বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

রহস্য ২

"গোয়েন্দা কাহিনি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Fahim (০ পয়েন্ট)

X দুই ভয়ংকর টকটকে লাল দুটি চোখ একটা ঝোপের আড়াল থেকে ওদের দিকে একনাগারে তাকিয়ে রয়েছে।এত বড় চোখ আজ পর্যন্ত দেখেনি ছেলেরা।অবাক হয়ে দুইকিশোর তাকিয়ে রয়েছে আগুন জ্বলা চোখ দুটির দিকে।এ যেন অদ্ভূদ বন্ধনে নিমগ্ন করে রেখেছে জ্বলন্ত ভৌতিক দুটো চেখের দিকে।হঠাৎ করেই নড়ে উঠল কাটাভর্তি ঝোপটা।সাথে সাথে ওদের চোখের সামনে থেকে হারিয়ে গেল ভৌতিক দুটো জ্বলন্ত চোখ।বেপারটা বেশ অবাক করল জাহিদকে এবংকি যে কিশোর এতক্ষণে ভয়ে পালিয়ে যেত অন্যসময় হলে,যে ভূতের ভয়ে সবসময় কুকড়ে থাকে সে দূরন্ত কিশোর রিনক পর্য়ন্ত বেশ অবাক।ভয়ের সামান্য ছিটেফোটা পর্যন্ত দেখা দিল না আজ তার চোখে।বেপারটা অবশ্য তার বন্ধু খেয়াল করেনি।যদি করত তাহলে বেশ অবাক হতে হত তাকে।এভাবে আরও কয়েকমূহুর্ত ঠায় দাড়িয়ে থাকার পর পূর্বের কাজে পূনরায় মন দিল ওরা। 'রিনক',আদেশ দিল গোয়েন্দা প্রধান। 'তুমি বাড়ীর পেছনের দিকটা দেখ।আমি এদিকটা দেখছি।' জাহিদের কথা অনুযায়ি বাড়ীর পেছনের দিকে চলে এর রিনক।পাহাড়ের খাড়া দেয়ালটায় একবার চোখ বুলালো সে।দেয়ালটা রীতিমত একটা দূর্গ সৃষ্টি করেছে বাড়ীটায়।পাহাড়ের দেয়ালের উপর দিয়ে উকি দিচ্ছে ডুবন্ত সূর্যটা।অনুসন্ধানি চোখে সে দেখতে লাগল বাড়ীটার ভেতর প্রবেশ করার কোনো রাস্তা পাওয়া যায় কিনা।এদিকে জাহিদ প্রথমে বাড়ীর দরজাটা পরিক্ষা করে দেখতে লাগল।৩০ বছরের পুরোনো তালায় মরিচা ধরে করুণ অবস্থায় রয়েছে।কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও সেটা যখন খোলা গেল না তখন অন্য উপায় খুজতে লাগল সে।বাড়ীর সামনের দিকটা খুব সূক্ষভাবে পরিক্ষা করল ও।এরপর একে একে বাড়ীর এপাশ ওপাশ পরিক্ষা করল।কিন্তু এমন কোনো রাস্তা পেল না যাতে করে ভেতরে ঢুকা যায়।তাহলে গতকাল বাড়ীর ভেতরে ওরা যে আলোটা দেখতে পেয়েছিল সেটা কিসের? আর ভেতর থেকে আসা ভয়ংকর সে আওয়াজটাই বা কিসের? দাড়িয়ে দাড়িয়ে এসব চিন্তা করছিল জাহিদ এমন সময় রিনক এসে জানায় পেছনেও কিছু নেই। 'হুমম,বেপারটা বেশ জটিল', মাথায় মৃদু টোকা মারল জাহিদ। 'কেন জটিল মনে হচ্ছে?', রিনক জিজ্ঞাসা করল। 'কারণ',যুক্তি দেখাল জাহিদ।'গতকাল আমরা বাড়ীর ভেতর একটা আলো দেখেছিলাম এবং সে সাথে একটা শব্দও শুনেছিলাম যেটা সম্ভবত কোনো জন্তুর শব্দ।