বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গল্প : #কোন_লজ্জা_সরম_নাই !!!
Writer : Pantha Shahria !!!
- কোন সালাই যে বলছিলো...
যদি থাকে নসিবে আপনা আপনি
আসিবে....
ওরে পাইলে যে কী করতাম
আমি....
হেতের নসিবে আপনা আপনি
হয়তো কিছু আইছিলো... তাই
বলে এমন একটা গান বানাইলো,
যেইটা শুনার পর থেকে আমার
বাপ আর আমার বাপ নাই...
ওই গানের এমন ভক্ত হয়ে গেছে
মরার আগ পর্যন্ত মনে হয়
না সেই ভূত মাথা থেকে নামবে।
সেইদিন কইলাম যে আব্বা...
কয়টা টাকা দাও ভাল একটা পেষ্ট
কিনমু...
কতই বা আর চাইছিলাম.. মাত্র
দুইশ টাকা চাইছি তাও দিলো না।
আরে ভাই সবার সব কিছুর নেশা
থাকে... আমার না হয় একটু
দাঁতের যত্নের নেশা....
সেইডা কী কোন অপরাধ...
বলে কী না... যদি তোর নসিবে
থাকে আমার কাছে এমন চাইতে
হবে না... এমনি চলে আসবে।
এবার কন... টাকার কী হাত
পা হইতে আর সেই গুলো কী
আমার পোষা টাকা যে কইলাম..
আর পট করে চলে আসবে
আমার পকেটে।
এমন এমন গান আছে শুনলেই রাগ
লাগে... আসলে গান গুলো ভালো
আমি মানছি... তবে
এমন এক প্রকার লোক আছে।
তাঁরা আবার গান গুলোকে বাস্তবে
রুপ দিতে যায়।
ওই খানেই তো যত সব ঝামেলা...
অন্য কারো কথা বাদ, আমার আর
আমার বাপের ক্ষেত্রেই খালি এই সব
হয়।
আব্বার ঘরে উঁকি দিলাম
...দেখি...নজরুল সংঙ্গীত
শুনতেছে...।
- আব্বা আমার কয়টা টাকা লাগবে।
- তোর এমন যখন তখন বাপের
কাছে টাকা চাইতে লজ্জা করে না।
- ওহহহহহহহ.... আমারে পয়দা করার
সময় তোমার লজ্জা করে নাই...
আর এখন টাকা চাইতে আমার
লজ্জা করবে তাই না... ভালোই ভালোই
টাকা দাও কইলাম... না হলে কিন্তুু।
- ওই ঘরের বিছানার নিলে... বিশ টাকা
আছে নিয়া যা।
- হে আল্লাহ্... বাইছা বাইছা এমন একটা
লোকের ঘরেই কেন আমারে পাঁঠাইলা।
আর কোন ঘর কী তখন ফ্রি ছিলো
না।
- আজকাল দেখি তোর মুখে কিছুই
আটকাই না... বাপের সামনে
এমন কথা বলতে তোর লজ্জা করে
না।
- তোমার যদি একটু ছিটা ফোটা লজ্জা
থাকতো তাইলে তো আমার ও একটু
লজ্জা হইতো.... তাও তো
আমার একটু আছে.. তোমার তো এই বয়সে সেটা ও ছিলো না...
বাড়ির ছাগল বিক্রি করে দিয়ে তো
সিনেমা দেখছো... জানি না নাকি
আমি....।
আর আমি একটা এইস এস সি পাশ
গ্রাজুয়েট ছেলে... তাঁরে
তুমি বিশ টাকা দিতেছো
এখানে তোমার একটু লজ্জা সরম
থাকা দরকার....
- তুই এখন এখান থেকে যাবি নাকি..
আবার সেদিন এর মতো ক্যালানি
দিমু..।
- পারো তো ঐ একটাই কাজ...
থাকমু না থাকমু না...খালি
বড়লোক হইয়া লই... তখন দেখামু
কেমনে রাজার মতো চলতে হয়।
- হুমমমমম হুমমমম যা.. তুই কী
হবি সেটা আমার দেখা আছে...।
মাত্র দুইশো টাকা চাইলাম আর দিলো
বিশ টাকা....।
এই বাড়িতে কী থাকা যায়... না
থাকলে আর যামুই বা কই।
রাস্তা দিয়ে হাঁটছি....
সাইট থেকে শুনি...এলাকার
কয়টা লোক বলতেছে...।
- ঐ যে দেখো.. হাবিলের ছেলে
কেমন প্যান্ট পড়ছে... কোন
লজ্জা সরম নাই ... এমম ছেঁড়া প্যান্ট
পড়ে বেড়াইতেছে।
ওমনি তো গেলো মাথাটা বিগরাই....।
- ঐ কোন সালা কইলো... তাঁর
কী আমি খাই... আমার বাপ আমারে
খাওয়াই পড়াই তাঁর কোন সমস্যা নাই
তোদের এত মাথা ব্যাথা ক্যান।
- দেখছো... কেমন ভাষা... মুরব্বিদের
সাথে কেমনে কথা বলতে হয় সেটা ও
জানে না।
- ওলে বাবা.... টাকলুর মুখে আবার
বড় বড় কথা... নিজের মেয়ের দিকে
জিন্দেগিতি কী তাঁকাইছেন টাকলু
দাদু....
