বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

রহস্যময় খুন

"গোয়েন্দা কাহিনি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Fahim (০ পয়েন্ট)

X সকাল থেকে মনমরা হয়ে আছেন ওসি মাহফুজুর রহমান।ঘন কালো মেঘের দিকে তাকিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন আর বারবার একটা প্রশ্নের উত্তর খোজাঁর চেষ্টা করছেন তিনি।গতকাল সিলেটের একটি চা বাগানের ভিতর ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায় বিশিষ্ট শিল্পপতি আহসানুল করিমের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সুরভীর।উপরমহলের নির্দেশে মাহফুজুর রহমান ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ায় গতকালই ঢাকা থেকে সিলেটে আসেন তিনি।গতকাল মর্গে যেয়ে লাশ দেখে আসেন।গলায় বিভত্স ক্ষত এবং সারা শরীরের আচঁরের দাগ তাকেই রীতিমতো ভাবিয়ে তোলে।এমন ধরনের ঘটনা তার চাকরিজীবনে প্রথম দেখা।প্রাথমিক ভাবে লাশটি দেখে হিংস্র জন্তুর আক্রমনে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হয়েছে তার। চা টা শেষ করে কনেস্টেবল আতিক কে নিয়ে ঘটনা তদন্তের জন্য তিনি সুরভীর ভাইদের সঙ্গে কথা বলার জন্য রওনা হন আহসানুল করিমের চা বাগানের বাংলো বাড়ির উদ্দেশ্যে।দীর্ঘক্ষন পর তিনি আতিক কে জিজ্ঞাসা করেন -আতিক -জ্বী স্যার -তোমার কি মনে হয় মেয়েটিকে কোন হিংস্র পশু আক্রমণ করেছে নাকি এতে মানুষের হাত আছে ? -মানে বুঝলাম না স্যার। -মানে টা খুব সহজ একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবে যদি কোন হিংস্র পশুর আক্রমনে মেয়েটির মৃত্যু হয়েথাকে তাহলেতো শরীর ছিড়ে খেয়ে ফেলার কথা তাই না । -তাই তো স্যার কথাটাতো মন্দ বলেন নি । -হুম।আচ্ছা আহসানুল সাহেবের বাংলো বাড়িটা আর কতোদূর ? -স্যার ওই যে বাড়িটা দেখছেন ওটাই আহসানুল সাহেব এর বাংলো বাড়ি । -ওহ আচ্ছা চলো ভেতরে যাওয়া যাক । -জ্বী চলেন । এই বলে যখন ভেতরে ঢুকতে যাবে তখন একটা লোক তাদের সামনে এসে বললো , -কারে চাই ? -এটা কি আহসানুল সাহেবের বাংলো বাড়িি ? -হয় কিন্তু আপনেরা কারা ? -জ্বী আমি ওসি মাহফুজুর রহমান আর ইনি হলো কনেস্টেবল আতিক।আমরা সুরভীর মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করতে এসেছি।তবে আপনি কে ? -আমার নাম হলো গিয়া মজিদ মিয়া।অনেক বছর ধইরা আমি এই বাড়ির দেহাশুনা করি।আফামনি খুব ভালা মানুষ আছিলেন।আমি আগেই কইছিলাম এইহানে থাহাদা ঠিক হইবেনা।ওই ভুতডা শ্যাষ পর্যন্ত আফারে মাইরা ফালাইলো।(এই বলে মজিদ মিয়া কান্না শুরু করে দিল) -ভুত -হ ভুত।এই বাড়িতে একখান মাইয়ার ভুত আছে সাহেব।রাইত হইলেই একটা মাইয়ার কান্না শুনা হাসি শুনা যায় নূপুরের আওয়াজ ও শুনা যায়।