বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

গল্প : #ডেঞ্জেরাস_আপু !!!

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Pantha Shahria (০ পয়েন্ট)

X গল্প : #ডেঞ্জেরাস_আপু !!! Writer : Pantha Shahria !!! - ছোট বেলা থেকেই খালি বড় আপুরদের পিছনে ছুঁটি.... ছোট বেলাই যখন আপুদের পিছন পিছন ঘুরতাম তখন হাতে চকলেট দিয়ে বলতো... যাও সোনা বাসাই যাও... আবার মাঝে মধ্যে দুই একটা পাপ্পি ও পাইতাম.... কিন্তুু যেই বড় হইছি... তার পর থেকেই দৌড়ানি শুরু... এখন আর কেউ চকলেট ও দেই না আর পাপ্পি তো দূরের কথা...। আজকে সকালে টং দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম.... হঠাৎ কয়েকটা আমার বয়সি ছেলে গল্প করছি.. তাঁদের মধ্যে একজন বলছিলো.. জানিস নীলা আপু আবার বাসাই আসছে.. এখন থেকে সব বাদ। ওদের কথার আগা মাথা কিছুই বুঝলাম না... শুধু এই টুকু বুঝছি যে.. নামটা শুনেই ক্রাশ খাইছি, এখন যেমনেই হোক ঐ আপুরে দেখতেই হবে... চা শেষ করেই মিশন স্টার্ট করে দিলাম...। আচ্ছা ভাই আপনাদের একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি....। - জ্বী...। - না মানে বলছিলাম যে... নীলা আপুদের বাসাটা কই যদি একটু বলতেন...। সবাই আমার দিকে একটু চেঁয়ে থেকে বললো.... - সোজা গিয়ে সামনে একটা গলি পড়বে তাঁর ডান সাইটেই..। - ওকে... থ্যাংকু। তখন ও বুঝিনাই... সামনে আমার জন্য কী অপেক্ষা করছে...। তো ওদের কথা মতো গেলাম... গিয়েই দেখি ওরে বাপ কী বিশাল একটা বাসা... কিন্তুু আসল জিনিসটা কই... অনেকক্ষণ থেকে উঁকি ঝুঁকি মারছি... তবে কোন জনমানব এর কোন চিহ্ন নাই.. দূর এইটাই শেষ.. আজকে না হলে আবার কালকে আসমু... নাম শুনেই যেহেতু ক্রাশ খাইছি তাঁরেই যদি একটা বার না দেখি... তাহলে আমার এতদিন এত বড় আপুদের পিছনে ছুঁটে হইলোটা কীইইইই...। চারটা দিন থেকে সকাল বিকেল সন্ধা... একি হারে উঁকি ঝুঁকি মারতেছি... না কারোর দেখা পাওয়ার কোন লক্ষণই দেখতেছি না। তাহলে কী ঐ সব পোলা গুলা কী আমারে বলদ বানাইলো..... দূর না সত্যি ও তো হইতে পারে.. অপেক্ষার জিনিস সব সময় ভালোই হয়। - এমন সময় পিছন থেকে কেউ কাঁধের উপরে হাত দিয়ে ডাকছে। - এই যে.... এখানে কী কিছু খুঁজছেন। - পিছনে ফিরতেই দেখি... একটা কিউট এর ডিব্বা... না ওই দিকে তাঁকালে আমার চলবে না... নীলা আপুরেই খুঁজতে হবে। - এই যে হ্যালো.. এমন হা করে না থেকে সোজাসুজি বলেন দেখি, কাউকে কী খুঁজছেন। - না মানে একজন কে খুঁজছিলাম। - কাকে শুনি। - নীলা আপুকে... না মানে ঠিক আপু না, নীলা কে খুঁজছিলাম। - তাই.... তো চিনো তাঁকে। - আরে দূর কী যে বলেন না... তাঁকে চিনতে যাবো কেনো। - তাহলে কেনো খুঁজছো। - ঐ যে টং দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম.. কয়েকটা ছেলে বললো নীলা আপু আসছে.... আর নামটা শুনেই তো ক্রাশ খাইছি, দেখতে ও ফাটাফাটি হবে আমি সিওর। - তো কেমনে সিওর যে দেখতে ও ফাটাফাটি হবে। - আসলে মানে নাম শুনেই তো ক্রাশ খাইছি তাই... হি হি হি। - এমন দাঁত কেলিও না চান্দু পরে মজা বুঝতে পারবা। - না না আমার নাম চান্দু না.. আমার নাম সাহরিয়া এখানে দুই মাস হয়েছে আসছি। - আসতে না আসতেই মেয়ের পিছনে ঘুরাঘুরি। - সেই ক্লাস ওয়ান থেকেই তো বড় আপুদের পিছনে ঘুরি.. তাই কোন বড় আপুর কথা শুনলে থাকতে পারি না... তার উপর আবার নীলা নাম.. আগে পিছে ভাঁবার তো কোন প্রশ্নই আসে না.. হি হি হি...। - ঐ চুপ... আর একবার এমন হি হি করলে... থাপড়াই সোজা করমু। - এমন করছেন কেনো.. এমনি আমি একটু বেশি ভয় করি। - তাই বুঝি বাবু। - হুমমমমমমমমমমমম। - নীলা আপুর সাথে দেখা করবা। - হুমমমমমমমমমম... সেই জন্যই তো চার দিন থেকে ঘুরতেছি। ওকে দাঁড়াও... আমি তাঁকে ফোন করছি কেমন। - হুমমমমমম...ঠিকআছে... তখন ও বুঝিনাই যে একটু পরেই আমারে বলি দেয়া হবে...। তাঁর ফোন করার কিছুক্ষণ পরেই.. কয়টা দাঙ্গাল আপু আসলো... নাকে রুমাল ধলো.. আর বাঁকিটা ইতিহাস...। জ্ঞান ফেঁরার পর দেখি... ওমা আমার মাথা নিচে আর পা দুইটা উপরে... তখন ওই পোলা গুলার কথা মনে পড়লো, কেন তাঁরা বলছিলো যে আজকে থেকে সব বাদ... আর নীলা আপুর বাসার ঠিকানা জানাতে চাওয়াই কেনো ওমন ভাঁবে তাঁকাই ছিলো। এখন তো সব ক্লিয়ার...। - ওহহহহহহ আপু... এমন পা দুইটা উপরে আর মাথাটা নিচে না দিয়ে রাখলে কী হয় না। সব রক্ত তো মাথাই আইসা মরে যামু। - মরবা না বাবু সোনা... মরার আগেই নামাই ফেলবো...। - আচ্ছা ঠিকআছে.. তবে একটু সামনে আসেন না। - ঐ পিচ্চি তোর তো সাহস কম না..। - হুমমমমমমমমম.... সেই ছোট্ট কাল থেকে আপুদের পিছন পিছন ঘুরে ঘুরে সাহস বাইরা গেছে। আসেন না একটু সামনে। - আমাকে দেখবি.. তাই না ঠিকআছে মন ভরে দেখে নে... একটু পরে তো মরবিই। - কীইইইই... আপনাকে দেখলেই কী মরতে হবে। - না.... তবে তোর মনে এমন সাহস দেখাইলে মরতে হবে। - আচ্ছা একটা কথা বলি। - হুমমমমমমমমমমমমম। - সবার তো মরার আগে একটা শেষ ইচ্ছে থাকে.. আর সেটা পূরণ ও করা হয়... আমার ও একটা শেষ ইচ্ছে আছে। - ঠিকআছে বল। - না মানে যদি একটু নিচে নামাতেন... যারে দেখার জন্য মরতে হবে, তাঁরেই যদি একটু ভাল করেই না দেখলাম...। - ঐ ওরে নাম। - আপু এবার একটু এই দিকে তাঁকান। - হুমমমমমমমম। - এবার তো আমি সত্যি অবাক.. ঐ যে প্রথমে যারে দেখছিলাম সে। - কীইইইই... এমন হা করে আছো কেনো। - ঐ তখন তো কইলেই হইতো যে.. তুমিই সেই নীলা আপু। - কেনো। - তাহলে... একবার দেখেই দৌঁড় দিতাম আর মরতে হতো না। আচ্ছা আমাকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলবা.. মরেই তো যাবো তাই মরার আগে তুমি করে বলি। - হুমমমম..