আমি তো খালি হাঁটুর নিছে ছেঁড়া পড়ছি
আর আপনার মাইয়া তো...
বাবা রে বাবা এমন টাইট প্যান্ট পড়ে,
দেখলেই তো...... থাক আর কইতাম
না...
আমার ও লজ্জা সরম বলতে কিছু
আছে নাকি.....
আর এই যে.... মুরব্বি চাচা..
অন্যে পোলার দিকে নজর
না দিয়ে নিজের পোলার দিকে
দেন....
কিছু দিন বাঁদে তো পুরাই গাঞ্জা খোঁর
হয়ে যাবে....
তখন কই রাখবেন লজ্জা সরম....
আর আসছে আমারে লজ্জা সরম
শিখাইতে...
সবাই কেমন চুপসে গেছে...
আসলে ভাই দেশটাই এমন..
তিতা কথা কারো সহ্য হয় না..
অন্য দিক দিয়ে কিন্তুু তিতা
কথাই ভালো...
আর আমার মুখ দিয়ে খালি ঐ
তিতা কথাই বের হয়...
কারণ আমি দাঁতের যত্নের জন্য
নিমের ডাল ইউজ করি তো তাই হি হি হি।
এই দেশের উন্নতির আসা করা আর
গরিব লোকের চাঁদের যাওয়ার সপ্ন
দুইটাই এক...
কেমনে উন্নতি হবে... নিজের
জন্য কারো মাথা ব্যাথা নাই..
খালি অন্যদের নিয়ে পরে থাকাই
আমাদের বাঙ্গালি জাতির প্রধান
তম কাজ।
কার কী হল.. কার ছেলে কী করছে,
কার বউ এর চরিত্র খারাপ,
কার বউ, ছেলে, মেয়ে কী করে
বেড়াচ্ছে খালি এই সব চিন্তা...
নিজের গুলার দিকে তাঁকানোর
কারো সময়ই নাই....
আর কিছু বললেই ছেলেটা বেয়াদব
কোন লজ্জা সময় নাই.. বড়দের
সাথে কেমন ব্যবহার করতে হবে।
ওহহহহহহহ বাঁচি না আর এদের
জ্বালাই....।
আমি আর রাফি হাঁটছি....।
- রাফি হেব্বি মুতাই ধরছে রে...।
- তো যা.... আমি ধরে আছি নাকি।
- হিসি শেষ করার পড়ে দেখি....
হায় হায় পানি আনি নাই তো...
আর হাতের কাছে কিছু ও নাই..
একটু দূরেই একটা কল আছে..
এমন ভাবে যাওয়া অসম্ভব।
রাফি একটু পানি এনে দে না।
- সালা তোর কোন লজ্জা সরম
নাই... পানি নিয়ে যাইতে পারিস
নাই...।
- জোরে বেগ চাপছিলো রে ভাই
কী করমু..আর এখানে লজ্জা সরমের কী আছে...। যেটা হয়েই গেছে
সেটা না বলে, যা পানি এনে দে তাও
একটু উপকার হবে।
- পানি যে আনমু কিছুই যে দেখতেছি
না...।
- এই জন্য আমাগো উন্নতি নাই... হাতের
কাছে যা আছে তাই দিয়েই কাজ চালাতে পারি না...
ঐ সালা তোর দুই খান হাত আল্লাহ্
দেই নাই...
হাতে করে পানি নিয়ে এসে আমার হাতে
দে....।
- আমি একটা কথা বুঝি না... সব
সময় লজ্জা সরম এর কী আছে...
পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে লজ্জা সরম
করলে.. তাও কিছু হবে।
ক্লাসে বসে আছি....
স্যার বোর্ড এ কিছু একটা
লিখলো।
- সাহরিয়া.... দাঁড়াও।
- জ্বী স্যার....।
- এটার মানে কী।
- জানি না স্যার..... বলার সাথে
সাথে সবাই কেমন অট্ট হাঁসিতে
মেতে উঠলো....
মনে মনে ভাবলাম জিনিসটা
হয়তো খুবই সহজ... আমিই হয়তো
খালি পাড়ছি না... তাই সবাই
হাঁসলো...
এতে আমার কোন মাথা ব্যাথা
নেই... আর লজ্জা পাবার ও কিছু
নেই...
কারণ সত্যি বলতে কোন লজ্জা নেই..