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ওটা ভেতরে ঢুকল কি করে এবং আলোটা জ্বালালো কে?' 'জন্তু না ছাই',হাত নেড়ে বলল রিনক। 'এটা একটা ভূতের বাড়ী আর ভূতেরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে' আপাতত তদন্ত শেষ দুইগোয়েন্দার।সন্ধাও নেমে আসছে।অন্ধকার নামতে আর বেশি দেড়ি নেই।তাই এখনি ওদের বাড়ী ফিরতে হবে।ঝোপ থেকে সাইকেল দুটো বের করে তাতে চেপে বসল ওরা দুজনে। বুনো পাথরের পথটা দিয়ে হালকা শিষ দিতে দিতে এগিয়ে চলছে রিনক আর তারপাশে জাহিদ।স্কুল ছুটি।হাতে তেমন কাজও নেই।এমন একটা সময়ে এ অদ্ভূদ কেসটা হাতে পেয়ে বেশ খুশি দুইগোয়েন্দা।অন্যসময় হলে এতক্ষণে হয়তো হাত ঘুটিয়ে নিত রিনক।কিন্তু এবারের কেসটা কেন জানি তার কাছে ভালো লাগছে।অদ্ভূদ একটা টান অনুভব করছে কেসটার প্রতি।কিন্তু কেন সেটা এখনো তার বোধগাম্য নয়।বাড়ীটা থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে আসতেই শোনা গেল গতকালের ভয়ংকর সে হুংকারের শব্দটা।সাইকেল থামিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে অবাক চোখে পেছনের দিকে তাকালো ওরা।সঙ্গে সঙ্গে জমে গেল দুজনে।একটা বিশ্রি আর বিশাল দানব ওদের দিকে ধেয়ে আসছে বাড়ীটার কাছ থেকে।চোখগুলো যেন জ্বলন্ত অগ্নিপিন্ড।মাথাটা মানুষের মাথার মতই দেখতে।তবে নাক আর কানগুলো বেশ বড়।পেশিবহুল হাত দুটি যেন একেকটা পাহাড়।মানুষেরই হাত তবে বেশ মোটা আর লম্বা।১২ ফুট উচ্চতার দানবটির গা ভর্তি বড় বড় কালো লোম।বিশাল হা করে সেটা ছেলেদের দিকে ধেয়ে আসছে।হা টা এতই বড় যে অনায়াসে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এটে যাবে তার ভেতর।সবার আগে নড়ে উঠল গোয়েন্দা প্রধান। 'রিনক', চেচিয়ে উঠল সে। 'থ্রি বাই টু কুইক' এ ধরনের পরিস্থিতিতে কি করতে হবে সেটা জানা আছে ছেলেদের।দুজন দুদিকে গিয়ে শত্রুকে কনফিউশানে ফেলে দেয়া যায়।আর জাহিদ সেটাই নির্দেশ করেছে।শত্রু যাতে বুঝতে না পারে তারই জন্য এমন সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়।সাইকেল নিয়ে প্রাণপ্রণে ছুটতে শুরু করল দুজনে।দ্রুত গতিতে তাদের দিকে ধেয়ে আসছে দানবটা।কিছুদূর যেতেই বুনো পথটা দুভাগ হয়ে গেল।একটা গিয়েছে পূর্বে আরেকটা পশ্চিমে।বিপদ খুবই নিকটে।জাহিদ ছুটল পূবের রাস্তার দিকে আর রিনক ছুটল পশ্চিমের রাস্তার দিকে।ঠিক এমন সময় সেখানে এসে দাড়িয়ে গেল দানবটা।কনফিউশানে পরে গিয়েছে ওটা।দুজন দুদিকে যাওয়ায় বুঝতে পারছে না কোনদিকে যাবে।এ ফাঁকে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে ছেলেরা।