বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

দুইগোয়েন্দা-

"গোয়েন্দা কাহিনি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Taimol (০ পয়েন্ট)

X ------ -----'''""দ্যা মিস্ট্রিয়াস আইল্যান্ড"""""----- পর্ব-৫ নয় উচু নিচু পাহাড় আর ফুল গাছের জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে প্রায় ২০ মিনিট হাঁটার পর ওরা একটা মিম্ভারের কাছে পৌছালো।মিম্ভারটা এখনও পুরোপুরি অক্ষত রয়েছে।মিম্ভারটার দিকে এগিয়ে গিয়ে সামনে দাড়ালো।এরপর বলল,"দ্যা গারডেন ড্রাগো!। এটাই ক্যাপ্টেন নিমোর শেষ অবস্থান যেখানে ওনার নাবিকেরা ওনাকে কবর দিয়েছিলেন।" "ঠিক বলেছো সাইম", সাইমের দাদা বলল। "আমি বলি এর ভেতর কী থাকতে পারে? ক্যাপ্টেন নিমোর জার্ণাল।আর ওটাতেই লেখা রয়েছে ন্যাটেলিস্টের অবস্থান।আমি কখনো এর ভেতর ঢুকিনী।কারণ আমার একটা ভুড়ি আছে,হা হা হা"। হাত দিয়ে আলেকজেন্ডার ওনার বুড়িটা দেখালেন। "আমি ঢুকতে পারবো",সামনে এগিয়ে আসলো নিহারিকা।"আমিই একমাত্র ওর ভেতর ঢুকতে পারবো"। "এই না",সাইম বলল। "এটা খুব বিপদজনক"। "ধন্যবাদ",নিহারিকা বলল।"কিন্তু আমি তোমার পারমিশান চাইনি"। কথাটা বলেই ব্যাগ থেকে একটা টর্চ বের করে দ্যা গারডেন ড্রাগোর দিকে এগোতে লাগলো নিহারিকা।উপড়ে ছোট একটি গর্ত।আর ঐ গর্ত দিয়ে খুব সহজেই গলে ভেতরে ঢুকলো নিহারিকা।আর উপড়ে লতা ধরে দাড়িয়ে রয়েছে সাইম,আলেকজেন্ডার আর দাবাতো। "মা একটু সাবধানে নেমো"। বলল দাবাতো। "আমি ঠিক আছি বাবা আর আমি নিচে নেমে গেছি", নিচে পৌছে বলল নিহাররিকা। "তোমার মনে আছেতো কি আনবে?", জিজ্ঞাসা করলো যাহিদ। "হ্যা মনে আছে"। ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে চলল নিহারিকা।উপড় থেকে যদিও এটাকে খুব ছোট লাগে কিন্তু এটা আস্ত একটা বাড়ীর মতই বিশাল।হাতের টর্চটা জ্বালালো নিহারিকা।সাথে সাথে অন্ধকারের বুক চিরে টর্চের আলোয় ফুটে উঠলো নিচের দৃশ্য।নিহারিকা ওর সামনে একটা মানুষের কঙকাল দেখে চিৎকার দিয়ে উঠে।সেই চিৎকার শুনে উপড় থেকে দাবাতো চেচিয়ে বলে,"মা তুমি ঠিক আছো?" "ঠিক আছি বাবা", উত্তর দিল নিহারিকা। এরপর আবারও সামনে এগোতে লাগলো সে।চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য পাথরের স্তম্ভ।আরও কিছুটা সামনে যাওয়ার পর নিহারিকা দেখতে পেল ক্যাপ্টেন নিমোর কঙকালকে।শরীরের সাথে ক্যাপ্টেনের পোশাক লেগে রয়েছে।আর ক্যাপ্টেনের হাতে রয়েছে জার্ণালটা।ক্যাপ্টেনের দিকে এগিয়ে গেল নিহারিকা।মৃদুভাবে ধরলো জার্ণালটা।তারপর আস্তে করে একটা টান দিল।খুলে চলে আসলো জার্ণনালটা ক্যাপ্টেনের হাত থেকে।জার্ণালটা কয়েকশো বছর পুরোনো হলেও এখনও আগের মতই রয়েছে।জার্ণালটার উপড় থেকে ধুলো ঝারছিলো ননিহারিকা হঠাৎ একটা গর্ত থেকে ২ ফিট লম্বা চেলা বেরিয়ে আসলো।সাথে সাথে জার্ণালটা দিয়ে বারি মেরে চেলাটাকে অন্যদিকে পাঠিয়ে দিল সে।হঠাৎ একটা গুর গুর আওয়াজ হলো আর সে সাথে নড়ে উঠলো পুরো আইল্যান্ড টা। "ওটা কি ছিল?", উপড় থেকে বলল সাইম। "তাহলে দ্বীপ ভেঙে যাওয়ার আওয়াজটা এমন হয়?", নেজে নিজে বিড়বিড় করলো নিহারিকা।আবারো নড়ে উঠলো দ্বীপটা।জার্ণাল হাতে নিয়ে দৌড়ে গর্তটার মুখের কাছে চলে আসলো নিহারিকা।তারপর লতা ধরে চেচিয়ে বলল,"আমাকে টানো! টানো উপড়ে" দাবাতো চেচিয়ে বলল,"ওকে বের করো,বের করো ওকে" সাইম আর ওর দাদা মিলে লতা ধরে টেনে তুলতে লাগলো নিহারিকাকে।উপড়ে উঠেই সবাই লাফ দিয়ে একপাশে পরে গেল।আর সাথে সাথে পুরো সমাধিটা ভেঙে ঘুরিয়ে গেল।ওরা একটু আগে যে জায়গায় দাড়িয়ে ছিল সে জায়গাটা পাথরে চাপা পরে গেল।নিহারিকা লাফ দিয়ে একেবারে সাইমের উপড় গিয়ে পরলো। দাবাতো আর আলেকজেন্ডার একদিকে,দুইগোয়েন্দা অন্য দিকে।নিহারিকা আর সাইমের অবস্থা দেখে হেঁসে উঠতে যাচ্ছিলো রিনক কিন্তু যাহিদের কণুইয়ের গুতো খেয়ে আউক করে নাক চেপে ধরলো। কিছুক্ষণ পর। একটা পাথরের উপড় জার্ণালটা মেলে ধরলো আলেকজেন্ডার।চারপাশ থেকে বাকীরা ঘিরে আসলো কি লেখা আছে তা দেখার জন্য।লেখাগুলোর কিছুই বুঝতে পারলো না কেউ।লেখাগুলো দেখে দাবাতো বলল,"লোকটার হাতের লেখা কত বাজে!" রিনক বলল,"মনে হচ্ছে এটা সংস্বকৃত" "কাছাকা্ছি", আলেকজেন্ডার বলল। "এটা হিন্দি" "হ্যা",সাইম বলল।"নিমো ভারতীয় ছিলো" "এখানে লেখা রয়েছে", বলতে আরম্ভ করলো আলেকজেন্ডার। "ন্যাটেলিস্ট রয়েছে একটা আগ্নেওগিরির গুহায়,আইল্যান্ডের ঠিক অন্য প্রান্তে প্রোসাইডানবাজের ঠিক নিচে।" জার্ণাল থেকে মুখ তুলে বাকীদের দিকে তাকালো আলেকজেন্ডার।এরপর বলল,"জায়গাটা আমি চিনি!" "বাহ দাড়ুণ!", যাহিদ বলল। "তাহলে চলুন আমরা যাই" "সহজ হবে কোথা দিয়ে?", জিজ্ঞাসা করলো নিহারিকা। "দেখ সেটা নির্ভর করবে তোমাদের উপড়", আলেকজেন্ডার বলল। "সহজ হবে উপকূল ধরে গেলে আর দ্রুত হবে আইল্যান্ডের মাঝখান দিয়ে।" "কোনটা করবো আমরা যাহিদ?", সাইমের প্রশ্ন। "আমাদেরতো আর কোনো উপায় নেই,দ্রুতই যেতে হবে"। বলল যাহিদ। "তোমাদের একটা কথা বলে রাখি", আলেকজেন্ডার বলল। "আইল্যান্ডের মাঝখানে রয়েছে উচু নিচু পাহাড় আর অসংখ্য ভয়ংকর প্রাণী যা দেখলে তোমরা রাতে ঘুমোতে পারবে না।