিল না।তিনদিন পরে ওদের লাশ পাওয়া যাই যেখানে যেখানে ওদের ঘর ছিল।তবে কেউ তাদেরকে কবরও‌ দেওনি।কুকুর শেয়ালে ছিড়ে খেয়েছিলো ওদের লাশ।তারপর থেকে প্রতি পূর্ণিমা রাতে এমন ভাবে মানুষের জীবন নেই‌ ওরা।যার জন্য এখন ওই গ্রামে মানুষ কম।বিশেষ করে এপাশে কোনো মানুষই নয়।আর কাল রাতে আমি নাকি ওদেরই পাল্লাই পড়েছিলাম। -তার মানে কাল রাতে আমি আপনাদের বাসাই যাদের সাথে ছিলাম তারা কেউ‌ মানুষ নয়?? -না তৃষা।তবে একটা কথা আমি যখন ভোরে বাসাই যাই তখন দেখি আমাদের সদর দরজা খোলা।আমি ভেবেছিলাম তারাহুরাই মনে হয় সব দরজা খুলে রেখে গেছে। -কিন্তু আমাকে কে নিয়ে আসল। -আমি তৃষা।আমি ভোরে বাসাই ফিরে ভাবলাম তোমাকে সাজেশন্সটা দিয়ে আসি।তাই আসতে গিয়ে নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখো তোমাই।তারপর আমি তোমাকে নিয়ে আসি। -কিন্তু আমি পরীক্ষা দিতে পারলাম না স্যার?? -তাই কী সমস্যা নেই।ফাস্ট গার্ল তুমি হবে এটা সবাই জানে।এই পরীক্ষাটা তুমি সুস্থ হলে দিয়ে দিও। -অনেক ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। -তৃষা আমি এখন আসি তাহলে। -জি স্যার।আব্বুও স্যারের সাথে গেলো। . আমি বুঝতে পারলাম কাল রাতে এইজন্যই আপু এমন করেছিলো।আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।আমি তো ভাবছিলাম স্যারের বাসাই থাকলে ভালো হত।কিন্তু এখন স্যারের বাসাই থাকলে হয়ত বা আর বেচেই ফিরতাম না।আমি আজও ভুলিনি সেই রাতের ঘটনা।যাই হোক বেচে তো ফিরেছি তাই ভালো।যাই হোক নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলাম এইটাই সবথেকে বড় আমার কাছে।তারপর থেকে আমি আর কখনো স্যারের বাসাই পড়তে যাইনি।স্যার নিজেই আমাকে পড়িয়ে দিয়ে যেত। . ,,,,,,,,,,,,,,,,,,সমাপ্ত,,,,,,,,,,,,,,,,,


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৭১৯ জন


এ জাতীয় গল্প

→ ভয়ানক সেই রাত
→ সেই রাতের ভয়ানক দৃশ্য
→ সেই ভয়ানক রাত

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now