বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

মাসুদ রানা—*বেদুঈন কন্যা* (চ্যাপ্টার ১)

"উপন্যাস" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X মাসুদ রানা বেদুঈন কন্যা কাজী আনোয়ার হোসেন এক লন্ডন। সময়টা সন্ধ্যারাত। হিলটন ইন্টারন্যাশনাল-এর আটতলা। রেড কার্পেট রেস্তোরাঁ অ্যান্ড বার। বারোতলার স্যুইটে বসে প্রায় সারাটা দিন নিজ এজেন্সির কিছু পেন্ডিং ফাইল পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে মাসুদ রানা। ভাবল, যাই, দু’-ঢোক হুইস্কি গিলে একটু ঝরঝরে হয়ে আসি। চার ফ্লোর নীচে নেমে ঢুকে পড়ল রেড কার্পেট বার-এ। ভিতরে বেশ ভিড় দেখে একটু অবাকই হলো ও। বার-এর সামনে একটা গদিমোড়া সুদৃশ্য টুলে বসল। মিনিট বিশেক পর হুইস্কির বিল মেটাল ও, টুল ছেড়ে সুইং ডোর-এর দিকে হাঁটছে। ঠিক এমনি সময় একটি নারীকণ্ঠ ওর কানে যেন মধুবর্ষণ করল, মনে হলো উচ্ছ্বাসে অধীর হয়ে অকস্মাৎ কোনও কোকিল গেয়ে উঠেছে। গলাটা এতই মিষ্টি যে, আকুলি-বিকুলি করে ওঠে বুকের ভিতরটা। নিজের অজান্তেই থেমে গেল ওর পা দুটো। স্টেজ-এর দিকে ঘাড় ফেরাল রানা। অমনি মেয়েটির সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে গেল ওর। যেন মস্ত বড় কোনও শিল্পী মনের মাধুরী মিশিয়ে ক্যানভাসে এঁকেছে উদ্ভিনড়বযৌবনা, অপরূপ এক রমণীকে। তার চোখ-জুড়ানো দেহসৌষ্ঠব চুম্বকের মত ধরে রাখল ওর দৃষ্টি। গায়ের রঙের সঙ্গে ম্যাচ করা গোলাপি সিল্কের ঢোলা ঘাঘরা পরেছে সুন্দরী। কাঁধের রেশমি চুলের স্তূপে স্বচ্ছ স্কার্ফ আটকানো। হাতকাটা কালো ব−াউজের শাসন মানতে চাইছে না একটু ওভারসাইয, সুউনড়বত স্তন যুগল। রানার হার্টবিট বেড়ে গেছে। ঠোঁটের উপর একটু একটু ঘাম জমতে শুরু করল। এমন প্রশান্ত, কোমল ও পরিপাটি রূপ আগে বোধহয় কখনও দেখেনি রানা। ফিরে এসে একটা টেবিলে বসতে হলো রানাকে। মিষ্টি সুরে একটা মেলোডিয়াস পপ গাইছে মেয়েটি। উচ্চারণে কোনও টান না থাকলেও, চেহারা ও পোশাক দেখে তাকে ইউরোপিয়ান বলে মনে হলো না। সন্দেহ নেই অসাধারণ মিষ্টি মেয়েটির কণ্ঠ। তুলনাহীন। পুরো গানটা না শুনে ওঠা গেল না। হাতে কাজ না থাকলে আরও কিছুক্ষণ বসবার ইচ্ছে ছিল রানার। তবে নিজের স্যুইটে ফেরার আগে বারম্যানকে জিজ্ঞেস করে মেয়েটির নাম জেনে নিল। সুরাইয়া ফারদিন। আশ্চর্য, এত ভাল গলা নিয়ে এই মেয়ে হোটেলের বার-এ কেন গাইছে? ওর তো সুপারস্টার হয়ে যাওয়ার কথা। নাকি শুটিং স্টার কোনও কারণে ঝরে পড়েছে মাটিতে? পরদিনও ঠিক ওই সন্ধ্যার সময় কী এক অদম্য আকর্ষণে রেড কার্পেটে নেমে এল রানা। মেয়েটির সঙ্গে চোখাচোখি হলো আজও। মৃদু একটু হাসি ফুটল রানার ঠোঁটে, চোখ ফিরিয়ে নেওয়ার আগে বোধহয় মেয়েটির ঠোঁটেওতবে নিশ্চিত নয় রানা। নিশ্চিত হলো পরদিন একই জায়গায়, একই সময়ে; কারণ এবার চোখাচোখি হওয়া মাত্র মেয়েটিই হেসেছে, জবাবে ছোট্ট করে মাথা ঝাঁকিয়ে সাড়া দিয়েছে রানা। সেদিন পরিচয়ও হলো ওদের। (যদি বলা হয় তবে পরের চ্যাপ্টার দেয়া হবে না হয় এখানেই সমাপ্ত হবে)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১২৫৫ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now