বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

রহস্য ৬

"গোয়েন্দা কাহিনি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Fahim (০ পয়েন্ট)

X ছয় একটা চেয়ার টেনে জাহিদের সামনে বসল ড.গ্রিফানো।চোখে মুখে খুশির ছাপ।তার নতুন আবিষ্কার কাজ করবে কিনা সেটা কিছুক্ষণেন মধ্যেই প্রমাণ হয়ে যাবে। 'আপনিই সকালে ওয়ার্নিং লেটারটা দিয়েছিলেন তাই না?' জাহিদ জিজ্ঞাসা করল।নিশ্চিত বিপদের মুখেও সম্পূর্ণ শান্ত থাকতে পারা আর মাথা ঠান্ডা রেখে পরবর্তি করণিয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক অসাধারণ গুণ তার।এখন যদিও কিছুটা ঘাবড়ে রয়েছে ও তবুও নিজেকে শান্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। উত্তরে মাথা নাড়লো খেপা বিজ্ঞানী। 'তখন তোমাকে না করেছিলাম', বললেন ওনি। 'ভেবেছিলাম তুমি সাধারণ কোনো ছেলে যে একটু কৌতুহলি।কিন্তু ভূল ভেবেছি আমি।এখন সে ভূল শুধরে নিতে চাই।' 'সেদিনের দানবটা জনি ছিল তাই না?', জাহিদ বলল। 'যেটাকে আমরা দেখেছিলাম।আর আমার ঘাড়ের তীরটাও আপনি মেরেছিলেন ঔষধ মাখিয়ে কোনো একটা এক্সপেরিমেন্টের জন্য তাই না?', ড.গ্রিফানো একটা বিদঘুটে হাসি দিয়ে বলল,'তুমি খুব বুদ্ধিমান ছেলে।হ্যা ঠিক বলেছো।সেদিনের দানবটা জনিই ছিল।আর তোমার ঘাড়ে আমি ট্যানেল নামে একটা কেমিকেল ইঞ্জেক্ট করেছিলাম।সে যাইহোক', কঠোর হয়ে উঠল খেপা বিজ্ঞানীর মুখ।'জনির রক্তে আমি দানবের ডিএনএ ইঞ্জেক্ট করেছিলাম এবং আমি তাতে সফলও হয়েছি।এবার তোমার রক্তে ইঞ্জেক্ট করব ভ্যাম্পায়ারের ডিএনএ।তোমাকে পরিণত করব একটা ভ্যাম্পায়ারে।' 'দেখুন', শেষবারের মত বোঝানোর চেষ্টা করল জাহিদ।'এসব করে আপনি কি পাবেন?' 'নাহ কিছুই না', বিশ্রি একটা হাসি দিল বিজ্ঞানী। 'শুধু নিজের আবিষ্কারগুলোর ফলাফল দেখতে চাই।' এরপর ড.গ্রিফানো জাহিদকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ভ্যাম্পায়ার ডিএনএ সরাসরি তার রক্তে ইঞ্জেক্ট করে দিল।মোচর দিয়ে উঠল গোয়েন্দা প্রধানের দেহ।অসহ্য ব্যাথা হচ্ছে তার।হঠাৎ করেই সব ব্যাথা মিলিয়ে গেল।নিজের শরীরে বেশ বল অণুভব করছে সে।একটানে দড়িটা ছিড়ে ওঠে দাড়াল ও।অবাক হয়ে নিজেকে দেখতে লাগল।ওর হাতের লোমগুলো বেশ বড় বড়।সাথে নখগুলোও।মুখে রয়েছে সুচালো বড় বড় দুটি দাত।পা থেকে মাথা অব্দি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে গোয়েন্দা প্রধান জাহিদ। রাত ১০ টা। হঠাৎ করে বেজে উঠল রিনকের বাড়ীর ল্যান্ডফোনটা।অলস ভঙ্গিতে ফোনের দিকে এগিয়ে গেল সহকারি গোয়েন্দা রিনক।রিসিবারটা উঠিয়ে কানে ঠেকাল। -হ্যালো,ও তুমি,এতক্ষণ কোথায় ছিলে?, না সমস্যা নেই,হ্যা হ্যা আমি এক্ষুণিই আসছি।' রিসিবারট জায়গায় রেখে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পরল রিনক।কিছুক্ষণ বাদে জাহিদের বাড়ীতে পৌছে গেল সে।সাইকেলটা একপাশে রেখে বাড়ীর পেছনের দিকে এগিয়ে গেল।একটা কাঠের তৈরি বিড়ালের ডান চোখে টিপ দিতেই ক্লিক করে খুলে গেল সিক্রেট হোল-১ এর ঢাকনাটা।দুইগোয়েন্দার হেডকোয়াটারে প্রবেশ করার গোপন পথ।জাহিদ এমন ট্যাপডোর বানিয়েছে।যাতে করে হেডকোয়াটারের সিকিউরিটিট ঠিক থাকে।ভেতরে ঢুকতেই আবার বন্ধ হয়ে গেল ঢাকনাটা।কিছুটা গিয়েই রয়েছে হেডকোয়াটার।জাহিদের বাড়ীর পেছনে জঞ্জালে ভরা একট কন্টেনারের মধ্যৈ হেডকোয়াটার বানিয়েছে দুইগোয়েন্দা।