বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

বাসুকির সঙ্গীদের খোঁজে

"ভ্রমণ কাহিনী" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রামীম (০ পয়েন্ট)

X চারপাশে ধু ধু প্রান্তর। দূরে সবুজের ছোঁয়া থাকলেও, সেখানে পৌঁছনোর পথটি কেমন মন খারাপ করা। হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে, কেউ সযত্নে দু’পাশের সব গাছ কেটে তছনছ করে দিয়েছে। কোথাও অবশিষ্ট গাছের গোড়া-সহ মাটি, পুরোটাই কালো হয়ে রয়েছে। যেন কোনও ভয়ানক আগুনে পুড়ে গিয়েছে সব কিছু। তারই মাঝখানে আলের মতো এক চিলতে মেঠো পথ হারিয়ে গিয়েছে বনানীর মাঝে। কাঠের পাটাতনে খটখট আওয়াজ তুলে পর্যটকের দল একে একে এগিয়ে চলেছেন সেই সবুজের মধ্যে, সর্প মন্দির দর্শনে। রুক্ষ প্রকৃতির মাঝেই কাঠের পাটাতন পাতা পথ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী দেশ কাম্বোডিয়ার রাজা, দ্বিতীয় জয়বর্মন চিকিৎসালয় করার উদ্দেশ্যে তৈরি করেছিলেন একটি কৃত্রিম দ্বীপ। জয়তাতাকার নামের একটি ছোট্ট জলাশয়ের মাঝেই ছিল সেই দ্বীপ। যার যোগ ছিল চারপাশের চারটি জলাধারের সঙ্গে। বলা হয়, এই চার জলাধার পৃথিবীর চার উপাদানের প্রতীক— বাতাস, জল, আগুন ও মাটি। যে কারণে এখানে স্নান করলে নাকি সব ব্যাধিই সেরে যেত। কালক্রমে সেই চিকিৎসালয় পরিণত হয় সর্প মন্দিরে। নাম হয় ‘নিক পোয়ান’। এবং বর্তমানে, বর্ষাকাল ছাড়া সেখানে জলের দেখা পাওয়াও যায় না। ১৯২০ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে, জঙ্গল সরিয়ে আঙ্গোরের নানা মন্দিরের সঙ্গেই উদ্ধার করা হয়েছিল এই মন্দিরটি। নিক পিয়ান সর্প মন্দিরের এই জলাশয়ের সঙ্গে তুলনা করা রয়েছে ‘অনবতপ্ত’ হ্রদের, বৌদ্ধ পুরাণ অনুসারে, যা রয়েছে পৃথিবীর ঠিক মাঝখানে। এবং এর অর্থ ‘উত্তপ্ত নয়, এমন’। বৌদ্ধ পুরাণ থেকে জানা যায়, এই হ্রদে নন্দ ও উপনন্দ নামের দুই মহানাগ বাস করে। মন্দিরকে বেষ্টন করে রেখেছে এই দুই নাগ। এই দুই মহানাগের সঙ্গে যোগ রয়েছে নাগরাজ বাসুকির। হিন্দু ও বৌদ্ধ, দুই পুরাণেই উল্লেখ পাওয়া যায় বাসুকির। অনেকে মনে করেন, অনবতপ্ত হ্রদ আদতে মানস সরবর। এবং ওই চারটি জলাশয়, পৃথিবীর বুকে বয়ে যাওয়া চার মহান নদীর বিকল্প— পুবে গঙ্গা, দক্ষিণে সিন্ধু, পশ্চিমে আমু দরিয়া ও উত্তরে ইয়েলো রিভার। সখের ফোটোগ্রাফারদের জন্যই যেন করা হয়েছে এই বারান্দা। মন্দিরের চারপাশে রয়েছে বিশাল দেওয়াল। তার বাইরেই তখন পর্যটকের ভিড়। অগস্ট মাস। রোদে তেতেপুড়ে অবস্থা একেবারেই খারাপ সকলের। কিন্তু, সে দিকে কারোরই ভ্রূক্ষেপ নেই। শত শত বছরের পুরনো স্থাপত্য দেখছেন সকলে মশগুল হয়ে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৯৫ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • ¤-ইশিকা-¤
    User ৫ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    R nice !!

  • রামীম
    Golpobuzz ৫ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    tnx to all

  • রামীম
    Golpobuzz ৫ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    tnx to all

  • রামীম
    Golpobuzz ৫ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    tnx to all

  • রামীম
    Golpobuzz ৫ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    tnx to all

  • রামীম
    Golpobuzz ৫ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    tnx to all

  • রামীম
    Golpobuzz ৫ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    tnx to all

  • ফয়সাল মাহমুদΠ
    User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    nice

  • শ্যামা
    User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    Nice

  • সুমনা
    User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    Nice

  • রিহাব রানা
    Guest ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    Vlo

  • ★*অনয়*★
    User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    Nice

  • রামীম
    Golpobuzz ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    tnx # Raiyan

  • রায়ান ফারাবি
    User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    Good