বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
-----""'দ্যা মিস্ট্রিয়াস আইল্যান্ড"""----
পর্ব-২
তিন
কয়েকিদন পর।পোলাওতে পৌছালো দুইগোয়েন্দা এবং সাইম।ছোট্ট দেশ পোলাও।আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত এ দেশটিকে একটি দ্বীপ বলাও চলে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য়ে বাংলাদেশের থেকে কম কিছু নয় এ দেশ।তাছাড়া মাছের সর্গ যেন এ পোলাও।অনেক মাছ রয়েছে এ দেশের সাগরে।দুদিন ধরে পোলাওয়ের বিভিন্ন শহর ঘুরে দেখলো যাহিদ,রিনক আর সাইম।এরপর ৩য় দিন শুরু হলো ওদের
"মিস্ট্রিয়াস আইল্যান্ড" এর অভিযান।
"এখন সর্ব প্রথম আমাদের যা ধরকার তা হলো একটা বোর্ট", সাইম বলল। "যেটাতে করে আমরা এখান থেকে ১০০ কি.মি. উত্তরে যাব আইল্যান্ডটার খোজে।"
টেক্সিতে করে পোলাওয়ের একমাত্র জাহাজ বন্দরের দিকে যাচ্ছে দুইগোয়েন্দা এবং সাইম।ওদের সাথে রয়েছে কিছু খবার এবং প্রয়োজনিয় জিনিসপত্র।
"তাতো বুঝলাম," রিনক বলল। "কিন্তু আমাদের বোর্ট ভাড়া দেবে কে?"
"বন্দরে যাওয়া না পর্যন্ত এ বেপারে কিছুই বলা যাবে না" বলল সাইম। "নিশ্চই কোনো না কোনো বোর্ট পেয়ে যাব"
এদিকে গোয়েন্দা প্রধান চুপ করে বসে রয়েছে।কিছু একটা ভাবছে।তা দেখে রিনক যাহিদেরর পেটে গুতো মেরে বলল, "এই তুই কি ভাবছিস রে?"
"ভাবছি", যাহিদ বলল। "সত্যিই কি আাইল্যান্ডটা কেউ পেয়েছে?"
"কেউ পেয়েছে মানে?", রেগে গেল সাইম। "আমার দাদা আইল্যান্ডটা পেয়েছে এবং উনিই মেসেজগুলো পাঠিয়েছেন।"
"সাইম", রিনক বলল। "আমাদের যাওয়াটা কি ঠিক হচ্ছে?"
"দেখ তোমরা যদি না যাও তাহলে আমি একাই যাব।আমার দাদাকে আমি খুজে বের করবোই" বলল সাইম।
এরপর রিনক আর কোনো কথা বলল না।পুরোটো রাস্তা নিরব হয়ে রইলো।আর এদিকে যাহিদ একমনে ভেবেই চলল।
পোলাও জাহাজ বন্দর।চারদিকে অনেকগুলো বড় জাহাজ ভিড়ানো।সেগুলো থেকে মাল খালাশ করা হচ্ছে।কোনোটায় আবার মাল লোড করছে।এসব দৃশ্য দেখতে দেখতে অভিযাত্রীদের দলটা বন্দরের মাঝখান দিয়ে এগিয়ে চলছে।
"যাহিদ,"রিনক বলল। "আমরাতো ফাহিমকে কথা দিয়েছিলাম যে পরবর্তি কেসে আমাদের সাথে রাখবো,তাহলে এখানে আনলি না কেন?"
'কারণ এটা কোনো গোয়েন্দাগিরি না', যাহিদ বলল। 'এটা একটা বৈজ্ঞানিক অভিযান।এতে বিপদের ঝুকি অনেক বেশি।আমি চাইনা আমাদের জন্য অন্য কেউ বিপদে পড়ুক।আর তাছাড়া আমরাতো ওকে বলেছি গোয়েন্দাগিরিতে রাখবো,অভিযানেতো নয়'
'হু' মাথা দোলালো রিনক। 'ঠিক বলেছিস'
'শোনো',সাইম বলল। 'ঐ যে একজন নাবিককে দেখা যাচ্ছে', দূরে থাকা একজন নাবিকেরর দিকে ইশরা করলো সাইম।'চলো ওনাকে জিজ্ঞাসা করি এখানে কোথাও বোর্ট পাওয়া যাবে কিনা'
সানন্দে রাজি হলো দুইগোয়েন্দা।ওরা এগিয়ে গেল নাবিকটার দিকে।একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে রয়েছে নাবিকটা।মাথা ভর্তি চুল আর ঘায়ের গড়ন দেখে বোঝা যায় নাবিকটা ত্বরুণ।
"স্যার", ইংরেজিতে বিনয়ের সাথে বলল সাইম। 'এখানে কি কোনো বোর্ট পাওয়া যাবে?'
