বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

রম্যঃশপিং

" ঈশপের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Ovro Amrito (০ পয়েন্ট)

X -হাই জান!কেমন আছো? . টয়লেটে বসে ফেসবুকিং করছিলাম এমন সময় একটা মেয়ের আইডি থেকে মেসেজে এসে আমার সবকিছু বন্ধ হয়ে গেল।এর আগে জীবনে কোনো দিনই আমাকে কোনো মেয়ে মেসেজ দেওয়া তো দূরের কথা আমার পোস্টে লাইক/ কমেন্টও করেনি।এক লাফে টয়লেট থেকে বেরিয়ে বালিকার টয়লেটে থুক্কু প্রোফাইলে ঢুকে গেলাম।আহ প্রোফাইলে একটু রিয়েল আইডি রিয়েল আইডি গন্ধ ছড়াচ্ছে।বুঝি এইবারই বোধ হয় আমার ভাগ্যে কপাল খুলে গেছে।কিন্তু কি দিয়ে শুরু করা যায় ভাবতেই আরেকটা মেসেজ, . -কি হলো আমার বাবুটার?টয়লেট করছো নাকি যে রিপ্লে দিতে এত্ত দেরি হচ্ছে? . লজ্জা ঘৃনা ভয় মেয়েদের সাথে চ্যাট করিতে নয়। . -হুম বেবি।তুমি দেখলে কিভাবে? -জানু আমি তোমার সব দেখতে পাই। . এই কাজ সেরেছে! বালিকা নাকি আমার সব দেখতে পায়।যদি আমার রাতের কথা সবার কাছে ফাঁস করে দেয় তাহলে তো সমাজে মুখ তো দূরের কথা আমার হাত-পা দেখানোর সম্মান থাকবে না। . -আচ্ছা তুমি আমার কি সব দেখতে পাও? -হ্যাঁ জান।ঐ যে রাত জেগে তুমি কি করো সেটাও দেখতে পাই। . এই কাজ সেরেছে রে! যেখানে বিড়ালের ভয় সেখানেই রাত পোহায়। . -আচ্ছা জানু তুমি কি আমায় চিনো?তোমাকে না আমি ঠিক চিনতে পারছি না। -কি যে বলোনা।তোমার লেখার উপর আমি যে কি হারে ক্রাশ খেয়েছি সেটা ডাক্তার আর আমিই জানি। -ডাক্তার জানলো কিভাবে? -তোমার লেখার উপর ক্রাশ খেয়ে একবার তো আমি প্রেগন্যান্ট হয়েগিয়েছিলাম।তখন তো ডাক্তারই আমাকে ট্রাস মেডিসিন দিয়ে আমার ক্রাশ ভাইরাসকে দূর করিয়েছিল। . ও মাই গড ক্রাশ খেয়েও যে কেউ প্রেগন্যান্ট হতে পারে তা আমি বাপের জন্মেও শুনিনি। . -আচ্ছা তুমি লেখার উপ্রে ক্রাশ খেয়ে প্র্যাগন্যান্ট হলে কিভাবে? -আসলে জান তোমার গল্পটার প্যাক্টিকাল করতে গিয়েই তো প্র্যাগন্যান্ট হয়েছিলাম। . হে ঈশ্বর তুমি মোরে তুইল্ল্যা নাও।আমার ফ্রেন্ড লিস্টটা পুরো অপবিত্র করে দিলো। . -কি বাবু রাগ করলে নাকি?(মেয়েটি) -ফাজিল মেয়ে কোথাকার।তোমার মতো অমানুষের সাথে আমার কোনো কথা নেই। -আরে বাবু আমি তো এখন আর অমানুষ নাই। আমি এখন নিয়মিত মদ খাই।সেফুদা বলেছে মদ খা মানুষ হ। -আচ্ছা আফা আপনি কে বলেন তো।আমারে এত্ত প্যারা দিতাছেন কেনো? -ইশ রে বাবু!তোমার পেইন হচ্ছে।শোনো আজ থেকে রাতে দুধে গঞ্জিকা মিশিয়ে পান করবে তাহলে আর পেইন হবে না।দুধে গাঁজা মেশাও দুধের শক্তি বাড়াও। -আফা আপনার ৬ হাতে পায়ে ধরি আপ্নে আমার মাফ করেন। -ওহ জান আসল কথা তো বলতেই ভুলে গেছি।তোমাকে আমি এবার আমি শপিং করিয়ে দিব। . শপিং এর কথা শুনে আর না করতে পারলাম না।একটু সিগন্যাল দিলেই শপিং টা ফ্রি পাব। . -জানু বেবি সুইটি গুলুমুলু সত্তি বলছো! -হ্যাঁ জানু তুমি আমার একমাত্র ক্রাশ তোমাকে কি মিথ্যা বলা যায়?শুনো এখন তুমি সিটি শপিং কমপ্লেক্স চলে আসবে। -ওকে জানু তুমি কোনো চিন্তা করো না। -তুমি অনেক স্লো হয়ে গেছো।একটু ফার্স্ট হতে হবে। -ফার্স্ট হতে হলে কি করতে হয়? -তুমি এখন বাসা থেকে বেরিয়ে সোজা এক লিটার দুধ আর ১ পোয়া গাঁজা কিনে।দুধ আর গাঁজা মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খাবে। . অতঃপর ১ লিটার দুধ আর ১ পোয়া গাঁজা কিনে যেই মাত্রই মিশাতে যাব তখনই দেখি পুলিশ এসে হাজির। . -এই ছেলে তুমি ঐ গাঁজার দোকান থেকে গাঁজা কিনার অপরাধে তোমাকে গ্রেফতার করা হলো। -আরে স্যার এটা দিয়ে তো আমি ঔষুধ তৈরী করব। -গাঁজা দিয়ে ঔষুধ তৈরি হয় কিভাবে? -হয় স্যার।এক ঢোক খেলেই সকল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। -পুলিশকে বোকা বানাচ্ছো!