তো কে কে যেতে চাও এ রোমাঞ্চকর এডভেঞ্চারে? হা হা হা" দশ উচু নিচু অসংখ্য পাহাড় টপকে এগিয়ে চলছে অভিযাত্রীদের দলটা।সবার আগে রয়েছে আলেকজেন্ডার।ওনিই বাকীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।তার পেছনে রয়েছে সাইম।আর সাইমের হাতে রয়েছে মিস্ট্রিয়াস আইল্যান্ডের ম্যাপ।এদিক ওদিক তাকিয়ে ম্যাপের সাথে আইল্যান্ডের সবকিছু মিলিয়ে দেখছে সে।তার পেছনে রয়েছে নিহারিকা,যাহিদ,রিনক আর সবশেষে দাবাতো।কিছুদূর এগোনোর পর হঠাৎ দাবাতো পেছন থেকে রিনককে ডাক দিল,"রিনক,এদিকে আসোতো একটু" রিনক এগিয়ে গেল দাবাতোর দিকে। "গাছে লেগে থাকা এ দাগগুলো কিসের?" একটা গাছেড় মধ্যে লেগে থাকা আচরের দাগ দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলো দাবাতো। "তাতো জানিনা", জবাব দিল রিনক।"কিন্তু হবে ভাল্লুক বা অন্য কিছু"। রিনকের কথা সবে মাত্র শেষ হয়েছে ঠিক এমন সময় ওদের কানে কিচির মিচিরের আওয়াজ আসলো।গাড় ঘুরিয়ে আওয়াজের উৎসের দিকে তাকালো দুজনে।সাথে সাথে চোখ বড় হয়ে গেল দাবাতোর।দুটো বিশাল পিপড়ে আস্ত একটা গাছকে টেনে উপড়ে ফেলে দিচ্ছে।এ দৃশ্য দেখে দাবাতো বলল,"তাড়াতাড়ি এখান থেকে পালিয়ে যাই চলো।একবার দানব গিরগিটির থেকে বেঁচেছি আবার এ দানব পিপড়েড় খাবার হতে চাই না"। "হ্যা ঠিকই বলেছেন", রিনক বলল।"কিন্তু চিন্তা করেন না আপনি যা মটু তাতে পিপড়েগুলো আপনাকে তুলে নিয়ে যেতে পারবে না" "তুমি খুব মজার রিনক", দাবাতো বলল।"এখন চলো ভাগি,না হলে কখন যে দানব পিপড়ের লান্স হয়ে যাব দুজনেই তা কেউ টেরই পাবে না" "ওকে চলুন" আবারো এগোতে লাগলো রিনক আর দাবাতো।অনেকটাই পেছনে পরে গিয়েছে রিনক আর দাবাতো।দ্রুত এগিয়ে চলল দুজনে।একটা সময়ে গিয়ে একটা জলার কাছে দুজনে বাকীদের সাথে মিলিত হলো।জলাটার মধ্যে পাথর থাকায় পেরুতে কোনো অসুবিধা হলো না অভিযাত্রীদের।কিন্তু যখন জলাটার মাঝখানে পৌছালো সবাই ঠিক তখনি পুরো দ্বীপটা নড়ে উঠলো।সাথে সাথে দাড়িয়ে গেল সবাই।আবারো নড়ে উঠলো।এবার একটু বেশিই নড়লো।