বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

বিশ্বাস নিয়ে খেলা

"জীবনের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃআলমামুন আলম আরজু (০ পয়েন্ট)

X collected by..Anil Kumar...ছেলেটা কে? -আমার ফ্রেন্ড। -ওর সাথে এতক্ষণ কি কথা বলতেছিলা? -তেমন কিছুনা। -এটা আমার প্রশ্নের উত্তর নই। (অনেকটা ধমকের স্ররে) -আজব,তোমার সাথে প্রেম করছি বলে আমি অন্য কারো সাথে কথা বলতে পারব না? -আমি তো সেটা বলিনি। আমি জাস্ট জানতে চাচ্ছি এত হাসাহাসি করে কি কথা বলতেছিলা? -তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছ? -এখানে সন্দেহের কি হল?আমি জাস্ট জানতে চাইলাম আরকি।তার কারণ তুমি ভাল করেই জান। -আমাকে ভালবাস তাইতো? আমি কি তোমাকে ভালবাসি না? -হুম ভাসতো। -তাহলে এত জেরা কর কেন? -তোমাকে হারানোর ভয়ে। -চিন্তা করোনা।বিশ্বাস রাখতে পার,আমি সবসময় তোমারই থাকব। -হুম। সেদিনের প্রমিসটা ছিল শুধু মুখের। অন্তর থেকে ছিলনা।তাইতো অনি আজ অন্যের হাতে হাত রেখে সুখের স্বপ্ন বুনছে। আর নিলয়ের জন্য রেখে গেল কষ্টের পাহাড়।নিলয়ের সেদিনের সন্দেহটা সঠিক ছিল।ছেলেটা ছিল তার নতুন bf। সত্যটা প্রথমে শিকার করতে একটু কষ্ট হয়ে ছিল যে,তার ভালবাসার মানুষটি থাকে ধোকা দিছে। এখন তা সয়ে গেছে,সিগারেটের ধোয়ার মাধ্যমে। অনির সাথে নিলয়ের পরিচয় কলেজ লাইফের শেষের দিকে।তার পর ভার্সিটিতে উঠেই শুরু হয় দীর্ঘ ১ বছরের পথচলা। নিলয় প্রপোজ করে ছিল।আর অনি দেরী করল না একসেপ্ট করতে। অনির আসল রূপ নিলয়ের কাছে ধরা পড়তেই,নিলয় ব্রেকাপ করে নেই।আর অনি,সে তো এই সময়টার অপেক্ষায় ছিল।তখন থেকেই তাদের মাঝে কোনো যোগাযোগ নেই।ব্রেকাপের ৬ মাস পর নিলয়ের মোবাইলে হঠাৎ একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসে।সে রিসিভ করল -হ্যালো. -কেমন আছো? -কে বলছেন?(যদিও ছিনতে পেরেছে) -কেন ছিনতে পারছ না?এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলা? -আপনি পরিচয় দিবেন, নাকি ফোন রাখব? -আমি অনি।এইবার চিনতে পারছ? -ও তুমি?এতদিন পর কি মনে করে? -তোমার সাথে কি কাল দেখা করা যাবে?সেই পরিচিত জায়গাই?প্লিজ?(অনেকটা করুণ কন্ঠে) -কেন? -দেখা হলেই বলব।প্লিজ না করো না। অনিচ্ছা সত্তেও রাজি হলো।সময়মতো পোঁছালো নিলয়। আর কিছু সময় পর অনি আসল।এসে নিলয়ের পাশে বসল।অনিই প্রথমে শুরু করল। -কেমন আছো? -বেশ ভালই আছি।(যদিও অনিকে ছাড়া একদম ভালোছিল না) -কিন্তু আমি যে ভাল নেই। -ভাল থাকার জন্যেই তো আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে। তো এখন ভাল নেই কেনো জানতে পারি? -আমি ভুল ছিলাম।একটা মোহোর মধ্যে ছিলাম।আমাকে কি একবার ক্ষমা করে আরেকটা সুযোগ দেওয়া যায় না? (নিলয়ের হাত ধরে কান্না করে করে) -প্লিজ এইসব অভিনয় বন্ধ কর। -আমি অভিনয় করছি না নিলয়।আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখ।আমি সত্যি বলছি। -তোমার চোখের ভাষা তখন বুঝতে পারি নাই,আর এখন কি বুঝব? -প্লিজ আমাকে একটা সুযোগ দাও। প্লিজ.... -সুখের মোহে আমাকে একবার ছেড়ে চলে গিয়েছিলে।আবার যাবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? অনি আর কিছু বলতে পারছে না।কিইবা বলবে সে?তার কাছে যে এই কথার কোনো জবাব নেই।সে বড় দামি জিনিষ ভেঙ্গেছে। হা সে বিশ্বাস ভেঙ্গেছে। ভেঙ্গেছে হাজারো স্বপ্ন। নিলয় চলে যাচ্ছে। আর অনি অশ্রু সিক্ত নয়নে তার পথ চেয়ে আছে।আর অনুশোচনাই ভুগছে। বিশ্বাস জিনিষটা এমনই।সহজে ভেঙ্গে যায় না।আর একবার ভাঙ্গলে তা আর ঠিক হয় না।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৭১৬ জন


এ জাতীয় গল্প

→ বিশ্বাস নিয়ে খেলা
→ বিশ্বাস নিয়ে খেলা

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন