বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
সবেমাত্র
কলেজে উঠছি।
আজ আমার বড়
ভাইয়ার বিয়ে।
আমরা সবাই
রেডি কিন্তু
ভাইয়াকে খুজে
পাওয়া গেল না।
অনেক খোজার পর
ভাইয়ার ঘর
থেকে একটা
চিঠি পাওয়া
গেল। ভাইয়া
নাকি তার
ভার্সিটির কোন
এক মেয়েকে
ভালবাসে। সে
তাকে ছাড়া আর
কাউকে বিয়ে
করবে না। তাই
সে বাড়ি থেকে
চলে গেছে।
ঐদিকে মেয়ের
বাড়ি থেকে
ফোন দিচ্ছে,
তাদের সব রেডি।
বাবা কি করবেন
বুঝতে পারলেন
না। হঠাত কি
মনে করে আবার
মেয়ের বাবার
কাছে ফোন
দিলেন। তারপর
আরেক পাশে
চলে গেলেন।
তাদের ভিতর কি
কথা হল আমরা
শুনতে পেলাম।
কথা বলা শেষে
বাবা ভাইয়ার
পান্জাবী,
পায়জামা,
বিয়ের পাগরী
নিয়ে এসে
আমাকে দিয়ে
বল্লেন-
:- এইগুলা পড়ে এস,
:- মানে কি
বাবা? এইগুলা
পড়ব কেন?
:- কারন এই বিয়ে
এখন তুমি করবে।
:- কি!! আমি বিয়ে
করব। আমারত
বিয়ের বয়স ই
হয়নি। তাছাড়া
বিয়ে করে
বৌকে খাওয়াব
কি??
:- সেইটা
তোমাকে
ভাবতে হবে না।
তোমাকেই এই
বিয়ে করতে হবে।
আর কোন কথা না
বলে এইগুলা পড়ে
এস।
বাবার মুখের উপর
কথা বলার সাহস
আমার নাই। তাই
বাধ্য হয়ে
বিয়েটা করতে
হল। আজ আমার
বাসর রাত।
বাড়ির সবাই বৌ
নিয়ে ব্যস্ত।
আমি ছাদে বসে
সিগারেট
খাচ্ছি।
সিগারেট আমি
খাইনা। কিন্তু
আজ কেন জানি
খুব খেতে ইচ্ছা
করতাছিল। তাই
বাবার
সিগারেটের
প্যাকেট নিয়া
আসছি।
সিগারেট
খাচ্ছি হঠাত
পেছন থেকে
পাশের বাসার
ভাবি ডাক দিল
:- এই যে
মি.সাকিব।
এখানে কি করছ??
:- কিছুনা ভাবি।
এইত আকাশ
দেখতেছি।
:- নতুন বৌ রে
রাইখা আকাশ
দেখ। চল বাসায়
চল। সবাই তোমার
জন্য Wait করতাছে।
আমি ভাবির
পিছন পিছন
যাচ্ছি। হঠাত
ভাবি বলল-
:- সাবধানে
বিড়াল মাইরো
ভাই,,
:- তোমার কথা
বুঝলাম না ভাবি।
:- থাক আর বুঝতে
হবে না।
আমি আসলেই
বুঝতে পারি নাই,
বিড়াল মারাটা
কি?
সবাই আমাকে
জোর করেই বাসর
ঘরে ঢুকিয়ে দিল।
আমি ঢুকে দেখি
নীর (আপনাদের
তো বলাই হয় নাই
আমার বৌয়ের
নাম নীর। ও
আমার থেকে ২
বছরের বড়) খাটে
বসে আছে। আমি
গিয়ে সোফায়
বসলাম। ও
একগ্লাস দুধ এনে
আমাকে দিল।
আমি অর্ধেকটা
খেলাম। ও গিয়ে
খাটে বসল। আমি
চোখ বুঝলাম।
অনেক ক্লান্ত
থাকায় ঘুমিয়ে
পড়লাম।
হঠাত ঘুম ভেঙ্গে
গেল। একি আমি
খাটে শুয়ে আছি।
নীর আমাকে
জরিয়ে ধরে
ঘুমিয়ে আছে।
আমার কাপর
change। ইশশ।
বুঝলাম নীর change
করছে। এখন খুব রাগ
হচ্ছে। তাই
ভাবলাম
বারান্দায়
গিয়ে সিগারেট
খাই। কিন্তু ওঠার
সাথে সাথে
নীর বলল-
:- ঐ কই যাও??
:- আপনি কে যে
আপনাকে বলব।
:- আমি তোমার
বৌ। আর আপনি
আপনি করতেছ
কেন??
:- আপনি আমার
থেকে দুই বছরের
বড়।
:- তাতে কি আমি
এখন তোমার বৌ।
তাছাড়া বিয়ে
যখন করছ। বৌয়ের
মর্যাদাতো
দিতেই হবে।
আসো খাটে আস।
(নীর)
:- ঐ আমি
আপনাকে ইচ্ছা
করে বিয়ে
করিনি।
:- শোন। আমি
বিয়ের আগে
সম্পর্ক করি নি।
কারণ আমার সপ্ন
ছিল, আমার
স্বামী। আমি
আমার স্বামী
কে ভালবাসব।
যেহেতু তুমি
আমার স্বামী।
তাই তোমাকে
আমি ভালবাসি।
তোমাকেও
আমাকে
ভালবাসতে হবে।
আস ঘুমাইতে আস।
:- দেখুন আমি
আপনাকে
ভালবাসতে
পারব না।
:- বিয়ে যেহেতু
করেছিস,ভালবা
সতেই হবে।
বিয়ের আগে যত
টান্কি মারছ, সব
ভুইল্লা যাও। এখন
যদি কোন মেয়ের
দিকে তাকাও
না চোখ উঠাইয়া
দিমু। No hunky punky
:- আপনি আমার
সাথে এভাবে
কথা বলতাছেন
কেন??