পরতে পরতে সামনে নিল সাইম। "এটা কি হচ্ছে?" চেচিয়ে উঠলো নিহারিকা। "টেকটনিক প্লেটগুলো দ্বীপের নিচের ভাগকে টানতে শুরু করেছে", চেচিয়ে বলল সাইম।আর ঠিক তখনি মাইলখানেক দূরের একটা আগ্নেওগিরি ফেঁটে ভেতর থেকে জ্বলন্ত লাভা পরতে আরম্ভ করলো। "আমাদের আরও দ্রুত যেতে হবে,সবাই যাও যাও", তাড়া দিল যাহিদ। নিরাপদেই জলাটা পেরুলো সবাই। "এই দাড়াও", নিহারিকা বলল। "এগুলো কি?" আগ্নেওগিরি থেকে ছাই এসে পরতে লাগলো ওদের উপড়।ছাইয়ের রং সাধারণত কালো কিন্তু এ আগ্নেওগিরির ছাইয়ের রং সোণালি। "এগুলো আগ্নেওগিরির ছাই", রিনক বলল। দাবাতো বলল,"দেখেতো মনে হচ্ছে......." "সর্ণ! খাটি সর্ণ", দাবাতোর বাকী কথা শেষ করলো আলেকজেন্ডার। পুরো আগ্নেওগিরিটা সর্ণের।আর তার ভেতর থেকে বের হচ্ছে সর্ণের লাভা। "এটাই সেই গুপ্তধন", বলল সাইম।"যার কথা রবার্ট ব্রুস স্টিভেনসন তার বই ট্রেজার আইল্যান্ডে বলেছেন" "ওয়াও! সর্ণের পাহাড়!", অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো দাবাতো। "হেই চলো যাই", পা বাড়ালো সাইম। "না সাইম তুমি যাবে না", যাহিদ বলল। "কেন?",সাইম বলল। "কারণ এতে পুরো দিন চলে যাবে।আর আমাদের হাতে অত সময় নেই"।বলল যাহিদ। "তাহলে চলো সময় বের করি", সাইম বলল।"সর্ণের আগ্নেওগিরি,এটাতো বিজ্ঞানের একটা বিশাল চমক"। "আমি বুঝতে পারছি",যাহিদ বলল।"কিন্তু আগে আমাদের এ আইল্যান্ড থেককে বেরুতে হবে" "দেখ যাহিদ,আমারোওতো কিছু ইচ্ছে থাকতে পারে তাই না", সাইম বলল। "সাইম তুমি এটা ভূলে যেওনা যে আমরা তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি।আর তোমাকে রক্ষা করা আমাদের দ্বায়ীত্ব।" বলল যাহিদ। "যাহিদ ঠিকই বলছে সাইম", সামনে এগিয়ে এসে সাইমের কাধে হাত রাখলো নিহারিকা।"আগে আমাদের এ আইল্যান্ড থেকে বের হতে হবে" অন্যকেউ বললে হয়তো সাইম রাজি হতো না কিন্তু নিহারিকা বলায় রাজি হয়েছে।শত হোক না মানে সাইমের ইয়েতো নিহারিকা।আবারও এগিয়ে চলল সবাই। আরও কয়েকটা উচু নিচু পাহাড় টপকাতে হলো ওদের।পথে একটা বিশাল আপেল গাছ থেকে একটা আপেল পেরে ৬ টুকরো করলো আলেকজেন্ডার।তারপর ৬ জনে ৬ টুকরো খেতে খেতে চলল।টুকরোগুলো সবাই ২ হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে রয়েছে।সামনের রাস্তা দেখা যাচ্ছে না আপেলের টুকরোগুলোর জন্য।এভাবে আরও ১ ঘন্টা হাঁটার পর বিশাল এক বাধার মুখোমুখি হলো ওরা।বিশাল উচু একটা পাহাড় ওদের রাস্তায় বাধা হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে।সে পাহাড় দেখে যাহিদ আলেকজেন্ডারকে জিজ্ঞাসা করলো,"আলেকজেন্ডার আপনার কম্পাস ঠিকমত কাজ করছেতো?" "কেন সন্দেহ আছে?", বলল সাইমের দাদা। "কেননা", যাহিদ বলল।"আমাদের সামনে বিশাল আর সু-উচ্চু পাহাড়।অথচ ম্যাপ অনুযায়ি আমাদের ঠিক পাহাড়ের চূড়োর ওপাশে যেতে হবে"। "প্রতিটা বাধারিই একটা করে সমাধান থাকে আমার ছোট্ট বন্ধু আর এভারেরটা বেশ মজার", সাইমের দাদা বলল। "হ্যা বেশ মজার", যাহিদ বলল।"আচ্ছা কারও কাছে কি কোনো ছাতা আছে,আমার মনে হচ্ছে ছাতা মেলে হাওয়ায় আমাদের উড়ে উড়ে যেতে হবে।" "আমি জানতাম যাহিদ", আলেকজেন্ডার বলল।"তোমার মাথায়েও বুদ্ধি আছে।দাড়াও একটু।" কথাটা বলেই আলেকজেন্ডার একটা ঝোপের ভেতর চলে গেল।তা দেখে দাবাতো বলল,"ওনি কোথায় গেলেন?" "তাতো বলতে পারব না", যাহিদ বলল।"কিন্তু এটা শিউর যে লোকটা পুরোই পাগল"। "তাতো আমি বটেই", কথাটা বলে উঠলো আলেকজেন্ডার।ঘাড় ঘুরিয়ে ওনার দিকে তাকালো সবাই।একটা বিশাল দানব মৌমাছির ঘাড়ের উপড় বসে উড়ছে আলেকজেন্ডার। "পাহারি মৌমাছি চড়া সহজ যদি তুমি না ওদের চোখের দিকে তাকাও", বলল আলেকজেন্ডার। "এটাতো রিতিমতো পাগলামি" কথাটা বলেই সাইম আর নিহারিকা একটা ঝোপের আড়ালে চলে গেল। "আমি কিন্তু মোটেও এতে চড়ছি না", যাহিদ বলল। "তাহলে আইল্যান্ড ডোবার সময় মনে করে সুইম সূটটা পড়ে নিও,,,,ওহ, হহহ,,ওহ,,,হহহহ",মৌমাছিতে করে উড়ে চলল আলেকজেন্ডার।কিছুক্ষণ পর একটা ঝোপের আড়াল থেকে মৌমাছির ঘাড়ে করে উড়ে চলল নিহারিকা আর সাইম। "আমরা তিনজন এক সাথে উড়ি?", বলল দাবাতো। আরেকটা মৌমাছির ঘাড়ে চাপলো দুইগোয়েন্দা আর দাবাতো।পুরো দলটা দানব মৌমাছির ঘাড়ে চড়ে উড়ে চলল। "এটাতো একেবারে সোজা", সাইম বলল। "ঠিক ঘোড়ায় চড়ার মত", রিনক বলল। "এ আইল্যান্ডটা এত সুন্দর কেন", চেচিয়ে বলল দাবাতো।"ঠিক যেন সর্গের মত"। একদল দানব পিপড়ের উপড় দিয়ে উড়ে গেল ওরা।হঠাৎ দাবাতোর মুখের উপড় সাদা কিছু এসে পরলো।মুখ থেকে ওগুলো সরাতে সরাতে দাবাতো বলল,"এগুলো কি", "পাখির গু", নিহারিকা বলল। "যে পাখির এত মল সে পাখি নিশ্চই অনেক বড়!", কথাটা সবে শেষ করেছে সাইম ঠিক এমন সময় মাথার দেখা দিল বিশাল ৩ টে পাখি।অনেকটা টিয়ে পাখির মত পাখিগুলো। আর পাখিগুলো সোজা ওদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। "সবাই গাছেড় আড়ালে যাও", চেচিয়ে নির্দেশ দিল যাহিদ। যাহিদের কথানুযায়ী সবাই গাছেড় আড়ালে ্চলে গেল। "পাখিগুলোকে দেখে ক্ষুদার্থ লাগছে", চেচিয়ে বলল দাবাতো। "এগুুলো হ্যামিঙ বার্ড",সাইম বলল।"