সত্যই মেরে ফেলবো। - কিন্তুু আমার মনে হচ্ছে তুমি আমাকে। - ঐ আমি কী? - না মানে... আমি অনেক কিউট তো... আমাকে হয়তো মারতে মন চাচ্ছে না তাই না। - চুপপপপপপপপপ। - আচ্ছা সবাই তোমাকে দেখে ভয় পায় কেনো... আমি কিন্তুু একটু ও ভয় পাচ্ছি না হুমমমম। - আর একটা কথা বললে কিন্তুু গুলি করে দিবে। - ওকে..... আশেপাশে তাঁকাই দেখি দেখি... চারিদিকে অনেক ছোট বড় পাহাড়.. আর সামনে একটা বড় খাঁদ। দেখেই গা ছমছম করছে...। কই আসছি নিজে ও জানি না। - নীলা....... আপু একটা কথা বলবো। - হুমমমমমমমম। - আমি এখন কই। - সিলেট.....। - কীইইইই............ আমি তো ছিলাম রাজশাহী সিলেট কেমনে আসলাম। - তোমার দুইদিন জ্ঞান ছিলো না। - কী মেয়েরে ভাই.... এবার বিশ্বাস হচ্ছে.. দেখতে যতই সুন্দরী হোক না কেনো.... খুন করা টা ও তাঁর কাছে কোন ব্যাপার না। তবে আমার ভয় করছে না, একটু ও না। - আপু... আমাকে একটু বলবা যে কেনো তুমি খুন করো। হায় হায় আবেগে তো তাঁর হাতটা ধরে ফেলছি। দেখলাম কেমন করে তাঁকালো আমার দিকে... ভয়ে হাতটা ছেঁড়ে দিলাম। - সাহরিয়া... জানো আজ পর্যন্ত কেউ আমার চোখের দিকে তাঁকিয়ে সাহস করে কথা বলতে পারে নাই.. আর এতো কথা ও কেউ বলে নাই তোমার মতো... সবাই আমার সাথে দেখা করতে ভয় পেঁত... আমি তোমাকে প্রথম যেদিন আমার বাসার সাইটে উঁকি মারতে দেখছিলাম... তখনি ভাবছিলাম তুমি সবার থেকে আলাদা... - তোমারেতো দেখেই ফিদা হয়ে গেছি পাগলি....। - কীইইইই বললা। - কই না... তো কিছু না...। আচ্ছা বলো না কেনো তোমারে দেখলে সবাই এত ভয় করে। - আজ থেকে দশ বছর আগে.. আজিজ নামের একটা লোকের সাথে, আমাদের একটা জমি নিয়ে ঝামেলা হয়... আর সে আমার বাবা মা কে খুন করে ফেলে... তার পরে থেকেই বাবা মার প্রতিশোধ নিতেই আজ আমি এমন... আমার মামা ও আমার সাথে ছিলো... এখন আজিজ এর পরিবারের কেউ বেঁচে নেই...আর আমার প্রতিশোধ ও নেওয়া শেষ... আমার দিকে চোখ তুলে কোন ছেলে তাঁকালেই তাঁকে অনেক কঠিক শাস্তি দিতাম... তোমাকে ও তাই করতাম... তবে তোমাকে কেন জানি কিছুই করতে পারছিলাম না... - আচ্ছা ঐ চার জন চলে গেল কেনো। - আমি যেতে বলছি তাই। - তাহলে এখন কী আমাকে মেরে ফেলবে। - না তোমাকে আমি মারতে পারবো না.... দুনিয়াতে এখন আর আপন বলতে আমার কেউ নেই... মামা ও পুলিশের কাছে সব শিকার করছে... আর আমাকে বাঁচিয়ে দিছি... কিন্তুু এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আর কোন ইচ্ছে আমার নেই... একটা ভালো মানুষ দরকার ছিলো। - কেনো। - যাতে আমার সকল সম্পত্তি তাঁর নামে করে দিয়ে যেতে পারি...। - ওহহহহহহহহহহহ। - আর মনে হয় পেঁয়ে ও গেছি। - কই। - তুমি.... পারবা না