বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এমন কিছু বন্ধু থাকে যারা শুধু বন্ধু নয় আত্নার আত্না। আমাদের জীবনেও এমন ৫ জন বন্ধু ছিলো যাদের দেহ ৫টা কিন্তু আত্না একটাই ছিলো। আমাদের ৫ বন্ধু, শাকিব(আমি), রিয়াদ, জাহিদ, স্বাধীন এবং আকাশ। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে সহজসরল এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলো আকাশ। পরিবার বললে ভুল হবে মধ্যবিত্ত মায়ের সন্তান আকাশ। তাকে দেখে আমাদের খুব কষ্ট হত। তাই আমরা তাকে খুব ভালোবাসতাম।
আকাশ ছিলো এমন, দেহের রং কালো, উচ্চতা ৫.৫ইঞ্চি, চুলগুলো উসকোখুসকো। কিন্তু তার চোখ গুলো ছিলো খুব মায়াবি।
আমাদের কলেজ জীবন কেটে যাচ্ছিলো ঘুরাঘুরির মাঝে। প্রত্যেকদিন কলেজ ফাঁকি দিয়ে আমরা ৫ জন ঘুরতে যেতাম।
এমনি একদিন আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা খুব আনন্দ করছলাম। কিন্তু আকাশ কোন আনন্দ করছে না। সেটা আমাদের চোখে অনেকক্ষন পরে পড়ল। আমরা তার কাছে গিয়ে বললাম,
জাহিদঃ কিরে আকাশ কি হয়েছে?
আকাশঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, (কেঁদে দিলো)
স্বাধীনঃ কিরে আকাশ কাদছিস কেন? কি হয়েছে বল?
আকাশঃ তবুও চুপ,,,,,,,,,,,,,,,,
আমিঃ আকাশ ভাই বল কি হইছে?
আকাশঃ আজকে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,(,কেদে দিল আবার)
আমিঃ আজকে? কি আজকে?
আকাশঃ আজকে আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকি।
আকাশ শুধু কেদে চলছে।
আমিঃ ওহ, আমরা সবাই sorry বন্ধু। তাছাড়া তুই তো আমাদের কিছু বলিস নাই ।
আকাশঃ হুম বলি নাই তোরা আনন্দ করবি সেটা আমি কিভাবে নষ্ট করব বল?
আমরা সবাই ওকে জড়িয়ে ধরলাম। এখন আমরা ৫জন মিলে কান্না করছি।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে কেটে যায় আরও কয়েকটা মাস। সেদিন ছিলো আমার জন্মদিন। সবাই আমাকে দামি দামি উপহার দিলো। আমি খেয়াল করলাম আকাশ শুধু তার পকেটের দিকে তাকাচ্ছে। আমি sure ও আমাকে কিছু দিতে চায়। maybe কম দামের হওয়ায় দিতে পারছে না
আমিঃ আকাশ তুই উপহার দিবি না?
আকাশঃ তুই আমার উপহার নিবি?
আমিঃ কেনরে তুই আমার বন্ধু না যে তোর উপহার নিব না?
আকাশঃ এই নে,
আমিঃ ওয়াও এত সুন্দর ঘড়ি।
আকাশঃ জানি আমাকে খুশি করার জন্য বলসিস।
আমিঃ নারে পাগল আসলেই ঘড়িটা খুব সুন্দর। দেখবি এই ঘড়িটাই আমি সারাজীবন পাড় দিব।
তারপর খাওয়াধাওয়া করে সবাই যার যার মতে চলে গেলো।
আমাদের নেশাই ছিলো ঘুরাঘুরি করা। তাই ঘুরতে ঘুরতে কখন যে সময় চলে গেছে বুজতেই পারি নাই।
সেদিনও আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম। সারাদিন ঘুরাঘুরি করলাম। সেল্ফি তুললাম। মারামারি, দৌড়াদৌ ড়ি করে পাড় করলাম। বিকালে আমাদের খুব ক্ষিধে পায়। আমরা ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই আমরা একটা কফি হাউজে গিয়ে লাচ্চি, চিকেন ফ্রাই, ভেজিটেবল রুল সবশেষে কফি খায়। আমরা জানতাম আকাশের কাছে টাকা নেই তবুও মজা করার জন্য বললাম, মামা বিল ও দেবে (আকাশেকে দেখিয়ে)
আমিঃ আকাশ বিল দিয়ে গাড়িতে চলে আয়।
আমরা বের হয়ে একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম কি হয় দেখার জন্য। দেখছিলাম,, শুনছিলাম,,
আকাশঃ মামা আমার কাছে তো টাকা নেই,
দোকানদারঃ তো আমি করবো?