শিকার হাতছাড়া হয়ে যেন আরও বেশি খেপে গেল দানবটা।রাগে, ক্রোধে হুংকার ছাড়তে লাগল। তিন পশ্চিমের রাস্তাটা চেনা আছে রিনকের।পশ্চিমের জঙ্গলের পাশ দিয়ে গিয়ে রাস্তাটা সোজা পৌছে গিয়েছে পুরোনো এক জমিদার বাড়ীর কাছে যেটাতে পূর্বে দুইগোয়েন্দার হেডকোয়াটার ছিল।পূর্বের যে রাস্তা দিয়ে গিয়েছে জাহিদ সেটাও একই জায়গায় এসে মিলিত হয়েছে।বাড়ীটার কাছে পৌছে সে জাহিদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। উর্ধ্বশ্বাসে সাইকেল নিয়ে ছুটছে জাহিদ।হঠাৎ করে হুংকার শোনা গেল পেছন থেকে।দানবটা যে রেগে গেছে তা বেশ টের পাচ্ছে সে।ভয়ের একটা শিহরণ বয়ে গেল তার পিঠের মধ্য দিয়ে।মূহর্তের জন্য না থামিয়ে ছুটে চলছে সে।পশ্চিম আকাশে হেলে পড়া সূর্যটা এখনো পুরোপুরি ডুবেনি।তবে ডুবতেও তেমন দেড়ি নেই।যত দ্রুত সম্ভব জমিদার বাড়ীর কাছে পৌছুতে হবে।দ্রুত সন্ধা নেমে আসবে।ঘন অন্ধকারে হারিয়ে যাবে অপূর্ব এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে চলছে পাহাড়ি নদি।পানির কল কল ধ্বনি শুনতে বেশ ভালোই লাগছে তার।হঠাৎ কেমন জানি কাব্যিক হয়ে উঠল গোয়েন্দা প্রধানের মন।কবিতা আবৃত্তি করতে লাগল বিড়বিড় করে, আবার আসিব ফিরে এ ধানশিরির তীরে হয়তো বা.............. কিছু একটা মনে পরতেই ব্রেক কষে দাড়িয়ে পরল জাহিদ।একি চারপাশটা এমন লাগছে কেন? ভাবল সে।অবাক হয়ে তাকাতে লাগল চারপাশে।কোথায় গেল রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে চলা পাহাড়ি নদি? তার পরিবর্তে সেখানে রয়েছে শুকনো খটখটে গিরিখাদ।সমতল ভূমির পরিবর্তে তার পায়ের তলায় রয়েছে পাহাড়ি খাড়াই পথ।এ পথতো সে চেনে না।তাহলে কোথায় এসে পৌছে গেল সে? বেপারটা কেমন জানি ভৌতিক লাগল তার কাছে।এসব কি ঘটছে তার সাথে? চলবে.........


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২৯৪ জন


এ জাতীয় গল্প

→ আজও রহস্য
→ রহস্যময় রাত
→ রহস্যময় ট্রেন
→ রহস্যময় পারিবারিক আত্বহত্যা
→ একটি রহস্যময় মৃত্যু
→ সৃষ্টির রহস্য সমাধান!সত্যিই কী সম্ভব?
→ আমাজন রহস্য
→ রহস্যে মোড়া নিউট্রন তারকা
→ বক্রোষ্ঠ ব্যক্তির রহস্য [দ্য ম্যান উইথ দ্য টুইসটেড লিপ]
→ বক্রোষ্ঠ ব্যক্তির রহস্য [দ্য ম্যান উইথ দ্য টুইসটেড লিপ]
→ রহস্যহীনা মহিলা
→ অজানা রহস্য
→ অজানা রহস্য (বাকি অংশ)
→ "রহস্যময়ী সেই ফোন কল"
→ রহস্যে ঘেরা বাল্ট্রা দ্বীপ

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now