লজ্জা তো সব মিথ্যার মধ্যে..
এখানে আমি যা জানি অন্য কেউ হয়তো
জানেই না....।
- সাহরিয়া.... কী ভাবছো।
- স্যার... আমাকে যদি ৫ মিনিট
সময় দেন আমি কিছু বলতাম....।
- ঠিক আছে...।
ব্যাগ থেকে রুবিক্স কিউবটা
বের করলাম...।
- আচ্ছা তোমরা বলো... এখানের কয়
জন এটা মিলাতে পারো...
দুই তিন জন হাত উঠালো...
কেউ বললো এক রং মিলাতে
পারি আবার কেউ বললো সব পারি
কিন্তুু অনেক সময় লাগে....।
- আমার এটা মিলাতে মাত্র এক
মিনিট লাগে.... তোমরা
এটা মিলাতে পারো না তাই বলে কী
আমি এখন হেঁসে হেঁসে গরিয়ে
পরবো....
এখন কেউ বলতে পারো... ঐ সব
আজাইরা জিনিস বাদ দিয়ে
পড়ার কথা বলো....
আমাকে বায়োলজি, আই সিটি,
বইয়ের যেখান থেকেই যা ধরো
সব পারবো... তোমরা কী তাই পারবে..।
দেখছো সবারই দূর্বল দিক আছে...
তাই বলো কারো দূর্বল দিক নিয়ে এমন
হাঁসার কী দরকার.....।
কেউ তৈরি করেছে বিদ্যুত, আবার
কেউ ট্রেন.. কেউ বা কম্পিউটার,
আবার কেউ রকেট...
কেউ বা সাইকেল...
এখানে কেউ ছোট না...
সবাই তাঁর নিজ জিনিস নিয়ে
জিনিয়াস...
অন্যের তৈরির কাছে সে অগ্য...
তাই বলে যে কম্পিউটার তৈরি
করেছে সেই বড় আর যে সাইকেল
তৈরি করেছে তাঁকে দেখে হাঁসবো
এটা ঠিক না.....
- স্যার পাঁচ মিনিট হয়ে গেছে....
সবাই দেখি হা করে আমার কথা
শুনছে....
হায় হায় চাঁপা কী একটু বেশি দিয়ে
ফেলছি....
নিজের জায়গাতে গিয়ে ব্যাগ নিলাম...।
আর একটা কথা.... আমি কিন্তুু
বায়োলজি আর আই সিটির কিচ্ছু
বুঝি না........হি হি হি।।।
বলেই দৌড়....
যাই হোক যা কিছু বলছি.... সব
একেবারে হক কথা।
আর এক শ্রেনীর মানুষ আছে...
যারা সবার সামনে কারো প্রশংসা
করলো ও...
যার প্রশংসা করছে সে ওখান থেকে
চলে যাওয়া মাত্রই তাঁর বদনাম শুধু।
আরে ভাই বদনামই যদি করবি তো
সে থাকতেই করলি না কেন...
সে চলে যাবার পর কেন করা লাগবে
এটাই আমি বুঝিনা...।
ভালো হোক খারাপ হোক সবার
সমনেই সব বলতে হবে...। আমি
তো এটাই বুঝি....
একজন মানুষ সবার পছন্দের হয় না
সেটা আমি জানি...
তাহলে আড়ালে তাঁর বদনাম করার
কী দরকার...
সে কেমন.. ভালো না খারাপ সবাই
জানুক...।
তিতা জিনিস পিঁপড়ে ও পছন্দ করে
না.... আর তিতা কথা মানুষের
সহ্য হবে না এটাই স্বাভাবিক।
তবে সেই তিতা কথাটাই সবার
সামনেই বলা বেটার...
আড়ালে বলার থেকে....।
আমি জানি আমি সব আজাইরা
গল্প লিখি.... কারো ভালো লাগে
আবার কারো লাগে না...
শুধু শুধু মেসেজ এ বাপ দাদা
চৌদ্দ গুষ্টির নামে গালি দেওয়ার
কী দরকার...
কমেন্ট বক্স তো আছেই... সবার
সামনে ওখানে গালি দেওয়াই
ভালো... সবাই জানুক আমি কেমন..
অযথা খালি মেসেজ এ গালি
দিয়ে লাভ কী....
কেউ গালি দিলে আমি কিচ্ছু
মনে করি না... আরো ভালো উৎসাহ
পাই...
প্লিজ যার যার গালি দেওয়া কমেন্ট
করে গালি দিও....
আসলে আমার কোন লজ্জা সরম নাই
তাহলে কমেন্ট করে গালি
দিতে ভয় কী....
যত পারো.... গালি দাও হি হি হি....।
>>সমাপ্তThe End
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
হৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSushMitA
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেSifat
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেমিথিলা জান্নাত রিয়া
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেNo Name
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেAbdullah
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে