বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
+++রাস্তার পাশের কংক্রিটের তৈরী ফুটপাতের উপর দিয়ে আনমনে হেঁটে চলেছে স্বাভাব।চুলগুলো উষ্ক-খুষ্ক।যেন ও দেবদাসের জীবন্ত ফসিল। আশেপাশের লোকজন কেমন করে যেন দেখছে ওকে।হয়তো ভাবছে ছেলেটা পাগল নাকি?থেকে থেকে হাঁসছে আবার মাঝেমাঝে কাঁদছে।এমনকি ফুটপাতে শুয়ে থাকা ক্লান্ত কুকুরটিও আজ কেমন করে দেখছে ওকে।না সে দেখার মধ্যে কোন অবাকতা বা জিজ্ঞাস্য চাহনি নেই। কেমন একটা অদ্ভুত চাহনিতে তাকিয়ে আছে সবাই।সব কিছুই আজ অগোছালো মনে হচ্ছে ওর কাছে।হবেই না কেন?আজ যে ওর জীবনটায় অগোছালো হয়ে গেছে।ওর জীবনোচ্ছ্বাসের ঢেউ আজ অন্যকারো হয়ে গেছে।আজ শ্রেয়ার বিয়ে হয়ে গেছে।ছেলে বিরাট এক ব্যবসায়ী।অনেক টাকার মালিক।আর সেদিক দিয়ে আমি বেকার।আমিও চাই মেয়েটা সুখে থাকুক।এসবই ভাবতে ভাবতে আনমনে হাঁটছে স্বাভাব।মেয়েটা আমাকে অনেক ভালবাসত।আমি কি ওকে তার চেয়ে একটু বেশিই ভালবাসতাম না?হয়তো বাসতাম,আাবার হয়তো না।মেয়েটিকে আমি আগে থেকেই ভালোবাসতাম।কিন্তু কখনোই বলা হয়নি।মেয়েটিই আমাকে প্রথম প্রপোজ করেছিল।কারণ আমার ওকে বলার মতো সাহস হয় নি কখনোই।আমি কলেজ থেকে বাসায় ফিরছিলাম।একাই।আসলে কারও সাথে তেমন করে মেশা হয়ে ওঠে না তাই আরকি তেমন বন্ধুবান্ধব হয়ে ওঠেনি কেউ।তখনই শুনতে পেলাম একটা চেনা মেয়েলী কন্ঠ-এই ছেলে।প্রথমবার তেমন গুরুত্ব দিলাম না এই ভেবে হয়তো শোনার ভুল।আর আমাকেইবা কে ডাকবে?কিন্তু আবার শুনতে পেলাম সেই চির চেনা সুর-এই ছেলে,এতো ভাব কেন?এবার পিছনে ফিরলাম সিওর হতে।দেখলাম আমার স্বপ্নের চাঁদই আমাকে আজ আহ্বান করছে।সে আবার বলল -দাঁড়াও।কাছে আসতেই বলল-চলো।এরপর আর কিছুক্ষণ কোনো কথা হয়নি।সে আবার বলল-স্বাভাব...
>হুমম...
-কেমন আছো?
>ভালোই
-আমি কেমন আছি জানতে চাইবে না?
>ওহ হ্যা,কেমন আছো?
-ভালো না।
>ওওও।
-কেন ভালো নেই জানতে চাইবে না?
>সরি,কেন ভাল নেই?
-জানিনা।(রাগত স্বরে)।
>ওওও।
-স্বাভাব একটা কথা বলার ছিল?
>কী? বলো।
- I love u.
>আচ্ছা।
-আচ্ছা মানে?তুমি উত্তর দাও?
>কী বলবো!
-কি বলবা মানে?
>......
-আচ্ছা তুমি এমন কেন?
>কেমন?
-এই যে কারও সাথে মিশতে চাও না,কথা বল না?
>আমি এমন থাকতেই ভালবাসি।
-তাহলে আমার দিকে আড়ে তাকাও কেন?ওতো বুঝিনা আমার উত্তর দাও।
>একটু সময় দিলে হয় না?
-না।এতোদিন ভেবে দেখার সময় হয় নি?
>আজই তো বললে!!!
-তো?
>আচ্ছা ঠিক আছে।
-কী?
