বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকঃ সুহান রিজওয়ান
আমি লিখতে পারি না । লেখক হবার
মত গুন আমার নেই । শুধু মনের কথা গুলো
কে একটু প্রাণ দেয়ার চেষ্টা করি ।
বাংলাদেশ, হ্যা আমার আপনার সবার
দেশ । প্রিয় মাতৃভূমি বলি, মা, মাটি
দেশ । কিন্তু এদেশ একদিনে আসেনি ।
হয়নি সব কিছু জাদুকর এর কোন জাদুতে
তৈরি । এসেছে বহু রক্তের বিনিময় এ
। দিতে হয়েছে অনেক মূল্য । যাদের
ঋণ কোন দিন শোধ করা যাবে না ।
না আমি না আপনি এই ঋণ শোধ করতে
পারব । তবে হ্যা কিছু হলেই ঋন এর
বোঝা কমাতে পারব আর তা হচ্ছে
দেশের জন্য যদি কিছু করে যেতে
পারি । দেশের মানুষ এর জন্য যদি কিছু
করা যায় ।
আসলে লিখছি একটা বুক রিভিউ । হ্যা
বই পড়েছি সেটার অভিব্যক্তি
লেখার চেষ্টা করা । " সাক্ষী ছিল
শিরস্ত্রাণ " বইয়ের কথা বলছি । বইয়ের
কয়েক পাতা পড়ার পর বাসা চেঞ্জ
করি । তারপর চাকরি থেকে সময় ও
বের হচ্ছিল না । তাই শেষ ও করতে
পারছিলাম না । কিন্তু অসুস্থ শরীর
যেন আমাকে সুযোগ করে দিল বইটা
পড়ার । তাই শেষ করে বসে গেলাম
রিভিউ দিতে । কিন্তু রিভিউ লেখা
তো সম্ভব না । এই বইয়ের রিভিউ
আমার মত নগন্য মানুষ এর পক্ষে সম্ভব না
।
একজন মানুষ যিনি দেশে কে
ভালবেসে । শুধু দেশ, দেশ আর দেশ
এটাই ভেবেছেন । ছুটে বেরিয়েছেন
এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে শুধু মাত্র
দেশের জন্য । কিন্তু সেই দেশেই
তাকেই নৃশংস ভাবে হত্যা হতে হয় ।
তর্জনী উচু করে যে মানুষ টা এনে
দিয়েছে স্বাধীনতা সেই মানুষ টাই
রক্ত দিতে হয়েছে দেশের কথা
ভেবেছেন বলে । হ্যা তিনি বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান । তিনি এই
স্বাধীনতার কারিগর ।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে যখন সাড়া দেশ উত্তাল
। ২৫ শে মার্চ এরপর তিনি গ্রেফতার হন
। সবাই যখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত আর
একজন মানুষ তখন আড়াল থেকে সব কিছুর
দায়িত্ব নিয়ে গড়ে চলেছেন এক দেশ
। হ্যা তিনি এক যুদ্ধরত দেশের
প্রতিনিধি । লড়াই করছেন এক অসম
শক্তির বিরুদ্ধে । না শুধু পাকিস্তানি
সামরিক বাহিনী নয়, লড়াই করছেন
অদৃশ্য এক শক্তির বিরুদ্ধে । যে শক্তি
প্রতিদিন ই তাকে সরিয়ে নিতে
চাইছে লক্ষ্য থেকে । সব শক্তিকে
বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জয় করা মানুষটির
নাম তাজউদ্দীন আহমদ । তিনি হচ্ছেন
সেই মানুষ যাকে সব সময় আড়ালে ই
থাকতে হয়েছে । যিনি বঙ্গবন্ধুর
ছায়ায় থেকেছেন সব সময় । কখনো
তাকে এই বিষয়টি ভাবায়নি । তিনি
সব সময় থেকেছেন বঙ্গবন্ধুর পিছনে,
তার ছায়ার সঙ্গী হয়ে ।
তাজউদ্দীন আহমেদ ইতিহাস এর সেই
মানুষ যিনি সব করেও কিছুই করেন্নি ।
যিনি সব কিছু শেষ হওয়ার পর ও নতুন
ভাবে নিজেকে সাজিয়েছেন ।
যাকে বাংলার মানুষ বঙ্গতাজ
নামেই চেনে । সেই মানুষটিকেও
বাচাতে পারেনি তার সততা । তার
ত্যাগ আর নিষ্ঠা তাকে কক্ষ পথ
থেকে বিন্দু মাত্র সরাতে পারেনি
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত । অথচ যার
হওয়ার কথা ছিল বাংলার মুকুট । যিনি
গড়তে পারতেন এই বাংলাদেশের
উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ । তাকেসহ বাচাতে
পারেনি আরো তিন নক্ষত্র কে ।
যারা নীতি আর আদর্শ থেকে এক
বিন্দু পরিমাণ ও সরেননি ।
দেশ তুমি সত্যি বড় কঠোর ছিল ।
তোমাকে রক্ষায় যারা ছিল অগ্রজ ।
সেই তাদের ই রক্তে তুমি ভিজেছ
বার বার । একটু কি কষ্ট লাগেনি ।
বইটা পড়ে শুধু মনে হয়েছে, দেশ মনে
রাখে তাদের ই যারা রক্ত দিয়েছে ।
জীবিতদের ঠাই নেই ।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
আলোর পরশ
User ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেআলোর পরশ
User ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেAjidur Rahman Taju
Golpobuzz ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেআহমদ মুসা
Guest ৫ বছর, ১০ মাস পুর্বে