বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

বাঘ মামা আর শিয়াল ভাগ্নে

"মজার গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান ‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎ (০ পয়েন্ট)

X শিয়াল ভাবে, ‘বাঘমামা, দাঁড়াও তোমাকে দেখাচ্ছি!’ এখন সে আর নরহরি দাসের ভয়ে তার পুরনো গর্তে যায় না, সে একটা নতুন গর্ত খুঁজে বার করেছে। সেই গর্তের কাছে একটা কুয়ো ছিল। একদিন শিয়াল নদীর ধারে একটা মাদুর দেখতে পেয়ে, সেটাকে টেনে তার বাড়িতে দিয়ে এল। এনে, সেই কুয়োর মুখের উপর তাকে বেশ করে বিছিয়ে বাঘকে গিয়ে বলল, ‘মামা, আমার নতুন বাড়ি দেখতে গেলে না?’ শুনে বাঘ তখনি তার বাড়ি দেখতে এল। শিয়াল তাকে সেই কুয়োর মুখে বিছানা মাদুরটা দেখিয়ে বললে, ‘মামা, একটু বস, জলখাবার খাবে।’ জলখাবারের কথা শুনে বাঘ ভারি খুশি হয়ে, লাফিয়ে সেই মাদুরের উপর বসতে গেল, আর অমনি সে কুয়োর ভিতরে পড়ে গেল। তখন শিয়াল বললে, ‘মামা, খুব করে জল খাও, একটুও রেখ না যেন!’ সেই কুয়োর ভিতরে কিন্তু বেশি জল ছিল না, তাই বাঘ তাতে ডুবে মারা যায় নি। সে আগে খুবই ভয় পেয়েছিল, কিন্তু শেষে অনেক কষ্টে উঠে এল। উঠেই সে বললে, ‘কোথায় গেলিয়ে শিয়ালের বাচ্চা? দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি।’ কিন্তু শিয়াল তার আগেই পালিয়ে গিয়েছিল, তাকে কিছুতেই খুঁজে পাওয়া গেল না। তারপর থেকে বাঘের ভয়ে শিয়াল আর তার বাড়িতেও আসতে পায় না, খাবার খুঁজতেও যেতে পারে না। দূর থেকে দেখতে পেলেই বাঘ তাকে মারতে আসে। বেচারী না-খেয়ে না-খেয়ে শেষে আধমরা হয়ে গেল। তখন সে ভাবলে, ‘এমন হলে তো মরেই যাব। তার চেয়ে বাঘ মামার কাছে যাই না কেন? দেখি যদি তাকে খুশি করতে গেল। বাঘের বাড়ি থেকে অনেক দূরে থাকতেই সে খালি নমস্ড়্গার করছে আর বলছে, ‘মামা, মামা!’ শুনে বাঘ আশ্চর্য হয়ে বললে, ‘তাই তো, শিয়াল যে!’ শিয়াল অমনি ছুটে এসে দুহাতে তার পায়ের ধুলো নিয়ে বললে, ‘মামা, আমাকে খুঁজতে গিয়ে তোমার বড় কষ্ট হচ্ছিল, দেখে আমার কান্না পাচ্ছিল। মামা, আমি তোমাকে বড্ড ভালোবাসি, তাই এসেছি। আর কষ্ট করে খুঁজতে হবে না, ঘরে বসেই আমাকে মার।’ শিয়ালের কথায় বাঘ তো ভারি থতমত, খেয়ে গেল। সে তাকে মারলে না, খালি ধমকিয়ে বললে, ‘হতভাগা পাজি, আমাকে কুয়োয় ফেলে দিয়েছিলি কেন?’ শিয়াল জিভ কেটে কানে হাত দিয়ে বললে, ‘রাম-রাম! তোমাকে আমি কুয়োয় ফেলতে পারি? সেখানকার মাটি বড্ড নরম ছিল, তার উপর তুমি লাফিয়ে পড়েছিলে, তাই গর্ত হয়ে গিয়েছিল। তোমার মতো বীর কি মামা আর কোথাও আছে?’ তা শুনে বোকা বাঘ হেসে বললে, ‘হ্যাঁ-হ্যাঁ ভাগ্নে, সে কথা ঠিক। আমি তখন বুঝতে পারিনি।’ এমনি করে তাদের আবার ভাব হয়ে গেল। তারপর একদিন শিয়াল নদীর ধারে গিয়ে দেখল যে, বিশ হাত লম্বা একটা কুমির ডাঙায় উঠে রোদ পোয়াচ্ছে। তখন সে তাড়াতাড়ি ছুটে গিয়ে বাঘকে বললে, ‘মামা, মামা, একটা নৌকা কিনেছি, দেখবে এসো।’ বোকা বাঘ এসে সেই কুমিরটাকে সত্যি সত্যি নৌকো মনে করে লাফিয়ে তার উপর উঠতে গেল, আর অমনি কুমির তাকে কামড়ে ধরে জলে গিয়ে নামল। তা দেখে শিয়াল নাচতে-নাচতে বাড়ি চলে গেল।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৫৮০ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • ¤-ইশিকা-¤
    User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    hahahahahaha nc

  • ¤-ইশিকা-¤
    User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    hahahahahahanc

  • ¤-ইশিকা-¤
    User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    Hahahahahaha nc

  • RS Shakil Azad
    User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    He he he...So funny...

  • Hafsa
    User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    He He He... So Funny