>ভালবাসি।
-কাকে?
>তোমাকে।
-এভাবে হবে না।এবার সিনেমার হিরোদের মতো প্রপোজ করো।
>আমিতো সিনেমার হিরো নয়!!
-ভিলেনওতো নও?
কি আর করার আছে,মেনে নিতেই হবে।আমি যে মনে-প্রাণে তাকেই কামনা করি।তাকে নিয়েই স্বপ্নের বিনুনি গাঁথি।সেই যে আমার মনের ক্যানভাসে কল্পনার তুলিতে আঁকা মোনালিসা,সেই যে বনলতা।আমি যে তাকে হারাতে চাই না।
>সুন্দরী তুমি কি আমার স্বপ্নের চাঁদ হয়ে চাঁদনি ছড়াবার ভারটুকু নিবে?পার্কের কোনার দিকের বেঞ্চে তোমার পাশে বসে প্রেমের বীচি খাওয়ার অনুমতি দেবে?আর দেবে কি তোমার অবাধ্য চুলগুলো সরানোর অধিকার?বলনা প্লিজ?(হাঁটু গেড়ে)
শ্রেয়া অবাক হয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে।সেদিন আমি যেন ওর চোখের ভাষা বুঝতে পারছিলাম।ওর চোখের ভাষা আমাকে বলছিল যেন এরকমই-এটা তুমি?এই ছেলেটাই আমাকে এভাবে প্রপোজ করল?It's unbelievable.How is it possible?তুমি এতোটা রোমান্টিক কীভাবে হলে শুনি।
কিন্তু অবিশ্বাস্যতার ঘোর কাটিয়ে সে শুধু বলেছিল-আমি রাজি।
এরপরের দুই বছর আর আমাদের ফিরে তাকাতে হয়নি।দুজন,দুজনের প্রতি care আর দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া,রাগ-অনুরাগ সব মিলিয়ে ভালই চলছিল সবকিছু।কিন্তু সেদিন ও যা বলল তা হয়তো আমি কখনোই আশা করিনি।ও হটাৎ সেদিন বলল
-স্বাভাব
>হুমম
-আব্বু আমার বিয়ে ঠিক করেছে।কিছু একটা কর।
>কী করব?
-চল আমরা পালিয়ে যায়।তুমি বেকার,তোমার সাথে বিয়ে দিতে বাসা থেকে রাজি হবে না।
>এটা বোধহয় ঠিক হবে না।আর তাছাড়া আমিতো বেকার,খাওয়াবো কী?
একথা শোনার পর ও আর দাঁড়ায় নি।ব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করে আমাকে শুধু বলেছিল
-এই নাও বিয়ের কার্ড। তোমার নিমন্ত্রণ রইল।তুমি অবশ্যই আসবে কিন্তু।আর ভাল থাকবে।
ও সেদিন এমনভাবে শেষ কথাগুলো বলেছিল যেন কিছুই হয় নি,যেন ও খুব খুশি।কিন্তু ওর চোখ সেদিন অন্যকথা বলছিল।মেয়েটা পারেও বটে।আর আমি শুধু বলেছিলাম
>আচ্ছা।
হটাৎ ফোনের শব্দে ঘোর ভাঙল স্বাভাবের।ওর বাবা কল দিয়েছে।ও কোনোরকমে চোখ মুছে শান্তভাবে বলল
>হ্যা বলুন।
....কোথায় তুই?তোর ফোন সকাল থেকে বন্ধ কেন?তাড়াতাড়ি বাসায় আয়।মেয়েটা সেই কখন থেকে বসে আছে।
>আচ্ছা
হটাৎ স্বাভাবের খেয়াল হল মেয়েটা?বাসায়তো মা আর বাবা ছাড়া কেউ নেই?তাহলে মেয়েটা মানে কী?শ্রেয়া নয়তো?কিন্তু ওর আজ বিয়ে হয়ে গেছে,তাহলে?বাসায় পৌছে দেখল বাসায় অনেক মানুষ।আরে শ্রেয়ার বাবা শিমরান চৌধুরিও আমাদের বাড়িতে?(অবিশ্বাসের চোখে তাকাল স্বাভাব)মায়ের কাছে যেতেই একটা ব্যাগ হাতে দিয়ে বলল
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now