কেউ আইলে দুই তিনদিনের বেশি থাকতে পারেনা।কয়দিন আগে দুই সাহেব আর আফামনি আইলো বেড়াইতে।তারপর তাগোরে কইলাম ভুতডার কতা।কিন্তু কেউ ই বিশ্বেস করলনা আমার কতাডা।সগ্গোলরে কইছিলাম সাবদানে থাকতি। সেইদিনও আফারে সন্দায় দ্যাখলাম হাসিখুশি আর আইজ সে আমাগোর কাছে মরা লাশ(এই বলে আবার কান্না শুরু করলো) -থামুন থামুন।এভাবে কান্না করবেন না।ভবিষ্যতে তদন্তের সার্থে আপনাকে আমাদের প্রয়োজন হতে পারে।তাই যখনই ডাকবো তখনই কিন্তু আপনাকে থানায় যেতে হবে আর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করবেন না মনে থাকে যেন। -আইচ্ছা।(চোখ মুছতে মুছতে) -হুম।আপনার সাহেবরা কি সবাই আছে? -না সাহেব ছোট সাহেব আফামনি হারায় যাওয়ার আগের দিনকে ঢাকা শহরে চইল্লা গেছিলেন।আর বড় সাহেব আছেন এহনও । -আচ্ছা ঠিক আছে আপনি আসতে পারেন।তবে যা বলেছি মনে থাকে যেন। -আইচ্ছা সাহেব । এই বলে তারা দুজন ওপরে চলে গেলেন আর মজিদ মিয়া চলে গেলেন।উপরে উঠতে উঠতে আতিক বললো , -স্যার আমরা খুনের ধরণ দেখে মনে করছি খুনটা কোন জন্তু জাওয়ারের কাজ।কিন্তু এখন বাড়ির কেয়ার টেকার মজিদ মিয়া বলছে এই কাজ কোন ভুতের ? এটি তার ভুল ধারনা আতিক।কারণ ভুত প্রেত বলে কিছুই নেই। আর আমরা যদি ভুত প্রেতের কথা বলে চালিয়ে দেই তাহলে হাস্যকর মনে হবে সবার কাছে।তার থেকে আমাদের উচিত তদন্তের প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়া।এবং রহস্যের আড়ালে থাকা আসল ঘটনা উদঘাটন করা। -জ্বী স্যার। উপরে উঠতেই দেখলেন রফি সাহেব তার বোনের ছবির দিকে তাকিয়ে হুইল চেয়ার নিয়ে বেলকনিতে বসে আছেন। -আস্সালামুয়ালাইকুম রফি সাহেব -ওয়ালাইকুমুস্সালাম আপনাদেরকে তো ঠিক চিনলাম না -হ্যাঁ আসলে না চেনাটাই স্বাভাবিক।আমি ওসি মাহফুজুর রহমান এবং ইনি হলেন কনেস্টেবল আতিক। -জ্বী বসুন আপনারা।(চেয়ার এগিয়ে দিয়ে) -ধন্যবাদ আসলে আমরা আপনার বোনের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করতে এসেছি।এবং আশা করি আপনি আমাদের কে তদন্তে সাহায্য করবেন। কথাটি শুনে রফি সাহেব কান্না করে করে বললেন -আমার বোন কার কি ক্ষতি করেছিল যার জন্য আমার বোনকে এভাবে কষ্ট পেয়ে মরতে হলো। -দেখুন আমরা বুঝতে পারছি আপনার মনের অবস্থা।কিন্তু কি করবেন বলেন যা হবার ছিল সেটা হয়ে গেছে।ভাগ্যের উপর কারও হাত নেই।তাছাড়া আমরা কেউ যানিনা জন্তু জানোয়ারের আক্রমনে মারা গেছে না কি অন্য কোন কারণ লুকিয়ে আছে আপনার বোনের মৃত্যুুর পেছনে।তাই বলছিলাম যদি আপনি আমাদের কিছু ইনফরমেশন দিয়ে সাহায্য করতেন তাহলে আমাদের তদন্তে খুব ভাল হতো। -জ্বী আমি সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত। ধন্যবাদ।