বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অ্যাডভেঞ্চার অফ ফরেস্ট মিস্ট্রি

"গোয়েন্দা কাহিনি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Amir Hossain Hamim (০ পয়েন্ট)

X পর্ব-২ লেখক:আমির হোসেন হামীম(কাল্পনিক লেখক) --------- ---------------------------------------------- আমি:আমরা আগামীকাল সকালে রওনা দিব।শোন তোরা সবাই নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে সকাল আটটার মধ্যে আমার বাড়িতে উপস্থিত থাকবি। তানভির:ওকে দোস্ত তাহলে এখন যাই সন্ধ্যা হয়ে গেছে। গুড বাই। আমি:ওকে গুড বাই। বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম লন্ঞের টিকেট বুক করার জন্যে। আমাদের জন্যে পুরো কেবিন ভাড়া করলাম।হাতের কাজগুলো করতে করতে চোখটি লেগে যায়।যার ফলে গভীর ঘুমে তলিয়ে যাই। রাতে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙ্গে।ফ্রেশ হয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে চলে গেলাম।নামায পড়ে আগামীকাল ঘুরতে যাওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র গোছগাছ করলাম। রাতে আম্মু খাবার খাওয়ার জন্যে ডাক দেওয়ার কারনে ল্যাপটপটি বন্ধ করে খাবার টেবিলে চলে গেলাম। মা:দেখ বাবা তর নানুর বাড়িতে যাচ্ছিস ভালো কথা কিন্তু কোনো দুষ্টুমি করতে পারবি না।রাত পর্যন্ত আড্ডা দিবি না।আর ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করবি। আমি:মা তুমি কোনো চিন্তা করোও না তো আমি কোনো রকম দুষ্টুমি করবোনা। মা:টেনশন করি কি আর স্বাদে(ভীতি কন্ঠে) আর শোন প্রতিদিন আমাকে ফোন দিবি। আমি:জো হুকুম মম।আমি এখন উঠি। মা:আচ্ছা যা। খাবার খেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে আগামীকালের সময়টা কিভাবে কাটাবো এটা নিয়ে ভাবতে লাগলাম। কারন আমার লাইফে এই প্রথম লঞ জার্নি। ভাবতে ভাবতে গভীর ঘুমে হারিয়ে গেলাম। সকালে আম্মুর ডাকে ঘুৃ্ম ভাঙ্গে।ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িং রুমে যেয়ে দেখি সব হারামি বন্ধুরা এসে পড়েছে। কিরে তোরা কখন আসলি। তানভির:নবাবজাদার তাহলে ঘুম ভেঙ্গেছে।আমাদেরকে আটটার মধ্যে আসতে বলে নিজেই দেরিতে ঘুম থেকে উঠস। আমি: সরি দোস্ত।বাই দ্যা ওয়ে শুন লঞ ১০টায় ছাড়বে। আর আমাদের সাড়ে নয়টার মধ্যে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। আর তোরা নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়েছিস। ফারাবি:হুমম তাহলে চল আমরা হালকা ব্রেকফাস্ট করে নিই। তারপরে আমরা হালকা ব্রেকফাস্ট করে মা বাবাকে সালাম করে লঞ টার্মিনালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যাওয়ার সময় আম্মু বারবার বলে দিয়েছে কোনো রকম যাতে দুষ্টমি না করি।আর প্রতিদিন যাতে ফোন দেই। আমরা সবাই প্রাইভেট কারের মাধ্যমে নিদিষ্ট গন্তব্যের দিকে রওনা দিলাম।লঞ টার্মিনালে যেতে যেতে ৯:২০মি বেজে যায়।তারপরে আমরা সবাই নিজেদের জিনিসপত্র কাধে ঝুলিয়ে নিজস্ব কেবিনে টুকে পড়লাম। ঠিক সকাল দশটায় লঞ ছাড়ল।আমি জানালার পাশে বসে বাহিরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করছি। আর বাকি গুলো গান গাচ্ছে।