বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
-নাফিজা আরোবী জিদনী এটা কি
আপনার আইডি।
.
মেয়েটা মন দিয়ে কাজ করছিল।আমার
আচমকা এরকম প্রশ্নে কিছুটা চমকে
গিয়ে আমার দিকে তাকালো।আমার আবার পুরোনো অভ্যাস সুন্দরী
মেয়েদের চোখের দিকে বেশিক্ষন
তাকিয়ে থাকতে পারিনা।সব সুন্দরী
মেয়েদের একটাই কমন বৈশিষ্ট্য তাদের
চোখ জোড়া নেশায় পড়ার মত।আমি
কোন ধরনের নেশা করি না তাই এই
নেশা থেকেও দুরে থাকার চেষ্টা করি।
সুন্দরী মেয়েদের চোখের দিকে ভুল করেও তাকাই
না।
.
-জ্বী হ্যা ওটা আমার আই ডি।কোন
সমস্যা ?
.
আমি মাথা খানিকটা নিচু রেখেই
বললাম।
.
-না সমস্যা নেই তবে আপনার প্রতিটা
পোস্টে আমায় ট্যাগ দেন ক্যান ?
.
মেয়েটা মুখটিপে একটু হেসে নিল হয়তো।
কারন মেয়েটার কথা বার্তা শুনে মনে
হলো খুব মজা পাচ্ছে আমার সাথে কথা
বলে।
.
-আমার আইডি আমি যাকে ইচ্ছা ট্যাগ
দিবো তাতে আপনার সমস্যা কি ?
.
-কিন্তু আপনিতো আর কাউকে ট্যাগ
দেন না শুধু আমাকেই কেন দেন ?
·
-আমার ইচ্ছা হয় তাই !
.
-কিন্তু মানুষ কি বলবে ?
.
-সেটা ওদেরকেই জিগ্যেস করুন।আর
কিছু বলবেন ?
.
রাগে কটমট করতে করতে চলে
আসলাম।যদি সুন্দরী মেয়ে না হতো
নিশ্চিত চড় থাপ্পর দিয়ে দিতাম।নেহাতি গালে দাগ পড়ে যাবে তাই দেই নি।
সাহস কত বড় আমাকেই ট্যাগ দিয়ে বলছে
কিনা আমার সমস্যা কী ?
.
সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে কোন বিশ্বাস নেই।এরা সব করতে পারে।রাতে লেপের
নিচে শুয়ে শুয়ে বেশ আরাম আয়েশ করেই
ব্লক দিলাম জিদনীকে।আর রিস্ক
নিলাম না।নেশা বড় ভয়ঙ্কর জিনিস।
.
ব্লক দেওয়ার পরে বেশ নিশ্চিন্তে
একটা লম্বা ঘুম দিলাম।কিন্তু বিপত্তি
ঘটলো পরদিন সকাল বেলা অফিস
ঢুকতেই মনে হলো আমাকে দেখে সবাই
বেশ মজা পাচ্ছে।রফিক ভাইতো বেশ
জোরে করেই হেসে ফেললো।আমার
ডেস্কের সামানে আসতেই লিটন সাহেব
এক প্যাকেট মিস্টি নিয়ে আমার দিকে
এগিয়ে আসলো।একটা মিষ্টি আমার মুখে
দিতে দিতে বললো "কংগ্রাচুলেশনস"
·
আমিতো বোকা বনে গেছি।হলোটা কি
সবাই আমার সাথে এরকম আচরন
করছে কেন।আর আমার মত অলস
কারো প্রমশনও সম্ভব না।তাহলে
হলোটা কি ?
.
ব্যাপারটা পরিস্কার হলো যখন জিদনী
এলো তখন।সবাই আমাকে আর
জিদনীকে পাশাপাশি দার করিয়ে ছবি
তুলতে লাগলো।আমার অবাক হওয়ার
পরিমান সেকেন্ডে দ্বীগুন হারে বাড়ছে।
কিন্তু জিদনী বেশ স্বাভাবিকই আছে।
মিটিমিটি হাসছে আর সবার সাথে কথা
বলছে।আরেক মেয়ে কলিগ এগিয়ে এসে
বললো
.
-বাহ ! কি সুন্দর মানিয়েছে
আপনাদের ?
.
-আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না।কি
বলছেন আপনারা ?
.
-আপনি নাকি কাল রাতে জিদনী আপুকে
প্রপস করেছেন ?
.
-আমি কখন প্রপস ,,,,,,
.
-থাক আর লজ্জা পেতে হবে না গাধা
সাহেব।আপনি বরং মিষ্টি খান।(জিদনী)
.
আমার মুখে একটা বেশ বড়সর মিষ্টি
দিয়ে আমায় চুপ করিয়ে দিলো।
.
আমার মাথা বো বো করে খুরছে।হাসবো
নাকি কাদবো ঠিক বুঝতে পারছি না।এই
মেয়ের সমস্যাটা কি।এইসব ঝামেলা
থেকে দুরে থাকবো বলেই কাল ওকে ব্লক
দিলাম।আর ও রটিয়ে দিলো আমি নাকি
ওকে প্রপস করেছি।আমার মাথায় কি
ডায়রিয়া ধরেছে যে ওর মত সুন্দরী
মেয়েকে আমি বিয়ে করবো? আমিতো
বিয়ে করবো একটা কালো রঙ্গা মেয়েকে
যার মুখে নেশা থাকবে না থাকবে গভীর মায়া।
.
এই জন্যই সুন্দরী মেয়েদের আমি এত
ভয় পাই।এদের মনে যখন যা চায় তখন
তাই করে।রাগে আমার সারা শরীর রীতি
মত কাপছে।অফিসের কোন কাজেই মন
বসাতে পারলাম না।সন্ধ্যার দিকে
অফিস ছুটির পর বাসের জন্য বাইরে
দারিয়ে ছিলাম তখনি জিদনী এসে হাজির
.
-এই যে গাধা সাহেব আজ যদি আমায়
আনব্লক না করেন তো কাল দেখবেন
কি করি !
.
আমি বেশ বীরত্বের সাথে বুক ফুলিয়ে
বললাম ,
.
-অলিভার চৌধুরী শুভ কাউকে ভয় পায় না।
.
জিদনী বেশ জোরেই হেসে বলল
.
-হি হি হি।।সেটা কালকেই দেখা যাবে।.
.
বাসায় এসে বেশ চিন্তায় পরে গেলাম কি
করা যায়।যদি আনব্লক না করি তাহলে
এ মেয়ে যে কাল কি করবে তা আমি
কল্পনাও করতে পারছি না।কাল হয়তো
গিয়ে বলবে আমরা বিয়েও করে ফেলেছি।
পোরশু হয়তো বলবে আমাদের একটা
বাচ্চাও হয়ে গেছে নাম টুকটুকি।নানা
চিন্তায় রাতে ঘুমটাও ঠিকমত হলো না।
এ মেয়ে তো দেখছি আমাকে পাগল বানিয়ে
ছারবে।শেষ পর্যন্ত কিছু না ভেবে
আনব্লক করে দিলাম।সাথে সাথে মেসেস
আসলো
.
-কালকে খয়েরি রংয়ের শার্ট পরে
আসবেন।
.
.
পরের দিন খয়েরী রংয়ের শার্ট পরেই
গেলাম।জিদনী একই রঙ্গের থ্রী পিস
পরে আসলো।মেয়েটা আর যাই হোক বেশ
ফুটফুটে দেখতো।একবার চোখ পরলে
আর ফিরতে চায় না।
·
-এই যে মি, গাধা হা টা বন্ধ করে
নিজের ডেস্কে চলে যান।
না ! মেয়েটার মুখে সৌন্দর্যের সাথে
মায়াটাও আছে।কি আজব আমিও
মেয়েটার নেশায় পরে যাচ্ছি।এই জন্যই
সুন্দরী মেয়েদের কোন বিশ্বাস নেই।
যখন যাকে ইচ্ছা মায়া করে ফেলে।
আমাকেও করে ফেলেছে।
.
.
দুইদিন থেকে জিদনী অফিসে আসছে না।
দুইদিন থেকে ওকে দেখাও হচ্ছে না!
কিন্তু হলো কি মেয়েটার।ওতো অফিস
বাদ দেয় না।অসুস্থ না তো আবার ?
অনেক সংকোচ থাকা সত্বেও পাশের
মেয়ে কলিগকে বললাম
.