তাহলে আপনাদের আসার দিন থেকে এই পর্যন্ত যা যা ঘটেছে বলুন। -তাহলে শুনেন সুরভীর পরীক্ষা শেষ হয় কিছুদিন আগে।পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর জেদ ধরে এই চা বাগানের বাংলোই ছুটি কাটানোর জন্য।আমাদের ও ব্যস্ততার কারণে তেমন কোথাও যাওয়া হতো না।আমাদের ব্যস্ততা কম থাকায় আমরা দুই ভাই আর সুরভী তিন জনে মিলে এখানে আসি বেড়াতে।বাড়ির কেয়ারটেকার মজিদ চাচা আমাদের সব কিছুর খেয়াল রাখতো।গতকাল সকালে আমি যখন ঘুম থেকে উঠলাম তখন দেখি বাংলোর মেইন দরজা খোলা।পরে সুরভীর রুমে যেয়ে দেখি দরজা খোলা এবং ও রুমে নেই।ভাবলাম ও হয়তো আশেপাশে কোথাও ঘুরতে গেছে।কিন্তু অনেক্ষন পরও যখন দেখলাম ও ফিরছেনা তখন আমি আর মজিদ মিয়া খুজতে শুরু করলাম।এক সময় খুজতে খুজতে সুরভীর ক্ষতবিক্ষত লাশ চা বাগানের ভেতরে পাই।(এই বলে আবার কান্না শুরু করলো।) -থামুন রফি সাহেব।এভাবে কান্না করবেন না।আচ্ছা আপনার ছোট ভাইকে দেখছিনা যে -ও সুরভীর মৃত্যুর আগের দিন দূপুরে ঢাকা চলে যায় ওর ভার্সিটির কাজে। -ওহ আচ্ছা।আপনারা এখানে কতোদিন হলো এসেছেন। -এই পাঁচদিন হলো। -ওহ তা কতদিন থাকার ইচ্ছা ছিল? -তা প্রায় এক মাসের মতো। -ওহ।আচ্ছা বাংলোর কেয়ারটেকার বলছিল যে বাংলোতে নাকি ভুত প্রেত এর আস্তানা আছে।এখান থেকে নাকি রাতের বেলা নুপুর পরে হাটার শব্দ তারপর কোন মেয়ে হাসছে এমন কোন শব্দ পাওয়া যায় সত্যি নাকি? -হ্যাঁ আসার পরদিন থেকে প্রতিরাতেই এমন শব্দ আসে। -আচ্ছা ঠিক আছে।আজ তো আপনাদের বোনের লাশ হস্তান্তর করা হবে।আপনাদের পরিবার থেকে কেউ আসবেনা? -হ্যাঁ আমার ছোটভাই আর মেঝ চাচু এসে লাশ নিয়ে চলে যাবে। -ওহ আচ্ছা তাহলে আজকের মতো বিদায় নিই।পরে কোন প্রয়োজনে আপনাকে আমাদের দরকার পরতে পারে। -অবশ্যয় যেকোন প্রয়োজনে আপনারা আমাকে আপনাদের পাশে পাবেন। -ধন্যবাদ।আজ তাহলে আসি। এই বলে মাহফুজুর রহমান আর আতিক থানার দিকে আসতে লাগলো।মাঝপথেই আতিক বলে উঠলো -স্যার এই ঘটনাটা আমার কাছে অদ্ভুত মনে হচ্ছে।আমরা ধারনা করছি এটা কোন জন্তুর আক্রমন কিন্তু মজিদ মিয়া আবার বলছে এটা কোন ভুতের কাজ। -হুম।তবে আমাদের সব দিক থেকে তদন্ত করতে হবে।এটাও তো হতে পারে খুনটা কোন মানুষের কাজ।তবে যতক্ষন না পর্যন্ত পোস্টমর্টেম এর রিপোর্ট হাতে পাওয়া না যাচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা যাচ্ছেনা যে খুনটা কার দ্বারা হয়েছে। -হ্যাঁ স্যার।আমিও আপনার সাথে একমত। এর পর মাহফুজুর রহমান ছায়া তদন্ত শুরু করলেন যতদিন পর্যন্ত না পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন।রিপোর্ট হাতে পাওয়ার দিন বিকালে রফি সাহেবকে থানায় ডাকেন মাহফুজুর রহমান। -আসতে পারি -ওহ রফি সাহেব আসুন আসুন।