বাহিরের দৃশ্য দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখটি লেগে যাওয়ার কারনে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে পানির কলকল শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়।হাত ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি সকাল ৬:২০মি. বাজে।তাহলে আমরা প্রায় ১৯ঘন্টা লঞে আছি।সামনে তাকিয়ে দেখি সব হারামিরা একটার উপর আরেকটা পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে। সব গুলোকে উঠিয়ে ফ্রেশ হয়ে আম্মুর দেওয়া খাবারটুকু খেতে খেতে নিদিষ্ট গন্তব্যে পৌছে যাই।আমাদের আনা প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কাধে ঝুলিয়ে নিচে নামলাম। ইশান:দোস্ত তর নানুর বাড়ি যাওয়ার রাস্তা কোনদিকে। আমি:এটা তো আমিও জানি না।দাড়া আম্মু একটি নাম্বার দিয়ে বলছিলো যে ওখানে পৌছে ফোন দিতে। ইশান:তাহলে তাড়াতাড়ি ফোন দে। আমি:দাড়া ফোন দিচ্ছি। হ্যালো(সালাম দিয়ে) আপনি কোথায় আমরা তো বরিশাল লঞ টার্মিনালে পৌছে গেছি। অপরিচিত:আপনারা এখন কোথায় আছেন।(সালামের জবাব দিয়ে।) আমি:টিকেট কাউন্টারের ঠিক বাম পাশে একটা চেয়ার বসে আছি। অপরিচিত:তাহলে আপননারা বসেন আমি এক্ষুনি আসছি। আমি:হুমম তাড়াতাড়ি আসেন। ইশান:কিরে কি বল্ল? আমি:বল্ল তো আসতাছে। দূর থেকে যায় আমাদের থেকে এক দুই বছরের ছোট একটি ছেলে আমাদের দিকে আসতেছে। এসেই আমাকে উদ্দেশ্যে করে বল্ল ভাইয়া আমি যদি ভূল না করে থাকি তাহলে আপনার নাম আমির হোসেন। আমি:হুমম কিন্তু আপনি কে আপনাকে তো চিনতে পারলাম না। অপরিচিত:ভাইয়া আমার নাম সুমন।আপনার নানুর বাড়িতে কাজ করি।নানু আমাকে পাঠিয়েছে আপনাকে আনার জন্যে। আমি:ওওও।আরেকটা কথা কিন্তু তুমি আমাকে চিনলে কিভাবে? সুমন:নানু আপনার ছবি দেখিয়েছিল।তাই আপনাকে সহজে চিনতে পেরেছি। আমি:ওও তাহলে চল।আর শুনো এরা সবাই আমার বন্ধু। সুমন :হাই ভাইয়া আপনারা কেমন আছেন। ইশান:আমরা ভালো আছি। তুমি কেমন আছ? সুমন:আমিও ভালো আছি। রাজু:সুমন তুৃমি পড়ালেখা করোও না। সুমন:জ্বি ভাইয়া পড়ালেখা করি তো। রাজু:তা কোন ক্লাসে পড়? সুমন:ক্লাস নাইনে পড়ি। কথা বলতে বলতে একটা ভ্যান পেয়ে উঠে বল্লাম। আমি:তা সুমন এই গ্রামে কোন ঐতিহাসিক জায়গা নেই। সুমন:আছে তো।প্রাচীন কালের পুরনো মসজিদ,পুরনো ঝরনা ইত্যাদি। কথা বলতে বলতে বাড়িতে পৌছে যাই। সুমন:আপনারা সবাই নামেন।বাড়িতে চলে এসেছি। সামনে তাকিয়ে দেখি দুই তলা বিশিষ্ট একটা দুতলা বাড়ি।যার ডান পাশে একটি পুরনো পুকুর।আর বাম পাশে বিভিন্ন ফুল ফলে পরিপূর্ণ একটি বাগান। চলবে......... গল্পটি কেমন হচ্ছে জানাবেন কিন্তু যাতে পরবর্তী পর্ব দিতে পারি।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৫৯১ জন


এ জাতীয় গল্প

→ অ্যাডভেঞ্চার অফ ফরেস্ট মিস্ট্রি

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • ওমর ফাহাদ রাহী
    User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    Golpota assole onek sunder.next part chai

  • Anika
    Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    Hmm. Golpo ta kub sundar hocce.. Next part Plz.....