আমার সব সম্পদ দেখে রাখতে। - যার জন্য এত কিছু করলাম.. তাঁরেই যদি না পাই... সম্পদ নিয়ে কী করমু। - মানে। - কিছু না.... এখন কী করবা। - এখান থেকে লাফ দিবো। - তুমি দিলে আমি ও দিবো হুমমমমমম। - তুমি দিবা ক্যান। - তুমি দিবা ক্যান। - আমার দুনিয়াতে কেউ নাই তাই। - তুমি চলে গেলে আমার ও কেউ থাকবে না তাই। - সাহরিয়া এবার কিন্তুু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে। - ঠিকআছে দাও লাফ... আমার কীইইইই। নিজের দিকে তো কোনদিন দেখো নাই.... দেখলে আর লাফ দিতে চাইতে না। - কী দেখবো শুনি। - না মানে তোমারে জরিয়ে ধরেই সারাদিটা জীবন পার করে দেওয়া যাবে। - ফাজিল। - আচ্ছা থাক.... আমার দিকে একবার তাঁকাও... এমন একটা কিউট ছেলে মরে যাবে তুমি কী সেটা চাও বলো। - চুপপপপপপপপপ ।। - ঐ বলো না। - সাহরিয়া... পাগলামি করো না যাও। - গেলে তো তোমাকে নিয়েই যাবো হুমমমমম।। - কীইইইই। - হুমমমমমমমমমমমম। একটু ভালোবাসো না আমাকে পিলিজ,,, ও নীলা। - সাহরিয়া মাইর খাবা কিন্তুু। - ঠিকআছে মাইর দেওয়ার পরে একটা পাপ্পি দিও তাহলেই হবে। - যাও ভাগো। - ঠিকআছে.... আমিই তাহলে আগে নিচে লাফ দিচ্ছি দাঁড়াও। - দেখি তোমার সাহস কেমন দাও। - ঐ আমি লাফ দিবো তুমি আটকাবা না। - তোমার সাহস দেখবো। - ঠিকআছে দিলাম..... আহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহ। - ঐ উঠো......। - নিচে পড়ি নাই। - না.... পিছন দিকে পড়ছো। - তাই তো বলি লাগলো না কেনো। - হয়েছে হয়েছে এবার তুমি থাকো আমি লাফ দিবো। - হাতটা টে ধরলাম..... সত্যি তোমাকে ছাঁড়া আমি মরে যাবো....। - দেখি নীলা চুপ করে আছে। - দৌড়ে গিয়ে জরাই ধরলাম... নীলা সত্যি তোমাকে আমি ভালোবাসি... কাউকে ভালো বাসতে সারাটা জীবন লাগে না... একটু মুহূর্তই যথেষ্ট.... বেশি না একটু ভালোবেসো আমাকে... আমার সবটা দিয়ে তোমাকে ভালো বাসবো। - সাহরিয়া কোনদিন আমাকে ছেঁড়ে যাবে না তো। - মারার আগ পর্যন্ত না। - এমন ভাবেই জরাই ধরে থাকে বলো। - হুমমমমমমমমমমম.... আর। - আর কীইইইই । - উমমমমমমমমমমমমমমমম মমমমমমমমমমমমমমমমম্মা... আর এমন ভাঁবেই সারাজীবন পাপ্পি দিবো.... হি হি হি।।।। >>সমাপ্তThe End


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১১৬৪ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • SushMitA
    User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বে
    nice

  • Siyam
    Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    nice

  • মিথিলা জান্নাত রিয়া
    Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    n.c

  • "Orni Islam"
    User ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    nice story!!!!