ছোট পোকামাকড় খায় এগুলো আর অবশ্যই মৌমাছি" পাখিগুলো এত বিশাল যে মৌমাছি পাখিগুলোর তুলনায় ছোট পোকামাকড়ের মত। একটা পাখি তাড়া করছে সাইমদের মৌমাছিকে আর আরও দুটো তাড়া করছে আলেকজেন্ডার আর যাহিদদের মৌমাছিকে। "আলেকজেন্ডার",চেচিয়ে উঠলো যাহিদ।"আপনি কি মুরগির সাথে পরিচিত?" "কিন্তু এগুলোতো মুরগি নয়", বলল আলেকজেন্ডার। "আরে আমি মুরগির খেলাটার কথা বলছি" "তোমার প্লেন অনেক ভালো" যাহিদের প্লেন হলো মুরগির মত পাখিদের ধোকা দেয়া।আলেকজেন্ডার ওনার মৌমাছি নিয়ে একদিকে আর যাহিদ ওর মৌমাছি নিয়ে অন্যদিকে চলে গেল।তারপর একই সাথে দুইজন মৌমাছি নিয়ে মুখোমুখি ধেয়ে আসলো।একেবারে শেষমুহূর্তে দুজনে দুজের মৌমাছি নিয়ে উপড়ে উঠে গেল আর পাখি দুটো একটা আরেকটার সাথে বারি খেয়ে পরে গেল। অন্যদিকে সাইমের মৌমাছিকে এখনো তাড়া করে যাচ্ছে আরেকটা পাখি।সাইম মৌমাছি নিয়ে সোজা উপড়ে উঠে গেল আর সেই সাথে উপড়ে উঠলো পাখিটাও।অল্পের জন্য পাখির মুখ থেকে বেঁচে গেল ওর মৌমাছিটা।কিন্তু নিহারিকা আর ধরে রাখতে না পেরে হাত ফসকে নিচে পরে গেল। "নিহারিকা", চেচিয়ে উঠলো সাইম। মৌমাছি নিয়ে সাইম আবার নিচে ছুটলো।একেবারে শেষ মুহূর্তে সাইম নিহারিকাকে ধরে ফেলল। "ধন্যবাদ সাইম",নিহারিকা বলল।"আমার জীবনটা বাঁচালে তুমি"। "হ্যা",সাইম বলল।"তাইতো মনে হচ্ছে"। সাইমের কথা সবে শেষ হয়েছে ঠিক এমন সময় আবার পেছনে দেখা দিল পাখিটা। "বিপদ এখনো শেষ হয়নি", চেচিয়ে বলল সাইম। নিহারিকাকে মাটিতে নামিয়ে মৌমাছি নিয়ে জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে ছুটতে শুরু করলো সাইম।ছুটতে ছুটতে বলল,"আসো দানব পাখি,পারলে আমাকে ধরো"। এরপর একটা বড় একটা মাকড়োসার জালের দিকে ছুটলো।পেছন পেছন পাখিটাও।ছুটতে ছুটতে শেষ মুহূর্তে মৌমাছি নিয়ে সরে গেল সাইম।টাল সামলাতে না পেরে পাখিটা মাকড়োসার জালে আটকে গেল।আরেকটু সামনে যেতেই সাইম একটা গাছেড় সাথে বারি খেয়ে ছিটকে পড়ে গেল মৌমাছির ঘাড়ের উপড় থেকে........... চলবে.........


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৫১৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Abdullah Khan
    User ৪ বছর, ১২ মাস পুর্বে
    এরপর কি হলো