:- ঐ তুই খাটে
আসবি না আমি
তোর বাপকে
ডাকব।
বুঝলাম খাটে
যেতেই হবে।
কারন এই
মেয়েকে
বিশ্বাস নাই,
বাবকে ডাক
দিতেই পারে।
তাই বাধ্য হয়ে
খাটে গেলাম।
এই মাইয়া আবার
জরাইয়া ধরছে।
‘ইয়া আল্লাহ
আমারে এই
পেত্নীর হাত
থেকে বাচাও’
এইটা বইল্লা
গুমাইয়া পরলাম।
সকালে একটু
দেরি করেই ঘুম
থেকে উঠলাম।
নাস্তা করে
বাহিরে
গেলাম। বন্ধুরা
আমার বিয়ের খবর
শুনে খুব খুশি হল
কিন্তু ওরা
বাশটা ঠিকই
দিল। ২০০০ টাকা
খাওয়াতে হইছে।
হঠাত ফোন
বেজে উঠল দেখি
Unknown Number.
আমি Unknown
number কল রিসিভ
করি না। পরপর
তিনবার রিং
হওয়ার পর কল
রিসিভ করলাম-
:- আসসালামু
আলাইকুম। (আমি)
:- অলাইকুম
আসসালাম।
কোথায় তুমি?
(মেয়ে কন্ঠ)
:- কে আপনি?
:- আমি তোমার
বৌ। তারাতারি
বাসায় আস।
বাবার বাড়িতে
যাব।
:- তো যান। আমি
এসে কি করব।
আপনার বাবার
বাড়ি আপনি
যাবেন, তাতে
আমার কি?
:- তুমি যাবা না??
:- আমি কোথাও
যাব না।
এই বলে ফোন
কেটে দিলাম।
কিছুখন পর আবার
ফোন বেজে উঠল।
:- হ্যালো আব্বু।
:- কই তুমি?
:- আমিত
বাজারে আসছি।
:- তাড়াতাড়ি
বাসায় আস।
:- ওকে আব্বু
আসতেছি।
বন্ধুদের বিদায়
দিয়ে বাসায়
আসলাম। তারপর
বাবা পাঠিয়ে
দিল আমাকে
নীরদের বাড়ি।
ওদের বাড়িতে
আমরা ৫ জন
গেলাম। আমি,
আমার কাজিন
ফারাবি, শুভ,
অধরা আর কুমু। যাই
হোক ওদের বাড়ি
যেতে যেতে রাত
হয়ে গেল।
রাতে খাওয়া
দাওয়ার বিশাল
আয়োজন করল।
খাওয়া শেষে
আমাকে একটা
রুমে বসিয়ে
রাখা হল।
সালার কাজিন
গুলাও নিয়ে
আসলাম সময়
কাটানোর জন্য,
আর তারা গল্প
মারতাছে। একা
বসে Boring feel
করতেছিলাম।
তখন আমার কিছু
শালী আসল।
:- কেমন আছেন
দুলাভাই?
:- জ্বী। ভাল
আপনারা?
:- আমরাও আছি
ভালই। একা একা
ভাল লাগতেছে
না। তাই না।
আপুকে পাঠাব??
:- আরে না। আমি
ঠিক আছি।
:- দুলাভাই আপনি
কিন্তু দেখতে
অনেক স্মার্ট।
আপনার সাথে
আমার আপুর বিয়ে
না হলে আমি
আপনার সাথে
প্রেম করতাম।
:- হা হা হা হা।
আপনিও দেখতে
অনেক সুন্দর
:- আচ্ছা ভাইয়া
তবে আমরা উঠি।
টেনশন কইরেন
না। আপনার
বৌকে
পাঠাচ্ছি।
এ কথা বলে ওরা
চলে গেল।
কিছুক্ষন পর নীর
আসল। এসে দরজা
লাগিয়ে দিল।
তারপর আমাকে
আমাকে খাটের
উপর ফেলে আমার
উপর উঠে বলল-
:- ভালইতো
ফেবুতে প্রেম
করতে পার। এখন
বৌকে
ভালবাসতে পার
না?
:- মানে কি?
আপনি আমার
ফোন কেন ধরছেন?
আপনি আমার উপর
থেকে সরুন।
:- আমি ধরতেই
পারি কারন আমি
তোমার বৌ।
আমি সব ধরতে
পারি।
এই বলে ও
আমাকে কিস
করা শুরু করল।
First-time আমি
এইরকম fellings
পেলাম। Really
আমার কেমন যেন
fellings হল। মনে হল
আমি কোথাও
হারিয়ে যাচ্ছি।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
ফাজিল is back
Guest ৫ বছর, ৮ মাস পুর্বে