বসুন(চেয়ার দেখিয়ে দিয়ে) -ধন্যবাদ। -হুম।কি খাবেন গরম না ঠান্ডা? -না কিছুই খাবনা। -ওহ আচ্ছা।রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন নিশ্চয়? -জ্বী।পেয়েছি। -আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল খুনটা কোন জন্তুজানোয়ার করেনি।খুনটা কোন মানুষ করেছে।তবে এইটা বলেন খুনটা আপনি করেন নিতো? -কি বলতে চাইছেন আপনি -বলতে চাইছিলাম এটাওতো হতে পারে সম্পত্তির লোভে সৎ বোনকে খুন করে ফেললেন। -দেখুন হ্যাঁ আমি মানছি সুরভী আমার সৎ বোন তবে আমাদের ভিতর আপন ভাইবোনের থেকেও খুব ভাল সম্পর্ক।আমাদের মধ্যে কোনদিন ঝগড়া পর্যন্ত হয় নি। -হুম বুঝলাম।কিন্তু আপনি এখনও ঢাকা ফিরে গেলেন না কেন ভাই দের সাথে? -যতক্ষন না আমার বোনের হত্যাকারীকে ধরতে না পারব ততক্ষন পর্যন্ত আমি ঢাকা ফিরবো না। -আচ্ছা।বলছিলাম যে যতদিন আপনি এখানে আছেন ততদিনের জন্য আপনার নিরাপত্তার জন্য লোক পাঠাই। -তার দরকার হবে না ওসি সাহেব।আমি নিজের নিরাপত্তা নিজেই দিতে পারবো। -হুম বুঝলাম যখন আপনি লোক নিবেননা তখন না হয় এক কাজ করুন এই পিস্তলটা (একটা পিস্তল এগিয়ে দিয়ে)আপনার সাথে সব সময় রাখবেন। -আপনি পিস্তল আ....মা.. -সমস্যা নেই।এটা আপনাকে দেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে।তবে কাজ শেষ হয়ে গেলে আমাকে দিয়ে দিয়েন। -আচ্ছা তবে কি আমি আজ আসতে পারি? -হ্যাঁ অবশ্যই।তবে একটু সাবধানে থাকবেন। -আচ্ছা ঠিক আছে এই বলে রফি সাহেব বাংলোয় ফিরে এলেন।বাসায় এসে পিস্তলটিকে নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলেন।লোডেড পিস্তল।পিস্তলটার ভিতর তিনটা গুলি দেখে তার মনে থাকা ক্ষোব উতলে উঠলো।তিনি যদি তার বোনের হত্যাকারীকে পেতেন তাহলে এই গুলি গুলো দিয়ে তাকে এমন ভাবে মারতেন যেমন ভাবে তার বোনকে মারা হয়েছিল।পিস্তলটা দেখার পর বালিশের নিচে রেখে খাওয়াদাওয়া করে শুয়ে পড়লেন।তন্দ্রা ভাব আসছিল এমন সময় তিনি জেগে যান।প্রতিরাতের সেই মেয়েলি কান্না আর নুপুরের রিমঝিম শব্দে।বালিশের নিচ থেকে পিস্তলটা নিয়ে শব্দের দিকে ছুটতে থাকেন।চিৎকার দিয়ে বলেন কে তুমি।কি চাও।নিচে আসার সাথে সাথে তিনি গুলির শব্দ পান এবং তিনটি গুলি শব্দের দিকে মারেন এবং কারো ধাক্কায় পড়ে যান।সাথে সাথে পেছন থেকে রিভলবারের শব্দ পেয়ে পিছন ফিরে তাকান।এবং দেখতে পান পেছনে ওসি মাহফুজুর রহমান এবং কয়েকজন কনেস্টেবল শব্দের দিকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ছেন।