বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
মেস থেকে চার বন্ধু মিলে বের হলাম বেশ সাজুগুজু করেই৷ চোখে সানগ্লাস addidas এর প্যান্ট আর বগল তলায় ফুটপাত থেকে কেনা সেন্ট মেরে রাস্তায় হিমু সাজে বেড়াচ্ছি৷ কিন্তু হিমুর থেকে আমাদের একটা বেমিল সেটা হল, আমরা সবাই জুতা পড়ে আছি৷শহরের মেইন রাস্তা দিয়ে হাটছি৷ রাস্তার পাশে চেয়ে দেখলাম জেলা কমিউনিটি সেন্টারের গেটে বড় বড় অক্ষরে লেখা''শুভ বিবাহ'' ভিতরে নিশ্চই বেশ খানা পিনার আয়োজন করা হয়েছে৷ ভাবতেই পেটটা মোচড় দিয়ে উঠল৷ অনেক দিন হল ভালো মন্দ খাইনা৷ মেসে বুয়ার রান্না করা খাদ্য নামের কুখাদ্য খেয়ে বেচে আছি৷ অন্যদের দিকে তাকিয়ে দেখি ওরাও ভাবনায় মশগুল৷ নিশ্চই আমার মত চিন্তা ভাবনা তারাও করতেছে৷ জিজ্ঞাস করতেই তাদের রিপ্লাইয়ে বুঝলাম,মনের খবর বন্ধুরা ঠিকই ধরে ফেলে৷ চারজনে সেই পোচপাচ নিয়ে বিয়ে বাড়ি মানে কমিউনিটি সেন্টারে গেলাম৷ অন্দরমহলে পাইকারি হারে ময়দা সুন্দ্রিদের আগমন৷ চারিদিকে আনাগোনা করতেছি৷ সবখানেই আটা ময়দার লীলাখেলা৷ছোটো থেকে শুরু করে আন্টিরা পর্যন্ত মুখে আটা ময়দা সুজি ব্যাবহার করে আসছেন৷ কোন রুমে খাওয়াবে খুজতে লাগলাম৷ বড় হল রুমে গিয়ে দেখি ছোটো ছোটো বাচ্চা মুরুব্বিরা চেয়ারে বসে আছেন৷ মনে হয় এখানেই খাবার দিবে৷ চারপাচ জন মিলে দেখলাম বিশাল একটা মাংশের ডেক নিয়ে আসল৷ খেতে দিতে আর দেরি নাই৷ চারজনে মিলে একটা টেবিল পুরাটাই দখল করে নিলাম৷ আর এমন ভাবে গল্প করছি যেন আমরা বিয়েতে আগমন করা অতি গুরুত্বপুর্ণ কেউ৷ এক মুরুব্বি এসে জিজ্ঞেস করল বাবা তোমরা পক্ষের লোক?তোমাদের ঠিক চিনতে পারলাম না৷ মাথার মধ্যে তালগোল পাকিয়ে গেল৷ ধরা খাইলাম নাকি?তাইলে তো আর মান সম্মান থাকবে না৷
বুদ্ধি করে আমিইই বললাম আংকেল আমরা বর পক্ষের লোক৷
--কিন্তু বর তো এখনো আসেই নাই৷
জিহ্বায় কামড় দিয়া আছি৷ এত বড় ডোজ খামু আগে চিন্তা করলে ফ্রিতে খাইতে আসতাম না৷ সবাই সবার মুখ চাওয়া চাওয়ি করতেছি৷ কি জবাব দিব? মনে মনে বরের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতেছি হ্লার পো হ্লা বিয়া যে কত্ত মজা হেইডা আগে জানলে বাপে বিয়া করার আগেই বিয়া করতে আসতি৷ আর আমরাও খামোকা ঝামেলায় পড়তাম না৷
--কি হল তোমাদের??
আংকেলের কথা শুনে আমরা সবাই তার দিকে ফিরে তাকালাম৷ হাচি কাশি মেরে রাতুল জবাব দিল আসলে আংকেল আমরা বর পক্ষ থেকেই আসছি বিয়েবাড়ির কি অবস্থা তাই দেখতে৷ রান্না বান্না হল কিনা?কন্যা সাজানো শেষ হয়েছে কিনা ইত্যাদি জানতে৷ আমরাও ওর কথা সায় জানালাম যেন আমাদের ওই কাজ করার জন্যই পাঠানো হয়েছে৷ আংকেল কিছু বুঝছে কিনা জানিনা তবে তিনি তার চান্দু মাথা নাড়াতে নাড়াতে চলে গেলেন৷ আপাতত ওই দিক তাকানোর আমাদের টাইম নাই৷ গামলা থেকে মাংশ নিয়ে হাফুস হুফুস করে চারজনে পাল্লা দিয়ে খাচ্ছি৷ তারাতারি চলে যেতে হবে না হলে কপালে গণধোলাই চোখের সামনে স্পষ্টত দেখতেছি৷ হাতে গোস্ত মুখে গোস্ত নিয়ে চাবাতে চাবাতে হাত ধুতে গেলাম৷
সালা রাফি গেল কোথায়৷ একটু পর ওর দেখা পেলাম তবে হেটে নয় দৌড়াতে৷ মনে হয় বিয়েবাড়ির কেউ দৌড়ানি দিছে৷ আমাদের পাইলে আমাদেরকেউ ছাড়বে না৷ ওর পিছে আমরাও কুত্তাছূটার মত দৌড়৷ চাচা আপন প্রান বাচা,কিন্তু এখন আমাদের মানসম্মান বাচানোর পালা৷ মেইন রাস্তার ধারে এসে থামলাম৷ ঘটনা কি তা জানতে চাইলে রাফি যা বলল তা শুনে সবাই মিলে হাসাহাসি করে গড়াগড়ি খেলাম৷ ঘটনা হইল রাফি হাতধুয়েই দেখতে গিয়েছিল রান্নাঘরের পাশের স্টোর রুমে কি পরিমান মাংশ রান্না হইছে তা জানার জন্য৷ কিন্তু বিয়ে বাড়িতে আসা আমাদেরই মত আর এক দল অতিথী মানে কুত্তায় দিছে দৌড়ানি৷ আর তাই রাফির জান বাচানোর তাগিদে এই আপ্রান প্রচেষ্টা৷ তা তো আপনারা দেখলেনই৷
আবার দেখলাম রাফি রাস্তার পাশে গিয়ে পকেট থেকে কি যেন বের করছে৷ ভালো করে দেখলাম দুইটা সেভেন আপের বোতল৷ ও তাইলে ঘটনা এইখানে৷ সালা নিশ্চই কোমল পানিয় চুরি করতে গেছিলো৷ আর তা থেকেই এই কাহিনি৷ আবারো সবাই মিলে রাফির ওপর ধুমায়া হামলা চলল সেভেন আপ খাওয়ার নেশায়৷
#অপদার্থ
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
sushmita paul
User ৪ বছর পুর্বেdrak angel
User ৫ বছর, ৭ মাস পুর্বেমিনহাজ
Guest ৫ বছর, ৭ মাস পুর্বেSuvo
User ৫ বছর, ৮ মাস পুর্বেআতিক
Guest ৫ বছর, ৮ মাস পুর্বেSayaan islam
User ৫ বছর, ৮ মাস পুর্বে