বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
ছেলেধরা পর্ব৩
"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান বাপ্পী (০ পয়েন্ট)
X
লতিফ মিঞা
রাজী হলো।
লতিফ মামুদ দু-
ভাই সাজ-
পোশাক পরে
আজই গিয়ে
খুড়োর বাড়িতে
হানা দেবে ঠিক
হয়ে গেল।
পিছনে থাকবে
হীরু।
একাদশী। সারা
দিনের পর
দাওয়ায় ঠাঁই
করে দিয়েচেন
জগদম্বা।
মুখুজ্যেমশাই
বসেছেন
জলযোগে।
সামান্য ফলমূল ও
দুধ। বেতো ধাত—
একাদশীতে
অন্নাহার সহ্য হয়
না। পাথরের
বাটিতে ডাবের
জলটুকু মুখে
তুলেছেন, এমন
সময় দরজা ঠেলে
ঢুকল দু-ভাই লতিফ
আর মামুদ। ইয়া
পাগড়ি, ইয়া
গাল-পাট্টা,
হাতে ছ-হাতি
লাঠি, কপাল-
জোড়া সিঁদুর-
মাখানো।
মুখুজ্যের হাত
থেকে পাথরের
বাটি দুম করে
পড়ে গেল,—
জগদম্বা চিৎকার
করে উঠলেন—ওগো
পাড়ার লোক, কে
কোথায় আছো,
এসো গো,
ছেলেধরা
ঢুকেছে।
সুমুখের ছোট
মাঠটায় ঘর
কেটে ছোট ছোট
ছেলের দল রোজ
ফিঞে খেলে,
আজও খেলছিল,—
তারাও চেঁচাতে
চেঁচাতে যে
যেখানে
পারলে, ছুট দিলে
—ওগো ছেলেধরা
এসেচে, অনেক
ছেলে ধরে নিয়ে
যাচ্ছে।
হীরু সঙ্গে
এসেছিল বাড়ি
চিনিয়ে দিতে।
দোরের আড়ালে
লুকিয়েছিল—সে
চাপা গলায়
বললে,—আর দেখ
কি মিঞা,
পালাও। পাড়ার
লোকে ধরে
ফেললে আর রক্ষে
নেই। বলেই
নিজে মারলে
ছুট।
লতিফ মিঞা
শহরের আর কিছু
না শুনে থাক,
ছেলেধরার
জনশ্রুতি তাদের
কানে এসেও
পৌঁছেছে। চক্ষের
পলকে বুঝলে এ
অজানা
জায়গায় এরূপ
বেশে এই সিঁদুর
মাখা মুখে ধরা
পড়ে গেলে
দেহের একখানা
হাড়ও আস্ত
থাকবে না।
সুতরাং তারাও
মারল ছুট।
কিন্তু ছুটলে হবে
কি? পথ অচেনা,
আলো এসেছে
কমে—চতুর্দিক
থেকে কেবল
বহুকণ্ঠের সমবেত
চিৎকার—ধরে
ফ্যাল্, ধরে ফ্যাল্!
মেরে ফ্যাল্
ব্যাটাদের! ছোট
ভাই মামুদ
কোথায় পালাল
ঠিকানা নেই,
কিন্তু বড় ভাই
লতিফকে সবাই
ঘিরে ফেললে—
সে প্রাণের
দায়ে কাঁটা বন
ভেঙ্গে
লাফিয়ে পড়ল
একটা ডোবায়।
তার পর সবাই
পাড়ে দাঁড়িয়ে
ছুঁড়তে লাগল
ঢিল। যেই মাথা
তোলে অমনি
মাথায় পড়ে
ঢিল। আবার সে
মারে ডুব। আবার
উঠে, আবার
মাথায় পড়ে
ঢিল।
লতিফ মিঞা জল
খেয়ে আর ইঁট
খেয়ে আধমরা
হয়ে পড়ল। সে যতই
হাতজোড় করে
বলতে চায় সে
ছেলেধরা নয়,
ছেলে ধরতে
আসেনি,—ততই
লোকের রাগ আর
সন্দেহ বেড়ে
যায়। তারা বলে
নইলে ওর গাল-
পাট্টা কেন? ওর
পাগড়ি কিসের
জন্য? ওর মুখময় এত
সিঁদুর এলো
কোথা থেকে?
পাগড়ি তার খুলে
গেছে, গাল-
পাট্টা একধারে
ঝুলচে—কপালের
সিঁদুর জলে ধুয়ে
মুখময় লেগেচে।
এ-সব কথা সে
পাড়ের লোকদের
বলেই বা কখন,
শোনেই বা কে!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now