'তোমরা বোর্ট ভাড়া নিতে চাও?' জজ্ঞাসা করলো নাবিক।
'জ্বি আমাদের একটা বোর্ট দরকার' যাহিদ বলল।
'তোমরা বোর্ট নিয়ে কি করতে চাও?' চমৎকার ইংরেজি বলে নাবিকটা।কথার মধ্যে কোনো বিদেশী টান নেই।একেবারে খাটি ইংরেজদের মত।
"আসলে আমরা এ আইল্যান্ডটায় যেতে চাই" পকেট থেকে জিপিএস ট্রেকার বের করে সাইম নাবিককে জায়গাটা দেখালো।
"তোমমরা পাগল নাকি?" চেচিয়ে উঠলো ত্বরুণ নাবিক।
"কেন স্যার কি হয়েছে?" জজ্ঞাসা করলো রিনক।
চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো নাবিক।এরপর বলল, "ওখানে কোনো আইল্যান্ড নেই।ওখানে রয়েছে শুধু জাহাজ খেকো ঝড়।ওটা জাহাজের কবরস্থান।ওখানে গেলে আর বেঁচে ফিরে আসতে পারবে না" কথাটা বলেই নাবিক হাঁটা শুরু করলো।পেছন থেকে সাইম বলল, 'আমরা আপনাকে ১০০০ আমেরিকান ডলার দেব ওখানে নিয়ে গেলে'
'শুধু বোকারাই টাকার জন্য জীবণ দিবে' কথাটা বলেই একটা বোর্টের ভেতর অদৃশ্য হয়ে গেল ত্বরুণ নাবিকটা।
সাইম,যাহিদ,রিনক ঘুরে অন্যদিকে সবে মাত্র পা বাড়িয়েছে ঠিক এমন সময় পেছন থেকে কেউ একজন বলে উঠলো,'এক্সকিউজ মি, টুডেয় ইজ ইউর লাকি ডে'
ঝট করে তিনজন একসাথে পেছনে ঘুরে দাড়ালো। একটা মধ্য বয়স্ক লোক হাসি মুখে ্ওদের দিকে এগিয়ে আসছে।
"হেই ইয়াং ম্যান, আমি সিনাতুল দাবাতো," ইংরেজিতে বলল মধ্য বয়স্ক লোকটা। "পোলাওয়ের বেস্ট পাইলট"
"বাহ পোলাওয়ের মানুষেরা দেখছি ইংরেজিও জানে " অবাক হয়ে গেল রিনক।
"পোলাওয়ের অফিসিয়াল ভাষা হলো ইংলিশ।" বলল যাহিদ
'বুঝেছি' হাত নাড়লো রিনক।
'আমরা এখানে যেতে চাই', দাবাতোর দিকে জিপিএস টা এগিয়ে দিল সাইম। "আমরা আপনাকে ১০০০ আমেরিকান ডলার দেব"
"ওকে,আমার সাথে আসো", বলল দাবাতো। "তোমরা তাহলে আমেরিকান নয়?
'না,আমরা বাংলাদেশি', বলল রিনক।
"ডাহলেতো হোনেক ভালো" অশুদ্ধ বাংলায় বলল দাবাতো।
'আ-আ-আপনি বাংলা জানেন?', গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না রিনকের।সাইম আর যাহিদও হা করে তাকিয়ে রয়েছে দাবাতোর দিকে।
"আসলে আমার বউ বাংলাদেশি।", ইংরেজিতে বলল দাবাতো। "ওর কাছ থেকেই শিখেছি।আচ্ছা চলো।"
ওদের তিনজনকে নিয়ে দাবাতো একটা হেলিকপ্টারের সামনে এসে দাড়ালো।Lo-2 মডেলের কপ্টারটা দেখতে একেবারে মানদাতা আমলের মত।এদিক ওদিক রঙ উঠে গেছে,কোথাও কোথাও ছোটো ফাঁক।
'এটা কি?', যাহিদ বলল।
'এটা পোলাওয়ের বেস্ট কপ্টার' কপ্টারের দরজাটা একটানে খুলে ফেলল দাবাতো।সাথে সাথে ভেতর থেকে দুটো মুরগি ডানা ঝাপটে বেরিয়ে আসলো।
'হা হা হা,' হাসলো দাবাতো। 'এটা আমার সিকিউরিটি সিস্টেম'
'এর থেকে ভালো আমি টাইটানিকে চড়বো।' রিনক বলল।
'ওহ তোমাদের সাথে আমার মেয়ের পরিচয় করিয়ে দেই', কথাটা বলেই দাবাতো ডাক দিল, 'নিহারিকা,মা এদিকে আসো'
দাবাতোর ডাক শুনে সাইমের বয়সের একটা মেয়ে ওদের দিকে এগিয়ে আসলো।মেয়েটাকে দেখতে একেবারে বাঙালির মত।বোঝা যায়না যে পোলাওয়ের মেয়ে।
'ওরা কে বাবা?' নিহারিকা বলল।
'হায় আমি সাইম', সামনে এগিয়ে আসলো সাইম। 'একজন বৈজ্ঞানিক অভিযাত্রী।আর আমরা এখানে যেতে চাই'। পকেট থেকে জিপিএস টা বের করে নিহারিকার দিকে এগিয়ে দিল সাইম।জিপিএস টা হাতে নিয়ে জায়গাটা দেখলো নিহারিকা।তারপর তা সাইমকে ফিরিয়ে দিতে দিতে বলল, "সম্ভব না ওখানে যাওয়া"
"কেন?"
"কারণ ওখানে কোনো আইল্যান্ড নেই।ওখানে রয়েছে শুধু ঝড়।ওখানে একবার গেলে আর বেঁচে ফিরে আসা যাবে না"
"মা শুনো", নিহারিকাকে দাবাতো একপাশে টেনে নিয়ে গেল। "ওরা আমাদের ১০০০ আমেরিকান ডলার দেবে।এতে তুমি কলেজে ভর্তি হতে পারবে।একটু বোঝার চেষ্টা করো"
'ওকে', বাকীদের কাছে ফিরে আসলো নিহারিকা। "২০০০ ডলার লাগবে"
"তা সম্ভব না", যাহিদ বলল। "দাম ঠিক হয়ে গেছে"
"তাহলে ৩০০০ ডলার।না হলে অন্য কাউকে দেখে নাও" বলল নিহারিকা।
এই চলো, ঘুরে দাড়ালো যাহিদ আর রিনক।ঠিক এমন সময় পেছন থেকে সাইম বলল,"যাহিদ,একবার ভেবে দেখলে হয় না"
ঝট করে যাহিদ ঘুরে তাকালো সাইমের দিকে।হঠাৎ সাইমের আবার কি হলো।এত টাকা দিতে রাজি হচ্ছে কেন?
যাহিদ দেখলো সাইম হা করে নিহারিকার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।চোখের পলক পর্যন্ত ফেলছে না।যা বুঝার বুঝে গেল গোয়েন্দা প্রধান এবং রিনক।কিন্তু মুখে কিছু বলল না।শুধু মুচকি হাসলো।
চার
হেলিকপ্টারটা স্টার্ট নিয়েছে।সামনে কো-পাইলটের সিটে যাহিদ বসেছে।আর পেছনে সাইডে বসেছে রিনক।তারপাশে সাইম।আর সাইমের পাশে নিহারিকা।
"ওড়ার জন্য রেডি হও তোমরা" চেচিয়ে বলল দাবাতো। "তোমাদের কোনো ভয় নেই।আমি অনেক লোকজনকে নিয়ে সাগরে গিয়েছি এবং অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছি"
কপ্টারটা উড়তে শুরু করলো।কিছুদূর গিয়েই হঠাৎ একটা ঝাকি দিয়ে কিছুটা নিচে নেমে গেল।
"শুরু হয়ে গেল" ঠাট্টার শুরে বলল রিনক।
"হা হা হা,মজা করছিলাম" বলল দাবাতো।