-রিতু জিদনী আসছে না কেন কয়দিন
থেকে ?
·
মেয়ে কিছুক্ষন আমার দিকে হা করে
তাকিয়ে থাকলো তারপর একটু বিদ্রুপের
সাথে বললো
.
-কেন আপনাকে বলেনি ?
.
-না ! বলেনি তো!
.
- জিদনী আপু আপনাকে এই জন্যই গাধা
বলে।আপুর দুইদিন থেকে খুব জ্বর তাই
ছুটি নিয়েছে।
.
-ও আচ্ছা।
.
এখন আমার কি করা উচিৎ? একবার
গিয়ে দেখে আসবো ?ওর বাড়ি অবশ্য
আমার জানা আছে।কিন্তু গিয়ে কি
বলবো।একবার ভাবলাম থাক গিয়ে কি
হবে আমি গেলেই তো আর সুস্থ হয়ে
উঠবে না।পরে ভাবলাম অফিসের
সহকর্মি হিসেবে একবার যাওয়া আমার
দায়িত্ব।কিন্তু অন্য সহকর্মীরাতো
যাচ্ছে না তাহলে আমার কিসের
দায়িত্ব ?এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে
ওদের বাসার নিচে চলে এসেছি খেয়ালি
করিনি।এই মেয়ে আমায় নির্ঘত মায়া
করেছে।আমি কখন কি করছি আমি
নিজেও বুঝতে পারছি না।
.
এখানে এসেও এক বিপদে পরে গেলাম।
ঢুকি কি করে ? বেলটা বাজাবো নাকি
বাজাবো না।এতদুর এসে ঘুরে যাওয়াটাও
ভালো দেখায় না।বেলটা একবার বাজিয়ে
চুপচাপ দারিয়ে থাকলাম।কিছুক্ষন পর
একটা মেয়ে দরজা খুললো
.
-কি চাই ?
.
-এটা জিদনীদের বাসা না ?
.
-হ্যা।আমি ওর বড় বোন।তুমি কে ?
.
-আমি ওর অফিসের কলিগ অলিভার চৌধুরী শুভ।
.
-ওহ।আসো ভেতরে আসো।
.
.
জিদনীর রুমটা বেশ গোছানো।সামনে
একটা ছোট্ট বেলকুনিও আছে।
বেলকুনিটা দক্ষিন পার্শে হওয়ায়
শীতের কনকনে বাতাশও ভিতরে ঢোকে।
কে জানে এই বাতাশেই মেয়েটার ঠান্ডা
লেগেছে কিনা।তবে এখন এই বাতাশেই
ওর উরন্ত চুলগুলো দেখতে অসম্ভব
সুন্দর লাগছে।মেয়েটা অঘোরে ঘুমাচ্ছে।
অনেকবার চেষ্টা করেও ডাকার সাহস
পাইনি।ঘুমের মধ্যে ওকে আরো নিষ্পাপ
দেখাচ্ছে একদম বাচ্চাদের মত।
.
আধ ঘন্টা থাকার পর মনে হলো চলে
যাই।কিন্তু মেয়েটাকে না জানিয়েই চলে
যাব ?
.
ওর এলোমেলো মাথার চুল গুলো আঙ্গুল
দিয়ে ঠিক করে দিয়ে চলে আসার জন্য
পা বারালাম।কিন্তু তখনি অস্ফুট আর
ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলা শুনতে পেলাম
.
-কাল আসার সময় শিউলি ফুলের মালা
নিয়ে আসবেন।
.
আমি ফিরে তাকিয়ে কেবল একটু
হাসলাম।মেয়েটা আসলেই পাগলি।কাল
আসার সময় বাড়ির সামনের শিউলি
ফুলের গাছটাকে কয়েক বার ঝাকাতে হবে
নেশায় পরেছি কিনা ?একটু আধটু
নেশায় পরা ভালো।
লেখকঃ- অলিভার কুইন (শুভ)।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Shahi jannat (S.T.K)
User ৪ বছর, ৬ মাস পুর্বেHafsa
User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বেমো রাকিবুল হাসিব
User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বেOliver Queen(ShuvO)
Author ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বেHafsa
User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বে¤-ইশিকা-¤
User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বেOliver Queen(ShuvO)
Author ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বেProtikfa
User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বে