নিজের ডেস্কের ওপাশে চেয়ারের মধ্যে বসে রয়েছে গোয়েন্দা প্রধান।গম্ভির হয়ে কিছু একটা ভাবছে।নিজের চেয়ারে এসে বসল রিনক। 'এত রাতে কেন ডেকেছো?', রিনক জিজ্ঞাসা করল।'জরুরি কিছু?' 'হ্যা', মাথা নাড়ল জাহিদ। 'কেসটার কিনারা করে ফেলেছি।' 'সত্যিই!', বিশ্বাস হচ্ছে না রিনকের। 'হ্যা তবে এখন আমাদের যেতে হবে ঐ বাড়ীটার কাছে।বাড়ীটার উপর চোখ রাখা দরকার।' হেডকোয়াটার থেকে বেড়িয়ে এল ওরা।রিনক আগেই সাইকেল এনেছে।জাহিদ ওর সাইকেল বের করে তাতে চেপে বসল।এরপর ধীরে সুস্থে দুজনে রাতের আধারে সাইকেল চালাতে লাগল।অবশ্য তেমন একটা অন্ধকার নেই।চাঁদের আলোয় চারপাশটা আলোকিত হয়ে গিয়েছে।নিশ্চিন্ত মনে সাইকেল চালাচ্ছে রিনক।কিন্তু সে এটা জানে না সামনে তার জন্য কত বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।রহস্যময় বাড়ীটার কাছে পৌছেই সাইকেলগুলো একটা গাছের সাথে ঠেস দিয়ে রেখে কিছুদূরে দাড়াল ওরা। 'রিনক', ফিসফিসিয়ে বলল জাহিদ।'আমাদের অন্য কোথাও থেকে চোখ রাখতে হবে বাড়ীটার উপর।এখানে থাকাটা ঠিক হবে না।' 'তাহলে ঐ পাহাড়টাতে চল', রিনক প্রস্তাব দিল। রিনকের প্রস্তাব শুনে মনে মনে বেশ খুশি হল গোয়েন্দা প্রধান।আসলে ও এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষা করছিল।শিকার আজ নিজেই তার ফাদে ধরা দিয়েছে।বাড়ীটার পেছনেই পাহাড়টা রয়েছে।এখান থেকে খুব সহজেই ওরা চোখ রাখতে পারবে বাড়ীটার উপর।কিন্তু রিনক এটা জানে না তার বন্ধুর মনে কি রয়েছে। 'রিনক', পাহাড়ের চূড়োয় পৌছে বলল জাহিদ। 'তুমি ঐ দিকে চোখ রাখ আর আমি এদিকটায় রাখছি।' মাথা নেড়ে জাহিদের দেখানো জায়গায় চলে গেল রিনক।জায়গাটা পাহাড়ের একদম কিনারায়।রিনক যদি একবার পেছনে তাকাতো তাহলর দেখত এক বিচিত্র ঘটনা।রহস্যময় হাসি ফুটে উঠেছে গোয়েন্দা প্রধানের মুখে।গায়ের লোমগুলে সব বড় হয়ে গিয়েছে।বড় বড় দুটো দাত বেরিয়ে পরেছে মুখের দুপাশ দিয়ে।মানুষ থেকে ভ্যাম্পায়ারে পরিণত হয়ে গিয়েছে সে।তাজা রক্তের গন্ধ নাকে ভেসে আসছে।নিজেকে তার বহুদিনের ক্ষুদার্ত লাগল।রিনকের গায়ের তাজা রক্তের স্বাদ নেওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে গিয়েছে ও।আসলে পাহাড়ে সে রিনককে কায়দা করে নিয়ে এসেছে।শিকারি যেমন করে শিকারকে বোকা বানায় ঠিক তেমনভাবেই বোকা বানিয়েছে রিনককে।হাতের কাছে এমন একটা শিকার পেয়ে মহা খুশি ভ্যাম্পায়ার জাহিদ।কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলেটার ঘাড়ে ঢুকে যাবে তার বড় দাত দুটো।আর সে সাথে ছেলেটার রক্ত দিয়ে নিজের ক্ষুধা মেটাবে ভেবেই নিজ মনে হেসে উঠল জাহিদ।এরপর কোনো রকম শব্দ না করে এগোতে লাগল রিনকের দিকে। চলবে.......


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২৮৯ জন


এ জাতীয় গল্প

→ আজও রহস্য
→ রহস্যময় রাত
→ রহস্যময় ট্রেন
→ রহস্যময় পারিবারিক আত্বহত্যা
→ একটি রহস্যময় মৃত্যু
→ সৃষ্টির রহস্য সমাধান!সত্যিই কী সম্ভব?
→ আমাজন রহস্য
→ রহস্যে মোড়া নিউট্রন তারকা
→ বক্রোষ্ঠ ব্যক্তির রহস্য [দ্য ম্যান উইথ দ্য টুইসটেড লিপ]
→ বক্রোষ্ঠ ব্যক্তির রহস্য [দ্য ম্যান উইথ দ্য টুইসটেড লিপ]
→ রহস্যহীনা মহিলা
→ অজানা রহস্য
→ অজানা রহস্য (বাকি অংশ)
→ "রহস্যময়ী সেই ফোন কল"
→ রহস্যে ঘেরা বাল্ট্রা দ্বীপ

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now