একটু পর তিনি রফি সাহেব কে বলেন -আপনি ঠিক আছেন তো? -হ্যাঁ আমি ঠিক আছি তবে আপনারা এখানে? আমরা আপনার বোনের হত্যাকারীকে খুজতে এসেছিলাম এবং আশাকরি পেয়েও গেছি। -কিভাবে? -আপনি এখানে বসুন আমি আসছি এই বলে ওসি মাহফুজুর রহমান কজন কনেস্টেবল কে নিয়ে চলে যান কেয়ার টেকার মজিদ মিয়ার বাড়ি।কিন্তু যেয়ে দেখতে পেলেন মজিদ মিয়া কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন।কম্বল উচু করে দেখেন তিনি প্রচন্ড জ্বরে কাতরাচ্ছেন।তাই দেখে চলে আসবেন এমন সময় কি মনে হতেই পা থেকে কম্বল উচুঁ করতেই দেখতে পেলেন পায়ে গুলি লেগে আছে এবং ক্ষত থেকে রক্ত পরছে। -কি মজিদ মিয়া।এতকিছুর মুল হোতা তাহলে আপনি? -না মানে আসলে.. -আর মানে মানে করে লাভ নেই।আপনার সব কু-কীর্তি আমাদের কাছে পরিষ্কার।তো বলুন সুরভী কে খুন করেছেন কেন আর কেনইবা তাদেরকে ভুতের ভয় দেখিয়েছিলেন? -অনেকদিন স্যার রা আসে না আর মুই ও টেকা কামাবাইর লাইগ্গা সাহেবের বাড়িডা বিক্রি কইরা এই হান থেইক্ক্যা চলে যাবার চাইছিলাম।কিন্তু সাহেবরা আসাই সব কিছু নষ্ট হইয়া যায়।তাই ভুতের ভয় দেহানোর লাইগ্গ্যা সাউন্ড বক্সে মাইয়াগো কান্দোনের আর হাসোনের রেকর্ড বাজাইতাম।কিন্তু সুরভি আফা সকালে আমাগো সব কতা শুইন্না ফেলাই।আর যহন সায়েবগো এই কতা কইতে আসে তহন ই ছুরি দিয়ে গলা কাইট্ট্যা আর হাত পায় এমন ভাবে দাগ দিয়া রাহি যাতে মনে হইবো কোন জানোয়ারের কাজ এইডা। -আর যখন দেখলেন রফি সাহেব এখান থেকে যাচ্ছেনা ঠিক তখনই তাকেও মারার প্লান করলেন তাইতো? -হ।সাহেব আর জীবনেও এমন কাম করবোনা সাহেব এইবারের লাইগ্গ্যা মাফ করা দেন -তোমাকে ক্ষমা কেউ করবেনা।হাসিব নিয়ে যাও একে। পরদিন সকালে থানায় ডেকে মাহফুজুর রহমান সব খুলে বললেন রফি সাহেবকে।রফি সাহেব সব শুনে বললেন -আজ আমি নিশ্চিন্ত।আমার বোনের খুনিকে ধরতে পরেছেন আপনারা।আপনাদেরকে কিভাবে ধন্যবাদ দিব তা আমার জানা নেই -ছিঃ ছিঃ রফি সাহেব এটা আমাদের পুলিশ দের দ্বায়িত্ব।এতে আমরাও খুশি হয়েছি যে আপনার বোনের হত্যাকারীকে আমরা ধরতে পেরেছি। -আজ আমি ঢাকায় চলে যাব একটু পর।দোয়া করবেন আমার জন্য। -জ্বী অবশ্যই।আমার জন্য ও দোয়া করবেন। -জ্বী আজ তাহলে আসি -আসুন এরপর রফি সাহেব ফিরে গেল ঢাকায় তার শহুরে জীবনে।আর মাহফুজুর রহমান ও চলে গেলেন হয়তোবা নতুন কোন অদ্ভুত ঘটনার তদন্তে।পৃথিবীতে রহস্যময় অনেক ঘটনা আছে যেটি সাধারনত শুধু রহস্যয় রয়ে যায়।আবার কিছু কিছু রহস্য মিথ্যার আড়ালে থাকা সত্বেও সত্যের আলোই সবার সামনে এসে দাড়ায়।মিথ্যা দিয়ে সত্যকে যতই ঢেকে রাখা হোক না কেন সত্য একদিন না একদিন বেরিয়ে আসে তার আপন ঠিকানায়। সমাপ্ত (ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৪২ জন


এ জাতীয় গল্প

→ রহস্যময় খুন
→ রহস্যময় খুন!

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now