তোমার সাহস তো মন্দ নয়। -বিশ্বাস না হয় একবার খেয়েই দেখুন। আমার ঔষুধে কোনো পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।এক ফাইলেই যথেষ্ট। . অতঃপর পুলিশ গুলো একে একে আমার বানানো মিল্ক গঞ্জিকা খেয়ে একে একে ধপাস ধপাস করে অজ্ঞান হয়ে গেল।এই কাজ সেরেছে!এ দেখি হিতে বিপরীত হয়ে গেল।আমি না খেয়েই এক দৌড়ে শপিং মলের সামনে চলে এলাম।হঠাত্ একজন ৩০ বছর বয়সী মহিলা আমাকে জড়িয়ে ধরলো। . -একি আফা আপনি একি করছেন? -কেনো জান আমাকে চিনতে পারছো না? -বাপের জন্মেও আপনাকে দেখি নাই। -কেনো জান আমাদের না সকালেই কথা হলো? . তারমানে এই মধ্যবয়সী মহিলার সাথেই আমার কথা হয়েছিল।মাথার ভিতরে ভন ভন শুরু করে দিল।বুঝলাম এবার মনে হয় ঐ মিল্ক গঞ্জিকার প্রভাব আমার উপরেও পড়েছে। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি সুপ্রিম কোটের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে।অন্যদিকে দাঁড়িয়ে ঐ পুলিশগুলো,সেই মহিলা আর একজন পুরুষ। বিচার শুরু হলো। . -অভ্র অমৃতের বিরুদ্ধে আপনাদের যত অভিযোগ আছে তা একে একে খুলে বলুন। (জর্জ) -ইউর অনার এই ছেলেটির জন্য আমার ৩ জন বিবাহিতা স্ত্রী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।(পুরুষ) -জর্জ সাহেব অভ্র অমৃতের গল্পের প্র্যাক্টিক্যাল প্রয়োগ করতে গিয়ে আমার আজকে ৭ জন স্বামী আর ১০১টা ছেলে হয়েছে।আমার সব স্বামী আমাকে তালাক দিয়েছে এখন উনাকে আমাকে আর আমার বাচ্চার দায়িত্ব নিতে হবে। (মহিলা) -ইউর অনার এই ছেলে আমাদের পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্টকেই ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিল। এই ছেলের কঠিন শাস্তি চাই।(পুলিশ) . -হ্যাঁ হ্যাঁ বিচার চাই বিচার চাই।আমাদের দাবি মানতে হবে মানতে হবে।(সবাই একযোগে) -আপনার কিছু বলার আছে?(জর্জ) -স্যার আমিতো এসবের কিছুই জানি না।গরিব মানুষ গল্প লিখে সংসার চালাই। (আমি) -স্যার আপনি ওর কথার ফাঁদে পা দিবেন না।ওর জন্য আমাদের গ্রহের একটাও মেয়ে শান্তিতে নেই।আমরা ওর কঠিন বিচার চাই। (পুরুষ লোকটি) -শপিংয়ের লোভ দেখিয়ে অনেক কাল পরে ওকে হাতে পেয়েছি এবার ওকে আমার আর আমার বাচ্চাদের দায়িত্ব নিতে হবে। (মহিলাটি) -সকল সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে যে অভ্র অমৃত আমাদের গ্রহের জন্য বিপদজ্জনক। তাই একে মঙ্গল গ্রহের H20 আইন অনুযায়ী পৃথিবীতে নির্বাসিত করা হলো। (জর্জ) . . -না না আমি যাব না।উঁহু উঁহু(আমি) -ঘুমের ঘোরে কিসব আবোল তাবোল বলছিস।এই নে টাকা যা শপিংয়ে যা।(মা) - এতক্ষন তাহলে স্বপ্ন দেখছিলাম।যাক ১০১ বাচ্চার বাবা হওয়া থেকে বাঁচলাম। . লেখাঃ #অভ্র_অমৃত


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৫৭৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Animesh Roy
    User ৪ বছর পুর্বে
    good

  • Juhani
    User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বে
    Vlo

  • Anika
    Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    Ha ha ha

  • ♣Blue Butterfly ♣
    User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    কাকে বলতেছেন ভাই/ আপু?

  • শূন্য এ জিবন
    Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    bule ভাইয়া আপনি কি জিজেতে আছেন?? ভাইয়া একটা প্রশ্ন করব উওর দিবেন ??

  • শূন্য এ জিবন
    Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    অনেক মজার

  • ♣Blue Butterfly ♣
    User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বে
    Hahaha......onek sundor