দক্ষিণ থেকে নাক ঘুরিয়ে কপ্টারটা সোজা উত্তরে চলতে শুরু করলো।আকাশটা একেবারে পরিষ্কার।কোথাও কোননো ধরনের মেঘ নেই।খোলা আকাশ দিয়ে উড়ে চলছে Lo-2 কপ্টার।
"আজকের আকাশটা খুব সুন্দর তাই না?" সাইম নিহারিকাকে বলল।
"সত্যিই সুন্দর?" বলল নিহারিকা।
মেয়েটা যে মিশুক না তা তার কথা থেকেই বুঝতে পারলো যাহিদ।কো-পাইলটের সিটে বসে বেচারা সাইমের জন্য মনে মনে সমবেদনা জানালো গোয়েন্দা প্রধান।
"না মানে,বিশেষ করে আজকের আকাশটা" সাইম বলল।
"দেখ আমাকে ফ্লাইটের সেফ্টিটা চেক করতে হবে" কথাটা বলেই নিহারিকা ফ্লাইটের সেফ্টি চেক করতে শুরু করলো।আর এদিকে সাইম নিরব হয়ে গেল।সে বুঝে গেছে এ মেয়েকে পটানো অত সহজ হবে না।
আর এদিকে পাশ থেকে এতক্ষণ সব খেয়াল করেছে রিনক।এখন তার পেট ফেটে হাসি আসছে।কিন্তু অনেক কষ্টে চেপে রেখেছে।
"আপনারা যদি এখন হাতে বা দিকে তাকান", দাবাতো বলল। "তাহলে দেখতে পাবেন বিশাল পানি রাশি যাকে আমরা সাউথ প্যাসেটিক বলে জানি।আর যদি ডান"........
"আপনি কি পুরো রাস্তা এমনিই করবেন?" দাবাতোর কথার মাঝখানে থামিয়ে দিল যাহিদ।
"ওহ সরি"
আরও কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ চারদিক থেকে কালো মেঘের রাশি এসে চেপে ধরলো Lo-2 কে।দূরেই দেখা যাচ্ছে একটা ঘূর্ণি ঝড়।ঝড় টার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে Lo-2 কপ্টারটা।
"আমাদের এ ঝড়টাকে পাশ কাটাতে হবে" নিহারিকা বলল।
কিছুক্ষণ পর ঝড়ের ভেতর ঢুকে পড়লো কপ্টারটা।প্রচন্ড ঘূর্ণি ঝড় হচ্ছে।বাইরে কালো মেঘের রাশি ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ছে না।কিছুক্ষণ পর পর বজ্রপাত হচ্্ছে।
"বাবা", নিহারিকা বলল। "আমাদের এখনি এখান থেকে বের হতে হবে"
"দাড়াও",চেচিয়ে উঠলো সাইম।জুল বার্ণের "মিস্ট্রিয়াস আইল্যান্ড" বইটা হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা উলটালো।তারপর বলল, "জুল বার্ণ তার বইয়ে ঠিক এমনি একটা ঝড়ের কথা বলেছে।মিস্ট্রিয়াস আইল্যান্ডে যেতে হলে অদ্ভূত একটা ঘূর্ণি ঝড়ের মাঝখান দিয়ে যেতে হবে।তারমানে আইল্যান্ডটা আশেপাশেই কোথাও আছে"
"এখানে কোনো আইল্যান্ড নেই" চেচিয়ে বলল নিহারিকা।"আমাদেের এখান থেকে বেড়ুতে হবে।"
"নিহারিকা ঠিকই বলছে সাইম।আগে আমাদের এখান থেকে বেরুতে হবে" বলল যাহিদ।
"কিন্তু জুল বার্ণের বই".....
"দেখ আমাদের এখন বইটাকে ফলো করার টাইম নেই।আমরা এখন ৫ মাত্রার ঘূর্ণি ঝড়ের সামনে। দাবাতো আপনি কপ্টারটা ঘুড়িয়ে নিন"
"তাতো আমিও চাচ্ছি", বলল দাবাতো। "কিন্তু কপ্টারটা এখনন আর আমি চালাচ্্ছি না!। থ্রটলটা ভেঙে গেছে"
হঠাৎ একটা বজ্র এসে পড়লো কপ্টারের পেছনে।সাথে সাথে কপ্টারেরর পেছন অংশ ভেঙে গেল।
"আমরা পরে যাচ্ছি" চিৎকার দিয়ে উঠলো দাবাতো।
"ইয়ে ওই গো" চেচিয়ে উঠলো সাইম।
কপ্টারের নাকটা নিচের দিকে ঘুরে গেল।চারপাশ দিয়ে পাণির ঘূর্ণন।আর তার মধ্য খানেই কপ্টারটা পরেছে।সোজা নিচের দিকে পরছে কপ্টারটা।আর এদিকে চিৎকার করছে অভিযাত্রীদের দলটা।তারপর হঠাৎ ধুম...........................