আকাশঃ মামা, আমি একটু পরে এসে বিলটা দিয়ে যায়?
দোকানদারঃ তা চলবে না, এখনি বিল দিতে হবে/
আকাশঃ একটু পরে দিয়ে যায়?
দোকানদার রেগে যায় আর আকাশকে একটা ঘুষি মারে। ঘুষিটা আকাশের বুকে লাগে। বলে রাখা ভালো আকাশের বুকে সমস্যা ছিলো। দেখি আকাশ বুক ধরে পড়ে যাচ্ছে। দোকানদারের সেদিকে খেয়াল নেই। আমরা তাড়াতাড়ি করে আসি। আমরা তাকে ধরে গাড়িতে তুলি। পরে আমরা তাকে নিয়ে একটা হাসপাতালে যাই।
পরের দিন,,,,
ওই কফি হাউজে আসলাম। আজ আমি পাঞ্জাবি পড়েছি।
আমিঃ মামা আপনার কালকে কত বিল হয়েছিলো?
দোকানদারঃ ৬৭০ টাকা।
আমিঃ এই নিন।
দোকানদারঃ sorry ভাই ওকে মারার জন্য। আমার রাগ উঠে গিয়েছিলো। ভাই আপনাকে পাঞ্জাবিতে সেই লাগছে।
আমিঃ হুম, আপনি জানেন আমি কেন পাঞ্জাবি পড়েছি?
দোকানদারঃ না,
আমিঃ আজকে আমার বন্ধুর জানাজা। আপনি যাকে মেরেছিলেন তার জানাজা। আকাশের জানাজা। আপনি ওকে যখন মারলেন ও তখনি মারা যায়। (এক দমে কেদে শেষ করলাম)
দোকানদারঃ কেদে দিল
আমিঃ কেদে তো লাভ নেই, যে যাওয়ার সে গেছে পারলে তার জানাজাই চলেন।
সবাই মিলে জানাজা দিলাম প্রিয় বন্ধুটার। আমাদের একটু মজার ফল যে এত ভয়াভহ হবে কে জানত?
এখন প্রতিদিন আমি আকশের ঘড়িটা পড়ে থাকি। সারাজীবন পড়ে থাকব। রাত্রিবেলা ছাদে এসে আকাশের পানে চেয়ে বলি, আকাশ পারলে ক্ষমা করিস।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
★ রোদেলা রিদা ★
User ২ বছর, ৫ মাস পুর্বেShakib Ahammed
User ৫ বছর পুর্বেEshrat Jahan
User ৫ বছর পুর্বেShakib Ahammed
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেJannat
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেনিকোটিনের ধোয়া
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেNaziat islam
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDREAM GIRL
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেNaziat islam
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDREAM GIRL
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDreamless
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেShakib Ahammed
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDreamless
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেShakib Ahammed
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেNaziat islam
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেNaziat islam
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেNaziat islam
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDreamless
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDreamless
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেনীলিমা
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেdrak angel
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেShakib Ahammed
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেOnjomika
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বে✨✨ Adrishy Tasnin...
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেমাওয়া ,(রুপকথার রাজকন্যা)
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেShakib Ahammed
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেমাওয়া ,(রুপকথার রাজকন্যা)
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDreamless
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDreamless
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেKM Saju Ahmed (অপরাধী)
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেjojo
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDreamless
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDreamless
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেjojo
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDreamless
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেRaNa( jojo)
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেNaziat islam
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেShakib Ahammed
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেRaNa( jojo)
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেNaziat islam
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেSafia
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেShakib Ahammed
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেNaziat islam
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেShakib Ahammed
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেRaNa( jojo)
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেShwon
Guest ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেXihan Rid
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বেDREAM GIRL
User ৫ বছর, ৬ মাস পুর্বে