"সাইম,সাইম চোখ খুলো।চোখ খুলো সাইম"।
হঠাৎ চোখ মেলল সাইম।এখনো বেঁচে আছে।আর যাহিদ ওকে ডাকছে।ধীরে ধীরে উঠে বসলো সাইম।চারপাশটায় একবার চোখ বুলাল্ো।ওরা একটা আইল্যান্ড এ রয়েছে।
"আমি বলেছিলাম আইল্যান্ডটা আছে" সাইম বলল।
"হুম তুমি ঠিকই বলেছিলে", বলল নিহারিকা। "এখানে একটা আইল্যান্ড রয়েছে।কিন্তু এটা খুব বেশি কিছু না।"
নিহারিকা সত্যিই বলেছে।এটা খুব বেশি কিছু না।সামান্য একটা বালুর সৈকত আর কিছু বড় পাথর।
"আমি ঠিক এমনটা আশা করিনী।" হতাশ শোনালো সাইমের কণ্ঠ।
"এটা কি ধরনের মিস্ট্রিয়াস আইল্যান্ড? একটাও প্রাণী নেই" ঠাট্টার সুরে বলল রিনক।
"আমাকে কেউ বাঁচাও,বাঁচাও।কে আছো" হঠাৎ দাবাতোর চিৎকার ভেসে আসলো।
"বাবা" চিৎকার দিয়ে উঠলো নিহারিকা। "আমার বাবা কোথায়? বাবা"।
চিৎকারের উৎসের দিকে এগিয়ে গেল ওরা।দাবাতো বালির নিচে চাপা পরে রয়েছে।মাথা,বুক এবয় পা দুটো বাইরে।
"আমার পা দু খন্ড হয়ে গিয়েছে" আবার চেচালো দাবাতো।
"বাবা তোমার কিছু হয়নি উঠো" বলল নিহারিকা।
"আমার অসহায় কাটা পা।দেখ! ওটা নড়ছে", পায়ের দিকে ইশারা করলো দাবাদো।পা নাড়াচ্ছে ওনি।
বালি থেকে টেনে দাবাতোকে উঠালো যাহিদ আর রিনক।
"আমারতো দেখি কিছুই হয়নি" হাসি মুখে বলল দাবাতো।
"শোন সবাই", যাহিদ বলল। "তীরে যা কিছু ভেসে এসেছে তা সব এক জায়গায় করতে হবে এবং এখান থেকে বেরুবার পথ খুজতে হবে।
এরপর সবাই যে যা পেল তা ব্যাগে ঢুকাতে লাগলো।সাইম কিছুটা দূরে মিস্ট্রিয়াস আইল্যান্ডের ম্যাপটা পেল।ম্যাপ থেকে বালু ঝেড়ে ব্যাগে ঢুকালো সে।এমন সময় রিনকের চিৎকার শোনা গেল, "হেই,আমি এ দ্বীপ থেকে বেরুবার পথ পেয়েছি"
রিনকের দিকে সবাই দৌড়ে গেল।একটা গুহা মুখের সামনে দাড়িয়ে রয়েছে রিনক।সাইম এগিয়ে গিয়ে গুহাটায় ঢুকলো।এরপর একে একে সবাই অদৃশ্য হয়ে গেল অন্ধকার গুহার ভেতর।যখন গুহার অন্যপাশে আসলো তখন অভিযাত্রীদের সামনে ভেসে উঠলো একটা অবিশ্বিস্য দৃশ্য।
"লেডিস এন্ড জেন্টার ম্যান", সাইম বলল। "আমি আপনাদের দিলাম".........
"দ্যা মিস্ট্রিয়াস আইল্যান্ড" বাকী কথাটা শেষ করলো যাহিদ।....................
চলবে.................
বিঃদ্রঃ এ গল্পের প্লট হলিউড মুভি "জার্ণি টু থেকে নেয়া।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Md: Mostain Rahaman
User ৫ বছর পুর্বেঅবুজ বালক
User ৫ বছর পুর্বেঅবুজ বালক
User ৫ বছর পুর্বেঅবুজ বালক
User ৫ বছর পুর্বেবকুল রায়
Golpobuzz ৫ বছর, ১ মাস পুর্বে